পাঠক মত

পরিবারের হাসি খুশিতে বেড়ে উঠুক শিশু

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

মো. আজিনুর রহমান লিমন ডিমলা, নীলফামারী
পরিবার হচ্ছে একটি দেশ জাতি ও সমাজের কাছে আয়নাসরূপ। একটি পরিবার হলো সমাজের মৌলিক প্রতিষ্ঠান। যে পরিবারে গড়ে ওঠে একটি শিশুর ভবিষ্যৎ। সেই পরিবারে একটি শিশুর বেড়ে ওঠার জন্য সুন্দর পরিবেশ অত্যন্ত জরুরি। শিশুরা আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাদের হাতেই আগামীর বিশ্ব পরিচালিত হবে। কিন্তু পরিবারের সহিংসতা একটি শিশুর জন্য বড়ই ক্ষতিকর। পারিবারিক সহিংসতা মানেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে কলহ একটি সংসার ভাঙনের অন্যতম মাধ্যম। এই সংসার ভাঙনের জন্য অনেক শিশুর জীবন দুর্বিষহ হয়ে যায়। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া বিবাদের কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের ঘটনাও বাংলাদেশে অহরহ আছে। এতে নারীরাই বেশি সহিংসতার শিকার হয়। ফলে নারীর জীবনে অনেক বাধা বিপত্তি অতিক্রম করতে হয়। এই পারিবারিক সহিংসতা লেগে থাকলে তার পুরো চাপ শিশুকেই নিতে হয়। এই সহিংসতার কারণে শিশু অনেক সময় অন্যমনষ্ক হয়ে যায়। আস্তে আস্তে যখন শিশু বড় হয় তখন সে পারিবারিক সহিংসতার প্রভাবে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে লিপ্ত হয়। দিন দিন খারাপ পথ বেঁচে নেয়। বাবা-মায়ের অবাধ্য সন্তান হয়ে ওঠে। এই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য দায়ী পারিবারিক সহিংসতা। এই সহিংসতা থেকে রক্ষা পেতে স্বামী স্ত্রী দু'জনকে ছাড় দেওয়ার মানসিকতা তৈরি করতে হবে। এতে যেমন রক্ষা পাবে দুটি জীবন, তেমনি সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠবে তাদের শিশু। পরিবারের হাসি খুশিতে শিশু বেড়ে উঠলে শিশুর মস্তিষ্কের যেমন উন্নতি হবে, তেমনি বুদ্ধি বিকাশেও হবে পরিপূর্ণ। তাই আসুন পারিবারিক সহিংসতা নয়, চাই সম্প্রীতি ও সহনশীল, সহাবস্থান।