শিক্ষাব্যবস্থার আমূল পরিবতর্ন দরকার আবুল কাশেম চৌধুরী

আমরা তরুণ বয়সে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছিলামÑ স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি। তোমাদের কাছে জাতি স্বাধীনতার স্বাদ পেতে চায়। জাতি তোমাদের ওপর নিভর্র করছে। মনে রেখ তোমরা আমাদের সম্পদ, তোমাদের অজর্ন যেন কেউ ছিনিয়ে না নেয়।

প্রকাশ | ১১ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মানসম্মত/সুশিক্ষা বাংলাদেশের অভিধানে নেই। শিক্ষা শিক্ষিত শব্দ দুটি একে অপরটির সঙ্গে জড়িত কিন্তু প্রকৃত নৈতিক শিক্ষা বাংলাদেশ থেকে উবে গেছে বিজয়ের পর পর। মানুষ শিক্ষাগ্রহণ করে ভালো ও সৎ হওয়ার জন্য নৈতিকতা সম্পন্ন মানুষ হয়ে নিজেকে ও দেশকে সেবা করবে বলে, দুভার্গ্য বাঙালি জাতি শিক্ষাগ্রহণ করে অসৎ হয়ে মিথ্যাচার ও প্রতারণা করার জন্য। শিক্ষিত মানুষের মধ্যে সৎ ও ভালো মানুষ খঁুজে পাওয়া দুরূহ ব্যাপার। যতবড় শিক্ষিত ততবড় ফন্দিবাজ। শিক্ষাব্যবস্থায় গোড়ায় গলদ। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থায় সৎ, ভালো শিক্ষিত মানুষ তৈরি করে না তৈরি হয় অসৎ, দুনীির্তবাজ, মিথ্যুক, প্রতারক, অকৃতজ্ঞ, যা শিক্ষার সঙ্গে মানায় না। আদালতের বিচারকের সই জাল করে আসামিকে জেল থেকে বের করে নেয় শিক্ষিত নরপিশাচরা। ডাক্তার ভুল চিকিৎসা করে রোগী মারে, গাদা গাদা ওষুধ লিখে রোগীদের ভোগান্তি বাড়ায়। এক ওষুধ ভিন্ন ভিন্ন নামে লিখে ওষুধ কোম্পানির কাছ থেকে কমিশন খায়। ডাক্তারি টেস্ট বিভিন্ন ল্যাবরেটরিতে ভিন্ন ভিন্ন রিপোট হয়, রোগীদের কাছ থেকে প্রচুর টাকা হাতিয়ে নেয় ল্যাবগুলো/আর চিকিৎসকরা কমিশন পায়। সিংহভাগ চিকিৎসক মানুষ মারার কারিগর। বাঙালি জাতি স্বাধীনতা অজর্ন করেছে কিন্তু স্বাধীন জাতির চরিত্র অজর্ন করতে পারেনি। অসততা, দুনীির্ত ও মিথ্যাচার, প্রতারণা শিক্ষিত মানুষের বাহন। মিথ্যা ও অসততা ছাড়া কোনো কাজ চলে না লেখাপড়া জানা মানুষের। বাংলাদেশে/শিক্ষিতরা সাধারণ মানুষকে অসৎ পথ দেখিয়ে দেয়। বাংলাদেশ কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পেঁৗছতে পারছে না মিথ্যাচার, অসততায় যথাথর্ উন্নতি করা সম্ভব হয়নি শিক্ষিত মানুষের দুনীির্তর কারণে। অনৈতিকতা শিক্ষিত মানুষের অন্যতম দীক্ষা। কোচিং সেন্টার/গাইড বই, নোট বইয়ের মালিক শিক্ষিত সমাজ। আমাদের শিক্ষাথীের্দর মূলশিক্ষা থেকে দূরে রাখে নোটবইয়ের ও কোচিংয়ের মালিক শিক্ষিত সমাজ। বিদ্যা অজের্নর শিক্ষা থেকে দূরে রাখে শিক্ষাথীের্দর, পরীক্ষা পাস সহজ করে দেয়। ফলে ডিগ্রি অজর্ন করলেও বাস্তব জীবনে অজ্ঞই থেকে যায় আমাদের সন্তানরা এবং চাকুরে হওয়ার জন্য হন্যে হয়ে ঘুরে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিয়ে চাকরি নেয়ার চেষ্টা করে, কমর্জীবনে প্রবেশ করে দুনীির্তবাজ হওয়া ছাড়া আর কোনো পথ খোলা থাকে না- সে শিক্ষার মূল্য কি?। সরকার বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক