মানবিক সাহায্যের আবেদন

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আমি এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে সশ্রদ্ধ সালাম নেবেন। আমি আওয়ামী লীগের একজন নিঃস্বার্থ ও একনিষ্ঠ কর্মী এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক। রাজনীতি জীবনের শুরু থেকেই প্রতিটি নির্বাচনে আমি দলের জন্য কাজ করেছি। আমি ২ ছেলে ও ২ মেয়ের জনক। সন্তানদের সাধ্যমতো পড়ালেখা করিয়েছি। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়, শত চেষ্টার পরেও সন্তানদের কারও একটা সরকারি চাকরি হয়নি। অবশেষে কোনো রকমে ছোট ছেলেটি ছাড়া সবার বিয়ে দিয়ে দিয়েছি। অন্যদিকে আমি এবং আমার স্ত্রী হৃদরোগ, কিডনি রোগ, শ্বাসকষ্ট, চোখের সমস্যাসহ নানা রকম জটিল রোগে আক্রান্ত। বলতে লজ্জা নেই, চাইলেও পারি না ভালো চিকিৎসা নিতে। চাল-চলনে কাউকে বুঝতে দিইনি অভাব-অনটন। ছোট ছেলেটি বেশ কয়েকটা ভাইভা দিয়েও তারও কোনো চাকরি হয়নি। এই হতাশায় সে একবার আত্মহত্যা করতে চাইলেও কোনো রকমে বেঁচে যায়। কারণ এই বৃদ্ধ বয়সে আজও একা আমাকেই পরিবারের ভরণ-পোষণ করতে হচ্ছে। এমন হতাশায় সে আবারও আত্মহত্যা করে কিনা বা কোনো আইন বিরোধী কাজে জড়িয়ে পড়ে কিনা সে নিয়ে আমাদের দুশ্চিন্তার অন্ত নেই। অন্যদিকে বহু কষ্টে ছোট একটা ব্যবসা করতে গিয়ে একটা কোম্পানি আমাকে ঠকিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আমি এবং আমার স্ত্রী রীতিমতো দিশাহারা। বয়স না থাকায় সে এখন আর চাকরিতে আবেদনও করতে পারছে না। তা ছাড়া চাকরি না থাকায় তাকে এখন পর্যন্ত বিয়েও দিতে পারছি না। কারণ বিয়ের ক্ষেত্রে চাকরিটা এই এলাকায় অনেক বড় বিষয়। এই অবস্থায় কখন কে মারা যাই আলস্নাহ্‌ মালুম। আমাদের আকাশছোঁয়া স্বপ্ন ছিল অন্তত যোগ্যতা অনুযায়ী তার একটা সরকারি চাকরি হবে। বাধ্য হয়েই আজ আপনার শরণাপন্ন হলাম। আপনিই আমার শেষ ভরসা ও শেষ আশ্রয়স্থল। তাই মৃতু্যর আগে আপনার মতো মমতাময়ী প্রধানমন্ত্রীর কাছে একজন বৃদ্ধ, হতভাগ্য পিতার করজোর সমেত বিনীত অনুরোধ, কোনো টাকা-পয়সা নয় বরং যোগ্যতা অনুযায়ী আমার সন্তানটির জন্য ভালো কিছু করবেন। ফলে সে একটা স্বাভাবিক জীবন পাবে, কয়েকজন নির্ভরশীল মানুষ হাফ ছেড়ে বাঁচবে এবং আমরাও শান্তিতে মরতে পারব। মো. আজগর আলী ৭নং ভাদেশ্বর ইউনিয়ন ২নং ওয়ার্ড, বাহুবল, হবিগঞ্জ