বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফিরে দেখা-২০১৯ 'পেঁয়াজ' আলোচিত চরিত্র

নতুনধারা
  ০৫ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

বিদায়ী ২০১৯ সালের বছরের আলোচিত চরিত্রের নাম পেঁয়াজ। কারণ বিদায়ী বছরে পেঁয়াজের ঝাঁজের কাছে শেয়ারবাজার হার মেনেছে। হার মেনেছে সোনা। চিনিকান্ডও ফেল মেরেছে বিশেষ করে রান্নাঘরে ঝাঁজ ছড়ানো ওই পেঁয়াজের কাছে। বছরের শেষভাগে পেঁয়াজের আকাশছোঁয়া দাম সাধারণ মানুষের নাক-মুখের জল এক করে আলোচিত চরিত্র হয়ে উঠেছে। এ নিয়ে সাধারণা মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। পেঁয়াজের অগ্নিমূল্যের কারণে ক্ষমতাসীন দলের মন্ত্রী-আমলা, সরকারকেও চরম নাজেহাল হতে হয়েছে। এদিকে পেঁয়াজ নিয়ে শুধু আলোচনা কিংবা সমালোচনাই হয়নি, এ নিয়ে রম্য রচনাও রচিত হয়েছে। পেঁয়াজের দাম কেন এত বাড়ল? দেশে কি পেঁয়াজ নেই? গত বছরগুলোর তুলনায় পেঁয়াজ উৎপাদন কমেছে, নাকি পেঁয়াজ সব দেশের বাইরে চলে গেছে? -বিভিন্ন মহলে এমন প্রশ্নের অন্ত ছিল না। যদিও এসব প্রশ্নের কোনো উত্তর কারও কাছ থেকেই মেলেনি। সারা দেশে পেঁয়াজের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষের ক্ষোভ যখন চরমে, ঠিক তখনই কুমিলস্না ও নারায়ণগঞ্জের পৃথক দুটি বিয়ের বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে 'পেঁয়াজ' দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে ৩২ সেকেন্ডের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি হয়। কুমিলস্না সদর উপজেলার কালখাড়পাড় এলাকায় রিপন মিয়ার বাড়িতে ব্যতিক্রমী ওই ঘটনাটি ঘটে। পেঁয়াজ নিয়ে যখন চারদিকে 'পেঁয়াজ পেঁয়াজ, তুমুল আওয়াজ', তখন 'পেঁয়াজ' উপহার দেয়ায় দেশজুড়ে ঘটনাটি রীতিমতো সাড়া ফেলে। গণমাধ্যমের খবরে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর বিদু্যৎ বিভাগের কর্মচারী ও কালখাড়পাড় এলাকার হাজী আবদুর রহিমের ছেলে ইমদাদুল হক রিপনের বিয়ে হয়। ১৬ নভেম্বর দুপুরে ইমদাদুল হকের বাড়িতে বৌ-ভাতের আয়োজন করা হয়। রিপনের বন্ধু সহিদ, শিপন ও শাহজাহান ৫ কেজি পেঁয়াজ ১ হাজার টাকায় কিনে উপহার হিসেবে নিয়ে যায়। রঙিনর্ যাপিং পেপারে মোড়ানো ছিল পেঁয়াজের বাক্সটি। তবে বাক্সের বাইরে থেকে পেঁয়াজ দেখার ব্যবস্থাও ছিল। বিয়ে বাড়িতে যারাই এসেছিলেন তাদের সবার কৌতূহলী দৃষ্টি ছিল ওই বাক্সের দিকে। দিন গড়িয়ে বিকেলে অনুষ্ঠান যখন শেষ হয়, তখন বাক্স খোলার পালা। সবাই জানতো ভেতরে পেঁয়াজ তবুও বিয়েবাড়ির কারও আগ্রহের কমতি ছিল না ওই বাক্স নিয়ে। বাক্স খোলার পর অনেকেই ব্যস্ত হয়ে পড়েন ভিডিও ও ছবি তুলতে। কুমিলস্নায় বিয়ের বৌ-ভাতে পেঁয়াজ উপহার দেওয়ার ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবার নারায়ণগঞ্জে আরেকটি বিয়ের বৌ-ভাত অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা উপহার হিসেবে পেঁয়াজ দেয়া হয়েছে। পেঁয়াজ নিয়ে মানুষের ক্ষোভ যখন চরমে তখন বিয়ের অনুষ্ঠানে পেঁয়াজ উপহার আলোচিত ঘটনাই বটে। ১৬ নভেম্বর দুপুরে নারায়ণগঞ্জের দেওভোগের হৃদম পস্নাজা কমিউনিটি সেন্টারে পিয়াস ও খাদিজার বৌ-ভাতের অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। বৌ-ভাতের অনুষ্ঠানে বর-কনের হাতে পেঁয়াজ উপহার দেয়ার বিষয়টি সবার নজরে পড়ে। