'বিশ্ববিদ্যালয় কি শুধুই বিসিএস ক্যাডার তৈরির কারখানা?'

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, হঁ্যা সত্যিই দেশ এগিয়ে যাচ্ছে! এদেশ এগিয়ে যাচ্ছে গুটি কয়েক সাধারণ জ্ঞান বই আর বাংলা, ইংরেজির দারুন এক সমন্বয়ে ক্যাডার তৈরির দিক থেকে। বিশ্ববিদ্যালয় মানে একটি মুক্ত জায়গা। এখানে থেকে মানুষ হবে মুক্তমনা, মুক্তচিন্তার ধারক। বলা হয়ে থাকে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের আলো-বাতাসও নাকি শিক্ষা দেয়! অথচ সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিরাট একটি সংখ্যা যখন তার গবেষণাধর্মী সাবজেক্ট বাদ দিয়ে বদ্ধ লাইব্রেরিতে বসে বসে এমপিথ্রিসহ বাংলা, ইংরেজির নেশায় বুঁদ হয়ে থাকে, তখন সেটি সত্যিই দুঃখের বিষয়! আমাদের দেশের সফলতার মাপকাঠিটাই এমন। বিসিএস ক্যাডার যদি হতে পারো তবে তুমি সফল, নইলে তুমি ব্যর্থ! অন্যান্য দেশের শিক্ষার্থীরা যখন নিজ নিজ সাবজেক্ট নিয়ে বিভিন্ন গবেষণায় ব্যস্ত, তখন আমরা ব্যস্ত সস্তা একটা সাধারণ জ্ঞানের বই নিয়ে! যদি ফার্মেসির একটা শিক্ষার্থী তার গবেষণালব্ধ সাবজেক্ট বাদ দিয়ে, সাধারণ জ্ঞান পড়তে ব্যস্ত থাকে, তবে এ দেশের ওষুধের মানোন্নয়ন আর হবে কি করে! সে তো ব্যস্ত বিসিএস ক্যাডার হয়ে তথাকথিত ভাবে সফল হতে। যদি প্রত্নতত্ত্বের একজন শিক্ষার্থী গবেষণা বাদ দিয়ে, সেই তথাকথিত সফলতার পিছে ছোটে, তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তার অতীত সংস্কৃতি, অতীত জীবন ধারা সম্পর্কে জানবে কি করে! আসলে দোষ আমাদের নয়, দোষ আমাদের দেখার দৃষ্টিভঙ্গির। দোষ আমাদের সমাজ কাঠামোর। জাকারিয়া হাবিব (হিমেল) প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়