পেঁয়াজ, লবণ, চাল, পরিবহণ, ক্যাসিনো: অতঃপর?

সত্য বটে, জনগণের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কিন্তু সে দুর্ভোগের অবসান কোনো মলমে হবে না- হবে না নতি স্বীকারের মাধ্যমেও। প্রয়োজন মুহূর্তকাল বিলম্ব না করে আইনের পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগ।

প্রকাশ | ২৮ নভেম্বর ২০১৯, ০০:০০

রণেশ মৈত্র
বাংলাদেশে সরকার কোথায়, জনগণ কোথায়, ব্যবসায়ী কোথায়, আইন কোথায় তার নিশানা পাওয়া ভার। এমন গড্ডালিকা প্রবাহের দেশ, স্বেচ্চাচারীদের দেশ, কর্তব্য ও দায়িত্ব জ্ঞানহীনতার দেশ, আইনের প্রতি বলে-কয়ে নিরাপদে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের দেশ, নির্বিকার চিত্তে যখন-তখন কোটি কোটি মানুষকে বিপদে ফেলার দেশ সম্ভবত আর কোথাও খুঁজে পাবে না-কো তুমি-সকল দেশের সেরা আমার এই জন্মভূমি। অবস্থা গতিকে রবীন্দ্রনাথ রচিত অমর এই পঙ্‌ক্তিমালা স্মরণে আমার মনে হয় বিশ্ব কবি কতই না গভীরভাবে বাঙালিকে চিনতে পেরেছিলেন। পেঁয়াজ পেঁয়াজ প্রতি কেজি ২৫০ টাকায় উঠে গেল। দিনের পর দিন ধরে নির্ভয়ে নিশ্চিন্তে ব্যবসায়ীরা দিব্যি ৬০ টাকা কেজির স্থলে দিব্যি বাড়িয়ে ২৫০ টাকা পর্যন্ত তুললেন। কি করে সম্ভব হলো? পেঁয়াজ পান্তার কথা সেই বাল্যকালে শুনেছি দেখেছি কত দিনই না সকালবলায় খেয়েছি গ্রীষ্মে এমন কি শীতেও। এটা গ্রামের খাদ্য-কৃষকের খাদ্য-গরীবের খাদ্য। পেঁয়াজ খাবেন না, পেঁয়াজ না খেলে কি হয়, আমরা পেঁয়াজ খাওয়া বর্জন করেছি আপনারাও করুন এমন সব বাক্য এবার দিব্যি বর্ণিত হলো। বাক্যগুলি জনগণের প্রতি অবহেলা সূচক ভাবে উপহাসের মত ছুঁড়ে দেওয়া হলো বলে প্রতিভাত হলো। ব্যবসায়ীরা, খলনায়কেরা চোখ টিপে হাসলেন জনগণ দীর্ঘস্বাস ফেললেন। সঙ্কটটির সৃষ্টি, যতদূর মনে পড়ে, মাস দুয়েক আগে যখন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিল। ভারত বা পৃথিবীর যে কোনো দেশের প্রয়োজনে তা করতেই পারে। ভারতের বহুরাজ্য, পশ্চিমবাংলাসহ আকস্মিকভাবে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়াতেই সম্ভবত ভারত সরকারকে এ সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আমি অতি সম্প্রতি কলকাতা ঘুরে এলাম। নভেম্বরের ৫-৬ তারিখে আমার এক আত্মীয়াকে জিজ্ঞেস করে জানলাম সেখানেও অনেক বেড়েছে- ৬০ থেকে ৮০ টাকা বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে। যা হোক, যেদিন ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করল টেলিভিশনে খবরটি দেখার সঙ্গে সঙ্গে পরদিন থেকেই পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করল। যেন ব্যবসায়ীরা এই ঘোষণাটা জানার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু প্রশ্ন হলো- মূল্যবৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে তা প্রতিরোধে সরকার তৎপর হলেন না কেন? বাণিজ্যমন্ত্রী কত পেঁয়াজ দেশের কোন গুদামে মজুদ আছে কারা দাম বাড়ালো তার খোঁজখবর না নিয়ে বিদেশে- অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড চলে গেলেন দিব্যি নিরুদ্বিগ্ন চিত্তে। কীভাবে তা সম্ভব হলো? মন্ত্রিসভায় তার কি কোনো জবাবদিহিতা নেই? কিছুদিন পর দেখা গেল হঠাৎ প্রধানমন্ত্রী পেঁয়াজের