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনায় মেতে ওঠেন সবাই। বন্ধুদের কাছ থেকে এমন উপহার পেয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত বর-কনে। লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধিতে টক অব দ্যা কান্ট্রিতে পৌঁছে পেঁয়াজ। এসব কারণে পেঁয়াজ গণমাধামে বাহারি-রকমারি নানাবিধ শিরোনাম হয়। সম্পাদকীয় ও উপ-সম্পাদকীয়তেও পেঁয়াজ স্থান করে নেয়। অনেকেই পেঁয়াজকে ঘিরে লেখেন ছড়া, কবিতা-গল্প। এ কারণেই ২০১৯ সালের বছরের আলোচিত সেরা চরিত্র হিসেবে ইতিহাসে ঠাঁই নিয়েছে পেঁয়াজ। গত বছরের অক্টোবরে হঠাৎ করে পেঁয়াজের বাজার লাগামহীন হয়ে ওঠে। বাজির ঘোড়ার মতো ছুটতে থাকে পেঁয়াজের ঝাঁজ। ৩৫ থেকে ৪০ টাকার পেঁয়াজ প্রায় তিন সেঞ্চুরিতে গিয়ে ঠেকে। দেশজুড়ে শুরু হয় পেঁয়াজের ঝাঁজের হাহাকার। পেঁয়াজকান্ডে নড়েচড়ে বসে সরকার। বাণিজ্যমন্ত্রী ঘোষণা দেন পেঁয়াজ আমদানির। কিন্তু এতেও লাভ হয়নি। পেঁয়াজের ঝাঁজ পাগলা ঘোড়া আরও চটে যায়। অতিদ্রম্নত ডাবল সেঞ্চুরি পেরিয়ে যায় পেঁয়াজের দাম। দায়িত্বশীল কেউ কেউ হাস্যকর পরামর্শ দেন পেঁয়াজ না খাওয়ার। কিন্তু এর আগেই নিম্নবিত্ত মানুষের রান্নার পাত্র থেকে উধাও হয়ে যায় পেঁয়াজ। কেনার সাধ্য না থাকায় পেঁয়াজ ছাড়াই হয়েছে রান্না। এরই মধ্যে মিয়ানমার, চীন, পাকিস্তানসহ আশপাশের দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়। দেশে পেঁয়াজ প্রবেশও করে। কিন্তু দাম কমে না। আমদানি করা পেঁয়াজও প্রায় ডাবল সেঞ্চুরিতে বিক্রি হচ্ছিল। এ অবস্থায় রাস্তায় নামে টিসিবির পেঁয়াজ বোঝাই ট্রাক। ৪৫ টাকা কেজি দরে আমদানি করা পেঁয়াজ কিনতে চলে কাড়াকাড়ি। সকাল থেকে লাইন ধরে কেউ কেউ বিকালে পৌঁছাতে পেরেছেন ট্রাকের কাছে। আবার কেউ ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর ট্রাকের কাছে পৌঁছে দেখেন ট্রাক শূন্য। পেঁয়াজ নেই। কিন্তু এ পেঁয়াজ নিয়েও চলে ভিন্ন কারবার। বাঙালি দেশি পেঁয়াজ খেয়ে অভ্যস্ত। আমদানি করা ঢাউস সাইজের পেঁয়াজ দেশি পেঁয়াজের শূন্যস্থান পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। একেকটি পেঁয়াজই হয়েছে ৭০০ থেকে ৮০০ গ্রাম। এ পেঁয়াজ বাসায় নিয়েও ঘটেছে লঙ্কাকান্ড। ছোট ছোট শিশুরা খাবার জিনিস ভেবে মায়ের পেছন পেছন ঘুরেছে। কেউ ব্যাগ থেকে নামিয়ে কামড়ও বসিয়েছে। সব মিলিয়ে ওই এক পেঁয়াজই গোটা দেশটাকে ওলটপালট করে দেয়। আলোচনার শীর্ষে উঠে আসে পেঁয়াজ। এ মুহূর্তে দেশি পেঁয়াজ তোলা শুরু হয়েছে। বাজারে নতুন পেঁয়াজ এসেছে। তাও বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা কেজি। অর্থাৎ নতুন পেঁয়াজও পেঁয়াজের ঝাঁজকে থামাতে পারছে না। কিন্তু সবচেয়ে বড় বিষয় হলো- পেঁয়াজের দামের এ ঊর্ধ্বমুখী কেউ থামাতে পারেনি। বাজার মনিটরিং করেও তা সম্ভব হয়নি। বিষয়টা