কবি গুলশান-ই-ইয়াসমিন ফাউন্ডেশন ও নারীর অগ্রযাত্রা

প্রকাশ | ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কবি গুলশান-ই-ইয়াসমিন ফাউন্ডেশন একটি বেসরকারি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। ১৯৮০ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন কর্মকান্ডের মধ্যদিয়ে পথ চলে আসছে। শুদ্ধ বিনোদন প্রকাশই এর উদ্দেশ্য। শিল্প, সংস্কৃতি, সাহিত্যের প্রতি তিনি যেভাবে উজ্জীবিত করার চেষ্টা করেছেন তা তুলনা হয় না। তিনি প্রতিভামূলক কাজ দীর্ঘদিন ধরে শিশু-কিশোরদের মধ্যে করে আসছেন। অন্যদিকে শিশুসেবার প্রতিও আলোকপাত করেছেন। সচেতনতা প্রকাশ করা তার প্রতিষ্ঠানের অন্যতম কাজ। আর তাই কবি গুলশান-ই-ফাউন্ডেশন সুস্থ ও সচেতনমূলক অনুষ্ঠান প্রকাশ করার অঙ্গীকারে দীর্ঘদিন ধরে নারীদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন। ইদানীং তিনি বুদ্ধিজীবী নারীদের খোঁজে বের হয়েছেন। বুদ্ধিজীবী কবি-সাহিত্যিক-শিল্পীদের তিনি বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন উপাধি বিতরণ করেন। অন্যদিকে অসচ্ছল নারীদের মধ্যে ভাতা প্রদান করে থাকেন। সচেতনতা আনয়ন করে থাকেন। দেশের বুদ্ধিজীবী কবি-সাহিত্যিক, শিল্পী, যারা দেশকে রত্নভান্ডারে পরিণত করেছেন তাদের তিনি মহৎভাবে মানবী উপাধি দিয়েছেন। বুদ্ধিজীবী নারীরা তাদের শ্রম, মেধা, শিক্ষা দিয়ে দিনের পর দিন অনেক এগিয়ে গিয়েছেন, দেশকে আলোকিত করেছেন। এই আলোকিত মহীয়সী নারীদের নিয়ে তিনি উদ্যোগ নিয়েছেন সম্মাননা উপাধি দেয়ার জন্য। বুদ্ধিজীবী নারীরা তার ডাকে সাড়া দিয়েছেন। একজন আলোকিত নারী আরেকজনকে আলোকিত করছেন। শীতবস্ত্র বিতরণ ও বিভিন্ন সময়ে ত্রাণ বিতরণ করে আসছেন। যেমন- একটি সুস্থ-সুন্দর পরিবেশ তৈরি করেছেন, তেমনি ফ্রি চিকিৎসাও করেন। এই ফাউন্ডেশনের আওতায় বিভিন্ন শিক্ষামূলক অনুষ্ঠান, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বৃত্তি প্রদান, ভাতা প্রদান করা হয়ে থাকে। কবি গুলশান-ই-ইয়াসমিন ফাউন্ডেশন কুঞ্জে জিওন কাঠি সাহিত্য কুঠির শিশু-কিশোরদের জন্য গড়ে তুলেছেন। কবি গুলশান-ই-ইয়াসমিনের বাবা-মার নামে হাসনাহেনা লাইব্রেরি গড়ে উঠেছে, তার কাজ চলছে। কবি গুলশান-ই-ইয়াসমিনের মা একজন কবি ও কলেজ ফাউন্ডার। বাবা একজন গোল্ড মেডেলিস্ট। পাশাপাশি এই মহীয়সী কবি-সাহিত্যিকদের আলোকিত স্থানে মূল্যায়ন করেন। যে দেশে গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান করা হয় না, সেই দেশে গুণীজন জন্মগ্রহণ করে না। অন্যদিকে কবি গুলশান-ই-ইয়াসমিন ফাউন্ডেশন নারী সচেতন ও নারী নির্যাতনের ওপর আলোকপাত করেছেন। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কাজের মধ্যদিয়ে মানুষের সেবা করে যাচ্ছেন। কবি গুলশান-ই-ইয়াসমিন ফাউন্ডেশন কুঞ্জে বিভিন্ন সবুজায়নের মধ্যদিয়ে বিভিন্ন ঔষধি গাছ লাগানো হয়েছে। মহামূল্য ঔষুধি ফলগুলো অত্যন্ত উপকারী যেমন- হরীতকী, বয়রা, মধুমালতি, নীল, করমচা ইত্যাদি। দেশের প্রতি শ্রদ্ধা-ভালোবাসা থাকার জন্য ফাউন্ডেশন কাজ করে যাচ্ছে। কবি গুলশান-ই-ইয়াসমিন ফাউন্ডেশন মানুষের উপকারের চাবিকাঠি। বিভিন্ন উপাধি ও পুরস্কারের মধ্যদিয়ে নারীদের সম্মাননা প্রকাশ করে যাচ্ছেন। কবি গুলশান-ই ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান দিনে দিনে মানুষের জন্য এত কাজ করে যাচ্ছেন, এমন ভবিষ্যতে করে যাবেন। আমরা আশা রাখি। \হ শাহাদাৎ জয় ঢাকা