প্রদান করে শিক্ষাব্যবস্থার অবনতি ঘটিয়েছে। বিনামূল্যে যা পাওয়া যায় তার কোনো কদর থাকে না। বিনামূল্যে বই পেতে পারে হতদরিদ্ররা, সবাই নয়। শিক্ষিত সমাজ পুকুর /সাগর চুরি করে। বাংলাদেশ ব্যাংকের টাকা লোপাট হয়, সোনা, তামা হয়ে যায়, কারা করে, শিক্ষিতরা। বড়পুকুরিয়া কয়লাখনির কয়লা চুরি করে কে? ব্যাংকের টাকা ঋণখেলাপি নামে লোপাট করে কে? হলমাকর্, বেসিক ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বিসমিল্লাহ গ্রæপসহ অথর্ কেলেঙ্কারি করল কে? শিক্ষিত মানুষ। সাবেক শিক্ষা সচিব এনআই খান বলেন, সচিবালয়ে বড় কতার্রা কাজ করে না ঘুরে বেড়ায়, গাড়ি-বাড়ি করে, কেউ কিছু বলে না, যারা কাজ করে তারা বাধার সম্মুখীন হয়। রাঘব-বোয়ালরা দুনীির্ত করে ধরা পড়ে না। মেঘা প্রকল্প থেকে কোটি কোটি টাকা লোপাট হয়। সরকারি প্রায় কাজ নিম্নমানের অথর্ খরচ হয় যথেষ্ট। জনগণ সুফল পায় না। শিক্ষিত মানুষ সিংহভাগ ঘুষ-দুনীির্ত অপকমের্ লিপ্ত। মানসম্মত/সুশিক্ষার অভাবে এই অবস্থা। শিক্ষিত মানুষ, অধ্যাপক, বুদ্ধিজীবী, সচিব, সামরিক/বেসামরিক আমলা সবাই অকৃতজ্ঞ বিবেকহীন। সৎ ও ভালো, কৃতজ্ঞ, বিবেকবান কিছু শিক্ষিত মানুষ আছে তাদের সংখ্যা অতি নগণ্য, তারা জাতিকে সেবা দিতে পারছে না, অসৎ লোকেরা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বলে। প্রধানমন্ত্রী জাতীয় উন্নয়নে এক মহাপ্রাণ নিবেদিত মানুষ। প্রায় প্রকল্পে পুকুরচুরি হচ্ছে সুকৌশলে চোরেরা মহাভদ্রলোক ধরাছেঁায়ার বাইরে থাকে। হায়রে বাংলাদেশের শিক্ষিত মানুষ? দলীয় নেতাকমীর্রা কোনো অংশে কম নয়Ñ দুনীির্ত ও চঁাদাবাজিতে। বঙ্গবন্ধুর নিদেশির্ত ত্যাগের রাজনীতি আজ অবলুপ্ত শিক্ষিত দেশপ্রেমিক নেতাকমীর্র বড় অভাব। দুহাতে লুট করা যেন তাদের শিক্ষা? সততা, নিষ্ঠা, একাগ্রতা, সত্য, ন্যায় সাধনা, দুনীির্তমুক্ত হওয়া দেশপ্রেমিকতা একবারে উবে গেছে। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন আমার কৃষক শ্রমিক দুনীির্ত করে না। দুনীির্ত করে শিক্ষিত সমাজ যারা গরিবের ঘামঝরা পয়সা দিয়ে লেখাপড়া করে শিক্ষিত হয়েছে। শিক্ষায় গোড়ায় গলদ, মূলশিক্ষা প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিতে হবে। যোগ্যতাসম্পন্ন, প্রশিক্ষিত দক্ষ শিক্ষক প্রাইমারি ও মাধ্যমিকে দিতে হবে। পাঠ্যক্রম শ্রেণিকক্ষে সমাপ্ত করতে হবে। কোচিং-গাইড বই ও নোট বই বন্ধ করে দিতে হবে আইন করে। ২ আগস্ট ১৮ গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে পাঠদানে মনোযোগী নয় সূত্র বিভিন্ন টেলিভিশন। শিক্ষকরা শ্রেণিকক্ষে মনোযোগী হবেন কেন? শিক্ষকরা যা বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন তার চেয়ে বেশি মন্ত্রী মহোদয়ের অফিসের পিয়ন অনেক বেশি বেতন-ভাতা পেয়ে থাকেন, তা হলে শিক্ষক মনোযোগী হবেন কেন? তারপরে দক্ষতার প্রশ্ন জড়িত যথাযথ প্রশিক্ষণ নেই শিক্ষকদের নৈতিকতাসম্পন্ন, দৃঢ়চেতা দুনীির্তমুক্ত শিক্ষাথীর্ স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষের চাহিদা, তার জন্য চাই যোগ্যতাসম্পন্ন প্রশিক্ষিত শিক্ষক। ডিগ্রি অজের্নর পর চাকুরে হওয়ার প্রবণতা যেন না থাকে সে শিক্ষার প্রয়োজনও নেই নিজ যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে কমের্টা মানুষ হবে। শিক্ষকতা পেশায় শিক্ষিত যোগ্যতাসম্পন্নরা যেতে চায় না আথির্ক কারণে। যে বেতন ও ভাতা দেয়া হয় তাতে তারা আকৃষ্ট হয় না যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষিত তরুণরা। ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকার বেতনে কেন চাকরি করতে যাবে তারা? বেতন-ভাতা অতি কম, যথাথর্ সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে হবে শিক্ষকদের তা না হলে মেধাসম্পন্ন তরুণরা শিক্ষকতায় আসবে না। শিক্ষায় বিনিয়োগে যথাথর্ সুফল পাওয়া যাবে না, শিক্ষকদের পাঠদানে মনোযোগী হতে হবে শ্রেণিকক্ষে। বতমানে যে বেতন পান শিক্ষকরা তা দিয়ে সংসার চলে না, তারা বাড়তি আয়ের জন্য দৌড়ঝঁাপ করবেই। শিক্ষকদের যথাথর্ সম্মানী না দিলে শিক্ষক হবে কেন? দায়িত্ব নিয়ে শ্রেণিকক্ষে যাবে কেন? যারা কোথাও চাকরি পায় না তারা শিক্ষতার চাকরি করতে আসে, সুযোগ থাকলে লাখ লাখ টাকা ঘুষ দিতে রাজি থাকে যা কখনো কাম্য নয়। বাংলাদেশ তো অনেক উন্নতি করেছে দুনীির্তর ভিতর থেকেও—শিক্ষিতরা দুনীির্তমুক্ত হলে দেশ আরও উন্নতি করতে পারতো। এ অবস্থায় শিক্ষায় যথাযথ বিনিয়োগ করা প্রয়োজন। বিনামূল্যে বইয়ের অথর্ দিয়ে শিক্ষকদের প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ/সম্মানীর অথর্ জোগান দেয়া যাবে। দুনীির্তমুক্ত, নৈতিকতাসম্পন্ন শিক্ষিত সমাজ গড়ে তুলতে পারলে উন্নয়ন হবে যথাথর্। ঘুষ দিয়ে চাকরি পাওয়ার জন্য কেউ দৌড়ঝঁাপ করবে না। প্রধানমন্ত্রীকে উন্নয়নের কথা বলতে হবে না। সৎ, ন্যায়পরায়ণ, দুনীির্তমুক্ত শিক্ষিত মানুষ জনগণের চাহিদা। যে শিক্ষায় চোর, দুনীির্তবাজ, মিথ্যাবাদী প্রতারক তৈরি করে সে শিক্ষার প্রয়োজন নেই। সুশিক্ষিত মানুষ করা দরকার শিক্ষাথীের্দর অমানুষ করা নয়। তবেই মুক্তিযুদ্ধের অভীষ্ট লক্ষ্যে পেঁৗছানো সম্ভব। প্রধানমন্ত্রী জাতিকে যথাযথ উন্নয়ন দিতে চান কিন্তু দেশবাসী উন্নয়নের ছেঁায়া থেকে বঞ্চিত, সবর্ত্র দুনীির্ত ও অব্যবস্থাপনা। যথাযথ উন্নয়ন কোথাও হয়নি আইনের শাসনের অভাবে। আইনের শাসন দ্বারা দুনীির্তর মূল উৎপাটন করতে হবে। রেলের অবস্থা করুন। রেলের কোনো প্রকার উন্নয়ন হয়নি রেলের ভাড়া বাড়িয়ে চলেছে সরকার, সেবা নামক কোনো শব্দ রেলে পাওয়া যায় না। রেলের টয়লেট ব্যবহারের উপযোগী নয়। আসনের সামনের টি টেবিল উদাও। আন্তঃনগর রেল রাস্তার মাঝখানে দঁাড়িয়ে যাবে, যাত্রী ওঠানামা করে। সবের্ক্ষত্রে একই অবস্থা সাধারণ মানুষের মাঝে হতাশা বেড়েছে সরকারি কমর্জীবীদের অসততা ও দুনীির্তর কারণে। হ্জাার হাজার কোটি টাকা দুনীির্তর মাধ্যমে লোপাট হবে, দেশে কাক্সিক্ষত উন্নয়ন হবে না