এমন যে, দাম বাড়ছে, আরও বাড়বে। দেখি কার সাধ্য তা ঠেকায়! পেঁয়াজের ঊর্ধ্বমুখীর অবস্থায় বাড়তি দামে কিনতে বাধ্য হয়েছেন ক্রেতারা। কিন্তু প্রশ্ন হলো- পেঁয়াজ নিয়ে এ কারসাজি কে করেছে? কারা করেছে? এসব উত্তর পায়নি দেশবাসী। আর সিন্ডিকেটকে কারা শক্তি জুগিয়েছে তাও রয়েছে অজানা। আসলে সুন্দরই চলছিল পেঁয়াজের বাজার। মানুষের নাগালের মধ্যেই যাচ্ছিল দাম। হঠাৎ ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করার ঘোষণা দেয়। সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের পেঁয়াজের বাজারে লাগে আগুন। আড়তদাররা পেঁয়াজ মজুত করতে থাকে। খুচরা বাজারে ছাড়তে থাকে আস্তে আস্তে। দামও বাড়ানো হতে থাকে। মজুতদারির প্রমাণও পাওয়া গেছে। পত্র-পত্রিকায় চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জ থেকে বস্তা বস্তা পচা পেঁয়াজ রাতের আঁধারে ফেলে রাখার খবর এসেছে। কোথাও কোথাও মজুত রাখতে রাখতে পেঁয়াজে গাছ জন্মেছে। কিন্তু কখনো এ খবর আসেনি অমুক মজুতদারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পেঁয়াজ মজুতদারি করার অপরাধে কারও বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে এমন ঘটনাও ঘটেনি। বাণিজ্যমন্ত্রী অবশ্য স্বীকার করেছেন, পেঁয়াজের বাজার এমন হবে তিনি ভাবতে পারেননি। আঁচ করতে পারলে আগে থেকেই আমদানি করে রাখতেন। ভবিষ্যতে পেঁয়াজ যাতে সংরক্ষণ করে রাখা যায়, এ জন্য সংরক্ষণাগার বানানোর কথাও ভাবছেন তিনি। পেঁয়াজসংক্রান্ত বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু আলোচিত খবরের শিরোনাম পাঠকদের উদ্দেশ্যে তুলে ধরা হলো- ১. ঘণ্টায় ঘণ্টায় বাড়ছে পেঁয়াজের দাম : অভয়নগরে প্রতি কেজি ২৬০ টাকা! ২. ১৮ কোটি মানুষ পেঁয়াজের জন্য আর্তনাদ করছে : কর্নেল অলি। ৩. সরকার নিজেই সিন্ডিকেট তৈরি করে পেঁয়াজের দাম বাড়াচ্ছে : ন্যাপ। ৪. পেঁয়াজ সিন্ডিকেট চিহ্নিত হলে তারা অবশ্যই সাজা পাবে : ওবায়দুল কাদের। ৫. ৬৪ টাকায় একটি পেঁয়াজ কিনলেন ছাত্রলীগ নেতা! ৬. কুড়িগ্রামে আধা মণ ধানেও মিলছে না ১ কেজি পেঁয়াজ। ৭. পেঁয়াজ ছাড়াই আমার বাসায় রান্না হয়েছে : প্রধানমন্ত্রী। ৮. পেঁয়াজ ছাড়া তরকারি খাওয়ার পরামর্শ উপহাস : চরমোনাই পীর। ৯. ভোট ছাড়া নির্বাচন হলে পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাও সম্ভব : গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ১০. পেঁয়াজ সিন্ডিকেটের সঙ্গে সরাসরি মন্ত্রী-এমপিরা জড়িত: বিএনপি নেতা রিজভী। ১১. মিশর-তুরস্ক থেকে ৫০ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আসছে : প্রধানমন্ত্রী। ১২. তরকারিতে পেঁয়াজ খাবো না, এই আমাদের নতজানু পররাষ্ট্রনীতি : ভিপি নূর। ১৩. এক পিস পেঁয়াজের দাম ৪৫ টাকা! ১৪. ভারতে পেঁয়াজের কেজি ১০ রুপি। ১৫. পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দিল ভারত। ১৬. পেঁয়াজের ট্রিপল সেঞ্চুরির আতঙ্কে ক্রেতারা। ১৭. মিসর ও তুরস্ক থেকে বিমানে আনা হবে পেঁয়াজ : বাণিজ্য সচিব। ১৮. দাম বাড়ায় রাতে পেঁয়াজ খেত পাহারা। ১৯. ভোট ছাড়া নির্বাচন