হ্যালো লিডার

প্রিয় ফেসবুকে সুন্দর মুখচ্ছবির প্রতিফলন কেন নয়?

বর্তমান জীবন বাস্তবতায় ফেসবুক একটি বড় অনুষঙ্গ। অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারী মাত্রই দিনের একটি অংশ ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকেন। তবে ব্যবহারকারীদের সতর্ক এবং সচেতন করা গেলে অনেক বিপত্তি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং সেল বা ফেসবুক সচেতনতা সেল খোলা যেতে পারে। এই সেলের কাজ হবে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুফল-কুফল সম্পর্কে প্রচারণা চালানো। একই সঙ্গে নিয়মিত বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা পেজ মনিটিরিং করা। এর মধ্যে সন্দেহজনক বা প্রতারণাচক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অবহিত করা। ফেসবুক কর্তৃপক্ষও পর্যায়ক্রমে তাদের সব অ্যাকাউন্ট বা পেজ ভেরিফাই করবে এবং তার একটি চিহ্ন আইডি বা পেজে দেওয়া যেতে পারে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেসবুক সম্পর্কে ইতিবাচক প্রচারণা চালানোর মাধ্যমে তার ইতিবাচক ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে সভা-সেমিনার করা যেতে পারে।

প্রকাশ | ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সোহেল হায়দার চৌধুরী
তথ্যপ্রযুক্তির বিকাশমান ধারায় মানুষের জীবনাচার ও মেধা-মননে পরিবর্তন আসছে। অধিকাংশ মানুষের কাছে সামাজিকতার বদলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেক বেশি আপন হয়ে উঠেছে। মানুষ তার আবেগ-উচ্ছ্বাস, ভালো-মন্দ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি, প্রত্যাশা-হতাশা সবই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিরবচ্ছিন্নভাবে প্রকাশ করছে। এই মাধ্যমগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় হলো ফেসবুক। বাংলায় আমি যাকে বলি মুখচ্ছবি। তবে আক্ষরিক বাংলা করলে এর অর্থ দাঁড়ায় মুখবই। এই মুখবই বা মুখচ্ছবির যথাযথ ব্যবহার আমরা করতে পারছি কিনা তার বিশ্লেষণ আজ খুবই প্রয়োজন। ফেসবুকের মতো একটি শক্তিশালী সামাজিক মাধ্যমে ইতিবাচক অনেক তথ্য পরিবেশন করছেন অনেকেই। আবার অনেকে নিজেদের মহানভাবে উপস্থাপন করতে গিয়ে অন্যকে ছোট করছেন। অনেকেই আছেন যারা অন্যের বিরুদ্ধাচরণ করতে গিয়ে নানা ধরনের নোংরামি করছেন। এটি কখনোই কাম্য নয়। আমাদের প্রিয় ফেসবুকে আমরা কি পারি না নিজের মুখচ্ছবি সুন্দরভাবে তুলে ধরতে? ফেসবুক অপকর্মের সূত্র ধরে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময়ে একাধিক অঘটন ঘটেছে। এর মধ্যে কক্সবাজারের রামু, ব্রাক্ষণবাড়িয়ার নাসিরনগর, রংপুর এবং সর্বশেষ ভোলার বোরহানুদ্দিনের ঘটনা মানুষের হৃদয় নাড়িয়ে দিয়েছে। ফেসবুকে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে মানুষকে কীভাবে অঘটনের দিকে ধাবিত করা যায়, তা এ চারটি ঘটনাতেই স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। মুক্তমনা বা ধর্মবিশ্বাসী মানুষের কাছে এ অঘটনগুলো ঘৃণ্য ও ন্যক্কারজনক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আছে। আর ধর্মান্ধ, ধর্ম ব্যবসায়ী, মৌলবাদী ও সুযোগ সন্ধানীরা এ ধরনের ঘটনাকে পুঁজি করে দেশে নানা সঙ্কট তৈরি করতে চায়, এমনটি প্রতিষ্ঠিত সত্য। ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে মানুষ হত্যা, অগ্নিসংযোগ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, ঘরবাড়ি ও ধর্মীয় উপসনালয় লুটপাট, মূর্তি ভাংচুরের ঘটনা সুস্থ মানুষের কল্পনাতীত। ভোলায় ফেসবুকের সূত্র ধরে চারজনকে প্রাণ হারাতে হয়েছে। বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকান্ডের কারণও ফেসবুক স্ট্যাটাস বলে জানা যায়। এমন একাধিক ঘটনার নজির বাংলাদেশে থাকলেও আমরা এই সঙ্কট থেকে মুক্ত হতে পারছি না। ফেসবুকে প্রচারিত নানা অসামঞ্জস্য পূর্ণ তথ্যের কারণে কমবেশি অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার কথা জানা যায়। অনেক ঘটনা নাগরিক সমাজের গোচরে আসে না। কিন্তু সঙ্কট থেকে মুক্তি মিলছে না। ফেসবুকের পোস্ট, স্ট্যাটাস ও কমেন্টসের মাধ্যমে তৈরি গুজবে রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন মহলের উস্কানির কথাও কমবেশি সবার জানা। এ ধরনের ঘটনার সূত্র ধরে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ প্রতারণায় যুক্ত হচ্ছেন বা প্রতারণার শিকারও হচ্ছেন। এই অপরাধীচক্র এতটাই সক্রিয় যে, প্রধানমন্ত্রী বা বিশিষ্টজনদের নামেও ফেসবুকে কুৎসা রটনা করতে পিছপা হয় না। রাজধানীতে নিরাপদ সড়কের দাবিতে কোমলমতি শিশু-কিশোরদের আন্দোলনে ফেসবুক গুজবের সূত্র ধরে বড় ধরনের অঘটনের পরিকল্পনা কার না জানা। সে সময় সরকার ও আইন-শৃখলা বাহিনীর কঠোরতায় বড় কোনো অঘটন ঘটেনি। ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম রাষ্ট্র ও সমাজে যে বিশৃঙ্খলা তৈরি করছে মাঝেমধ্যে তার বিপরীতে আমাদের সচেতনতা বা সুরক্ষার বিষয়টি এখনো সেভাবে তৈরি হয়নি। মুক্ত বাতায়ন ও তথ্যপ্রযুক্তির উদার ব্যবহারের কারণে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখন অনেক বেশি সক্রিয়। বিশ্বের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার কোটি কোটি মানুষ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের মনের কথা তুলে ধরছেন। অন্তরের আনন্দ-বেদনা, স্মৃতি, প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির খবর প্রকাশ করছেন পোস্ট, স্ট্যাটাস বা কমেন্টসের মাধ্যমে। ফেসবুকের মাধ্যমে অনেক তথ্য যেমন পাওয়া যাচ্ছে, তেমনি জগতের নানা বিষয়ে কমবেশি খবরও জানা যাচ্ছে। এটা অত্যন্ত ইতিবাচক যে মানুষের পারস্পরিক যোগাযোগ ও ভাব বিনিময়ের জন্য ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা লক্ষণীয়। মানুষে মানুষে সংযোগ সৃষ্টিতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ফেসবুকের গুরুত্ব অপরিসীম। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার-প্রধান অনেক সেলিব্রেটি তাদের মতামত-মন্তব্য, অর্জন-প্রাপ্তি বা আশা-নিরাশার কথা ফেসবুক, টুইটার বা অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেন। যা বিশ্বজনগণ জানতে পারে নিজের অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে বা গণমাধ্যমের কল্যাণে। পাশাপাশি ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে রাজনৈতিক অপকর্মসহ নোংরা নানা কাজেও ব্যবহার করা হচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারকারীদের একটি বড় অংশ নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অন্যের চরিত্র হনন, রাজনৈতিক বা সামাজিক বিতর্ক তৈরি, নির্লজ্জভাবে অন্যকে হেয় করা, উদ্দেশ্যমূলকভাবে নৈরাজ্য সৃষ্টি করাসহ নানা ঘৃণ্য কর্মকান্ড করে থাকেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সামাজিক রীতিনীতি ভুলে বা সামাজিক আচরণের বালাই না রেখে কিছু ব্যবহারকারী নোংরামিতে মেতে ওঠেন। আর এই নোংরামির কারণেই ফেকবুক অনেকের কাছে আতঙ্কের হয়ে উঠছে। ভিন্ন ব্যক্তি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট খুললেও অনেকে আবার জেনে-বুঝেও সেটি প্রকাশ করেন না বা নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ নেন না। আমার জানা মতে, সরকারের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির নামে পরিচালিত ফেসবুক অ্যাকউন্ট বা পেজ সম্পর্কে তারা জানেন না বা জেনেও বিষয়টি প্রকাশ করেন না। ফেসবুক বন্ধ করা সম্ভব নয় বা এটিকে উপেক্ষাও করা যাবে না। কিন্তু সামাজিক এই যোগাযোগ মাধ্যম যেন অন্যের প্রাণহানির কারণ না হয়, কারও ধর্মবিশ্বাসে আঘাত করতে না পারে অথবা কোনো ধরনের অঘটনের সূত্র না হয় সেটি তো নিশ্চিত করতে হবে। যেভাবে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের প্রতি মানুষের আসক্তি বাড়ছে, সমান তালে যদি আমরা এটিকে প্রয়োজনীয় নিয়ন্ত্রণের আওতায় আনতে না পারি তাহলে আরও বিপদের মুখোমুখি হতে হবে। বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, এর আগে ফেসবুকে দেয়া উস্কানিকে কেন্দ্র করে যেসব অঘটন ঘটেছিল তার পরপরই গোয়েন্দা সংস্থাগুলো প্রশাসনকে সতর্ক করে নানা পদক্ষেপ গ্রহণের কথা জানালেও তা যথেষ্ট ছিল না। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সৃষ্ট গুজব শনাক্তকরণের জন্য সরকারের গুজব শনাক্তকারী সেল থাকলেও এর কার্যকারিতা যথেষ্ট নয়। আমলাতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ধীরগতিতে চলছে এই সেলের কার্যক্রম। