বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নগরবাসীর প্রত্যাশা পূরণে দুই মেয়র ও কাউন্সিলররা কতটা প্রস্তুত?

অন্যান্য বারের মতো এবারও মেয়রপ্রার্থীরা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। কাউন্সিলরাও নিজ নিজ এলাকার সমস্যা সংকট দ্রম্নত নিরসনের ওয়াদা করেছেন। অসংখ্য প্রতিশ্রম্নতি সংবলিত সেসব ইশতেহার যেন কাগজের পাতার একটি উপাদান না হয়ে বাস্তবতায় রূপ নেয় সেটি মনে রাখা দরকার। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে নির্বাচিত দুই মেয়র আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নুর তাপস শিক্ষা-সংস্কৃতি, জ্ঞান-গরিমা ও সক্ষমতায় অনুসরণযোগ্য। তারা চাইলে খুব কম সময়ে পরিবর্তনের ঢেউ তুলতে পারবেন, তা সবাই বিশ্বাস করে। শাসকদলের নেতা হওয়ার কারণে তারা অনেক বেশি সুবিধাও পাবেন। সেটিকে কাজে লাগিয়ে তারা যদি প্রতিশ্রম্নত কাজগুলো করার ধারাবাহিক উদ্যোগ নেন, তবে সংকট কমতে বাধ্য। আর তার মাধ্যমে নগরবাসীর বিশ্বাসের জায়গাটি শক্তিশালী হবে। সে জন্য মধুচন্দ্রিমা সময়ে অন্তত কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে দুই মেয়রকে। কাজ দিয়ে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই নিতে হবে।
সোহেল হায়দার চৌধুরী
  ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

১ ফেব্রম্নয়ারি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে নতুন দুই মেয়র ও ১২৯ ওয়ার্ড কাউন্সিলর নির্বাচিত হয়েছেন। নতুনের আগমনে নতুন প্রত্যাশা, নতুন করে ভাবনার দুয়ার খুলে। অনুষ্ঠিত নির্বাচন নিয়ে নানা বিতর্ক এবং আলোচনা-সমালোচনা থাকলেও ধারণা করা যায়, আগামী ৫ বছর নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলররাই রাজধানীর উন্নয়ন ও সংস্কারে ভূমিকা রাখবেন। সে কারণে নবনির্বাচিতদের নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ ও পূর্বাপর পর্যালোচনা চলছে। নবনির্বাচিত এই জনপ্রতিনিধিরা রাজধানীতে নতুন কী পরিবর্তন আনেন তাই এখন দেখার বিষয়। প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির ক্ষেত্রে দীর্ঘদিন ধরে যে ফারাক রয়েছে সদ্য নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা তার কতটা ঘোচাতে পারেন সেটা দেখতে চায় রাজধানীবাসী। সে ক্ষেত্রে নবনির্বাচিত এই জনপ্রতিনিধিরা শুধু তাদের কর্মকান্ড দিয়ে সব বিতর্ক ও আলোচনা-সমালোচনার সমুচিত জবাব দিতে পারেন।

প্রায় তিন কোটি মানুষের বসবাসের এই ঢাকায় সমস্যা-সংকট অনেক। একদিনে এসব যেমন গড়ে ওঠেনি, তেমনি দ্রম্নত এর সমাধানও সম্ভব নয়। কিন্তু রাজধানীবাসী চায় সমস্যা নিরসনের উদ্যোগ বা পদক্ষেপ গ্রহণ। রাজধানীজুড়ে অন্তহীন সমস্যার জট থেকে মুক্তি মিললেই মানুষ খুশি। এই খুশির ঝিলিক যে যত দ্রম্নত ছড়িয়ে দিতে পারবেন তিনি তত বেশি গ্রহণীয় হবেন রাজধানীবাসীর কাছে। এই রাজধানী নিয়ে পূর্ববর্তী জনপ্রতিনিধিদের অনেক পরিকল্পনার কথা নগরবাসী জানে। কিন্তু একটা সময়ে সেসব পরিকল্পনা আর বাস্তবায়ন হতে দেখা যায়নি। সে কারণে নগরবাসীর মধ্যে আস্থার সঙ্কট রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে নগরবাসীর রাজস্ব বাড়লেও তাদের জন্য সুবিধাদি এখনো অপ্রতুল। নানা উন্নয়ন কাজ হলেও সেগুলো নিয়ে প্রশ্ন কম নয়। বিশেষ করে কন্ট্রাক্টরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে নিম্নমানের কাজ করে অধিক অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার। এ বিষয়টির দিকে গভীর নজর রাখা দরকার।