ব্যাপারে মুখ খুললেন; কিন্তু একজন সরকারি কর্মকর্তা বলে বসলেন, পেঁয়াজের দাম কমানো সম্ভব নয়। আর চাই কি? ব্যবসায়ীরা আবারও চড়ালেন দাম। ছুঁলো ২৭০ টাকার মাত্রাও কোথাও কোথাও। অবশেষে সরকার সিদ্ধান্ত নিলেন পেঁয়াজ বিদেশ থেকে জরুরি ভিত্তিতে আমদানি করা সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এবং দু-চার দিনের মধ্যেই নানা দেশ থেকে কার্গো বিমানে পেঁয়াজ আনা হবে। ব্যস আর যায় কোথা? বহু জায়গা থেকে খবর আসতে শুরু হলো গুদামের পচে যাওয়া বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ জলে ফেলে দেওয়া হচ্ছে বস্তায় বস্তায়। আমদানি করা পেঁয়াজ এসে পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছায়নি; কিন্তু পেঁয়াজের দাম সারা দেশেই কমতে শুরু করল। কমল আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছানোর অনেক আগেই। আমদানি করা হবে এই খবর প্রচারিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই। এখন প্রশ্ন, দেশি নতুন পেঁয়াজ উঠল না, বিদেশি আমদানি করা পেঁয়াজও এলো না, টনকে টন পেঁয়াজ গুদামে পচিয়ে নর্দমায় ফেলে দেওয়া হলো এভাবে পেঁয়াজের মজুদ আরও কমে গেল কিন্তু তা সত্ত্বেও তার দাম বেড়ে ৪০০-৫০০ টাকা না হয়ে ১৫০ টাকায় নেমে এলো কীভাবে? এ যেন এক জাদুর খেলা। নিশ্চিত করে বলা যায় আমদানি করা পেঁয়াজ দেশে এসে পৌঁছাতে আরও এক সপ্তাহ দেরিও যদি হয় তবু পেঁয়াজের মূল্য আরও কমতে থাকবে-১০০ টাকায় হয়তো নেমে আসবে। কারণ গুদামে এখনো প্রচুর পেঁয়াজ মজুদ (মজুদদাররা যে পেঁয়াজ মজুদ করেছিল) এবং বিদেশি পেঁয়াজ বাজারে এলে কেউ আর ওই পুরনো পচা বা অর্ধ পচা পেঁয়াজ কেউ কিনতে চাইবেন না। তা হলে এই মজুদদাররা তো চিহ্নিত। এদের ধরতে এবং কঠোরভাবে শান্তি দিতে বাধা কোথায়? এরকম ঘটনা নানা পণ্য নিয়ে ব্যবসায়ীরা প্রায়ই ঘটিয়ে থাকেন; কিন্তু 'কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না' জাতীয় কিছু ফাঁকা বুলি আওড়ানো ছাড়া আর তো কিছু হতে দেখি না। এ ব্যাপারটি আমাদের চেয়ে অনেকে নিবিড়ভাবে দেখে থাকেন এ দেশের অসৎ ব্যবসায়ীরা। তাই তারা এতটা বেপরোয়া হতে পেরেছে। আবার তারই পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে। এ বিশ্বাসেই লবণ, চাল নিয়ে খেলোয়াড়রা নানা কায়দায় খেলতে ইতোমধ্যেই শুরু করে দিয়েছে। লবণ ভাগ্য ভালো, এবার কেউ লবণ খেতে বারণ করেনি। কারণটি সম্ভবত এই যে, ওই বারণ জনচিত্তে প্রচন্ড বিক্ষোভের জন্ম দেবে। জানা গেল, নিতান্ত আকস্মিকভাবেই, লবণের মজুদ ফুরিয়ে এসেছে- সবাই লবণ কিনুন- নইলে পাবেন না। ব্যস, আর যায় কোথা? হাজারে হাজারে মানুষ, কি শহরে, কি নগরে, কি বন্দরে দৌড়ে ছুটে যেতে শুরু করলেন লবণের দোকানগুলোতে। নিমেষেই সে কী ভিড় লবণের দোকানগুলোতে। ৫ কেজি, ১০ কেজি যে যা পারলেন, তিনি তাই ব্যাগ ভর্তি করে কিনলেন। ঘটনা ১৯ নভেম্বরের। অসহায় মানুষের সেই ছোটাছুটির খবর বা চিত্র লাইভ দেখলাম টেলিভিশনের চ্যানেলগুলোতে। আরও দেখলাম কোথাও তথ্য বিভাগ কোথাও পুলিশ মাইক। হ্যান্ডমাইক নিয়ে রাস্তায় নেমে পড়েছেন, চেঁচিয়ে জনগণকে বলছেন, গুদামে লাখ লাখ টন লবণ মজুদ আছে। গুজবে কান দেবেন না বেশি পরিমাণে লবণ কিনবেন না। দেখলাম বেশি পরিমাণে