অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
'গাহি সাম্যের গান' বিদ্রোহী কবির কবিতার এই লাইনটিতেই রয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি হলো, যেখানে সব মানুষ জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সমান অধিকার ভোগ করে। বাংলাদেশে সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ইসলাম, ইসলাম ছাড়াও এ দেশে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ প্রভৃতি সংখ্যালঘু ধর্মের লোক বসবাস করে। মুসলমানরা যেভাবে তাদের ধর্মীয় উৎসব স্বাধীনভাবে পালন করে তেমনি সংখ্যালঘুরাও তাদের ধর্মীয় উৎসবগুলো স্বাধীনভাবে পালন করে। এসব উৎসব পালনের জন্য এক সম্প্রদায় অন্য সম্প্রদায়ের প্রতি অসহিষ্ণু আচরণ করে না বরং একে অন্যের অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রণ পায়। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখেই এ দেশে ধর্মীয় ও সামাজিক অনুষ্ঠান পালন করা হয়। মূলত বঙ্গবন্ধুর ১৯৫৫ সালে 'আওয়ামী মুসলিম লীগ' থেকে 'মুসলিম' শব্দটি বাদ দিয়ে এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির সূচনা করেন। '১৯৭১ সাল' এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ১৯৭২-এর সংবিধানে বাংলাদেশ ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষিত হয়। আরেকটা পরিসংখ্যান থেকে এ দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি লক্ষ্য করা যায়- তা হলো, ভারত ভাগের পর ১৯৫১ সালে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা ৯৭ লাখ ৬ হাজার থেকে ২০১১ সালের আদমশুমারিতে এ সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ১ কোটি ৩৮ লাখে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কারণে এ দেশে সংখ্যালঘুদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। বর্তমান সরকার 'অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বাংলাদেশ' গড়তে প্রতিশ্রম্নতিবদ্ধ। অর্থাৎ রাজনৈতিক কারণে মতবাদ থাকলেও জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ একটি সম্পূর্ণ ধর্মনিরপেক্ষ অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ। মো. আরমান হোসেন শিক্ষার্থী: বিশ্ব ধর্ম ও সংস্কৃতি বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়