আবার আগুন

যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রকাশ | ১৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
একের পর এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছেই। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, এবার ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পস্নাস্টিক একটি কারখানায় অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে একজনের মরদেহও উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবার বিকাল ৪টার দিকে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনায় অগ্নিদগ্ধসহ বিভিন্নভাবে আহত অন্তত ২৫ জনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলেও জানা গেছে। এ ছাড়া এই ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের সদর দপ্তর, ঢাকার পোস্তত্মগোলা ও কেরানীগঞ্জের ১০টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। পুলিশ ওর্ যাব সদস্যরাও উদ্ধার কাজে অংশ নেন। প্রসঙ্গত আমরা বলতে চাই, এভাবে যদি একের পর এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে থাকে তবে বিষয়টি অত্যন্ত ভয়ানক। সঙ্গত কারণেই বিষয়টি আমলে নিতে হবে। কেননা সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে এটা স্পষ্ট যে, অগ্নিকান্ডজনিত দুর্ঘটনা যেন বেড়েই চলেছে। এবারের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা এটাও বলতে চাই, এর আগে এমনসব ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে- যেখানে আর্থিক ক্ষয়ক্ষতিসহ প্রচুর প্রাণহানির ঘটনাও ঘটেছে। অথচ একের পর এক যদি অগিকান্ডের ঘটনা ঘটতে থাকলে তা আমলে নেওয়া এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প থাকতে পারে না। আমরা মনে করি, অগ্নিকান্ডের মতো ভয়ানক ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধ করা যাচ্ছে না কেন, তা খতিয়ে দেখা জরুরি একই সঙ্গে এর পাশাপাশি সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। প্রসঙ্গত বলা দরকার, এটাও পরিলক্ষিত হয় যে, কোনো দুর্ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ সাধারণত দায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্ত কমিটি ইত্যাদির আয়োজন করে কিছুদিন বেশ সরব ভূমিকা পালন করে। কিন্তু পরে বিষয়টি বিস্মৃতির অতলে হারিয়ে যায় যা কাম্য নয়। আমরা উলেস্নখ করতে চাই, এর আগে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টা অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল, তখন এমন বিষয়ও আলোচনায় এসেছিল যে, সেই ঘটনা যেন ৯ বছর আগে সংঘটিত নিমতলী ট্র্যাজেডিরই পুনরাবৃত্তি। ২০১০ সালের ৩ জুন পুরান ঢাকার নিমতলী অগ্নিকান্ডে প্রাণ হারিয়েছিল ১২০ জনেরও বেশি নারী-পুরুষ। এ ছাড়া আরও ভয়ানক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। তাজরিন ফ্যাশনে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছিল। বিভিন্ন সময়েই মার্কেটে আগুন, বস্তিতে আগুনসহ নানাভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। আমরা মনে করি, সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিতে হবে এবং এ ধরনের ভয়ানক ঘটনা রোধে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। কেননা একের পর এক যদি অগ্নিকান্ডজনিত দুর্ঘটনা ঘটে তবে তা কতটা ভীতিপ্রদ বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, সামগ্রিকভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনাগুলো আমলে নিয়ে করণীয় নির্ধারণ সাপেক্ষে তার বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। কারখানায় আগুন, মার্কেটে আগুন, বিভিন্ন ভবনে আগুনসহ সামগ্রিকভাবে অগ্নিকান্ডের ঘটনাগুলো আমলে নিয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ ও যথাযথ বাস্তবায়ন ঘটাতে হবে যে কোনো মূল্য। এটা মনে রাখতে হবে, অগ্নিকান্ড যে কোনো সময়ই ঘটতে পারে। সঙ্গত কারণেই পর্যাপ্ত প্রস্তুতিরও বিকল্প থাকতে পারে না। একের পর এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটতে থাকবে এটা হতে পারে না। ফলে অগ্নিকান্ডের বিষয়ে সবারই বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা অপরিহার্য বলেই আমরা মনে করি। কেননা একটু সচেতনতা ও সাবধানতা আমাদের রক্ষা করতে পারে বড় কোনো দুর্ঘটনা থেকে। আর এই বিষয়টি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্টদের পদক্ষেপ জারি রাখতে হবে, সচেতনতা বাড়াতে হবে। সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে অগ্নিকান্ডের মতো ভয়ানক ঘটনার পনুরাবৃত্তি রোধ হোক এমনটি কাম্য।