বিজয়ের মাসে প্রত্যাশা

বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ, তার স্বপ্নকে পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং সেভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেতে পারত। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি বড় বাধা। দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে বাংলাদেশ এখনো মুক্ত হতে পারেনি। বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতিতে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছেন, তাদের বেতন দ্বিগুণ করেও কোনো লাভ হয়নি। তাদের লোভ ও মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। দুদকের বর্তমান তৎপরতার মাধ্যমে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে। এর দ্বারা প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত হয় যে, বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা অনেক কঠিন কাজ। এ জন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব হলে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাশালী ও গর্বিত দেশ।

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

সালাম সালেহ উদদীন
চলছে বিজয়ের মাস ডিসেম্বর। কদিন পরেই আমাদের মহান বিজয় দিবস। দেশব্যাপী মহোৎসবে উদযাপিত হবে। অনেক ত্যাগ সংগ্রাম নারীর সম্ভ্রমহানি আর রক্তক্ষয়ের মাধ্যমে আমরা পেয়েছি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। এই দেশ নিয়ে আমাদের অনেক প্রত্যাশা অনেক স্বপ্ন। স্বাধীনতা পরবর্তী বাংলাদেশ এতটাই আর্থিকভাবে দুর্বল ছিল, মার্কিন রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ও রাজনীতিবিদ হেনরি কিসিঞ্জার এই দেশকে একটি 'তলাবিহীন ঝুড়ি' হিসেবে অ্যাখ্যা দিয়েছিলেন। ১৯৭১ সালের সেই বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন অজপাড়া গ্রামের গরিব-দুঃখী মানুষও। ভারতের প্রভাবশালী গণমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফে মতামতধর্মী এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা আগের থেকে অনেক ভালো। এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, বর্তমানে দেশটির জিডিপি ৮ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আর ২০২০ সালে এই দেশের মাথাপিছু আয় ৬.৬ শতাংশে উন্নীত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ প্রতিবেদনে বাংলাদেশের দুজন দিনমজুরের সাক্ষাৎকার তুলে ধরা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে সারা দিন পরিশ্রম করে ১০০ রুপি আয় করাই কষ্ট। অথচ বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল দিনাজপুরেও দৈনিক ৭০০ টাকা দিয়েও একজন শ্রমিক পাওয়া কষ্টসাধ্য ব্যাপার। এ কথা কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই স্বাধীনতার ৪৮ বছরে বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশকে এখন বলা হয় উন্নয়নের রোল মডেল, বলা হয় এশিয়ার বাঘ। বিদেশিরা বাংলাদেশের প্রশংসা করছেন। প্রশংসা করছে জাতিসংঘ, বিশ্ব ব্যাংক, এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক। যতই দিন যাচ্ছে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে। কেউ এখন আর না খেয়ে থাকছে না। একাত্তরের বাংলাদেশ আর বর্তমান বাংলাদেশ এক নয়। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, দেশের বিদু্যৎ সংকট সিংহভাগই কেটে গেছে। দারিদ্র্য বিমোচনের ক্ষেত্রে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমান সরকার দেশের ইপ্সিত প্রবৃদ্ধির ভিত্তি রচনা করতে সক্ষম হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রাপ্তির হারও অনেক বেড়েছে এবং এ ক্ষেত্রে বাজেটে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে। মাতৃমৃতু্য ও শিশুমৃতু্যর হার কমেছে। তথ্যপ্রযুক্তিতে, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। সামাজিক উন্নয়ন সূচকে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেক ভালো। