ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল

এই উদ্যোগ সফল হোক

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
এ বছর ১ হাজার ৪৯৯টি কেন্দ্র থেকে প্রায় ছয় লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আমরা মনে করি এই উদ্যোগ অত্যন্ত ইতিবাচক। এখন সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হওয়া দরকার লক্ষ্যমাত্রা পূরণে যথাযথভাবে কাজ করা। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, ১ থেকে ৩৬ নম্বর ওয়ার্ডে ডিএনসিসি নিজে আর ৩৭ থেকে ৫৩ নম্বর ওয়ার্ডে ঢাকা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মাধ্যমে ছয় মাস থেকে পাঁচ বছর বয়সি ৫ লাখ ৮০ হাজার ১৯০ শিশুকে খাওয়ানো হবে এই ক্যাপসুল। বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান ডিএনসিসি নগর ভবনে সাংবাদিক ওরিয়েন্টেশন সভায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। উলেস্নখ্য, আজ সারা দেশে ভিটামিন 'এ' পস্নাস ক্যাম্পেইন চলবে আর এই কার্যক্রমে ডিএনসিসি এলাকায় ছয় থেকে ১১ মাস বয়সি শিশুদের একটি নীল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সি সব শিশুকে একটি লাল রঙের ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে বিনামূল্যে। আমরা মনে করি এই ইতিবাচক কার্যক্রম যেন সফল হয় সেই লক্ষ্যে সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত করতে হবে। এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না, শিশুর সামগ্রিক নিরাপত্তা ও সুরক্ষার বিষয়টি অত্যন্ত জরুরি। ফলে শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও দৃষ্টিশক্তির জন্য ভিটামিন 'এ' অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অনুপুষ্টি। কেননা এটি চোখের স্বাভাবিক দৃষ্টিশক্তি ও শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বজায় রাখে এবং বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে। ফলে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল শিশুদের খাওয়ানো হলে তা কতটা গুরুত্বপূর্ণ বলার অপেক্ষা রাখে না। এ ছাড়া এই বিষয়টিও উলেস্নখ করা দরকার যে, ভিটামিন 'এ'-র অভাবে রাতকানাসহ চোখের অন্য রোগ, শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি ব্যাহত হওয়া, রক্তশূন্যতা, এমনকি শিশুর মৃতু্যও হতে পারে। সঙ্গত কারণেই এই বিষয়গুলোকে আমলে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিশ্চিত করার বিকল্প থাকতে পারে না। আমলে নেওয়া সমীচীন, বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য নীতিমালা অনুযায়ী, বছরে দুবার ভিটামিন 'এ'-র অভাব পূরণে সম্পূরক খাদ্য হিসেবে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ফলে যখন জানা যাচ্ছে এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের পাঁচটি অঞ্চলের আওতাধীন ৩৬টি ওয়ার্ডে জাতীয় ভিটামিন 'এ' পস্নাস ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে এবং এ ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ইতোমধ্যে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএনসিসি- তখন বিষয়টি অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। ফলে এর সার্বিক বাস্তবায়ন নিশ্চিত হোক এমনটি কাম্য। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, একটি দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি শিশুদের সামগ্রিক সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও তার বাস্তবায়ন জরুরি। আর এ প্রসঙ্গে বলা দরকার, শিশুর সুস্থভাবে বেঁচে থাকা, স্বাভাবিক বৃদ্ধি ও বিভিন্ন ধরনের রোগ-প্রতিরোধে যে কোনো কার্যক্রমই তাৎপর্যপূর্ণ। ফলে এ বছর ১ হাজার ৪৯৯টি কেন্দ্র থেকে প্রায় ছয় লাখ শিশুকে ভিটামিন 'এ' ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন- এর সুষ্ঠু বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। পাশাপাশি আমরা এটাও বলতে চাই, বিভিন্ন সময়েই শিশুদের অপুষ্টিজনিত রোগসহ বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক বিষয় সামনে আসে যা সুখকর নয়। মনে রাখতে হবে আজকের শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। সঙ্গত কারণেই শিশুর সুস্থভাবে বেড়ে ওঠা নিশ্চিত করতে এগিয়ে আসতে হবে। শিশুর সামগ্রিক সুরক্ষায় সব ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকুক এমনটি আমাদের প্রত্যাশা।