আত্মসমালোচনা বুদ্ধিমানের কাজ

প্রকাশ | ০৪ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সামাজিক প্রাণী হিসেবে সমাজে বাঁচতে হলে আমাদের নির্ভুলতা আর ভুলের শত সহস্র অবস্থা ডিঙিয়ে মাড়িয়ে নিজের অবস্থানকে ধরে রাখতে হয়। নির্ভুলতাগুলোকে সহজেই পাশ কাটিয়ে যাই আমরা! আর ভুল এবং অসঙ্গতিগুলোই বাঁচে শক্তপোক্ত ভাবে। পারিপার্শ্বিকতা অনুভব করলে অনুধাবন করা যায়, সমাজের অবস্থানটা এমন পর্যায়ে গেছে যে, সামান্য অসঙ্গতিমূলক কার্যকলাপের প্রকাশ এবং প্রচারে সমালোচনার পালস্না ভারী হয়ে অন্যপর্যায়ে চলে যায়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বদৌলতে তা আরও বেশি। অন্যের সমালোচনা করতে করতে আমরা ভুলেই যাই যে, আমরাও ভুলের ঊর্ধ্বে নই! যে অনৈতিক কার্যকলাপ অন্যের দ্বারা ঘটছে সেগুলো আমাদের দ্বারাও ঘটতে পারে। এর অন্যতম কারণ হতে পারে আত্মকেন্দ্রিকতা কারণ নিজেদের করা ভুলগুলো আমাদের চোখে পড়ে না। অথবা চোখে ধরা দিলেও আমরা এড়িয়ে চলতে চাই। যেমন- নোংরা রাস্তা দেখলে আমরা সমালোচনায় বসে যাই অথচ কত সময় আমরাই আনমনে অথবা ইচ্ছা করেই ব্যবহৃত অনেক কিছু ফেলি চলার পথে। ফুওভার ব্রিজ ব্যবহার না করেই ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হই আবার দোষ দিয়ে ফেলি সিস্টেমকে এভাবে নিত্যদিনই আরও অনেক অনেক ক্ষেত্রে আমাদের দ্বারাই ঘটে যাচ্ছে অসামাজিক এবং ভুল কার্যকলাপ। দেশটা আমাদের; সমাজটা আমাদের; বসবাস করতে হবে আমাদেরই সেই সঙ্গে বসবাস উপযোগী করে যেতে হবে আগামী প্রজন্মের জন্য। অন্যের দোষ-ত্রম্নটি কম খুঁজে আমরা যদি আজ থেকেই নিজেদের কাজকে সংযত করি এবং কর্তব্যকে যথাযথ পালন করি, সমাজ আমাদের উপহার দেবে সুস্থ এবং সঙ্গত জীবনধারা! চলুন আমরা অন্যের সমালোচনায় না ভেসে আত্মসমালোচনার দ্বারা আত্মশুদ্ধি সাধন করি। বসবাস করি একটি সুস্থ এবং নির্মল সমাজে! মিতা কলমদার লোকপ্রশাসন বিভাগ জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়