পেঁয়াজের বাজার অস্থির

দ্রম্নত পদক্ষেপ নিন

প্রকাশ | ০৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
হঠাৎ অস্বাভাবিক দাম বেড়ে অস্থির হয়ে উঠেছে পেঁয়াজের বাজার- যা সন্দেহাতীতভাবেই উদ্বেগজনক বলে প্রতীয়মান হয়। প্রসঙ্গত বলা দরকার, বিভিন্ন অজুহাতে পাইকারি ও খুচরা বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দেয়ার বিষয়টি নতুন নয়। এ ছাড়া এটাও লক্ষণীয় যে, কোনো পণ্যের দাম মোকামে কয়েক টাকা বাড়লে পাইকারিতে বাড়িয়ে দেয়া হয় এবং খুচরা পর্যায়ে আরও অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়, সঙ্গত কারণেই এতে করে সাধারণ ভোক্তাদের কষ্ট বাড়ে। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, রোববার রাজধানীর প্রায় সব বাজারে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬০ টাকা থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ ক্ষেত্রে উলেস্নখ্য যে, ১৫ দিন আগে এ পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪০-৪৫ টাকায়। আর আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে। যদিও ব্যবসায়ীদের দাবি এক মাসের মধ্যে খুচরা পর্যায়ে দেশি পেঁয়াজের কেজি ৫৫ টাকার ওপরে বিক্রি হয়নি। আর পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ৪৮ টাকা কেজি। আমরা বলতে চাই, একদিকে পাইকারির দামের সঙ্গে খুচরা দামের ব্যবধান, অন্যদিকে হঠাৎ হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়া- সামগ্রিকভাবেই এই বিষয়গুলো আমলে নিয়ে দ্রম্নত কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। এমন তথ্যও উঠে এসেছে যে, হঠাৎ পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির কারণ খতিয়ে দেখতে বিশেষ অভিযান পরিচালনার উদ্যোগ নিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। যা ইতিবাচক। আমরা মনে করি, যত দ্রম্নত সম্ভব এই ধরনের পরিস্থিতি রোধ করতে হবে। পেঁয়াজের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধিতে কারও কারসাজি আছে কিনা তা খতিয়ে দেখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে বিশেষ অভিযান পরিচালনা অত্যন্ত দরকারি এবং এ ধরনের অভিযান সারা বছর অব্যাহত রাখা দরকার, যাতে কেউ কারসাজির সুযোগ না পায়। আমরা চাই, সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে উদ্যোগী হবে। এর আগেও লক্ষ্য করা গেছে যে, কোনো পণ্যের দাম বিদেশের বাজারে বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে দেশের ব্যবসায়ীরা নিজেরাই বাড়িয়ে দেন। সঙ্গত কারণেই এভাবে ক্রেতা ঠকানোর প্রবণতা দৃশ্যমান হয়- যা বন্ধ করতে প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে এবং একইসঙ্গে দায়ীদের যথাযথ শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সংশ্লিষ্টদের সতর্ক থাকতে হবে যে, নিজেদের স্বার্থে কেউই যেন ভোক্তাদের জিম্মি করতে না পারে। অতিমুনাফা ভোগীদের যেমন নজরদারি আওতায় আনতে হবে, তেমনি পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যর বাজার স্থিতিশীল রাখতে সব ধরনের উদ্যোগ জারি রাখতে হবে। প্রসঙ্গত আমরা বলতে চাই, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির হলে ভোক্তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধিতে হতদরিদ্র মানুষ দিশেহারা হয়ে পড়ে। ফলে নিত্যপণ্যের বাজারের অস্থিরতা দূর করার জন্য সময়মতো পদক্ষেপ নিতে হবে এবং ভোক্তারা দিশেহারা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে যথার্থ উদ্যোগ নিশ্চিত করতে হবে। কেন হঠাৎ দাম বেড়ে যায় এবং এর নেপথ্যের কারণ কী তা শনাক্ত করে করণীয় নির্ধারণ ও যথাযথ বাস্তবায়নের হোক এমনটি কাম্য। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, পেঁয়াজের বাজার অস্থির হয়ে ওঠা এবং পাইকারি দামের সঙ্গে খুচরা দামের তফাৎসহ সার্বিক বিষয়গুলো আমলে নিন। এ ছাড়া অসাধু ব্যবসায়ী এবং অতিমুনাফা প্রত্যাশী বিক্রেতাদের মানসিকতার পরিবর্তনও জরুরি। মনে রাখতে হবে যে, হতদরিদ্রসহ সাধারণ মানুষ নিত্যপণ্যর দাম বেড়ে গেলে দিশেহারা হয়ে পড়ে। সঙ্গত কারণেই নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা দূর করতে সংশ্লিষ্টদের নজর দিতে হবে এবং হঠাৎ দাম বাড়াসহ যে কোনো ধরনের অনিয়ম রোধ করতে হবে। পেঁয়াজের দাম কমানোসহ দ্রম্নত বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত হোক এমনটি কাম্য।