হ্যালো লিডার হ্যালো মিনিস্টার

জনস্বাস্থ্য রক্ষায় আরও কঠোরতা দরকার

স্বাস্থ্য খাত নিয়ে সরকার তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আরও গভীরভাবে ভাবতে হবে। জলবায়ুর অভিঘাত, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, পরিবেশ দূষণ, কর্মক্ষেত্র ও জীবনসংগ্রামের চাপ, অস্বাস্থ্যকর এবং ভেজাল খাবারের জন্য দেশে নানা ধরনের জটিল রোগ যেভাবে বাড়ছে সে বিষয়টি মাথায় রেখে গবেষণাপূর্বক স্বাস্থ্য খাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। ঢেলে সাজাতে হবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে। ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ ও মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি কঠোরভাবে দেখতে হবে। মানুষের সক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ জরুরি হয়ে পড়েছে। যখন-তখন ওষুধের দাম বাড়ানো হলে তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। ভেজাল ওষুধ বা প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি রেখে যারা ওষুধ প্রস্তুত করেন সে সব প্রতিষ্ঠানকে শুধু জরিমানা নয়, ওইসব প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ এর সঙ্গে জড়িত সব স্তরের ব্যক্তির কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০২০, ০০:০০

সোহেল হায়দার চৌধুরী
জীবন এবং ওষুধ-দুটোই পরস্পরের সঙ্গে সম্পৃক্ত। পৃথিবীতে এমন কোনো মানুষ পাওয়া যাবে না যিনি তার জীবনের কোনো না কোনো পর্যায়ে ওষুধ খাননি বা ব্যবহার করেননি। শিশু বয়স থেকে বৃদ্ধ বয়স পর্যন্ত জীবনের প্রতিটি স্তরেই কোনো না কোনো কারণে ওষুধ প্রয়োজন হয়। এই ওষুধ যেমন জীবন রক্ষাকারী তেমনি প্রাণ সংহারীও হয়ে উঠতে পারে। ওষুধের সঠিক প্রয়োগ একজন রোগীকে যেমন জীবন দান করতে পারে তেমনি ভুল বা অপপ্রয়োগ কেড়ে নিতে পারে প্রাণ। সে কারণে পৃথিবীর সব দেশে ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়। উন্নত রাষ্ট্রগুলোতে ওষুধে ভেজাল বা এর মূল্য নির্ধারণে নানা পদক্ষেপ নেয়া হয় রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে। কিন্তু বাংলাদেশে দুটো ক্ষেত্রেই নানা দুর্বলতা ও অবহেলা এখন পর্যন্ত দৃশ্যমান। কাগজে-কলমে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর থাকলেও প্রতিষ্ঠানটি যথেষ্ট সফল হয়েছে বলা যাবে না। বাংলাদেশে একদিকে খাদ্য ও পানীয়ে ভেজালের কারণে মানুষের জীবন কমবেশি হুমকিতে রয়েছে। অন্যদিকে ওষুধের নিম্নমান, তৈরি ওষুধে প্রয়োজনীয় উপাদানের অভাব থাকা, আমদানিকৃত ওষুধের সঠিক মূল্য নির্ধারণ না হওয়া, দেশীয় বিভিন্ন ওষুধের মূল্য ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকা, অপ্রয়োজনীয় টেস্ট এবং বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে একই ধরনের টেস্টের মূল্যপার্থক্য, হার্বাল চিকিৎসার নামে প্রতারণা দেশবাসীর জন্য অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়। এটা সত্যি যে বর্তমান সরকারের আমলে দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে চিকিৎসার পাশাপাশি ৩০টির মতো ওষুধ বিনামূল্যে দেয়ার পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সরকারের তথা প্রধানমন্ত্রীর এ মানবিক উদ্যোগ প্রশংসনীয়। কিন্তু সে ওষুধ যথাযথভাবে ব্যবহার হচ্ছে কিনা তার তদারকি যথেষ্ট শক্তিশালী নয়। বিভিন্ন হাসপাতালে বিনামূল্যে সব ওষুধ না পাওয়ার বহু অভিযোগ রয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সরকার বা সংশ্লিষ্টদের সঠিক নজর আছে বলে মনে হচ্ছে না। বিভিন্ন সময় শোনা যায়, নিম্নমানের ওষুধ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান সিলগালা করা হয়েছে। কিন্তু সে প্রতিষ্ঠানের বাতিল ঘোষিত ওষুধ বাজারে হরহামেশা পাওয়াও যাচ্ছে। চিকিৎসাপত্র ছাড়া ওষুধ বিক্রির কোনো বিধান পৃথিবীর কোনো দেশে না থাকলেও বাংলাদেশে এটি কোনো বিষয় নয়। চিকিৎসকদের একটি বড় অংশ যার যার পছন্দের কোম্পানির ওষুধ প্রেসক্রিপশনে লিখে দেন। কিন্তু সেটি পাওয়া না গেলে বিকল্প কোনো ওষুধ খাওয়া যাবে তার কোনো উলেস্নখ থাকে না। ফলে অনেক রোগীকে ধকল পোহাতে হচ্ছে। বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধের মোড়কে যে উপাদানের কথা লেখা থাকে তা যথাযথভাবে আছে কিনা তার পরীক্ষা এ পর্যন্ত ক'বার হয়েছে। অথচ উপাদানে ঘাটতি থাকা ওষুধ সেবন করলে নানা ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়। একই গ্রম্নপের ওষুধ একেক কোম্পানি একেক দামে বিক্রি করলেও এ ক্ষেত্রে কোনো শৃঙ্খলা আনা সম্ভব হয়নি। একই ধরনের টেস্ট একেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার একেক মূল্য নিচ্ছে, কিন্তু সংশ্লিষ্ট সরকারি বিভাগগুলো দেখেও না দেখার ভান করছে। যেন তারা বিষয়টি জানেই না। ওষুধ প্রশাসন বলে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান নিয়ে অনেকেরই অভিযোগ রয়েছে। গত কয়েক বছরে আদালত ওষুধ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে একাধিক আদেশ ও নির্দেশনা দিয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি আশানুরূপ। এ প্রতিষ্ঠানটিতে নিয়মের শেষ নেই, কিন্তু নিয়ম পালনের বালাইও নেই। রাষ্ট্রের অর্থ শ্রাদ্ধের জন্য একেক সময় একেক ক্যাম্পেইন চালু করলেও কয়েকদিন পর তার মৃতু্য ঘটে। অর্থাৎ পরিস্থিতি তথৈবচ। বছরের পর বছর ধরে দেশের চিকিৎসাব্যবস্থা বা এই প্রক্রিয়ার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দেশবাসীর অসংখ্য অভিযোগ লক্ষ্য করা যায়। সে সব অভিযোগ আমলে নিয়ে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা নানা উদ্যোগ নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশ দিলেও কিছুদিন পরে অবস্থা আগের মতো হয়ে যায়। যার কারণে মানুষকে নানা ভোগান্তির শিকার হতে হয়। তবে সবচেয়ে ক্ষতিকর বিষয় হলো মানহীন ওষুধ এবং ধারাছোঁয়ার বাইরে থাকা ওষুধের মূল্য। গত কয়েক বছর ধরে যেভাবে নানা দুরারোগ্য ব্যাধি মানুষের শরীরে বাসা বাঁধছে সে অনুযায়ী ওষুধ তৈরি বা এর সহজলভ্যতা এবং স্বাস্থ্য বিভাগকে আমরা তৈরি করতে পেরেছি কি? এটা বলতেই হবে, ক্যান্সার, লিভার, হার্টসহ নানা জটিল রোগের চিকিৎসার জন্য দেশে অসংখ্য মানসম্পন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। কিন্তু সে অনুযায়ী মানসম্পন্ন চিকিৎসাব্যবস্থা এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। এর জন্য সরকারকে দায়ী করা যাবে না। দায়ী হলেন চিকিৎসাব্যবস্থার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের একটি বড় অংশ। বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চোখ রাখলেই দেখা যায়, একজন ভিআইপি ও একজন সাধারণ রোগীর চিকিৎসা পদ্ধতির পার্থক্য। এর অবসান হওয়া খুব জরুরি। বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বদান্যতা ও আন্তরিকতায় দেশে যে পরিমাণ স্বয়ংসম্পূর্ণ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে এর সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিরা সে পরিমাণ আন্তরিকতা ও মানবসেবার ব্রত নিয়ে কাজ করছেন কিনা সে প্রশ্ন সবসময় রয়ে গেছে। বলছিলাম ওষুধের মূল্যবৃদ্ধি ও ভেজাল ওষুধের কথা। সম্প্রতি বিভিন্ন ওষুধের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক হারে। কোম্পানিগুলো একই গ্রম্নপের ওষুধের দাম তাদের মতো করে নির্ধারণ করছে। নিজেদের ইচ্ছামতো দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে জীবন রক্ষাকারী নানা ওষুধের। হৃদরোগ, কিডনি রোগ, গ্যাস্ট্রিক-আলসার, ক্যান্সার, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিসসহ অনেক রোগের ওষুধের মূল্য কয়েকগুণ বেড়ে গেছে। অ্যান্টিবায়োটিক এবং বিভিন্ন ধরনের ভিটামিনের দামও অনেক চড়া। বেড়েছে নাপা-প্যারাসিটামলের মতো অতি প্রয়োজনীয় ওষুধের দামও। যা সাধারণ মানুষকে আতঙ্কিত করছে। ওষুধ কোম্পানিগুলোর দাবি আন্তর্জাতিক বাজারে ওষুধের কাঁচামালের দাম বৃদ্ধিসহ নানা কারণে দেশীয় ওষুধের দাম বেড়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ওষুধের দাম কত ভাগ বাড়তে পারে তার কোনো পর্যালোচনা সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রশাসন করেনি। একই সঙ্গে মানহীন ভেজাল ওষুধ নিয়েও বড় কোনো অভিযান নেই ঔষধ প্রশাসনের। অথচ এ ধরনের ওষুধ সেবনে দেশে রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। আশ্চর্যজনক হলো- দেশে ওষুধের উৎপাদন থেকে বিপণন পর্যন্ত কোনো স্তরেই সরকারিভাবে মান নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয় না। বিপণনের পরে ঔষধ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বাজার থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে (পরীক্ষাগারে) পাঠানোর পরে মান সম্পর্কে জানা যায়। অথচ বিশ্বের কোনো দেশেই মান পরীক্ষার আগে বাজারে ওষুধ ছাড়ার কোনো বিধান নেই। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য খাত নিয়ে সরকার তথা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে আরও গভীরভাবে ভাবতে হবে। জলবায়ুর অভিঘাত, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপন, পরিবেশ দূষণ, কর্মক্ষেত্র ও জীবনসংগ্রামের চাপ, অস্বাস্থ্যকর এবং ভেজাল খাবারের জন্য দেশে নানা ধরনের জটিল রোগ যেভাবে বাড়ছে সে বিষয়টি মাথায় রেখে গবেষণাপূর্বক স্বাস্থ্য খাতকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। ঢেলে সাজাতে হবে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে। ওষুধের মান নিয়ন্ত্রণ ও মূল্য নির্ধারণের বিষয়টি কঠোরভাবে দেখতে হবে। মানুষের সক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ওষুধের মূল্য নির্ধারণ জরুরি হয়ে পড়েছে। যখন-তখন ওষুধের দাম বাড়ানো হলে তার জন্য শাস্তির ব্যবস্থা করা উচিত। ভেজাল ওষুধ বা প্রয়োজনীয় উপাদানের ঘাটতি রেখে যারা ওষুধ প্রস্তুত করেন সে সব প্রতিষ্ঠানকে শুধু জরিমানা নয়, ওইসব প্রতিষ্ঠানের