শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সমাজ নারীর জন্য কতটা নিরাপদ মোহাম্মদ নজাবত আলী

একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সবচেয়ে হতাশা ও ক্ষোভের ক্ষেত্র হলো নারীর প্রতি যে অব্যাহত সহিংসতা অধিকাংশ সময়েই তা রুখতে না পারা।
নতুনধারা
  ২০ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

বর্তমান সমাজ ও পরিবারের প্রধান কর্তাব্যক্তিই হচ্ছে পুরুষ। তাই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীমুক্তি স্বাধীনতা নিয়ে এ দেশে নারীবাদী বিভিন্ন সংগঠন সোচ্চার। প্রতিনিয়ত সভা-সমাবেশ করে নারীমুক্তির পক্ষে জোরালো বক্তব্য উপস্থাপন করছে। কিন্তু যেভাবে শিশু ধর্ষণ, নারী নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে বিদায়ী বছরে তাতে নারীমুক্তির স্বপ্ন অধরাই থেকে যাচ্ছে। নতুন বছরে এ অবস্থা থেকে অবশ্যই আমাদের উত্তরণ ঘটানোর কোনো বিকল্প নেই।

থেমে নেই নারী নির্যাতন নারীর প্রতি সহিংসতা। এদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী কুর্মিটোলা রাস্তায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ধর্ষণের প্রতিবাদে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ধর্ষকের ফাঁসির দাবিতে বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ করে। ধর্ষণের শিকার মেয়েটি অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী ছিল। সে সুকৌশলে ধর্ষকের ফাঁদ থেকে যেভাবে পালিয়ে আসে তাতে নিঃসন্দেহে বলা যায়, মেয়েটি বুদ্ধিমতি ছিল। পরে ধর্ষকের চেহারা, নোয়াখালী ভাষায় ধর্ষকের কথা বলা, সামনের দুই দাঁত ভাঙা, মাথার চুল কোঁকড়ানোসহ ধর্ষকের অবয়বের যে, বর্ণনা দিয়েছে এবং সে বর্ণনা অনুযায়ী অতি অল্প সময়ে ধর্ষককে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়র্ যাব। একপর্যায়ে গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক মজনু ঢাবির শিক্ষার্থীসহ অনেক মেয়েকে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন। পুলিশ তাকে ৭ দিনের রিমান্ড নিয়েছে। ইতিমধ্যে মেয়েটি হাসপাতাল ত্যাগ করেছে। তবে আশার কথা এই যে ধর্ষক ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। জাতি আশা করে ধর্ষকের যেন চূড়ান্ত শাস্তি হয়। তাই স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন আসে, বর্তমান সমাজ নারীর জন্য কতটা নিরাপদ। তা ছাড়া বিদায়ী বছরে নারীর প্রতি সহিংসতা ও ধর্ষণ বেড়েছে। সম্প্রতি পত্রপত্রিকার প্রকাশিত খবরে উঠে এসেছে, ২০১৯ সালে সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা আগের বছরের চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ বেড়েছে। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) বার্ষিক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। ধর্ষণের মতো ঘৃণ্য ও ভয়ানক রোধ হওয়ার পরিবর্তে ২০১৮ সালের চেয়ে ২০১৯ সালে দ্বিগুণ হয়েছে যা কতটা আশঙ্কাজনক এবং উৎকণ্ঠ বিষয় তা সহজে অনুমেয়। অতি সম্প্রতি জাতীয় প্রেস ক্লাবে 'বাংলাদেশ মানবাধিকার পরিস্থিতি-২০১৯: আইন ও সালিশ কেন্দ্রের পর্যবেক্ষণ' শিরোনামের এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য তুলে ধরেন আসক কর্মকর্তারা। তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে সারা দেশে ধর্ষণ ও গণধর্ষণের শিকার হয়েছেন ১ হাজার ৪১৩ জন নারী। এর মধ্যে ধর্ষণের পর হত্যার শিকার হয়েছেন ৭৬ জন এবং ধর্ষণের পর আত্মহত্যা করেছেন ১০ জন ২০১৮ সালে ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন ৭৩২ নারী এবং ২০১৭ সালে এ সংখ্যা ছিল ৮১৮। এ ছাড়া আরও নারীদের উত্ত্যক্ত করা ও যৌন হয়রানির ঘটনা বেড়েছে এমন তথ্যও উঠে এসেছে। ২০১৯ সালে ২৫৮ জন নারী যৌন হয়রানির ও উত্ত্যক্তের শিকার হয়েছেন। এসব ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হয়েছেন ৪৪ জন পুরুষ। উত্ত্যক্তের কারণে ১৮ জন নারী আত্মহত্যা করেন। যৌন হয়রানির প্রতিবাদ করতে গিয়ে চার নারীসহ ১৭ জন খুন হয়েছেন। এ ছাড়া ২০১৯ সালে শিশু নির্যাতনের ঘটনাও বেড়েছে এমন তথ্য তুলে ধরেন আসক। (৩১ ডিসেম্বর যাযাদি) এই তথ্য পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করার কোনো বিকল্প নেই। সঙ্গত কারণেই বিভিন্ন সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো ক্ষোভ প্রকাশ করে।

