দুদক চেয়ারম্যানের ঘুষতত্ত্ব সমাজ বাস্তবতায় করণীয়

এখন প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে থাকা 'ঘুষখোর ভিক্ষুকদের' তালিকা তৈরি করা। ঘুষ নামক 'বিষ্ঠা'য় যারা নিজেদের আরাম-আয়েশ খোঁজেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সে জন্য আগে প্রয়োজন দুদক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের বিশুদ্ধতার নজির স্থাপন এবং সেটি জনগণকে জানানো। এক্ষেত্রে প্রথমত দুদকে কর্মরত সবার, তাদের পরিবারের সদস্য ও পোষ্যদের আয় ও সামগ্রিক সম্পদের হিসাব নেওয়া যেতে পারে। তারপর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সর্বস্তরে থাকা পদস্থ ব্যক্তি, তাদের পরিবারের সদস্য এবং পোষ্যদের আয় ও সম্পদের হিসাব বিবরণী গ্রহণ করা দরকার। পর্যায়ক্রমে পেশাজীবীদের আয় এবং সম্পদের হিসাবও গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে দল-মত নির্বিশেষে রাজনীতিবিদদের আয় ও সম্পদের হিসাব প্রকাশিত হওয়া দরকার। এসব হিসাব রাষ্ট্রের কাছে থাকা প্রয়োজন। আয়কর প্রদানের যে হিসাব বিবরণী তার ওপর পূর্ণ ভরসা না করে প্রকৃত হিসাব বিবরণী নিতে হবে একাধিক সূত্র ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় পর্যালোচনার মাধ্যমে। এসব হিসাব নিয়মিত জনসমক্ষে প্রকাশ করা দরকার। সে সঙ্গে প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরে থাকা ভালো মানুষের তালিকা করে তাদের সততার পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে। অন্ততপক্ষে বিভিন্ন বিভাগে থাকা সৎ ও যোগ্য কর্মীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে সততা ও যোগ্যতার জন্য একটি সনদ দেওয়া যেতে পারে।

প্রকাশ | ০৮ অক্টোবর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
'ঘুষ নেওয়া ও ভিক্ষাবৃত্তির মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই'- দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ গত ১ অক্টোবর এমন বক্তব্য দিয়েছেন তার প্রতিষ্ঠানের এক প্রশিক্ষণ কর্মশালায়। এ ধরনের বক্তব্যের মাধ্যমে সামাজিক সচেতনতা বাড়িয়ে ঘুষ গ্রহণের অপসংস্কৃতি বন্ধ করা গেলে দেশের মানুষ যারপরনাই খুশি হবেন। আমি ব্যক্তিগতভাবে দুদক চেয়ারম্যানকে 'পেস্নইন লিভিং হাই থিকিং'-এ বিশ্বাসী একজন মানুষ এবং সংস্কারক হিসেবে জানি। কিন্তু বাংলাদেশে দিন দিন ঘুষ গ্রহণের যে পদ্ধতি তৈরি হয়েছে এবং এর সঙ্গে সব শ্রেণি-পেশার মানুষ যেভাবে জড়িয়ে আছে শুধু এ ধরনের কথার মাধ্যমে সে চেইন ভাঙা সহজ হবে না। সে জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সততা-জবাবদিহিতা, সমাজের বিভিন্ন স্তরে থাকা বিশিষ্টজনদের পদক্ষেপ এবং 'সাদাকে সাদা কালোকে কালো বলার' অপরিসীম সাহস। যিনি বা যারা এ সাহস দেখাতে পারবেন তাদের সুরক্ষার বিষয়টিকেও গুরুত্ব দিতে হবে। সর্বোপরি অপরাধীকে অপরাধী হিসেবে বিবেচনা করার সংস্কৃতি চালু করা এবং যারা সততা ও স্বচ্ছতার মাধ্যমে জীবনযাপন করেন তাদের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেয়ার নতুন ধারার সূচনা করা। বাংলাদেশে আজ ঘুষ প্রায় বৈধতায় (!) রূপ পেয়েছে। নানা জন নানাভাবে ঘুষ 'হালাল' করছেন। 