মালিকসহ এর সঙ্গে জড়িত সব স্তরের ব্যক্তির কঠোর শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। স্বাস্থ্য খাতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সাফল্য উলেস্নখ করার মতো। বিশেষ করে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় স্বাস্থ্য কমপেস্নক্স গড়ে তোলা, কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন ও এর আওতা বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধে শিশুদের টিকাদানে শতভাগ সাফল্য, মাতৃ ও শিশুমৃতু্যর হার হ্রাস সরকারের ব্যাপক সাফল্যের অংশ। কিন্তু এ খাতে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে ওঠা অনিয়ম-দুর্নীতি এখনো দূর হয়নি। বিনামূল্যে ওষুধ দেয়ার পাশাপাশি দেশে মডেল ফার্মেসির একটি নতুন ধারা তৈরি হয়েছে। রাজধানীসহ দেশজুড়ে এখন মডেল ফার্মেসির ছড়াছড়ি। কিন্তু কি কারণে কোন বিষয়ের ওপর নির্ভর করে ফার্মেসিগুলোকে মডেল ফার্মেসি ঘোষণা করা হলো তা মানুষ জানে না। অথবা মডেল ফার্মেসির ক্ষেত্রে কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে তাও অজানা। অভিযোগ রয়েছে, রাজধানীসহ সারা দেশে থাকা মডেল ফার্মেসিগুলো সঠিক নিয়ম মানছে না। কিন্তু তা নিয়ে কারও কোনো মাথাব্যথা নেই। দেশে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধির পাশাপাশি পালস্না দিয়ে রোগ বাড়ছে। সে অনুযায়ী রোগ নিয়ন্ত্রণ বা নির্মূলের সক্ষমতা আমরা এখনো অর্জন করতে পারিনি। যার বড় প্রমাণ চিকনগুনিয়া ও ডেঙ্গু। পূর্ব প্রস্তুতি ও সামগ্রিক অভিজ্ঞতা না থা্‌কার কারণে এ রোগে যেভাবে নাকাল হতে হয়েছে মানুষকে তা সবাইকে বেদনাহত করেছে। শেষ পর্যন্ত সরকারের কঠোর পদক্ষেপ ও আন্তরিকতার কারণে পরিস্থিতি সামাল দেয়া সম্ভব হলেও বিতর্ক ও সমালোচনাও কম ছিল না। সে কারণে শুধু রোগের অপেক্ষা না করে করে আগে থেকেই সব ধরনের প্রস্তুতি রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ মনে করে যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলা বা নিয়ন্ত্রণ করার সক্ষমতা এ সরকারের বিশেষ করে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার রয়েছে। সে কারণে শেখ হাসিনার প্রতি মানুষের আস্থা যেমন বেড়েছে, তেমনি প্রত্যাশাও বেড়েছে। সেই বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় আন্তরিকতার সঙ্গে পরিস্থিতি বিবেচনা পূর্বক ব্যবস্থা নিয়ে সঙ্কট কাটতে বাধ্য। শুধু চেয়ার রক্ষার জন্য রুটিন কাজটুকু না করে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর ও ঔষধ প্রশাসন দেশপ্রেম নিয়ে স্বতঃস্ফূর্ত দায়িত্ব পালনের কাজটি করলে জনগণ উপকৃত হবে। তবে সবচেয়ে বড় বিষয় হলো- যথাযথ বা সুচারু দায়িত্ব পালনকারীকে পুরস্কৃত করতে হবে। যারা মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবেন তাদের দল-মত নির্বিশেষে শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। সর্বোপরি গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো বাস্তবায়নের জন্য কাগজে তুলে ধরা হারের ওপর বিশ্বাস না করে একাধিক সূত্র দিয়ে তা ক্রস চেক করতে হবে এবং সংশ্লিষ্টদের নিয়মিত মনিটরিংয়ের আওতায় রাখতে হবে। সোহেল হায়দার চৌধুরী: বিশেষ সংবাদদাতা, দৈনিক যায়যায়দিন, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)