হলে পেঁয়াজ ছাড়া রান্নাও সম্ভব : বিএনপি নেতা গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। ২০. এক কেজি পেঁয়াজের দামে সাত কেজি চাল। ২১. পেঁয়াজ আসছে পেস্ননে চড়ে। ২২. পেঁয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে অভিযান দাবি সংসদে। ২৩. যারা পেঁয়াজের দাম বাড়িয়েছে তাদের খোঁজা হচ্ছে : ওবায়দুল কাদের। ২৪. পেঁয়াজের ঝাঁজে নিম্নবিত্তের কান্না। ২৫. পেঁয়াজ বিমানে উঠে গেছে আর কোনো চিন্তা নেই : প্রধানমন্ত্রী। ২৬. বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রি করায় ১ লাখ টাকা জরিমানা। ২৭. মেহেরপুরে পেঁয়াজের কেজি ৩১০ টাকা। ঢাকায় কেজি ২৮০ টাকা পর্যন্ত। ২৮. পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কারও চক্রান্ত আছে কিনা খুঁজে দেখতে চাই : শেখ হাসিনা। ২৯. চুয়াডাঙ্গায় পেঁয়াজের বাজারে অভিযান অবরুদ্ধ ম্যাজিস্ট্রেট। ৩০. এবার শ্বশুরবাড়িতে মিষ্টির পরিবর্তে পেঁয়াজ নিয়ে গেলেন জামাই। ৩১. নদীতে ভাসছে ১৫ টন পেঁয়াজ, জনতার হুড়োহুড়ি। ৩৩. পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধিতে সারা দেশে বিএনপির বিক্ষোভের ডাক। ৩৪. ধামরাইয়ে জন্মদিন ও বিয়ের অনুষ্ঠানে পেঁয়াজ উপহার। ৩৫. কী কারণে এত লাফিয়ে লাফিয়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ছে, জানি না: প্রধানমন্ত্রী। ৫১. বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অভিমুখে গণমিছিলের ঘোষণা ইসলামী আন্দোলনের। 'পাগলা ঘোড়ায় পেঁয়াজ' শিরোনামে জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় নিবন্ধে পেঁয়াজ নিয়ে একটি ছড়া লিখেছিলাম। ছড়াটি হচ্ছে- পাগলা ঘোড়ায় পেঁয়াজ বাবু/পেঁয়াজ ছাড়া সবাই কাবু/নিত্যদিন পেঁয়াজের বাড়ছে কদর/পেঁয়াজ বিনে নেইকো আদর!/পেঁয়াজ ঝাঁজের দামি গল্প/পেঁয়াজ ছাড়া সবই অল্প/ডবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে পেঁয়াজ/কমেনি দাম মানেনি তোওয়াজ/বাজার ছেড়ে সংসদে পেঁয়াজ/পেঁয়াজ অর্ধেকের বেশি নয়/না দিলেই ভালো হয়/পেঁয়াজের যন্ত্রণার নাহি শেষ/পেঁয়াজ ছাড়াই বুঝি বাংলাদেশ! মোদ্দা কথা হলো- গেল বছর পেঁয়াজ যেমন ভুগিয়েছে সাধারণ মানুষকে, তেমনি ভুগিয়েছে সরকারকেও। পেঁয়াজ দেখিয়ে দিয়েছে পেঁয়াজই সেরা। গোটা দেশকে নাড়াতে পারে। গোটা দেশকে ভাবাতে পারে। গণমাধ্যমে বাহারি-রকমারি শিরোনামও হতে পারে পেঁয়াজ। এ পর্যন্ত দাম বাড়ার প্রতিযোগিতায় পেঁয়াজই প্রথম স্থান দখল করেছে। শেয়ারবাজার, স্বর্ণ, চিনি, লবণ, ডাল, রসুন ও তেলসহ সব কিছুকে ছাপিয়ে আলোচিত সেরা চরিত্রের তকমা লাগিয়েছে পেঁয়াজ।আমরা বলতে চাই, এখনই পেঁয়াজের দামের লাগাম টেনে ধরতে হবে। কাজেই দায়িত্বশীলদের এখনই পেঁয়াজের বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। হতে হবে সাবধানও। তা না হলে শুধু বারোটা নয়, বরং আলোচিত্র চরিত্র 'পেঁয়াজ' সাড়ে তেরোটা বাজাতেও পারে!

এম কে দোলন বিশ্বাস

ঢাকা

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<82913 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1