'উপঢৌকন', 'উপহার', 'কনসালটেন্সি ফি', 'কাজের সম্মানী', 'পরিশ্রমের দাম', 'উপরি', 'স্পিড মানি'-ইত্যাদি বাহারি শব্দ ব্যবহার হয় ঘুষ লেনদেনের ক্ষেত্রে। সমাজের আষ্টেপৃষ্ঠে লেগে থাকা এ 'বিষ্ঠা' শুধু বক্তব্য-বিবৃতি দিয়ে পরিষ্কার করা যাবে না। জনগণ মনে করে, যতক্ষণ পর্যন্ত দেশে অপরাধী যথার্থ সাজার আওতায় না আসবে, যোগ্য ব্যক্তি তার প্রাপ্য সম্মান পাবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত ঘুষের মতো সামাজিক ব্যাধি বা অনাচার বন্ধ হবে না। আর এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক সংস্কৃতিরও পরিবর্তন আনতে হবে। রাজনীতির ক্ষেত্রে অর্থের ঝনঝনানির চেয়ে আদর্শের ভিত কতটা শক্তিশালী সেটা বিবেচনা করতে হবে। ভালো মানুষকে রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করতে হবে। লুটেরা চক্র ও দুর্নীতিবাজদের রাজনৈতিকভাবে শেল্টার দেয়া পরিপূর্ণভাবে বন্ধ করতে হবে। ক্ষমতা বা অর্থের দাপট নয়, যোগ্যতার মূল্যায়ন করতে হবে। পৃথিবীর প্রায় সব মানুষই ধর্মবিশ্বাসী। ইসলাম, সনাতন, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান থেকে শুরু করে এমন কোনো ধর্ম নেই যেটি ঘুষ গ্রহণের পক্ষে। কিন্তু অধিকাংশ পদস্থ মানুষই ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে ঘুষের মতো 'হারাম বিষ্ঠায়' নিজেদের আত্মা ও শরীরকে কলুষিত করছেন। যারা ধর্ম ধর্ম বলে মুখে ফেনা তুলছেন, ধর্ম পালন করতে গিয়ে কপালে দাগ ফেলে দিয়েছেন, যারা অফিসের গুরুত্বপূর্ণ কাজ রেখে আজান পড়লেই ছুটে যাচ্ছেন- তাদের একটি বড় অংশ নানা কৌশলে ঘুষের মতো 'বিষ্ঠা'য় লুটোপুটি খাচ্ছেন। অথচ বাংলাদেশের সব মুসলমানই জানেন 'উৎকোচদাতা এবং উৎকোচ গ্রহীতা উভয়ই দোজখের আগুনে নিক্ষিপ্ত হবে'- হাদিসটি। মহান রাব্বুল আলামিন বলেছেন, হালাল রিজিক অনুসন্ধানের কথা। সর্বশক্তিমান এ-ও বলেছেন, 'হালাল রোজগার ছাড়া ইবাদত কবুল হবে না।' অথচ যারা নিয়মিত ঘুষের মতো 'বিষ্ঠা'য় আকণ্ঠ নিমজ্জিত হচ্ছেন বা ভিক্ষাবৃত্তি করছেন তারা তাহলে কোন নাজাতের আশায় ইবাদত-বন্দেগির ঝড় তোলেন? গত দুই যুগে বাংলাদেশের বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানসহ সব ধরনের প্রতিষ্ঠানে নামাজের স্থান ও নামাজির ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। দেশে হজ্জ পালনকারীর সংখ্যাও বেড়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দেখা যায়, নামাজের সময় সব কাজ-কর্ম ফেলে ধর্ম পালনে ছুটে যাচ্ছেন ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীরা। দৃশ্যটি দেখতে খুব ভালো লাগে। সৃষ্টিকর্তার ডাকে এমন সাড়া দেখতে সবারই ভালো লাগে। কিন্তু এই ব্যক্তিরাই যখন নানা উসিলায় কারও কাছে হাত পাতেন বা ফাইল আটকে রাখেন ঘুষের কারণে তখন খটকা লাগে। তখন মনে হয়, যারা এ ধরনের ভিক্ষাবৃত্তি করে বা বিষ্ঠা গায়ে লাগিয়ে সমাজে পরিবর্তনের কথা বলেন, অন্যের সমালোচনা করেন, পরিবার-পরিজনকে এই হারাম খাওয়ান তারা কি আখেরে বা জীবদ্দশায় এর ফল ভোগের বাইরে থাকবেন? আসলে সমাজের এই ঘুণপোকা উৎপাটনের জন্য কেউ-ই এগিয়ে আসেননি এতকাল। বরং ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতার মসনদ পাকাপোক্ত করতে, শক্তিশালীরা তার শক্তি আরও বাড়াতে অনিয়ম-দুর্নীতি ও ঘুষের মতো অপরাধকে লালন-পালন করেছেন। ধর্মের লেবাস পরে ধর্মহীনতার কাজ করেছেন অধিকাংশ পদস্থ ব্যক্তি। সবশেষে এ ঘুণপোকা চিহ্নিত করে শুদ্ধি অভিযানের ডাক দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দুর্নীতি, অনিয়ম ও অপকর্মের বিরুদ্ধে তার ডাকে আজ জনগণ জেগে উঠেছে। এরই মাঝে তিনি সবার আয় ও সম্পদের উৎস জানার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন। এটি যদি বাস্তবতায় রূপ পায় তাহলে বিশৃঙ্খলা, দুর্নীতি, অনিয়ম আর অপকর্মের যে অপসংস্কৃতির ঘুণপোকা বাংলাদেশকে কুরে কুরে খাচ্ছে তা থেকে কিছুটা হলেও রেহাই মিলবে। প্রায় ১৭ কোটি মানুষের বাংলাদেশে দুর্নীতিবাজ, অনিয়মকারী, অপরাধীর সংখ্যা কয়েক লাখ হবে। কিন্তু এরা এতটাই সংঘবদ্ধ যে, জনগণের কোনো তোয়াক্কা করে না। এরা তাদের দাপটে রাষ্ট্র কাঠামো ও সরকার ব্যবস্থাপনাকেও নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করে। এ পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সবার আয় ও সম্পদের হিসাব বের করার নির্দেশনা দিয়ে জনগণের প্রত্যাশার প্রতি সম্মান জানিয়েছেন। জনগণ মনে করে, যিনি চাকরিতে আছেন বা যিনি বিদায় নিয়েছেন তাদের প্রত্যেকের আয়ের সঙ্গে সম্পদ ও ব্যয়ের সমন্বয় আছে কি না- তা খতিয়ে দেখা দরকার। একজন মানুষের আয়ের সঙ্গে ব্যয়ের সমন্বয় থাকা জরুরি। একই পেশায় একই স্তরে থাকা একজন অর্থবিত্তের মালিক বনে যাচ্ছেন খুব অল্প সময়ে, আরেকজন নীতি-আদর্শ আঁকড়ে ধরে পড়ে থাকবেন অন্ধকারে- এ ধরনের সমাজব্যবস্থার দিন পাল্টানোর সময় এসেছে আজ। চলমান শুদ্ধি অভিযান অব্যাহত থাকলে সমাজের বৈষম্য আর অনৈতিক কাজ অনেকাংশে হ্রাস পাবে, সেটা নিশ্চিত। তবে একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হবে 'সর্ষের মধ্যে যেন ভূত বিস্তার' না ঘটে। যারা এ অভিযানের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবেন তাদের মধ্যে কেউ যেন অপরাধী হয়ে পার পেয়ে না যান সেটি নিশ্চিত করতে হবে। দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতি, অনিয়মের পাশাপাশি ঘুষ গ্রহণের অপসংস্কৃতি নিয়মিত বিস্তৃত হয়েছে। এমন অনেক উদাহরণ আছে কোনো ব্যক্তির ঘুষ দাবির বিরুদ্ধে বলতে গিয়ে অভিযোগকারীই পাল্টা আক্রমণের শিকার হয়েছেন। পত্র-পত্রিকায় রিপোর্ট হওয়ার পরও এসবের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। যারা দুর্নীতি নিরসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত বা যারা প্রাতিষ্ঠানিক শৃঙ্খলা রক্ষার কাজটি করেন তাদের মধ্যে অনেকের 'ঘুষ বা বিষ্ঠা'প্রীতি রয়েছে। বছরের পর বছর এসব চললেও কোনো উন্নতি হয়নি। বরং এ ধরনের ব্যক্তিরা সমাজে যেমন নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি প্রদর্শন করেছেন, তেমনি আরাম-আয়েশে অন্যের চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছেন। একসময় সুযোগ বুঝে রাজনীতির মাঠে বা সমাজের কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নিজেকে অধিষ্ঠিত করে নাগালের বাইরে তার অবস্থান গড়ে তুলেছেন। আজ যখন সমাজে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে তখন এ ধরনের ঘুষখোর ব্যক্তির স্বরূপ উন্মোচন করা দরকার। প্রধানমন্ত্রী যখন সমাজের অনাচার দূর করতে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই শুরু করেছেন, তখন দুদক চেয়ারম্যানের লড়াইটা অনেক বেশি সহজ হবে। দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ যে কথাটি বলেছেন, তার সূত্র