রাজধানীতে বাসা ভাড়ার সংকট বসবাসকারীদের নাজেহাল করে প্রতিনিয়ত। বাড়িওয়ালাদের হয়রানির শিকার হননি এমন ভাড়াটিয়া পাওয়া যাবে না বোধ হয়। নানা উপায়ে বাড়িওয়ালারা ভাড়াটিয়াদের হযরানি করেন। একদিকে প্রতি বছর বাসা ভাড়া বাড়ান, অন্যদিকে বাসায় ব্যবহারের কোনো যন্ত্রাংশ নষ্ট হলে তার দায় বহন করতে হয় ভাড়াঠিয়াকে। বাড়িওয়ালার দিক থেকে উলেস্নখযোগ্য কোনো সুবিধা পান না ভাড়াটিয়ারা। বাড়ি ভাড়া আইন থাকলেও তা কার্যকর নয়। অথচ এই দিকটি নিয়ে সিটি করপোরেশনের কোনো মাথাব্যথা নেই। এলাকা ভিত্তিতে আবাসিক বাড়ি ভাড়ার মূল্য নির্ধারণ নিশ্চিত করার উদ্যোগ কোনো সময়েই দেখা যায়নি। অথচ রাজধানীতে বসবাসকারী অধিকাংশ ভোটার ভাড়া বাসায় বাস করেন। নগরের নতুন জনপ্রতিনিধিদের প্রথম কাজ হওয়া উচিত বাড়ি বা বাসা ভাড়ার ক্ষেত্রে সহনীয় দর নির্ধারণ করে দেয়া। একই সঙ্গে বাড়িওয়ালার জন্য পালনীয় নিয়ম ঠিক করে দেয়া দরকার। যাতে ভাড়াটিয়ারা বাড়িওয়ালাদের হয়রানির শিকার না হন।

অসংখ্য সঙ্কটের মধ্যে নিমজ্জিত রাজধানী ঢাকা। যানজট এবং জলজটে রাজধানীবাসী হরহামেশাই নাকাল হচ্ছেন। এ নিয়ে অনেক গবেষণা ও উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। কিন্তু পরিপূর্ণ সাফল্য এসেছে বলা যাবে না। যানজট এবং জলজট নিরসনে বড় ধরনের মহাপরিকল্পনা এখন থেকে তৈরি করে নেয়া দরকার নবনির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের। পাশাপাশি ফুটপাতগুলো অবৈধ দখলদারমুক্ত করার উদ্যোগ যত দ্রম্নত নেয়া হবে ততই মঙ্গল। যত্রযত্র গাড়ি পার্কিং রাজধানীতে যানজট তৈরি ও জন চলাচলে যে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করছে তার সুরা্‌হাও দ্রম্নত হওয়া দরকার। সড়কবাতির জীর্ণদশার কারণে কখনো কখনো মূল সড়কে, আবার কখনো কখনো পাড়া-মহলস্নায় বসবাসকারীরা সমস্যার মুখোমুখি হন। এটির দিকে নজর দেয়া গুরুত্বপূর্ণ। সড়কে খানাখন্দ আর ঢাকনাবিহীন ম্যানহোল রাজধানীর কলঙ্কতিলক হয়ে আছে অনেকদিন ধরে। বিষয়টিকে আমলে নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলররা পরিকল্পনা তৈরি করতে পারেন।

আবর্জনা ফেলার নির্দিষ্ট কিছু স্থান থাকলেও তা যথেষ্ট নয়। তা ছাড়া আবর্জনা পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা যথাযথভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করেন না। এ বিষয়ে জোর মনিটরিং দরকার। রাজধানী ঢাকার আরও একটি বড় সমস্যা হলো মেডিকেল বর্জ্য। এই বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন সংগঠন কাজ করলেও প্রতিনিয়তই পরিবেশ দূষণ হচ্ছে মারাত্মকভাবে। মেডিকেল বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সঠিকভাবে না করতে পারলে জনস্বাস্থ্য এখনকার চেয়ে অনেক বেশি হুমকির মুখে পড়বে। ঢাকা দক্ষিণ সিটির মেয়র সাঈদ খোকন খাদ্যে ভেজাল রোধে ব্যাপকভাবে সক্রিয় ছিলেন। তার সে ধারা অনুসরণ করে রাজধানীবাসীর জন্য ভেজালমুক্ত খাদ্য নিশ্চিত করার দায়িত্ব নগর প্রশাসকদেরই নিতে হবে। মশা নিয়ে কেলেংকারির কথা আমরা কে না জানি। নতুন জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্ব গ্রহণের শুরুতেই মশক নিধন বা নিয়ন্ত্রণ, আবর্জনা ব্যবস্থাপনা, যানজট-জলজট নিরসনের কাজটি করা দরকার। হানিমুন পিরিয়নে বা মধুচন্দ্রিমাকালে দৃশ্যমান কিছু পরিবর্তন তুলে ধরতে পারলে নগরবাসীর মধ্যে নতুন আস্থা তৈরি হবে।

একথা কমবেশি সবাই জানেন, দিনে দিনে রাজধানীর আয়তন যেমন বিস্তৃত হয়েছে, তেমনি বসবাসকারীর সংখ্যাও বেড়েছে। পালস্না দিয়ে বেড়েছে চাহিদা। তার সূত্র ধরে বেড়েছে সঙ্কট। পুরনো সঙ্কটের সঙ্গে নতুন সঙ্কট যুক্ত হয়ে পরিস্থিতি লাগামহীন হয়েছে। সে লাগামহীন পরিস্থিতির রাশ টেনে ধরার সময় এসেছে। প্রয়াত মেয়র মোহাম্মদ হানিফ এই রাজধানীকে সঙ্কটমুক্ত করতে 'সিটি গভর্নমেন্ট'র কথা বলেছিলেন। তিনি এর রূপরেখাও দিয়েছিলেন। কিন্তু তা বাস্তবে করা সম্ভব হয়নি। তার সে রূপরেখা বিভিন্ন মহলে ব্যাপক সাড়া জাগালেও যারা এর অনুমোদন দেয়ার কথা তাদের কাছ থেকে তিনি কোনো সহযোগিতা পাননি। নতুন জনপ্রতিনিধিরা তার সে রূপরেখা আমলে নিয়ে বিষয়টি ভেবে দেখতে পারেন। রাজধানীর মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কোনো সমন্বয় না থাকাটা দুঃখজনক। সে সমন্বয়ের কাজটির জন্য যে পদ্ধতি গ্রহণ করা দরকার তার প্রতি নগরবাসীর পূর্ণ সমর্থন থাকবে সেটা নিশ্চিত।

নগরবাসীর সেবা নিশ্চিতের জন্য মেয়রদের চেয়ে কাউন্সিলরদের ভূমিকা অনেক বেশি। মেয়ররা মূলত নীতি-নির্ধারণ আর অর্থসংস্থানের কাজটি করে থাকেন। আর যার যার এলাকার সঙ্কট নিরসনের কাজটি সরাসরি কাউন্সিলরদের করতে হয়। বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা নিজ নিজ এলাকার প্রশাসকের দায়িত্‌টুকু পালন করলে নগরবাসী সবচেয়ে বেশি লাভবান হবেন। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো- কাউন্সিলর প্রার্থীরা নির্বাচনের আগে যে প্রতিশ্রম্নতি দেন, নির্বাচনের পরে তার ধারেকাছেও যান না। উল্টো প্রতিটি এলাকার উন্নয়ন কাজ থেকে তারা পার্সেন্টেজ নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। অনেক কাউন্সিলর নিজস্ব বাহিনী গঠনের মাধ্যমে নিজ নিজ এলাকার রাজা বনে যাওয়ার চেষ্টা করেন। হাজারো সমস্যা জর্জরিত ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলররা তাদের পদটিকে ব্যবহার করে নিজের রাজনৈতিক-অর্থনৈতিক ও সামাজিক প্রভাব বিস্তারের নেশায় মেতে ওঠেন। কোনো কোনো কাউন্সিলর আছেন উন্নয়ন কাজের ক্ষেত্রে রাজনৈতিক বিবেচনা করেন। এলাকাবাসী হওয়ার পরেও নির্বাচনে বিপক্ষে থাকার কারণে বা ভিন্ন মতের বলে বঞ্চিত করেন। এর নিরসন হওয়া দরকার।

