পিইসি-জেএসসির ফল প্রকাশ

উত্তীর্ণদের অভিনন্দন

প্রকাশ | ০১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
দেশকে ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার যথাযথ পরিবেশ ও মান নিশ্চিত করার কোনো বিকল্প থাকতে পারে না। ফলে যারা ভালো ফলাফল করছে, তারা যেন শিক্ষাজীবনের প্রতিটি স্তরে সঠিক নির্দেশনা পায়- সেটি বিষয়টিকে সামনে রেখে যেমন অভিভাবকদের সচেতন থাকতে হবে, তেমনি শিক্ষার পরিবেশ নিশ্চিত করতেও সংশ্লিষ্টদের যথাযথ উদ্যোগ অব্যাহত রাখা জরুরি। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, এবার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। যেখানে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ লাখ ২৬ হাজার ৮৮ জন। আর ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় গড় পাসের হার ৯৫ দশমিক ৯৬ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৮৭৭ জন। এ ছাড়া এ বছর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষায় পাসের হার বেড়েছে। বেড়েছে জিপিএ-৫ পাওয়ার সংখ্যাও। তথ্য মতে, এ বছর পাসের হার ৮৭ দশমিক ৯০ শতাংশ। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৭৮ হাজার ৪২৯ জন। প্রসঙ্গত উলেস্নখ্য, গত বছর জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৮৩ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছিল ৬৮ হাজার ৯৫ জন। এবারে প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়েছিল গত বছরের ১৭ নভেম্বর। দুই পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় ২৯ লাখ। আর গত বছরের ২ নভেম্বর শুরু হয়েছিল জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা। দুই পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ। আমরা উত্তীর্ণ ও ভালো ফলাফল অর্জনকারী সবাইকে জানাই আমাদের অভিনন্দন। একই সঙ্গে আমরা বলতে চাই, শিক্ষার অগ্রগতি বজায় রাখতে হলে প্রয়োজনীয় প্রচেষ্টা জারি রাখার বিকল্প নেই। আর মনে রাখা দরকার, কোনো উন্নয়নই ফলপ্রসূ হবে না, যদি না শিক্ষার বিস্তার ঘটে। ফলে আজ যারা বেড়ে উঠছে তাদের মানসম্মত শিক্ষার সঙ্গে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে যথাযথ পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না, এর আগে দেশের শিক্ষা পরিস্থিতিতে প্রশ্ন ফাঁস একটি আতঙ্কজনক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছিল। এ ছাড়া কোচিং বাণিজ্যসহ নানা ধরনের অভিযোগও উঠেছে বিভিন্ন সময়ে। যেখানে আলোচনায় এসেছিল শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষের বাইরে কোচিংনির্ভর হয়ে পড়ছে। আমরা মনে করি, সামগ্রিকভাবে এই বিষয়গুলো আমলে নিয়ে শিক্ষার যথাযথ মান নিশ্চিত করতে কোনো প্রকার ছাড় দেওয়া যাবে না। মনে রাখতে হবে- আজ যারা কৃতিত্বের সঙ্গে শিক্ষা অর্জনের মধ্যদিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে, তারাই একদিন দেশের হাল ধরবে, নিজেদের যোগ্যতা দিয়ে দেশের জন্য অবদান রাখবে এবং দেশকে আরও বেশি এগিয়ে নিয়ে যেতে জ্ঞান ও মেধার প্রয়োগ ঘটাবে। ফলে শিক্ষার মানোন্নয়নে সামগ্রিক উদ্যোগ অব্যাহত থাকা অপরিহার্য বলেই প্রতীয়মান হয়। আমরা মনে করি, শিক্ষার পরিবেশ ও মান নিশ্চিত করতে যে কোনো ধরনের সংকট সৃষ্টি হলে তা আমলে নিয়ে সমাধান করতে হবে। এ ছাড়া শিক্ষার মান বৃদ্ধিতে প্রয়োজন হলে গবেষণাপূর্বক কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। সর্বোপরি বলতে চাই, এ কথা কোনোভাবেই ভুলে যাওয়া যাবে না, শিক্ষার উন্নয়নে যে কোনো ধরনের প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা নিরসন করার অপরিহার্য বিষয়। সঙ্গত কারণেই সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হওয়া দরকার- অভিভাবক সচেতনতা বৃদ্ধি, শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে বেড়ে উঠতে সহায়তা করাসহ শিক্ষার মানের দিকে জোর দেওয়া এবং কোনো ধরনের অনিয়ম যেন না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখা। সুশিক্ষা অর্জনের মধ্যদিয়ে আজকের মেধাবী শিক্ষার্থীদের হাত ধরে এগিয়ে যাবে আগামীর বাংলাদেশ- এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।