তাকি উচিত? বঙ্গবন্ধুকন্যার শ্রম ও সুনাম নষ্ট হবে কোনো দেশপ্রেমিক মানুষের কাম্য নয়। দুনীির্তবাজ ও চঁাদাবাজদের কঠোর হাতে দমন করা প্রয়োজন। সুশিক্ষায় শিক্ষিত নৈতিকতাসম্পন্ন, বিবেকবান, দুনীির্তমুক্ত শিক্ষিাব্যবস্থা জাতির কাম্য। শিক্ষা নয়Ñ মানসম্মত সুশিক্ষা জনমানুষের চাহিদা। ঘুণেধরা রাষ্ট্র ও সমাজ এবং শিক্ষাব্যবস্থায় তোমরা ছোট কিশোর-কিশোরীরা জাতিকে যা দেখিয়েছে অভাবনীয়, অকল্পনীয় তোমাদের জানাই আন্তরিক অভিবাদন। কোমলমতি শিশুদের আন্দোলনের কাছে পরাভ‚ত হয়েছে সরকার ও প্রশাসন, রাজনীতি। ক্ষমতাধরেরা আইন মানে না এবং আইনের শাসনের অভাবে ছোট শিশুদের আন্দোলনের জন্ম নেয়। আইন মেনে চলে না রাষ্ট্রের ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা ফলে সন্তানরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হয়েছে। গণপরিবহনের প্রায় গাড়ির মালিক পুলিশসহ সরকারি কতার্রা-তাদের গাড়িতে লাইসেন্স ও ফিটনেস লাগে না। উল্টোপথে চলে তারা, রাস্তায় সাধারণ মানুষ জীবন দেবে-নৈরাজ্যকর অবস্থা সৃষ্টি হবে দেশময় ওদের কিছু হবে না। গণপরিবহনের গাড়ির চালক ও হেলপারদের ইচ্ছামতো যাত্রী সাধারণকে ভাড়া দিতে হবে, না হলে অপমান/অপদস্ত হবে যাত্রী সাধারণকে। আলাপ করে জানা গেছে মূল সমস্যা, নানা ধরনের ঘুষ চঁাদাবাজি। ঘুষ, চঁাদাবাজি বন্ধ করা গেলে গণপরিবহনে সমস্যা ৭০% কমে যাবে। সবর্ত্র ঘুষ ও চঁাদাবাজি প্রতিরোধের কোনো ব্যবস্থা নেই-আইনের শাসন বিরাজমান থাকলে প্রতিকার পাওয়া যেত। আমার লেখনীতে বারবার সরকার প্রধানের দৃষ্টি আকষর্ণ করেছি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নজর দেয়ার জন্য-সুশাসন বিদ্যমান থাকলে আজ এ অবস্থা সৃষ্টি হতো না। টকশোজীবীরা ভিন্নমত প্রকাশ করে বলেছেন, গণপরিবহনের উন্নয়নে সরকার কোনো প্রকার কাযর্ক্রম হাতে নেয়নি। গবেষণা হয়েছে রিপোটর্ দেয়া হয়েছে ও সুপারিশ করা হয়েছে কাযর্কর ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তার কথা সরকার কখনো চিন্তা করেনি। যার ফল সাতদিন বাংলাদেশ অচল। রোগী হাসপাতালে যেতে পারছে না কমীর্ তার কমর্স্থলে যেতে পারছে না। এমনিতে সারা বছর ধরে যানজট লেগেই আছে সবর্ত্র। গণপরিবহনের উন্নতির জন্য সরকারি মহল কাজ করেনি মেঘা প্রকল্পে হাজার হাজার কোটি লোপাট হয়েছে বলে অভিযোগ আছে কিন্তু জনগণ উপকৃত হয়নি, গণপরিবহনে কোনো প্রকল্প নেয়া হয়নি। ১৪ দলের মুখপাত্র নাসিম বলেছেন, গণপরিবহনের সমস্যা যুগ যুগ ধরে বিরাজ করছে যদি তাই হয় প্রশ্ন উঠতে পারে বিগত ১০ বছরে ১৪ দলীয় জোট সরকার নজর দেয়নি কেন? আমরা তরুণ বয়সে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীনতা এনেছিলামÑ স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি। তোমাদের কাছে জাতি স্বাধীনতার স্বাদ পেতে চায়। জাতি তোমাদের ওপর নিভর্র করছে। মনে রেখ তোমরা আমাদের সম্পদ, তোমাদের অজর্ন যেন কেউ ছিনিয়ে না নেয়। আবুল কাশেম চৌধুরী: কলাম লেখক