শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ভারতে জাহাজ রপ্তানি

দেশের জন্য ইতিবাচক
নতুনধারা
  ১২ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

জাহাজ রপ্তানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সাফল্য এসেছে। আশার কথা, প্রতিবেশী দেশ ভারতে রপ্তানি হচ্ছে বাংলাদেশের তৈরি আরও দুইটি বড় কার্গো জাহাজ। শুক্রবার কর্ণফুলী নদীতে ওয়েস্টার্ন ক্রুজ জাহাজে এ উপলক্ষে বর্ণিল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ভারতের জিন্দাল স্টিল ওয়ার্কসকে জাহাজ হস্তান্তর উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ। এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, ২০১৫ সালে ভারতের জিন্দাল স্টিল ওয়ার্কস ২০০ কোটি টাকায় ৪টি জাহাজ নির্মাণের কার্যাদেশ দেয়। ২০১৭ সালের অক্টোবরে 'জেএসডবিস্নউ রাইগাড়' ও 'জেএসডবিস্নউ প্রতাপগড়' হস্তান্তর করা হয়। এ প্রসঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ভারত, ভুটান, নেপালকে আমাদের বন্দর ব্যবহার করতে দিলে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হবে। আমরা উন্নতির স্বার্থে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রাখব। বাংলাদেশকে বলা হয়েছিল বটমলেস বাস্কেট। বলা হয়েছিল বাংলাদেশ টিকবে না। আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে বিস্ময়। বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্পের অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের জাহাজ রপ্তানি হচ্ছে। এটি বাংলাদেশের নাম বহির্বিশ্বে উজ্জ্বল করছে। আমাদের সক্ষমতা বাড়ছে বিভিন্ন ধরনের জাহাজ নির্মাণে। এই শিল্পের প্রতি সরকার যদি আরো মনোযোগ দেয় তা হলে এর প্রসার ঘটবে এবং রপ্তানি শিল্পে বাংলাদেশ আরো এগিয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী।

এ কথা কোনোভাবেই অস্বীকার করার উপায় নেই, অপার সম্ভাবনাময় বাংলাদেশ। স্বাধীনতার ৪৮ বছরে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়েছে তার অপার সম্ভাবনা ও কর্মসুষমা নিয়ে। বাংলাদেশকে এখন বলা হয় উন্নয়নের রোল মডেল, বলা হয় এশিয়ার বাঘ। যতই দিন যাচ্ছে বাংলাদেশ উন্নয়ন অগ্রগতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে প্রবল গতিতে। দেশের সাধারণ মানুষের অর্থনৈতিক সক্ষমতা বেড়েছে। একাত্তরের বাংলাদেশ আর বর্তমান বাংলাদেশ এক নয়। দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ, দেশের বিদু্যৎ সংকট সিংহভাগই কেটে গেছে। দারিদ্র্যবিমোচনের ক্ষেত্রে বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার সরকার চ্যালেঞ্জিং ভূমিকা পালন করেছে। বর্তমান সরকার দেশের ইপ্সিত প্রবৃদ্ধির ভিত্তি রচনা করতে সক্ষম হয়েছে। রেমিট্যান্স প্রাপ্তির হারও অনেক বেড়েছে এবং এ ক্ষেত্রে বাজেটে বিশেষ সুবিধা দেয়া হয়েছে। মাতৃমৃতু্য ও শিশুমৃতু্যর হার কমেছে। মুদ্রাস্ফীতি নেমে এসেছে ১ দশমিক ৫৯ শতাংশে। তথ্যপ্রযুক্তিতে, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। সামাজিক উন্নয়ন সূচকে ভারত পাকিস্তানের চেয়ে বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেক ভালো। বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে। সুখি দেশের তালিকায় বাংলাদেশ আশাব্যঞ্জক অবস্থানে রয়েছে। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, ক্রীড়াসহ প্রতিটি ক্ষেত্রে ঘুরে দাঁড়িয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশকে একটি সুখী ও সমৃদ্ধ সোনার বাংলায় পরিণত করতে 'ভিশন-২০২১' ও 'ভিশন-২০৪১' কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার- যা সফল হওয়ার পথে। শুধু দেশেই নয়- আন্তজার্তিক অঙ্গনেও এর স্বীকৃতি মিলেছে। আমাদের এই অর্জন ধরে রাখতে হবে।

এক সময়ে পাট, চা ও চামড়া রপ্তানি পণ্য হিসেবে এই তিনটি খাত বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। এরপর স্থান করে নিয়েছে তৈরি পোশাক শিল্প এবং বিদেশে জনশক্তি রপ্তানি। এই দুটো খাত এখনো বেশ উজ্জ্বল। প্রবাসী বাংলাদেশিদের পাঠানো অর্থ দেশের অর্থনীতিকে বেগবান করেছে। আমরা প্রত্যাশা করছি, জাহাজ রপ্তানিসহ দেশ রপ্তানি শিল্পে আরো সমৃদ্ধি অর্জন করবে এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বে সুনাম কুড়াবে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<83927 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1