ধর্ষণ, গণধর্ষণ, হত্যা এ শব্দগুলো সভ্য দেশে যখন মানুষের মুখে মুখে তখন মনে হয় আমরা কোন সমাজে বাস করছি। এ সমাজ কি এখনো সভ্য হয়নি? সভ্যতার পাঠ গ্রহণ করেনি? স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ঘরে-বাইরে গণপরিবহণ অফিসে কোথায় নারীরা নিরাপদ? ধর্ষণ এ শব্দটি বারবার উচ্চারণ করাও লজ্জাকর। কীভাবে দেশে আজ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণের এত ঘটনা যদি বিবেককে নাড়া না দেয় তাহলে এ দেশ, সমাজ, রাষ্ট্র, একদিন ভয়াবহ অন্ধকারে নিমজ্জিত হবে। গত বছরের নারী নির্যাতন ও হত্যার বিভিন্ন ঘটনাগুলোর মধ্যে দেশব্যাপী প্রবল আলোড়িত এবং আলোচিত ঘটনা ছিল নুসরাত হত্যা। ফেনীর সোনাগাজী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত অনৈতিক প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় উক্ত মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজদৌলার যোগ-সাজশে তাকে অত্যন্ত নির্মমভাবে পুড়িয়ে হত্যা করে অধ্যক্ষের সহযোগীরা। যদিও নুসরাত হত্যার বিচার হয়েছে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য, অতিসম্প্রতিকালে শিশু ধর্ষণ, হত্যা, নারী নির্যাতন যেন প্রতিযোগিতামূলকভাবে বেড়েই চলেছে। দেশের সচেতনমহলে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে কোথায় যাচ্ছে আমাদের দেশটা। সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের শেষ কোথায়। সারা দেশে যেভাবে খুন, ধর্ষণ, পুড়িয়ে হত্যা, নারী নির্যাতনের মতো গুরুতর অপরাধের সংখ্যা শুধু বেড়েই চলেছে। সভ্যতা বিবর্জিত এ বিষয়গুলো আমাদের গভীরভাবে উদ্বিগ্ন করছে।