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। সুখী দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আশাব্যঞ্জক অবস্থানে রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্রীড়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে একটি সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে 'ভিশন ২০২১' ও 'ভিশন ২০৪১' কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার, যা সফল হওয়ার পথে। শুধু দেশেই নয়- আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও এর স্বীকৃতি মিলেছে। আমাদের এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। বর্তমান বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা তার দূরদর্শী নেতৃত্বের মাধ্যমে বর্তমান পর্যায়ে নিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল রাষ্ট্রনায়ক, বিশ্বে প্রভাবশালী ও দীর্ঘমেয়াদে নারী প্রধানমন্ত্রী, অনুকরণীয় অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব। শেখ হাসিনার শাসনামলে দেশে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন হয়েছে। সহজ সারল্যে ভরা তার ব্যক্তিগত জীবন। মেধা-মনন, কঠোর পরিশ্রম, সাহস, ধৈর্য, দেশপ্রেম ও ত্যাগের আদর্শে গড়ে উঠেছে তার আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব। কূটনৈতিকভাবেও বর্তমান সরকারের সাফল্য শুধু বাংলাদেশের মানুষের নয়, বিশ্ববাসীরও দৃষ্টি কেড়েছে। ভারত-চীন এবং যুক্তরাষ্ট্র-রাশিয়া পরস্পর প্রতিদ্বন্দ্বী রাষ্ট্র হলেও এই চারটি শক্তিধর রাষ্ট্রের সঙ্গেই আওয়ামী লীগ সরকারের সুসম্পর্ক রয়েছে। এই সরকারের আমলে দেশে-বিদেশে প্রায় দেড় কোটি মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে। বাংলা নববর্ষে উৎসব ভাতা, আশ্রয়ণ, একটি বাড়ি একটি খামার, দুস্থ ভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতাসহ অসংখ্য সেবা কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে শিক্ষার হার ৭১ শতাংশ। সড়ক, নৌ, রেল ও বিমানসহ যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন বাংলাদেশে এখন দৃশ্যমান সত্য। রাজধানীতে বেশ কটি ফ্লাইওভার হয়েছে, মেট্রোরেলের কাজ, পদ্মা সেতুর কাজ শেষের পথে। সরকার পাতাল রেল করারও পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশকে শেখ হাসিনা উচ্চতম স্থানে নিয়ে গেছেন। শেখ হাসিনাকে ঘিরে এখন মানুষের মধ্যে অনেক আশা তৈরি হচ্ছে। মানুষ বুঝতে পারছে আসলেই দেশের উন্নতি হচ্ছে। জঙ্গি দমনের ক্ষেত্রেও হাসিনা সরকার সাফল্যেরে পরিচয় দিয়েছে। তবে ২০১৬ সালের পহেলা জুলাই গুলশানের হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার মধ্যদিয়ে নতুন করে ভয়ঙ্কর রূপ দেখা দেয় জঙ্গিরা। যদিও ওই হামলার বিচার হয়েছে। ১৪ জনকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। তবে কিছুদিন আগে রাজধানীর গুলিস্তান ও মালিবাগে পুলিশকে টার্গেট করে আইইডি (ইমপ্রোভাইজড এক্সপেস্নাসিভ ডিভাইস) বিস্ফোরণ এবং এরপর ফার্মগেট ও পল্টনে ট্রাফিক পুলিশবক্সের পাশে আইইডি রেখে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ প্রায় কাছাকাছি সময়ে এক রাতে সায়েন্স ল্যাবরেটরি মোড়ে আইইডি বিস্ফোরণে দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। সংশ্লিষ্টদের ধারণা, জঙ্গিগোষ্ঠী এ হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে। প্রতিটি ঘটনার দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক ইসলামী জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ধারণা করা হচ্ছে এই ৫টি ঘটনা একই সূত্রে গাঁথা। এ সব ঘটনার মাধ্যমে জঙ্গিরা নতুন করে আলোচনায় এলেও সরকার এ ব্যাপারে যথেষ্ট সজাগ রয়েছে। এর দ্বারা এটাই প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত হয়, দেশে জঙ্গি হামলার ঝুঁকি এখনো শেষ হয়ে যায়নি। শেখ হাসিনা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গিয়ে বাংলাদেশকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী পাকিস্তানপন্থিদের দখলমুক্ত করেন এবং রাষ্ট্র পরিচালনায় অসাম্প্রদায়িক ধ্যান-ধারণা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করেন। এখানে বিশেষভাবে উলেস্নখ্য, ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। অর্জিত হয় ঐতিহাসিক বিজয়। এককভাবে আওয়ামী লীগই লাভ করে তিন-চতুর্থাংশের বেশি আসন। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি দ্বিতীয়বারের মতো দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণ করেন তিনি। গঠিত হয় মহাজোট সরকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে আসেন দেশে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা এবং শেখ হাসিনা তৃতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার নেন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সব দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের মাধ্যমে রেকর্ড সৃষ্টি করে তিনি চতুর্থবারের মতো দেশ পরিচালনার সুযোগ পেয়েছেন। তার গৃহীত পদক্ষেপে দেশবাসী আজ তার সুফল পাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি এবং গণতন্ত্র বিকাশে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অবদান অপরিসীম ও অতুলনীয়া। অমিত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে বাংলাদেশ এগিয়ে চলেছে অপ্রতিরোধ্য গতিতে। টানা প্রায় ১১ বছর শেখ হাসিনা রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করেছে, এগিয়ে যাচ্ছে গণতন্ত্রের পূর্ণতার পথে। নিখাদ দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা, দৃঢ়চেতা মানসিকতা ও মানবিক গুণাবলি তাকে আসীন করেছে বিশ্ব নেতৃত্বের আসনে। একবিংশ শতাব্দীর অভিযাত্রায় দিন বদলের মাধ্যমে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ার সুনিপুণ কারিগর শেখ হাসিনা। তিনিই বাঙালির জাতীয় ঐক্যের প্রতীক এবং ভরসার শেষ আশ্রয়স্থল। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ, তার স্বপ্নকে পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে বর্তমান সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ এবং সেভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তবে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেতে পারত। এ ক্ষেত্রে দুর্নীতি বড় বাধা। দুর্নীতির রাহুগ্রাস থেকে বাংলাদেশ এখনো মুক্ত হতে পারেনি। বিশেষ করে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতিতে এমনভাবে জড়িয়ে পড়েছেন, তাদের বেতন দ্বিগুণ করেও কোনো লাভ হয়নি। তাদের লোভ ও মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। দুদকের বর্তমান তৎপরতার মাধ্যমে অনেক তথ্য বেরিয়ে আসছে। এর দ্বারা প্রমাণিত ও প্রতিষ্ঠিত হয় যে, বাংলাদেশ থেকে দুর্নীতি নির্মূল করা অনেক কঠিন কাজ। এ জন্য সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিতে হবে। দুর্নীতি নির্মূল করা সম্ভব হলে বাংলাদেশ হবে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাশালী ও গর্বিত দেশ। পাশাপাশি বর্তমানে নিত্যপণ্যের দাম এতটাই বৃদ্ধি পেয়েছে যে মানুষ আজ দিশাহারা। বিশেষ করে পেঁয়াজের দাম সব রেকর্ড ভেঙেছে। বাজারে এখনো ২০০ টাকা কেজির নিচে পেঁয়াজ নেই। তাই ন্যায্যমূল্যে পেঁয়াজ কিনতে ভিড় করছেন সাধারণ মানুষ। দীর্ঘলাইনে অপেক্ষা করে ৪৫ টাকায় কিনছেন টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) পেঁয়াজ। রাজধানীতে পেঁয়াজ কিনতে মানুষের লম্বা সারি চোখে পড়ছে। একই দৃশ্য চোখে পড়ছে রাজধানীর বাইরেও। প্রায় এক দেড় ঘণ্টা লাইনে দাঁড়ালে মিলছে পেঁয়াজ। দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণিও এ লাইনে সামিল হয়েছে। বেড়েছে চাল, ডাল, ভোজ্যতেল ও সবজির দামও। এসবই দেশের অতিমুনাফালোভী অসৎ ব্যবসায়ীদের কারসাজি। তারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুটে নিয়েছে। সরকারের উচিত এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণসহ দ্রম্নত বাজার নিয়ন্ত্রণ করা। এ ক্ষেত্রে ব্যর্থ হলে সরকারের ইতিবাচক সব পদক্ষেপ ঢাকা পড়ে যাবে। মনে রাখতে হবে, এ ব্যাপারে সরকারের রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ বেশ সজাগ ও সোচ্চার। ওবায়দুল কাদের তো বলেছেনই তারা সরকারের পতন ঘটানোর পাঁয়তারা করছেন। এসব সীমাবদ্ধতা ও বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করেই দেশকে সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে, বিজয়ের মাসে এমন প্রত্যাশা করা নিশ্চয়ই অমূলক নয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুনিপুণ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাক সমহিমায় তার উজ্জ্বলতা নিয়ে, জনগণের স্বপ্ন পূরণ হোক। সালাম সালেহ উদদীন: কবি, কথাসাহিত্যিক, সাংবাদিক ও কলাম লেখক