লবণ কিনেছেন এমন অনেককে সারা দেশ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাৎক্ষণিকভাবে। সত্যিই সেলুকাস, কী বিচিত্র এই দেশ। গ্রেপ্তার হলেন না গুজব রটনাকারীরা (কারণ সম্ভবত কিছু বড় ব্যবসায়ী, যারা ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে হয়তো নানাভাবে সম্পৃক্ত) গ্রেপ্তার হলেন না। গ্রেপ্তার হলেন পেঁয়াজ আতঙ্কের ভুক্তভোগী, নিজের উপার্জিত টাকায় দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য যারা লবণ কিনলেন। যারা ৫-১০ কেজি করে কিনেছিলেন তারা কি অপরাধী? কোন আইনে অপরাধ করেছেন তারা? কোন আইনে গ্রেপ্তার করা হলো তাদের? 'যা রটে তার কিছু না কিছু ঘটে' এটাই তো আমাদের দেশের করুন ঐতিহ্য। তাই লোকে চট করে গুজবের পেছনে ছোটে। চাল পেঁয়াজকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। পেঁয়াজের দাম বাড়ার মুখে, কথা নেই, বার্তা নেই, বেড়ে গেল চালের দাম। চাল, লবণ, পেঁয়াজ এগুলো তো মানুষের অত্যধিক নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। অন্যান্য দেশে দেখেছি সর্বজনীন নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যগুলোর দাম সারা বছরই, প্রয়োজনে ভর্তুকি দিয়ে হলেও, যথেষ্ট কম রাখা হয় যাতে দরিদ্রতম ব্যক্তিও তা অনায়াসে কিনতে পারেন। সে সব দেশের ব্যবসায়ীরা, আমাদের দেশের চেয়ে অনেক কম জনসংখ্যা হওয়া সত্ত্বেও, অনেক কম মুনাফায় সব ধরনের পণ্য বিক্রি করে থাকেন। হঠাৎ বড়লোক হওয়ার লোভে মানুষের রক্ত চোষার মনোবৃত্তি কোথাও দেখিনি। কারণ সম্ভবত এই আমরা কথায় কথায় ধর্মের দোহাই দিই তারা দেয় না। তা হলে তারা কি সবাই জাহান্নামে যাবেন কম দামে (কম মুনাফায়) মানুষের হাতে প্রয়োজনীয় পণ্য তুলে দেওয়ার 'অপরাধে'? যাক চালের মজুদ কেমন আছে সরকার তা জানায়নি। তবে তা যথেষ্ট পরিমাণে থাকারই কথা। কারণ সরকার অহরহই বলে থাকে, 'বাংলাদেশ খাদ্য স্বয়ংসম্পূর্ণ'। চাল রপ্তানিও হয় বিদেশে। কিন্তু আবার চালও আমদানি করতে হবে না তো? যদি করতেই হয় তবে অতিসত্তর করা হোক- সংকটটি জটিল হওয়ার আগেই। পরিবহণ সরকার একটি আইন করেছে ২০১৮ সালে সড়ক নিরাপত্তা বিধানের লক্ষ্যে। সড়কে বিরাজমান নৈরাজ্যের অবসান ঘটানোর লক্ষ্যে। তথাকথিত সড়ক দুর্ঘটনায় প্রতিদিন সংঘটিত অসংখ্য প্রাণহানি যথাসাধ্য রোধের আশায়। আইনটা আগেও ছিল কিন্তু নরম। তারও প্রয়োগ ছিল না। ফলে চাল মালিকরা সন্তুষ্ট ছিলেন। অহরহই দুর্ঘটনা ঘটত সেগুলো বন্ধ করার মানসে নতুন আইনটি তৈরি করা হয় ২০১৮ সালে। তবে সরকার করুণা করে বা দয়াপরবশ হয়ে এই নতুন আইনটি করেন কি। এর পেছনে আছে শক্তিশালী যুব আন্দোলনের অবদান। সড়ক নিরাপত্তার দাবিতে সে আন্দোলন ঘটেছিল অসংগঠিত ছাত্র-যুবকদের উদ্যোগে। বেশ কয়েকদিন ধরে সে আন্দোলন চালু ছিল। তারই চাপে আইনটি সংশোধন করা হয় কিন্তু প্রতিশ্রম্নতি মোতাবেক তা করা হয়নি। অনেক নরম করেই করা হয়েছে অতঃপর তার বাস্তবায়নও সঙ্গে সঙ্গেই করা হয়নি সরকার ও মালিক-শ্রমিকদের স্বার্থেই এবং জনস্বার্থের প্রতিকূলে অনেক দেরি করে তা চালু করতে শুরু করেছিল মাত্র। আর যায় কোথা? গাড়ির চাকা বন্ধ যাত্রী স্বার্থ গোলস্নায় যাক- দেশ গোলস্নায় যাক, ওই আইন তবু বাস্তবায়ন করা যাবে না- তার