দীর্ঘমেয়াদে নারীশাসক শেখ হাসিনা

বিশেষভাবে উলেস্নখ্য, ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় ছিলেন। মার্গারেট থ্যাচার যুক্তরাজ্য শাসন করেছেন ১১ বছর ২০৮ দিন। চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দু'ভাবেই ক্ষমতায় ছিলেন ১১ বছর ৭ দিন। আর চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ১৫ বছরেরও বেশি সময় পার করেছেন শেখ হাসিনা। তার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

প্রকাশ | ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯, ০০:০০

সালাম সালেহ উদদীন
দীর্ঘদিন দেশ শাসন করে বিশ্বের শীর্ষ নারীশাসকদের তালিকায় উজ্জ্বলভাবে জায়গা করে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ ক্ষেত্রে নারী সরকারপ্রধান হিসেবে দীর্ঘদিন দেশ পরিচালনায় তিনি পেছনে ফেলেছেন ভারতের ইন্দিরা গান্ধী, যুক্তরাজ্যের মার্গারেট থ্যাচার ও শ্রীলংকার চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গার মতো জনপ্রিয় ও প্রভাবশালী নেতাদের। আন্তর্জাতিক সংস্থা উইকিলিকস সাম্প্রতিক এক জরিপের ভিত্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। নারী হিসেবে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা এবং বিশ্বে পরিচিতির ও গ্রহণযোগ্যতার দিক বিবেচনায় এ তালিকা করা হয়েছে। বিশেষভাবে উলেস্নখ্য, ইন্দিরা গান্ধী ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ১৫ বছরের বেশি ক্ষমতায় ছিলেন। মার্গারেট থ্যাচার যুক্তরাজ্য শাসন করেছেন ১১ বছর ২০৮ দিন। চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা শ্রীলংকার প্রধানমন্ত্রী ও প্রেসিডেন্ট হিসেবে দু'ভাবেই ক্ষমতায় ছিলেন ১১ বছর ৭ দিন। আর চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়ে ১৫ বছরেরও বেশি সময় পার করেছেন শেখ হাসিনা। তার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। \হ১৯৯৬, ২০০৮, ২০১৪ এবং এ বছরের ৭ জানুয়ারি চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শেখ হাসিনা। তার আমলে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক খাতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে, মানুষের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। আগে যেখানে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় ছিল সাত থেকে ৮০০ ডলার, কয়েক বছরের ব্যবধানে তা বেড়ে ১৯০০ ডলার ছাড়িয়েছে। এ সময়ে বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে প্রবেশ করেছে। উইকিলিকসের জরিপ অনুসারে- সেন্ট লুসিয়ার গভর্নর জেনারেল ডেম পারলেট লুইজি সবচেয়ে বেশিদিন ক্ষমতায় থাকা নারী। তিনি ১৯৯৭ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত ২০ বছর ১০৫ দিন দেশ শাসন করেছেন। আইসল্যান্ডের ভিগডিস ফিনবোগডোটিয়ার ক্ষমতায় ছিলেন ১৯৮০ থেকে ১৯৯৬ পর্যন্ত প্রায় ১৬ বছর। তবে বিশ্ব রাজনীতিতে এই দুই নেতা খুব বেশি পরিচিত ছিলেন না। দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকা নারী রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মারকেল আছেন সবার শীর্ষে। তিনি ২০০৫ সাল থেকে এখনো ক্ষমতায় রয়েছেন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে প্রচ্ছদ প্রতিবেদন করেছে নেদারল্যান্ডের নামকরা ডিপেস্নাম্যাট ম্যাগাজিন। সাময়িকীটি তাদের প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে শিরোনাম করেছে 'শেখ হাসিনা: মাদার অব হিউম্যানিটি'। প্রচ্ছদজুড়ে ব্যবহার করা হয়েছে শেখ হাসিনার ছবি। নারীর বিরুদ্ধবাদীরা বলে থাকে, নারী জন্মগতভাবে অবলা এবং তুলনামূলকভাবে নির্বোধ। তারা কোনোভাবেই সঙ্কীর্ণতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারে না। অন্যের কথার দ্বারা তারা অতিমাত্রায় প্রভাবিত, চালিত ও নিয়ন্ত্রিত হয়। তারা প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে হেন কাজ নেই যা করতে পারে না। নারীর বুদ্ধিবৃত্তিক তীক্ষ্নতাও কম। কাজেই পুরুষের ওপর তাদের কর্তৃত্ব করা একেবারেই অবান্তর। অন্তত পুরুষশাসিত সমাজ তাই মনে করে। পরিস্থিতি যদি এমন হয় তবে কীভাবে নারীর ক্ষমতায়ন পরিবার-সমাজ-রাষ্ট্রে ঘটবে আর কীভাবেই নারী রাষ্ট্র শাসন করবেন। একুশ শতকে এসে এ কথার ভিত্তি আছে বলে মনে হয় না। বহু আগে থেকেই নারী রাজ্যশাসন করছেন, যুদ্ধ ক্ষেত্রে গিয়েছেন, এমনকি রাজ্যের শীর্ষপদ অলঙ্কৃৃত করেছেন। অনেকেই এটাও মনে করেন যে নারী-পুরুষ প্রাধান্যের আবহে থেকেই রাজ্যশাসক হয়েছেন। তবে যারা নারীকে উচ্চাসনে দেখতে চান না, তাদের