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সঙ্গে সম্পৃক্ত একাধিক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ফেসবুক ব্যবহারে সচেতনতা সৃষ্টিতে যথাযথ উদ্যোগ না থাকা, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থতা, যথাযথ পদক্ষেপ বিটিআরসির গড়িমসি, অপরাধী চক্র ও নেপথ্য মদদদাতাদের চিহ্নিত করতে না পারার ফল বহন করতে হচ্ছে মাঝেমধ্যে। আজকের পৃথিবীতে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাদ্যমকে আমরা অস্বীকার করতে পারব না। কিন্তু একই সঙ্গে বহুল জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সুরক্ষা প্রথা নিশ্চিত করতে হবে। অন্যের আইডি হ্যাক করা কিংবা ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে ফেসবুকে নানা অপকর্ম করা চক্রকে ধরতে হবে সুরক্ষাব্যবস্থা তৈরির মাধ্যমে। এ ক্ষেত্রে ভেরিফাইড জাতীয় পরিচয়পত্র বা পাসপোর্ট অধিকারী ছাড়া ফেসবুক আইডি বা পেজ খুলতে না পারার বিষয়টি ভেবে দেখা যেতে পারে। নিয়মিত ফেসবুক আইডি ও পেজ মনিটরিং করা যেতে পারে। সন্দেহজনক কোনো আইডি বা পেজ পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়া দরকার। রাজনৈতিক মতবাদে বিশ্বাসী ব্যক্তিদেরসহ যারা অন্যের কুৎসা ছড়ান ফেসবুকের মাধ্যমে দলমত নির্বিশেষে তাদের চিহ্নিত করতে হবে। বর্তমান জীবন বাস্তবতায় ফেসবুক একটি বড় অনুষঙ্গ। অ্যান্ড্রয়েড ফোন ব্যবহারকারী মাত্রই দিনের একটি অংশ ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সক্রিয় থাকেন। তবে ব্যবহারকারীদের সতর্ক এবং সচেতন করা গেলে অনেক বিপত্তি থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। সরকারের পক্ষ থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মনিটরিং সেল বা ফেসবুক সচেতনতা সেল খোলা যেতে পারে। এই সেলের কাজ হবে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সুফল-কুফল সম্পর্কে প্রচারণা চালানো। একই সঙ্গে নিয়মিত বিভিন্ন ফেসবুক অ্যাকাউন্ট বা পেজ মনিটিরিং করা। এর মধ্যে সন্দেহজনক বা প্রতারণাচক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করে প্রয়োজনে ফেসবুক কর্তৃপক্ষকে নিয়মিত অবহিত করা। ফেসবুক কর্তৃপক্ষও পর্যায়ক্রমে তাদের সব অ্যাকাউন্ট বা পেজ ভেরিফাই করবে এবং তার একটি চিহ্ন আইডি বা পেজে দেওয়া যেতে পারে। দেশের সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফেসবুক সম্পর্কে ইতিবাচক প্রচারণা চালানোর মাধ্যমে তার ইতিবাচক ব্যবহার পদ্ধতি সম্পর্কে সভা-সেমিনার করা যেতে পারে। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে বিভিন্ন কারণে রোল মডেল। সেই মর্যাদাপূর্ণ বাংলাদেশকে আমরা শুধু ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সূত্র ধরে বিতর্কিত করে তুললে পুরো জাতিই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই দলমত নির্বিশেষে তথ্যপ্রযুক্তির এই উপহারকে দায়িত্বশীলভাবে ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা নিজেদের অন্যদের চেয়ে আলাদা করে উপস্থাপন করতে পারি কিনা সে চেষ্টা এখন থেকে শুরু করি। বাংলাদেশের জনগণ পারে সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে। মানুষের প্রতি মমত্ব, সব ধর্মের প্রতি অপার শ্রদ্ধাবোধ, ভিন্নমতকে গ্রহণের মতো সাহস দেখিয়ে একমাত্র এই ভুখন্ডের জনগণই পারবে নতুন ইতিহাস গড়তে। এটা সত্যি যে রাজনৈতিক বিভেদ-বিভ্রান্তি আমাদের নানা সঙ্কটের জন্য দায়ী। কিন্তু সেই বিভেদ-বিভ্রান্তির সূত্র ধরে আমরা যদি অমানুষ হয়ে যাই তাহলে মানবতার ইতিহাসে আমরাই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হবো। আজকের এই দিনে ফেসবুকের সূত্র ধরে সৃষ্ট সঙ্কট, অমানবিকতা ও পাশবিক কর্মকান্ড ঠেকাতে সরকার ও সংশ্লিষ্টদের কঠোর হতে হবে। মনিটরিং পদ্ধতি জোরদার করতে হবে। জনগণকেও সচেতন হতে হবে। যারা ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে নেতিবাচক পন্থায় ব্যবহার করেন বা যারা ফেসবুকে ভিন্ন মতপ্রকাশকারীদের হত্যা করেন তাদের ক্ষমা নয়, কঠোর শাস্তির আওতায় আনতে হবে। সোহেল হায়দার চৌধুরী: সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে), বিশেষ সংবাদদাতা, দৈনিক যায়যায়দিন