শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

এবার রসুনের দাম বৃদ্ধি

নিয়ন্ত্রণহীন বাজার
নতুনধারা
  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

নিত্যপণ্যের বাজার কোনোভাবেই স্বাভাবিক হচ্ছে না। একেক সময় একেক অজুহাত তুলে বিক্রেতারা পণ্যেরে দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। পেঁয়াজ নিয়ে দীর্ঘদিন কারসাজি করার পর এবার বেড়েছে রসুনের দাম। এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে আমদানি করা রসুনের দাম ৫০ থেকে ৬০ টাকা বেড়ে এখন তা ডাবল সেঞ্চুরি পার করছে। এদিকে কেজিতে ৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দেশি রসুনের দাম। রসুনের পাশাপাশি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে সব ধরনের আদা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, আদা-রসুনের বাড়তি দামের জন্য দায়ী চীনের করোনা ভাইরাস, দেশটি থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দাম বেড়েছে। এ ছাড়াও সপ্তাহের ব্যবধানে দাম বেড়েছে সব ধরনের সবজির। কেজিতে পাঁচ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত দাম বেড়েছে সবজিভেদে। সবচেয়ে বেশি বেড়েছে পটল, চিচিঙ্গা, বরবটি আর কাঁচামরিচের দাম। একইসঙ্গে দাম বেড়েছে শাকের বাজারেও। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে মালের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকার পাশাপাশি বিভিন্ন সবজির মৌসুম না হওয়ায় দাম বাড়তি রয়েছে। অন্যদিকে, আগের চড়া দামেই বিক্রি হচ্ছে ভোজ্যতেল, চাল ও ডাল। একইসঙ্গে অপরিবর্তিত রয়েছে সব ধরনের মাছ, মাংস, মুরগি ও ডিমের দাম।

সম্প্রতি পেঁয়াজ বাজারের অস্থিরতা কিছুটা কমলেও এখনো তা ১৫০-এর ঘরেই রয়েছে। অতি মুনাফা লোভীদের কারণে সরকারি নানা উদ্যোগও যেন কোনো কাজে আসছে না। এবার দাম বাড়ার তালিকায় এসেছে রসুন। আমরা এর আগেও বলেছি, মূলত অসৎ ও অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের কারণে বাজারে নিত্যপণ্যের মূল্য বৃদ্ধি পায়। তারা একেক সময় একে অজুহাত দাঁড় করায় এবং জনগণের পকেট কাটে। এটা বাজার সংস্কৃতির একটি উজ্জ্বল দিক।

\হনিত্য পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির ক্ষেত্রে তাদের অজুহাতের শেষ নেই। কীভাবে জনসাধারণকে জিম্মি করে অতিরিক্ত মুনাফা করা যায় সেই দিকেই তাদের মনোযোগ সবচেয়ে বেশি। এই ধরনের অসুস্থ ও অতিলোভী মানসিকতা পরিত্যাগ করতে হবে। আসলে পণ্যের সরবরাহ বা সংকটের সঙ্গে দাম বাড়ার কোনো সম্পর্ক নেই। অতীতেও আমরা লক্ষ্য করেছি, তারা একেক সময় একেক পণ্যের দাম বাড়িয়ে ক্রেতাদের পকেট কেটেছে।

ক্রেতাদের আরো অভিযোগ, বাজারে কোনো কিছুরই ঘটতি নেই, তারপরেও দাম বাড়ছে। এটা সত্য, কার্যকরী বাজার তদারকি ব্যবস্থা না থাকায়, পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। ফলে বেকায়দায় পড়তে হচ্ছে নিম্ন আয়ের মানুষের। এরা জনগণের স্বার্থের দিকে নজর দেয় না। এরা বাজার সন্ত্রাসী। কীভাবে অসৎ উপায় অবলম্বন করে দ্রম্নত ধনী হওয়া যায় সেটাই তাদের প্রধান উদ্দেশ্য। ফলে তাদের কাছে দেশের অসহায় জনগণ জিম্মি হয়ে পড়ে। ক্ষেত্র বিশেষ সরকারও তাদের কাছে জিম্মি। সবজি ও রসুনের বাজার নিয়ন্ত্রণহীনতাই এর বড় প্রমাণ।

বাজার নিয়ে অতীতে অনেক পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে, প্রচুর লেখালেখি হয়েছে, কোনো কাজ হয়নি। বিক্রেতাদের মানসিকতার কোনো পরিবর্তন হয়নি। এটা সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক। আমরা মনে করি, বিক্রেতাদের মানসিকতার পরিবর্তন যতদিন না ঘটবে ততদিন নিত্যপণ্যের বাজার অস্থির থাকবেই এবং দেশের জনগণও তাদের কাছে জিম্মি থাকবে। এ ব্যাপারে সরকারের কার্যকর ও কঠোর উদ্যোগই পারে জনগণকে হয়রানি ও দুর্ভোগ থেকে মুক্তি দিতে।

\হ

\হ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<87754 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1