পাঠক মত

সমৃদ্ধ দেশ গড়তে মেধার মূল্যায়ন করতে হবে!

প্রকাশ | ০২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মেধাকে শিক্ষা ও অনুশীলনের মাধ্যমে ব্যবহার উপযোগী করে নানা উদ্ভাবনী দ্বারা যখন অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আর নতুনত্ব নিয়ে সফলতার পথে চলছে বিশ্ব তখন মেধার অবমূল্যায়ন চলছেই আমাদের বাংলাদেশে। যথাযথ মূল্যায়নের অভাবে মেধা পাচার হয়ে যাচ্ছে সেই সব দেশে যারা মেধার মূল্যায়ন করতে ইচ্ছুক। গবেষণায় ভ্রম্নক্ষেপ না করা, শত কষ্টের গবেষণার ফল মলাট বন্দি রাখা, গবেষকদের অবমূল্যায়ন, রাজনীতিকে সর্বাধিক মূল্যায়ন, গবেষণায় অর্থায়নের অভাব, উদ্ভাবিত পণ্যের বাজারজাতকরণের চেষ্টা না করা, দুর্নীতি, বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ থেকে তথ্য-উপাত্ত নিতে অর্থ, শর্ত ও জটিলতাসহ অনেক সমস্যা আমাদের গবেষণার প্রতি বিমুখ রেখেছে, যার ফলে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিসহ কৃষিপণ্য ও আনুষঙ্গিক সবকিছুতে পরের দ্বারে ভিখারি আমরা। এ ছাড়া সরকারি বিভিন্ন নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটাপদ্ধতি অবলম্বনে নির্দিষ্টগোষ্ঠী সুবিধা পেলেও দেশের জন্য তা অনেক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক অস্থিরতা, অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব, স্বজনপ্রীতির কারণেও মেধাবীরা বঞ্চিত হচ্ছে নানাভাবে। ফলে আমাদের চেয়ে পরিসংখ্যানে পিছিয়ে থাকা অনেক দেশ যখন মহাকাশে নিজেদের মেধা দিয়ে উদ্ভাবিত স্যাটেলাইট পাঠাচ্ছে তখন আমাদের পরের প্রতি নির্ভরতা আমাদের এগিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ করে দিচ্ছে, আর কোটি কোটি অর্থ ব্যয়ে প্রযুক্তির সেবা কিনতে হচ্ছে। কৃষিনির্ভর অর্থনীতির দেশ হওয়ার পরেও কৃষিতে পর্যাপ্ত বিনিয়োগের অভাব, দক্ষতার অভাব, পরনির্ভরশীলতার ফলে অধিকাংশ বীজ, সার, কৃষিযন্ত্র আমদানি করতে প্রচুর অর্থ ব্যয় হচ্ছে প্রতি বছর। ফলে উৎপাদন কম ও খাদ্য সংকট। মেধার মূল্যায়নার্থে কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও বৃদ্ধি, কোটার বদলে ভিন্ন পন্থায় পুনর্বাসন, গবেষণা খাতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে পুরস্কার ও সম্মাননা, গবেষণা খাতগুলোতে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতি রোধ করা ইত্যাদি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমাদের মেধার মূল্যায়ন ও বৃদ্ধি ঘটবে। নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার হলে ব্যয় কমবে, সময় বাঁচবে, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় প্রভূত উন্নতি সাধিত হবে, দেশের প্রত্যেকটি বিভাগের কার্যকারিতা বৃদ্ধি ও উন্নতি লাভ করবে। দক্ষ জনগোষ্ঠী বৃদ্ধি পাবে, উৎপাদন বেড়ে যাবে, খাদ্য সংকট রোধ হবে। ফলে সচ্ছলতার দরুন পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সমৃদ্ধশালী, সোনার দেশ গড়ে উঠবে। আব্দুস সালাম ছাত্র (স্নাতকোত্তর) দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় রংপুর অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিবারে রেশন প্রথা চালুর জন্য দৃষ্টি আকর্ষণ মন্ত্রী মহোদয়ের দৃষ্টিগোচর করে নিবেদন করছি, দীর্ঘদিন থেকে দুজন সদস্যের নামে রেশন বরাদ্দের জন্য আমরা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা/কর্মচারীরা দাবি করে আসছি। বিগত প্রায় দশ বছর ধরে পুলিশ সপ্তাহ আসার আগে আমরা বুক ভরা আশা নিয়ে অপেক্ষায় থাকি যে, এবার হয়তো রেশন প্রথা চালু হওয়ার আদেশ অনুমোদন হবে। কিন্তু পুলিশ সপ্তাহ শেষে হতাশ হই। চাকরি শেষে পুলিশ সদস্যদের শেষ জীবনে এমন কষ্টে দিনাতিপাত করতে হবে এটা ভাবা যায় না। অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা সংসার চালাতে গিয়ে খুবই কষ্টে জীবনযাপন করছে কারণ বর্তমান ঊর্ধ্বমুখী বাজার পরিস্থিতিতে একজন অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার পক্ষে তার পরিবারের সার্বিক ব্যয়ভার বহন করা অত্যন্ত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। অবসর জীবনে বাংলাদেশে বাড়তি কাজ করে অতিরিক্ত অর্থ উপার্জনের সুযোগ খুব কমই আছে। এমন অবস্থায় অবসরপ্রাপ্ত সব পুলিশ পরিবার রেশন সুবিধার আওতায় এলে তাদের কষ্ট কিছুটা লাঘব হবে। দেশের জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পুলিশবাহিনী দেশসেবা করে থাকে। অবসর জীবনের আগমুহূর্ত পর্যন্ত পুলিশ সদস্যরা যে প্রতিজ্ঞা ও জাতীর প্রতি দায়িত্বের ভার কাঁধে নিয়ে কাজ করে তা সব সময় ঝুঁকিপূর্ণ। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ মানুষের দুঃখ-কষ্ট সহজেই অনুভব করতে পারেন বলে আমরা জানি। উলেস্নখ্য, ২০১৮ সালের শেষের দিকে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশদের নামের তালিকা প্রতি জেলার পুলিশ সুপার অফিস থেকে পুলিশ সদরদপ্তর ঢাকা, জমা নিয়েছিল কিন্তু পরবর্তীতে তা অনুমোদন হয়নি। দেশের অন্যান্য বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের রেশন প্রথা পূর্ব থেকে প্রচলিত রয়েছে। শুধু পুলিশবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যরা এই রেশন প্রথা থেকে বঞ্চিত রয়েছে। পুলিশ সপ্তাহ ২০১৯ উদযাপন উৎসবের দিনে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিবারের দুজন সদস্যের নামে রেশন বরাদ্দ দেওয়ার ব্যবস্থা করে একটি মহৎ কাজ করবেন বলে আশা রাখছি। এতে অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ সদস্যরা আপনার ও আপনার সরকারের নিকট চির কৃতজ্ঞ থাকবে। সব পুলিশ পরিবারের কথা বিবেচনা করে তাদের অবসর জীবনে পরিবার ও পরিজন নিয়ে যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করতে পারে এজন্য রেশন সুবিধা চালু করতে প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্টমন্ত্রী ও আইজিপি মহোদয়ের প্রতি সদয় দৃষ্টি কামনা করছি। এমএমআহসান হাবীব অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ পরিদর্শক (নিঃ) উত্তর পটুয়াপাড়া নাটোর