হতাশার সাগরে নিমজ্জিত তারুণ্য!

প্রকাশ | ১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
তারুণ্য শক্তি জোগায়, তারুণ্য সাহস জোগায়, তারুণ্য অন্যায়ের বিরুদ্ধাচার করে, তারুণ্য হয় বিদ্রোহী, তারুণ্য হয় সীমাহীন। একটা দেশের গণতন্ত্র বা উন্নয়ন সবকিছুই এই তারুণ্যের ওপর নির্ভর করে। একটা দেশ যেমন এগিয়ে যায় তারুণ্যের ছায়ায় আবার সেই দেশই কখনো কখনো তারুণ্যের বোঝা বহন করে। যে দেশের তরুণ জনগোষ্ঠী যত বেশি, সে দেশের সৌভাগ্য তত বেশি। বাংলাদেশ এমন একটি আশীর্বাদপুষ্ট দেশ যার এক-তৃতীয়াংশ হচ্ছে তরুণসমাজ। আমরা যদি এই বৃহৎ তারুণ্যকে সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারতাম তাহলে আমাদের দেশের চেহারা আজ অন্য রকম হতো। কিন্তু আমরা এমনই এক হতভাগা জাতি যে, এই তারুণ্যকে আমরা কর্মক্ষম করে দেশের কাজে লাগাতে পারলাম না। আজকে তরুণরা হতাশার সাগরে নিমজ্জিত। যেখানে তারুণ্য আজ আমাদের শক্তি জোগাবে, সমস্ত অন্যায়, অবিচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবে, সেখানে তারা হতাশ হয়ে অন্ধকার কালোছায়ায় হারিয়ে গেছে। আমরা যদি দেশের সর্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে তাকাই তাহলেই বুঝতে পারব যে তারুণ্যের কি ভয়াবহ অবস্থা! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিগত কয়েক বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায় এখানে মেধাবী শিক্ষার্থীদের আত্মহত্যার প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। আমাদের সবার আত্মসম্মানবোধ অনেক বেশি। তাই যখন কারও এই আত্মসম্মানে আঘাত লাগে তখন সে জগতের আর কিছুই ভাবে না। পরিবার, দেশ কিছুই তার সামনে আসে না। সে ভাবে মৃতু্যই একমাত্র মুক্তির পথ! কিন্তু এটা আসলে দেশ ও জাতির জন্য মঙ্গলজনক না। তরুণ প্রজন্মের রক্তে গড়া দেশ। সেই দেশে যখন তরুণসমাজের এমন অবস্থা হয় তখন সেটি অবশ্যই আশঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়ায়! মো. তাসনিম হাসান আবির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়