সংশোধন চাই-ই-চাই। সেগুলো বন্ধ করার মানসে নতুন আইনটি তৈরি করা হয় ২০১৮ সালে। আবার ঘোষণা দিয়ে ২০ নভেম্বর থেকে শুরু হলো ট্রাক-কাভার্ডভ্যান ধর্মঘট। তাও অনির্দিষ্টকালের জন্য। যত দিন নতুন পরিবহণ আইনের কিছু ধারা সংশোধন না করা হয় ততদিনই চলবে ওই ধর্মঘট। পণ্য আনা-নেওয়া চলবে না দ্রব্যমূল্য আর এক দফা হু হু করে বাড়বে। বাড়ুক-মানুষ মরুক-কুছ পরওয়া নেই। সরকার? সম্ভবত আপসের পথ খুঁজেছেন। খুঁজছেন কীভাবে আত্মসমর্পণ করা যায়। মন্ত্রীরা বৈঠক করছেন মালিকদের সঙ্গে। সরকার নীতি আন্দোলন প্রত্যাহার। এটা আশঙ্কা মাত্র। তবে তা দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কাল্পনিক নয় আদৌ। সত্য বটে, জনগণের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে। কিন্তু সে দুর্ভোগের অবসান কোনো মলমে হবে না- হবে না নতি স্বীকারের মাধ্যমেও। প্রয়োজন মুহূর্তকাল বিলম্ব না করে আইনের পূর্ণাঙ্গ প্রয়োগ। তার আগে প্রয়োজন এই ধর্মঘটকে 'বে-আইনি' ঘোষণা করা। কথা নেই বার্তা নেই কোটি কোটি মানুষকে যারা জিম্মি করে এই দুর্ভোগ ঘটিয়েছে ঘটাচ্ছে তারা যাতে আর কখনো এমন দুর্ভোগ সৃষ্টি করতে সাহস না পায় তার জন্যই এই অবৈধ ধর্মঘট যারা আহ্বান করেছে যারা তাতে ইন্ধন জুগিয়েছে এবং জোগাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা অবলম্বনই হবে এ রোগের কার্যকর চিকিৎসা। একই সঙ্গে দেশের সর্বত্র বিআরটিসি বাস চালু করাও প্রয়োজন অবিলম্বে। যথেষ্ট সংখ্যক বাস-ট্রাক বিআরটিসির প্রতিটি ডিপোতে দিয়ে তা সব রুটে অবিলম্বে চালু করা হোক তাতে যদি কিছু লোকসান ঘটে ঘটুক তবু পরিবহণ সেক্টরে একচেটিয়া ব্যবসা বন্ধ হোক- নৈরাজ্যের অবসান হোক। এ ছাড়া রেলপথ সম্প্রসারণ, আরিচা-নগরবাড়ি দ্বিতীয় যমুনা সেতু নির্মাণ করে ওই সেতু দিয়ে রাজশাহী, নাটোর, পাবনা-নগরবাড়ি আরিচা-ঢাকা রেলপথ নির্মাণ ও চালু করাও অপরিহার্য বিশেষ করে দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যা, যানবাহন চলাচল ও পণ্য-পরিবহণের প্রয়োজনীয়তা মেটাতে। একই কারণে দেশের সব নদী দখলমুক্ত করা, সিএস খতিয়ান মোতাবেক নদীগুলোকে প্রশস্ত করা, ড্রেসিং এবং সেগুলোর গভীরতা পূর্বাপেক্ষাও বেশি যাতে হয় তার ব্যবস্থা করাও নৌ-পরিবহণের সুযোগ বৃদ্ধি ছাড়াও মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধি, স্বল্পমূল্যে সেচের সুযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে কৃষির ব্যাপক উন্নয়ন ও দেশে জোড়া পরিবেশ বিপর্যয় রোধ করার স্বার্থে। ক্যাসিনো ক্যাসিনো শুধু ক্যাসিনোই নয়- আমাদের দেশে তা হয়ে দাঁড়িয়েছে দুর্নীতিবিরোধী অভিযানের স্মারক। কয়েকজন কেউকেটাকে গ্রেপ্তার করে বিস্ময়কর মালামাল উদ্ধার হলো, তাদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদে অনেক তথ্য জানা গেল-জিজ্ঞাসাবাদের পর তাদের জেলে পাঠানো হলো তদন্ত শেষে চার্জশিটও কারও কারও বিরুদ্ধে দেওয়া হলো ভালো কথা। কিন্তু বেরিয়ে তথ্যগুলো প্রকাশ না করা- যাদের নাম ও তথ্য পাওয়া গেল তাদের গ্রেপ্তার না করা দৃশ্যত অভিযানটি স্থগিত করে দেওয়া কেন হলো- রুই কাতলারা-ব্যাংক লুটেরারা, বিদেশে টাকা পাচারকারীরা এরা কি তবে নিরাপদ? রণেশ মৈত্র: সাংবাদিকতায় একুশে পদকপ্রাপ্ত