ধরে এখন প্রয়োজন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরে থাকা 'ঘুষখোর ভিক্ষুকদের' তালিকা তৈরি করা। ঘুষ নামক 'বিষ্ঠা'য় যারা নিজেদের আরাম-আয়েশ খোঁজেন তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসা। সে জন্য আগে প্রয়োজন দুদক ও সরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ব্যক্তিদের বিশুদ্ধতার নজির স্থাপন এবং সেটি জনগণকে জানানো। এক্ষেত্রে প্রথমত দুদকে কর্মরত সবার, তাদের পরিবারের সদস্য ও পোষ্যদের আয় ও সামগ্রিক সম্পদের হিসাব নেওয়া যেতে পারে। তারপর সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সবস্তরে থাকা পদস্থ ব্যক্তি, তাদের পরিবারের সদস্য এবং পোষ্যদের আয় ও সম্পদের হিসাব বিবরণী গ্রহণ করা দরকার। পর্যায়ক্রমে পেশাজীবীদের আয় এবং সম্পদের হিসাবও গ্রহণ করতে হবে। একই সঙ্গে দল-মত নির্বিশেষে রাজনীতিবিদদের আয় ও সম্পদের হিসাব প্রকাশিত হওয়া দরকার। এসব হিসাব রাষ্ট্রের কাছে থাকা প্রয়োজন। আয়কর প্রদানের যে হিসাব বিবরণী তার ওপর পূর্ণ ভরসা না করে প্রকৃত হিসাব বিবরণী নিতে হবে একাধিক সূত্র ব্যবহার ও প্রয়োজনীয় পর্যালোচনার মাধ্যমে। এসব হিসাব নিয়মিত জনসমক্ষে প্রকাশ করা দরকার। সে সঙ্গে প্রশাসনসহ বিভিন্ন স্তরে থাকা ভালো মানুষের তালিকা করে তাদের সততার পুরস্কার দেওয়া যেতে পারে। অন্ততপক্ষে বিভিন্ন বিভাগে থাকা সৎ ও যোগ্য কর্মীদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান থেকে সততা ও যোগ্যতার জন্য একটি সনদ দেওয়া যেতে পারে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশ ও পরিকল্পনায় মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি প্রাণ দিয়েছেন কল্যাণ রাষ্ট্র গড়ে তোলার অপার স্বপ্ন নিয়ে। আমাদের মা-বোনরা প্রজন্মের নিরাপত্তা কামনায় শত নিপীড়ন সহ্য করেছেন। আর সেই স্বপ্ন ও প্রত্যাশায় মূলশক্তি ছিল সততা ও ঐক্য। ন্যায়ের পক্ষে দাঁড়িয়ে অন্যায়কে বধ করার অপরিমেয় প্রাণশক্তি নিয়ে বাংলাদেশের জনগণ আজ আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে অন্যায়-অপরাধ-অনিয়ম আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করতে। সে লড়াইয়ে সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন রাষ্ট্র ও বিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা। আমাদের নিশ্চয়ই মনে আছে, মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের ক্ষেত্রে বলা হয়েছিল সাম্যের বাংলাদেশের কথা। কিন্তু সে জায়গাটিতে আমরা যেতে ব্যর্থ হয়েছি বারবার। আমরা দেখছি রাষ্ট্রের দুর্বলতা আর নিয়মহীনতার অপসংস্কৃতি কেবল সংকট তৈরি করেছে। সমাজ ও রাষ্ট্রে বেড়েছে সীমাহীন বৈষম্য। যোগ্য ব্যক্তি পাননি তার যথার্থ মূল্যায়ন, অযোগ্য ব্যক্তিটি অবৈধ অর্থ-বিত্তের জোরে, পেশিশক্তি বা রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় থেকে নিজের অবস্থান পাকাপোক্ত করেছেন। এ বৈষম্যের অবসান হওয়া আজ খুব জরুরি। সেক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও নির্দেশনার পাশাপাশি দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদের অভিমত গুরুত্বের দাবি রাখে। সোহেল হায়দার চৌধুরী: বিশেষ সংবাদদাতা, দৈনিক যায়যায়দিন, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)