আমাদের দেশে যেভাবে শিশু ধর্ষণ, হত্যা ও নারী নির্যাতন আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে তাতে এগুলো রোধ করতে না পারলে আগামীতে বাংলাদেশের সামাজিক নিরাপত্তা এক চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। শিশু ধর্ষণ, হত্যা, নারী নির্যাতন ও হত্যার ঘটনা সমাজে উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা ছাড়িয়েছে। আর এসব ঘটনা ঘটে কখনো বাসাবাড়ি, রাস্তা-ঘাট, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ঘটছে। নারী, শিশু ও ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় ধর্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি ধর্ষণ ও হত্যা, নারী নির্যাতনের ভয়াবহতা থেকে রক্ষা ও তাদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা নতুন কিছু নয়। তবে এর নির্যাতনের মাত্রা ভয়াবহতা ক্রমান্বয়ে বেড়ে যাওয়ায় সাধারণ মানুষের মনে অসস্তি দেখা দিয়েছে। শুধু একজন নারী বা শিশুর ধর্ষণের শিকার হচ্ছে না পুরুষের সেই হিংস্রতা রূপ নেয় হত্যাকান্ডে। অর্থাৎ ধর্ষণের পর হত্যা, নির্যাতনের পর হত্যা। পুড়িয়ে হত্যা কিন্তু কেন? কেন এমনটি হচ্ছে তা অবশ্যই বিবেচনায় আনতে হবে। দেশের সচেতন মানুষের প্রশ্ন, একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় আমরা এ কোন সমাজে বাস করছি? নতুন বছরে আমাদের প্রত্যাশা বছরটি যেন ভালোভাবে কেটে যায়। নারী, শিশু হত্যা, ধর্ষণের ঘটনা যেন না ঘটে। নুসরাত হত্যার মতো নারী নির্যাতনের যেন সঠিক ও সুষ্ঠু বিচার হয়। আমাদের মেয়েসন্তান যেন নির্বিঘ্নে অফিস-আদালত বা বিভিন্ন শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানে, রাস্তা-ঘাটে, ঘরে-বাইরে নিরাপদ থাকে। তাদের জীবনে যেন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে। কোনো পিতা-মাতার বুক যেন খালি না হয়। শুনতে না হয় কোনো আর্তনাদ।

শিশু ও নারী নির্যাতনে দেশের কঠোর আইন থাকা সত্ত্বেও নির্যাতন নারীর প্রতি সহিংসতা বন্ধ হচ্ছে না। এসব ঘটনায় কোনোটির বিচার হয়েছে আবার কোনোটির হয়নি। শিশু ধর্ষণ, হত্যা, নারী নির্যাতন, গণধর্ষণ বা নারী হত্যাকান্ডের ঘটনা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে তাতে যে কোনো বিবেকবান মানুষ বিচলিত না হয়ে পারে না। নারী ও শিশু নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষণ এসব ঘটনা নিয়ে পত্রপত্রিকায় বিভিন্ন লেখালেখি হচ্ছে। সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন নারীবাদী বিভিন্ন সংগঠনগুলো এসব ঘটনার কথা নারী নির্যাতন, হত্যা, ধর্ষন রোধকল্পে তারা সভা-সমাবেশ প্রতিবাদ করেও এর সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। বন্ধ হচ্ছে না নারী ধর্ষণ, নির্যাতনমূলক অপরাধ। তাহলে কি পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারী মুক্তি এটা অবাস্তব স্বপ্ন মাত্র? একদিকে বিলম্বে বিচার অন্যদিকে অপরাধের পৃষ্ঠপোষকতা অপরাধীদের শাস্তির আওতায় আনার ঘাটতি। প্রভাব, প্রতিপত্তি, অর্থবিত্ত, বৈভব, রাজনৈতিক প্রতিপত্তির বাধাহীন বিস্তারের নেতিবাচক প্রভাবে আমাদের সমাজে নানা ধরনের অপরাধ ও অপকর্ম চলছে প্রতিনিয়ত। সীমাহীন নিষ্ঠুর বর্বরতার শিকার হচ্ছে শিশু ও নারী। ফলে সামাজিক অবক্ষয় চরম আকার ধারণ করেছে। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে অনবরত তারা লালসার শিকার হচ্ছে। শিশু ধর্ষণ, হত্যা, নারী নির্যাতন বন্ধ করতে না পারলে একদিন এ সমাজে মানুষের বসবাস অনুপযোগী হয়ে পড়বে। পশুর রাজত্ব কায়েম হবে। দ্রম্নত আইনের সুষ্ঠু প্রয়োগের মাধ্যমে নারীর মনে অভয় তৈরিতে নারী নির্যাতন রোধ করা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