মতে-'পুরুষের সঙ্গে মেয়েদের হরমোনজনিত তারতম্য রয়েছে বলেই নারী রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পদের যোগ্য নয়। তারা আন্তঃরাষ্ট্রীয় তথা পররাষ্ট্রনীতি বোঝেন না। সত্যিকার কূটনৈতিক সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত রাষ্ট্রে রাষ্ট্রে তা তাদের বোধের বাইরে। এসব মিথ্যা প্রমাণ করেছেন একুশ শতকের নারীশাসকরা। গত দেড় দশকে নারীশাসনের ক্ষেত্রে নবজাগরণ ঘটেছে। পৃথিবীর বহুদেশে এখন নারীশাসক রয়েছে। জার্মানি, আয়ারল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ভারত, লাইব্রেরিয়া, আর্জেন্টিনা, বাংলাদেশ, পাকিস্তান, কোস্টারিকা, ব্রাজিল, সুইজারল্যান্ড, কসোভো, পেরু, থাইল্যান্ড, ডেনমার্ক, নেদারল্যান্ড, সেইন্ট লুসিয়া, এন্টিগোয়া অ্যান্ড বারবোডা, আইসল্যান্ড, মাল্টা, ঘানা, লাটভিয়া, পানামা, ফিনল্যান্ড, কিরগিজিস্তান, মঙ্গোলিয়া, বলিভিয়া, ইকুয়েডর, জর্জিয়া, ইসরাইল, গ্যাবন, ফ্রান্স, বুরুন্ডি, যুক্তরাজ্য, কানাডা, রুয়ান্ডা, শ্রীলংকা, বুলগেরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, পেরু, মেসিডোনিয়া, বারবাডোস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, জ্যামাইকা প্রভৃতি রাষ্ট্রে কোনো না কোনোভাবে শাসনক্ষমতায় ছিল নারী এবং বেশির ভাগ রাষ্ট্রে এখনো রয়েছে। এর মধ্যে পনেরো দেশে দ্বিতীয়বার বা তৃতীয়বার রাষ্ট্রপতি বা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন নারী। আর বাংলাদেশে চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী হয়েছে শেখ হাসিনা। পৃথিবীর বহু দেশে শত শত বছর আগে থেকে নারীশাসক ছিলেন। ব্রিটিশ সম্রাজ্ঞী ভিক্টোরিয়া পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সময় শাসনক্ষমতায় ছিলেন। তিনি ছিলেন দীর্ঘ ৬৪ বছর। ওই সময়কে বলা হয় ভিক্টোরিয়ান যুগ। ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী গোল্ডামায়ারও দীর্ঘদিন ক্ষমতায় ছিলেন। পৃথিবীর অনেক দেশেই হয় নারী প্রেসিডেন্ট, না হয় প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। শুধু জার্মানিতে রয়েছে চ্যান্সেলর। আর এর মধ্যে উলেস্নখযোগ্য নারী হচ্ছে, ক্লিওপেট্রা, রানী ভিক্টোরিয়া, রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, মার্গারেট থ্যাচার, প্রতিভাপাতিল, অ্যাঙ্গেলা মারকেল, শেখ হাসিনা, বেগম খালেদা জিয়া, জুলিয়া গিলার্ড, দিলমা রুসেফ, ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ, ইংলাক সুনেত্রা প্রমুখ। তবে দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শ্রী মাভো বন্দরনায়েক, ইন্দিরা গান্ধী, বেনজির ভুট্টো, চন্দ্রিকা কুমারাতুঙ্গা, শেখ হাসিনা, বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘ সময় রাজ্য বা দেশ শাসন করেছেন। বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বের দীর্ঘতম নারীশাসক। পৃথিবীর বহু দেশেই নারী মন্ত্রী ও সচিব রয়েছে। ভারতের একাধিক রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী নারী। যুক্তরাষ্ট্র, বাংলাদেশ, পাকিস্তানে নারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী হয়েছেন। বাংলাদেশের মন্ত্রিপরিষদে নারী রয়েছে, সচিবও রয়েছে বেশ কজন। নারী উপাচার্য, পুলিশ ও সামরিক কর্মকর্তাও রয়েছেন। নারী উদ্যোক্তা ও শিল্পপতিদের সংখ্যাও বাংলাদেশে কম নয়। নারীর প্রশাসনিক ক্ষমতায়ন, সিদ্ধান্ত গ্রহণের পর্যায়ে নারীর অন্তর্ভুক্তি তথা উন্নয়নের মূল ধারায় নারীকে সম্পৃক্ত করার উদ্দেশ্যে প্রথম উদ্যোগ ১৯৭২ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সরকার গ্রহণ করে। সরকারি চাকরিতে মেয়েদের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে দিয়ে সব ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ অবারিত করে দশ ভাগ কোটা সংরক্ষণ করা হয়। ১৯৭৩ সালে দুজন নারীকে মন্ত্রিসভায় অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং ১৯৭৪ সালে একজন নারীকে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক করা হয়। সমাজ ও রাষ্ট্রীয় প্রশাসনের সব ক্ষেত্রেই নারীর বর্ধিত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার পাশাপাশি নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বিষয়টিতেও বর্তমান সরকার গুরুত্বারোপ করেছে। আমাদের দেশে সরকারের নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ে নারীর অংশগ্রহণ ইতিবাচক। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বিরোধীদলীয় নেত্রী ও স্পিকার নারী। বাংলাদেশে রাষ্ট্রদূতপর্যায়ে নারী রয়েছেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে নারী বিচারপতি নিয়োগ প্রদানের মধ্যে নারী ক্ষমতায়নের নতুন মাইলফলক যুক্ত হয়েছে। হাইকোর্ট বিভাগে বিচারপতি পদে রয়েছে বেশ কজন নারী, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন ও তথ্য কমিশনে নারী সদস্য কাজ করেছেন, করছেন। বাংলাদেশে যে নারীর অগ্রগতি এর মূল কৃতিত্ব বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। নারী বিষয়ে তার উদারনৈতিক ও নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি অসাধারণ। অন্যদিকে বাংলাদেশ নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ এতটাই আর্থিকভাবে দুর্বল ছিল, মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও রাজনীতিবিদ হেনরি কিসিঞ্জার এই দেশকে একটি 'তলাবিহীন ঝুড়ি' হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন অজপাড়া গ্রামের গরিব-দুঃখী মানুষও। ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফে মতামতধর্মী এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো। এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশটির জিডিপি ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আর ২০২০ সালে এই দেশের মাথাপিছু আয় ৬.৬ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দুজন দিনমজুরের সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সারা দিন পরিশ্রম করে ১০০ রুপি আয় করাই কষ্ট। অথচ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল দিনাজপুরেও দৈনিক ৭০০ টাকা দিয়েও একজন শ্রমিক পাওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এ কথা কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই স্বাধীনতার ৪৮ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশকে এখন বলা হয় উন্নয়নের রোল মডেল, বলা হয় এশিয়ার বাঘ। যতই দিন যাচ্ছে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে। একাত্তরের বাংলাদেশ আর বর্তমান বাংলাদেশ এক নয়। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, দেশের বিদু্যৎ সংকট সিংহভাগই কেটে গেছে। দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমান সরকার দেশের ইপ্সিত প্রবৃদ্ধির ভিত্তি রচনা করতে সক্ষম হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রাপ্তির হারও অনেক বেড়েছে এবং এ ক্ষেত্রে বাজেটে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে। মাতৃমৃতু্য ও শিশুমৃতু্যর হার কমেছে। মুদ্রাস্ফীতি নেমে এসেছে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশে। তথ্যপ্রযুক্তিতে, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। সামাজিক উন্নয়ন সূচকে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেক ভালো। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আশাব্যঞ্জক অবস্থানে রয়েছে। \হশিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্রীড়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে 'ভিশন ২০২১' ও 'ভিশন ২০৪১' কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার, যা সফল হওয়ার পথে। শুধু দেশেই নয়- আন্তজার্তিক অঙ্গনেও এর স্বীকৃতি মিলেছে। আমাদের এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। তবে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেতে পারত। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি বড় বাধা। দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে বাংলাদেশ এখনো মুক্ত হতে পারেনি। বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতিতে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছেন, তাদের বেতন দ্বিগুণ করেও কোনো লাভ হয়নি। তাদের লোভ ও মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। দুদকের বর্তমান তৎপরতার মাধ্যমে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে। এর দ্বারা প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত হয় যে, বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা অনেক কঠিন কাজ। এজন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব হলে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাশালী ও গর্বিত দেশ। শেখ হাসিনার দক্ষ ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক সমহিমায় তার উজ্জ্বলতা নিয়ে। সালাম সালেহ উদদীন: কবি, কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও কলাম লেখক