পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী

এগিয়ে নিতে যথাযথ উদ্যোগ নিন

প্রকাশ | ০৬ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বঞ্চিত জনগোষ্ঠী যদি ক্রমাগত পিছিয়ে পড়তে থাকে, তবে তা সন্দেহাতীতভাবেই উদ্বেগজনক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে এবং তা দেশের সামগ্রিক অগ্রগতিতে প্রতিবন্ধক হিসেবেই চিহ্নিত হবে। সঙ্গত কারণেই বঞ্চিত জনগোষ্ঠীর সামগ্রিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি বলেই প্রতীয়মান হয়। এ ক্ষেত্রে বলা দরকার, সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরের মাধ্যমে জানা গেল যে, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন- পিছিয়ে পড়া বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করতে হবে। প্রয়োজনে তাদের জন্য সুযোগ তৈরির পাশাপাশি সামর্থ্যবান হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। উলেস্নখ্য যে, বুধবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটারে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ও জেনারেল ইকোনমিক ডিভিশনের উদ্যোগে আয়োজিত 'বাংলাদেশ সোস্যাল সিকিউরিটি কনফারেন্স অ্যান্ড নলেজ ফেয়ার-২০১৯' এ তিনি এসব কথা বলেছেন। আমরা মনে করি, এই বিষয়গুলো অত্যন্ত জরুরি। সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হওয়া দরকার, পিছিয়ে পড়া বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে সুযোগ তৈরির পাশাপাশি সামর্থ্যবান হিসেবে গড়ে তুলতে করণীয় নির্ধারণ এবং তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা। আমরা বলতে চাই, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে এবং বিভিন্ন খাতে সফলতা অর্জন করছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের সার্বিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন হচ্ছে। ফলে উন্নয়নের স্রোতে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করা গেলে তা সার্বিক অর্থেই দেশের অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে এমনটি নিশ্চিত করেই বলা যায়। এ ছাড়া সঠিক কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী সামর্থ্যবান হিসেবে গড়ে তোলা গেলে এবং দারিদ্র্য জনগোষ্ঠীকে আরো এগিয়ে নিতে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত হলে তা অসমতা, বৈষম্যও নিরসনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই আমরা মনে করি। এটা কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে পারলে নিশ্চিতভাবেই তা সামগ্রিক অর্থে টেকসই উন্নয়নের বিষয়টিকেই তুলে ধরবে। স্পিকার বলেছেন, দারিদ্র্য নির্মূলের পাশাপাশি অসমতা দূর করে সমতার ভিত্তিতে সমাজ গড়ে তুলতে পারলেই টেকসই উন্নয়ন দৃশ্যমান হবে। ফলে সামগ্রিক এই বিষয়গুলোকে অনুধাবন করা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ ও তার বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টরা কাজ করবে এমনটি কাম্য। প্রসঙ্গত বলা দরকার, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর আয় তুলনামূলকভাবে দ্রম্নতগতিতে বাড়ানোর পদক্ষেপ নিয়ে বংশানুক্রমিক দারিদ্র্য চক্র ভাঙতে হবে এমন বিষয়ও আলোচনায় এসেছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে সরকার- এমনটিও স্পিকার বলেছেন। আমরা মনে করি, দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে বিনিয়োগের বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। ফলে এটিকে সামনে রেখে আরো বেশি উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। সমাজের প্রান্তিক, অবহেলিত ও পিছিয়ে পড়া মানুষের এগিয়ে নিতে একাধিক সুরক্ষা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার- এই ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকলে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নের ধারা গতিশীল হবে বলেই প্রতীয়মান হয়। আমরা মনে করি, সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করা এবং দারিদ্র জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে কাজ করলে ইতিবাচক ফল আসবে- যা সবারই প্রত্যাশিত। সর্বোপরি বলতে চাই, দেশের অনেক পরিবারই অভাব অনটনকে মোকাবিলা করে জীবনযাপন করে। ফলে সংশ্লিষ্টদের এ কথা মনে রাখতে হবে যে, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে না পারলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হবে। আমরা মনে করি, পিছিয়ে পড়া বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূল স্রোতে সম্পৃক্ত করতে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। পিছিয়ে পড়া বঞ্চিত জনগোষ্ঠীকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকুক এমনটি কাম্য।