এবার সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ভোটের যে হার তার পেছনে শুধু রাজনৈতিক কারণ দেখলে এর সুরাহা হবে না। নগরবাসীর স্বপ্নভঙ্গ ও প্রত্যাশা পূরণে প্রশাসকদের ব্যর্থতাও কমবেশি প্রভাব ফেলেছে। নগরবাসীর মধ্যে প্রার্থীরা দায়বদ্ধতা তৈরি করতে পারেননি। এ দায়বদ্ধতা তৈরির প্রথম শর্ত হলো প্রত্যাশা পূরণের কাজটি করা। শত সমস্যার মধ্যে অন্ততপক্ষে কিছু সমস্যা পূরণে দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখা গেলে নগরবাসী কিছুটা স্বস্তি পেত। তাদের আস্থার জায়গাটি অন্তত নড়বড়ে হতো না। নগরবাসী ভোটাররা মনে করেন, ভোট দেয়া না দেয়া সমান কথা। ভোটের জন্য হাজারো প্রতিশ্রম্নতি দেয়া হলেও নির্বাচিত হওয়ার পরে তা নিয়ে ভাবেন না জনপ্রতিনিধিরা। সে কারণে জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে ভোটারদের আত্মার বন্ধন আলগা হচ্ছে। বিষয়টি এখনই আমলে নিয়ে প্রতিশ্রম্নতি রক্ষার কাজটি ধাপে ধাপে করতে হবে।

অন্যান্য বারের মতো এবারও মেয়রপ্রার্থীরা ইশতেহার ঘোষণা করেছেন। কাউন্সিলররাও নিজ নিজ এলাকার সমস্যা সংকট দ্রম্নত নিরসনের ওয়াদা করেছেন। অসংখ্য প্রতিশ্রম্নতি সংবলিত সেসব ইশতেহার যেন কাগজের পাতার একটি উপাদান না হয়ে বাস্তবতায় রূপ নেয় সেটি মনে রাখা দরকার। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণে নির্বাচিত দুই মেয়র আতিকুল ইসলাম ও শেখ ফজলে নুর তাপস শিক্ষা-সংস্কৃতি, জ্ঞান-গরিমা ও সক্ষমতায় অনুসরণযোগ্য। তারা চাইলে খুব কম সময়ে পরিবর্তনের ঢেউ তুলতে পারবেন, তা সবাই বিশ্বাস করে। শাসকদলের নেতা হওয়ার কারণে তারা অনেক বেশি সুবিধাও পাবেন। সেটিকে কাজে লাগিয়ে তারা যদি প্রতিশ্রম্নত কাজগুলো করার ধারাবাহিক উদ্যোগ নেন, তবে সংকট কমতে বাধ্য। আর তার মাধ্যমে নগরবাসীর বিশ্বাসের জায়গাটি শক্তিশালী হবে। সেজন্য মধুচন্দ্রিমা সময়ে অন্তত কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে হবে দুই মেয়রকে। কাজ দিয়ে মানুষের হৃদয়ে ঠাঁই নিতে হবে।

তাই এখন থেকেই লড়াইটা শুরু করা যেতে পারে। ভোটের প্রতি নগরবাসীর যে অনাস্থা তার রেশ কাটাতে কাজের কোনো বিকল্প নেই। রাজনৈতিক পক্ষ-বিপক্ষের মধ্যেও সৎ-সক্ষম ও স্বচ্ছ মানুষের প্রতি জনগণের আস্থা থাকে। সে আস্থাটি তৈরি করতে পারলে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ কোনো প্রভাব ফেলে না। ঢাকা সিটির জনপ্রতিনিধিরা যদি দল-মত নির্বিশেষে তাদের সতত-দক্ষতা ও স্বচ্ছতার প্রমাণ রাখতে পারেন তাহলে রাজধানীবাসী তাদের সব ধরনের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। এখন দায়িত্ব পালনে সাহসিকতা ও দ্রম্নততার সঙ্গে কে কতটা গঠনমূলক ও নগরবান্ধব ভূমিকা রাখতে পারেন সেটাই দেখার বিষয়।

সোহেল হায়দার চৌধুরী: বিশেষ সংবাদদাতা, দৈনিক যায়যায়দিন, সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<88039 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1