দক্ষ উদ্যোক্তা সৃষ্টি করুন

প্রকাশ | ১৮ আগস্ট ২০১৯, ০০:০০

জাহিদুল ইসলাম খন্দকার শিক্ষার্থী, দর্শন বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
সমস্যার আল কেটে সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন হয়তো কঠিন তবে অসম্ভব নয়। জনসংখ্যাধিক্যতা এ দেশের সব সমস্যার জননী। যদি এটিকেই উন্নয়নের ট্রাম্প কার্ড হিসেবে ব্যবহার করা যায় তাহলে কেমন হয়? অন্ধকার থেকেই আলো ছিনিয়ে আনতে হবে, তমস্যাবৃত ভবিষ্যতের রহস্য ভেদ করতে হবে। ইউএনডিপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এ দেশের কর্মক্ষম তথা উৎপাদনশীল মানুষের সংখ্যা ১০ কোটি ৫৬ লাখ যা মোট জনসংখ্যার ৬৬%। অর্থাৎ নির্ভরশীল জনসংখ্যা ক্রমেই কমছে এ দেশে। অর্থনীতিবদরা একে জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকাল বলছেন। ২০৪২ সালে এই জনসংখ্যাতাত্ত্বিক বোনাসকালের সময়সীমা শেষ হবে। তাই দাঁত থাকতেই দাঁতের মর্যাদা দিতে হবে। জনসংখ্যাকে পরিণত করতে হবে মানবসম্পদে। জনসংখ্যার গুণগত পরিবর্তন এলেই উন্নয়নের পরিমাণগত পরিবর্তন আসবে। এই গুণগত পরিবর্তনের জন্য প্রথমেই প্রয়োজন শিক্ষাব্যবস্থার বৈশ্বিক উন্নয়ন। অথচ এ ক্ষেত্রে আমরা এখনো পশ্চাৎগামী। যেখানে জিডিপির ৬ শতাংশ শিক্ষা খাতে ব্যয় করা উচিত সেখানে আমরা ব্যয় করছি মাত্র ২ শতাংশ। এর পেছনেও কারণ রয়েছে। সরকার চায় দ্রম্নত উন্নয়ন। শিক্ষা খাতে উন্নয়ন ঘটালে এর সুফল আসবে হয়তো দেরিতে কিন্তু এর ফল সুদূরপ্রসারী। অথচ এদিকে ভ্রম্নক্ষেপ নেই সরকারের কারণ হচ্ছে- সরকারের স্বল্প মেয়াদকাল। আবার ক্রমেই উচ্চশিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছেই। একপর্যায়ে হয়তো এই বেকাররাই সরকারের বিরুদ্ধে রাস্তায় নামবে। কেননা সরকার তাদের চাকরি নিশ্চিত করতে অসমর্থ। এমনটা ভাবা মোটেও অস্বাভাবিক নয়, ইতিহাস ঘাটলেই এরূপ অনেক দৃষ্টান্ত মেলে। এই সংকট নিরসনের দুটি বিকল্প পথ রয়েছে। এক. তাদের চাকরি নিশ্চিতকরণ এবং দুই. তাদের দক্ষ উদ্যোক্তায় রূপান্তর। এত বিপুলসংখ্যক বেকারের চাকরির ব্যবস্থা নিঃসন্দেহে অনেক কঠিন। তাই দ্বিতীয় বিকল্পটাই বেছে নিতে হবে। তাদের প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে দক্ষ উদ্যোক্তায় পরিণত করতে হবে।