পানিতে ডুবে চার স্কুলছাত্রের মৃত্যু

প্রকাশ | ১৪ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

সচেতনতা জরুরি
যখন একের পর এক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটছেই তখন তা স্বাভাবিকভাবেই উদ্বেগজনক। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, পত্রপত্রিকায় চোখ রাখলেই এমন চিত্র পরিলক্ষিত হয়Ñ একদিকে যেমন হত্যাকাÐের ঘটনা ঘটছে, বিভিন্ন দুঘর্টনার শিকার হয়ে ঘটছে মৃত্যুর মতো ঘটনা, তেমনি অসতকর্তাসহ নানা কারণেই মানুষ চলে যাচ্ছে না ফেরার দেশেÑ যা অত্যন্ত ভীতিপ্রদ বাস্তবতাকেই স্পষ্ট করে। সঙ্গত কারণেই সাবির্ক পরিস্থিতি পযের্বক্ষণ সাপেক্ষে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি বলেই আমরা মনে করি। সম্প্রতি জানা গেল, এবার একদিনে গোসল করতে লেকে ও নদীতে নেমে মৃত্যু হয়েছে চার স্কুলছাত্রের। তথ্য মতে, ঢাকার রমনা লেকে পানিতে নেমে মারা যায় দুজনÑ তারা কাকরাইলের উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুলের শিক্ষাথীর্। একজন আবদুল্লাহ আল মাহফুজ আরেকজন নাইমুজ্জামান চৌধুরী, তারা ছিল সহপাঠী। নাইমুজ্জামানকে পিঠে নিয়ে সঁঁাতার কেটে লেকের কিনারায় পেঁৗছাতে চেয়েছিল মাহফুজ। একপযাের্য় দুজনই পানিতে ডুবে মারা যায়। রোববার বিকালে রাজধানীর রমনা পাকের্র লেকে এই মমাির্ন্তক ঘটনা ঘটে। অন্যদিকে নারায়ণগঞ্জের সোনার গঁায়ের মেঘনা নদীর হাড়িয়া এলাকায় গোসল করতে গিয়ে একই দিনে দুই স্কুলছাত্রের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া এক স্কুলছাত্র গোসল করতে নেমে পানিতে তলিয়ে যায়, এ সময় তার বন্ধু, যে প্রথম শ্রেণিতে পড়ত, তাকে বঁাচানোর চেষ্টার সময় সেও মেঘনার প্রবল স্রোতে পানির নিচে তলিয়ে যায়। আমরা বলতে চাই, এই ঘটনাগুলো অত্যন্ত বেদনাদায়ক এবং শোকাবহ। একইসঙ্গে বলা দরকার, যখন এ ধরনের ঘটনা ঘটছে তখন পরিস্থিতির ভয়াবহতা অনুধাবন করতে হবে। স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের ঘটনা রোধে যেমন সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে তেমনিভাবে শিশুরা যেন এমন পরিস্থিতির শিকার না হয় সেই লক্ষ্যে অভিভাবক তথা সংশ্লিষ্টদের যথাযথ সতকর্তার বিকল্প নেই। আমরা বলতে চাই, গোসলে নেমে বা পানিতে ডুবে এমন হৃদয়বিদারক ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও নানা সময়ে এ ধরনের অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে যা কোনোভাবেই কাম্য ছিল না। সঙ্গত কারণেই আমরা মনে করি, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্টদের কাযর্কর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। আমলে নেয়া দরকার, শিশু, তরুণসহ সব বয়সের মানুষের মধ্যেই সচেতনতা সৃষ্টি আবশ্যক। কেননা সাগরে বা নদীতে ডুবে একের পর এক মৃত্যুর ঘটনা ঘটছেই। কিছুদিন আগেই চট্টগ্রামের সীতাকুÐ উপজেলার বঁাশবাড়িয়া সৈকতে সাগরে নেমে নিখেঁাজ হওয়া তিন তরুণের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। তারও আগে ওই এলাকাই দুই ছাত্র নিখেঁাজ হয়েছিলেন। পরদিন তাদের লাশ উদ্ধার করেছিল উদ্ধারকারী দল। আমরা বলতে চাই, এভাবে যদি একের পর এক অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটতেই থাকে তবে তা অত্যন্ত পরিতাপের জন্ম দেয়। যার পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি। সবোর্পরি বলতে চাই, গত ২১ জুন দুই ছাত্র নিখেঁাজ হওয়ার পর পানিতে না নামার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১০টির বেশি সতকর্তা সাইনবোডর্ লাগানো হয়েছিল। এ ছাড়া এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে মাইকিং করাসহ নানা ধরনের উদ্যোগের কথাও জানা যায়, তবুও জেনেশুনে পানিতে নেমে বিপদ ডেকে আনছে কিছু যুবকÑ এমনটিও আলোচনায় এসেছিল। আবার যখন চার স্কুলছাত্রের মমাির্ন্তক এ ঘটনা ঘটলো তখন সংশ্লিষ্টদের কতর্ব্য হওয়া দরকার, আরও বেশি সচেতনতা বৃদ্ধিতে প্রচার-প্রচারণা বৃদ্ধিসহ কাযর্কর পদক্ষেপ নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে অভিভাবকসহ সংশ্লিষ্টদের এসব বিষয়ে সতকর্ থাকা। সাবির্ক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সবার্ত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এমনটি কাম্য।