পাঠক মত

প্রকাশ | ০৪ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
গ্রামীণ প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বেশি তদারকি প্রয়োজন উচ্চ জাতি গঠনের অন্যতম হাতিয়ার শিক্ষা। যার ভিত্তি গড়ে ওঠে প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে, কিন্তু বাংলাদেশের গ্রামীণ প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলছে অনিয়ম, ক্লাস না নেয়া, শিক্ষকদের অনুপস্থিতি। এতে গ্রামীণ ছোট ছেলেমেয়েরা শিক্ষার ভীত গড়তে পারছে না, যার ফল প্রাথমিকে শতকরা বেশির ভাগ ঝরে পড়া। বেতন বাড়লেও প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে তদারকির অভাবে শিক্ষকরা যেন তেন করেই বছর পার করছে, যা শিক্ষার মানের অবনতি ঘটাচ্ছে। গ্রামীণ এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সঠিক পরিচর্যা না করলে মেধা বিকাশ সম্ভব নয়। দায়িত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তারা যদি এসবের প্রতি নজর দেয় তাহলে ভালো ফল প্রত্যাশা করা যেতে পারে। যাতে করে শিক্ষা ও মেধাবীর সংখ্যা বাড়বে এবং প্রত্যাশিত সমাজ ও জাতি গড়ে উঠবে। তাই উপজেলা বা জেলা শিক্ষা অফিসারদের কাছে অনুরোধ, গ্রামীণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে নজরদারি বৃদ্ধি করে মানসম্মত শিক্ষা অর্জন ও গ্রামের শিক্ষা বৃদ্ধি করে দারিদ্র্য দূরীকরণ সহায়তা করুন। আব্দুস সালাম শিক্ষার্থী বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কিশোরী ও নারীর নিরাপত্তাহীনতা কী এক সমাজ আমরা বাস করছি। বিকৃতির শিকারে পরিণত হচ্ছে কিশোরীরা। একদল মানসিক বিকারগ্রস্ত নরপশু ধর্ষণ ও হত্যা করছে কিশোরীদের। যে বয়সে খেলাধুলা ও লেখাপড়ার মাধ্যমে মানসিক বিকাশের দিকে এগিয়ে যাওয়ার কথা তাদের সে সময় তারা এক দুর্ভাবনা সঙ্গী করে বেড়ে উঠছে। নিরাপত্তাহীনতায় উদ্বিগ্ন অভিভাবককূল। এক সময় যৌথ পরিবার ছিল একে অন্যের সুখ-দুঃখে সমব্যথী। এখন একক ক্ষুদ্র পরিবার শহরে-গ্রামে, ফ্ল্যাটে কিংবা বাড়িতে বাম করে। ভিন্ন ভিন্ন ফ্ল্যাটে বহু পরিবার এখন বাস করে। গ্রামে, মহলস্নায় যে পরিবার আগে বাস করত, তাদের সম্প্রীতির বাতাবরণ তৈরি হয়েছিল। এখন কেউ কারও খবর রাখে না। প্রত্যেকটি পরিবার পরশ্রীকাতর। একজন মানুষের বেড়ে ওঠার মুখ্য ভূমিকা পালন করে সমাজ ও পরিবার। সমাজে সংগঠন, সমষ্টির বন্ধন নৈতিক ভিত্তিভূমি মজবুত করে। এখন দেখা যাচ্ছে মানুষ অর্থ ও প্রতিপত্তি বিস্তারের দিকে ছুটে যাচ্ছে। অর্থ উপার্জনের অন্ধ প্রতিযোগিতা চলছে। ভালো কাজ করার মানসিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। প্রতিপত্তি বিস্তারের জন্য ভাই ভাইয়ের বুকে ছুরি বসাচ্ছে। বিকৃত রুচির একদল মানুষ যৌন লালসা চরিতার্থ মানুষ যৌন লালসা চরিতার্থ করতে কিশোরীদের লোভ দেখিয়ে ধর্ষণ করে হত্যা করছে। বাস, ট্রেনে ধর্ষণ করে হত্যার খবর আগে আমরা পড়েছি। কিশোরী থেকে নারী কেউ আর নিরাপদ নয়। যে সমাজে পচন রোধ করা যায় না। মানুষ গড়ার কারিগর শিক্ষক যৌন লালসার জন্য তার হেফাজতে থাকা কিশোরীর সম্ভ্রমহানি করে ঘৃণার পাত্র হয়ে উঠলে আমরা কোথায় যাবো। অশিক্ষিত, অর্ধশিক্ষিত, কোথাও কোথাও উচ্চশিক্ষিতরা ধর্ষণ করছে কিশোরী ও নারীদের। এসব বিকৃত রুচির ব্যক্তি প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় থাকে। ধর্ষক ধরা পড়লে ও বিচার কাজে দীর্ঘসূত্রতা ও সাক্ষী না থাকায় অনেক মামলা মাঝ পথে থেমে যায়। অপরাধী অল্প কিছু দিন জেল ভোগ করে বেরিয়ে যায়। অপরাধী সমাজ অভ্যন্তরে বাস করে। পরিবার ও সমাজের উদাসীনতায় তারা পার পেয়ে যায়। ধর্ষণের মামলা গ্রাম্য মাতব্বর ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের মধ্যস্থতায় অল্প কিছু অর্থে রফা হয়। দন্ডবিধির ৫০৯ ধারায় উলেস্নখ আছে কোনো নারীর প্রতি অঙ্গভঙ্গি, মন্তব্য শাস্তিযোগ্য অপরাধের সামিল। নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে যৌন নিপীড়ন প্রমাণিত হলে ধর্ষকের ১০ বছরের কারাদন্ড হওয়ার বিধান আছে। যৌন নিপীড়নের দায়ে কজনের এ শাস্তি হয়েছে? কিশোরীদের আত্মরক্ষার জন্য জুডো, কারাতি ও আত্মরক্ষার বিশেষ কৌশলের আয়ত্ত আনার বিষয়টি শুরু করা এখন প্রয়োজন। বিশেষ করে সব কিছু পাশ কাটিয়ে যাওয়া আমাদের স্বভাবগত প্রবণতা। নারী, শিশু কিশোর, মানবাধিকার সংগঠনগুলো মানববন্ধন ও বিভিন্ন র্কর্মসূচিতে অংশ নেয় হত্যা ও ধর্ষণ ঘটনার পরপর। আইন শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনী তৎপর হয়। এসব তৎপরতা পর্যাপ্ত নয়। কিশোরী ও নারীর সম্ভ্রমহানি ও হত্যার ঘটনার বিপুল জনমত গড়ে তোলা প্রয়োজন। অপরাধীদের অপরাধ সংঘটনের পথটা বন্ধ করা প্রয়োজন। ধর্মীয় মূল্যবোধ ও নৈতিক জাগরণ ঘটাতে হবে সমাজে। পরিবার হোক সম্মিলিত কর্ম প্রয়াসের মিলনকেন্দ্র। কিশোর ও নারীর নিরাপত্তা দিতে হবে সবাইকে। সাইফুজ্জামান ঢাকা