নারী-পুরুষের সমন্বিত প্রচেষ্টায় দেশ এগিয়ে যায়। তাই নারীকে বাদ দিয়ে কোনো সমাজ এগিয়ে যেতে পারে না। নারীরা শুধু নারীই নয়- পুরুষের সমকক্ষতা অর্জনেও তারা সক্ষম। নারী শিক্ষার ব্যাপক প্রসার ঘটেছে। আজ প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নারীদের উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো। ক্ষেত্র বিশেষে শিক্ষায় ছেলেদের চেয়ে মেয়েরা এগিয়ে। তাদের সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথ রুদ্ধ করলে দেশের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তাদের জীবনের নিরাপত্তা ও পথচলা নিশ্চিত করতে হবে। বর্তমান সমাজে নারী বিভিন্নভাবে শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছে। কখনো বখাটেদের উৎপাত, যৌতুক, ধর্ষণ, হত্যা আবার কখনো ইভ টিজিং। অথচ নারী পরিবার সমাজের জন্য অপরিহার্য। একটি পরিবার টিকিয়ে রাখার জন্য পুরুষের পাশাপাশি নারীর অংশীদারও অপরিহার্য। সামাজিক স্থিতিশীলতায় নারীর অবদান অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। সামাজিক ভারসাম্য রক্ষা, নতুন সমাজ বিনির্মাণে পুরুষের মতো নারীর অবদানও সমভাবে প্রয়োজন। নারীকে উপেক্ষা করে পরিবার কিংবা সমাজ গঠন করা বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার প্রেক্ষিতে অনেকটাই অসম্ভব। কারণ নারীকে বাদ দিয়ে কোনো সমাজ এগোতে পারে না। তাই নারীকে সম্মান মর্যাদার দৃষ্টিতে দেখতে হবে। কিন্তু পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থায় নারীকে সেভাবে দেখা হয় না বলেই সমাজে নারী নির্যাতন বেড়েই চলেছে। বিবেকবোধ ও মানবিক চেতনা জাগ্রত করতে হবে। শিশু ও নারী নির্যাতন, ধর্ষণ, হত্যা, ইভ টিজিংয়ের শিকার কি হতেই থাকবে অসহায় নারী? নারী নির্যাতন পরিবার ও সমাজে ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এ কথা অস্বীকার করার কোনো উপায় নেই। তবে সরকার নারী নির্যাতনকারীর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। নুসরাতের ঘটনায় আমরা দেখেছি প্রধানমন্ত্রী নিজে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিয়েছেন। অপরাধীর শাস্তি যদি দ্রম্নত নিশ্চিত করা যায়, সমাজে তা দৃশ্যমান হয়, তাহলে নারীর প্রতি সহিংসতা নারী নির্যাতন অনেকটা কমবে বলে আশা করা যায়। কারণ সমাজের যে কোনো অপরাধের কঠোর শাস্তি দৃশ্যমান হয়। তাহলে অপরাধীরা অপরাধ করতে কিছুটা হলেও ভয় পাবে।

নারীর প্রতি সহিংসতা রোধে অবশ্যই পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন দরকার। কেন না নারী হচ্ছে মা, বোন, জায়া, ননদ, স্ত্রী, কন্যা, যে চিরায়িত রূপ হিসাবে নারীকে আমরা দেখি।

একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ও পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সবচেয়ে হতাশা ও ক্ষোভের ক্ষেত্র হলো নারীর প্রতি যে অব্যাহত সহিংসতা অধিকাংশ সময়েই তা রুখতে না পারা।

বর্তমান সামাজিক অবক্ষয় ও নারীর নিরাপত্তাহীনতার কারণেই নারী স্বাধীনতা, নারীমুক্তি আজ অধরা। তাই যে কোনো উপায়ে নারীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে, নারীর প্রতি সহিংসতা রোধ করতে হবে। বর্তমান বছর যেন নারীর জন্য হয় নিরাপদ।

মোহাম্মদ নজাবত আলী: শিক্ষক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<85054 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1