আবার খুন এই পরিস্থিতির শেষ কোথায়?

প্রকাশ | ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। অথচ খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজিসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সামগ্রিক উন্নয়ন ও মানুষের স্বাভাবিক জীবনের জন্য পরিপন্থি। সঙ্গত কারণেই কঠোর পদক্ষেপ নিয়ে হলেও এই ধরনের অপকর্মকে প্রতিহত করার বিকল্প নেই। তা না হলে এর প্রভাব অত্যন্ত আতঙ্কজনক বাস্তবতাকেই স্পষ্ট করবে, যা কাম্য হতে পারে না। বর্তমান সময়ের দিকে দৃষ্টি দিলে যে চিত্র পরিলক্ষিত হয় তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেই প্রতীয়মান হয়। কেননা, পত্রপত্রিকার পাতা উল্টালেই দেখা যাচ্ছে একের পর এক খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, ছিনতাইসহ নিত্য নতুন উপায়ে অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছেই। সম্প্রতি জানা গেল, রাজধানীর যাত্রাবাড়ী গোবিন্দপুর এলাকায় পূর্বশত্রম্নতার জের ধরে বাবার সামনে ছুরিকাঘাতে ইমন নামে এক পোশাক শ্রমিককে খুন করেছে সন্ত্রাসীরা। তথ্য মতে, মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১টার দিকে যাত্রাবাড়ীর শনির আখড়ার গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে এ ঘটনাটি ঘটে। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসক বেলা ৩টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রসঙ্গত বলা দরকার, নিহত ইমনের বাবা বলেছেন, তিনি এবং তার ছেলে দুজনই গোবিন্দপুরে গ্রামীণ নামের একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করেন। দুপুরে খাবারের বিরতির সময় ছেলেকে নিয়ে বের হলে গোবিন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এলে ওতপেতে থাকা রাজু ও হুমায়ুন নামে দুই যুবক ইমনের বুকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে ইমনকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ছাড়া ইমনের বাবার ভাষ্য, কিছুদিন আগে রাজু ও হুমায়ুনের সঙ্গে কোনো এক বিষয় নিয়ে ইমনের সঙ্গে ঝগড়া হয়েছিল। আমরা বলতে চাই, দ্রম্নত ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। এইভাবে মানুষ খুন হবে, চলে যাবে না ফেরার দেশে এমনটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। সঙ্গত কারণেই আমরা বলতে চাই, শুধু এই ঘটনাই নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময়েই খুনের ঘটনা ঘটেছে। ফিল্মি স্টাইলেও খুনের ঘটনা ঘটেছে। দিনে দুপুরে কুপিয়ে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া পরিবারিক কলহ, অনৈতিক সম্পর্ক, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনা পত্রপত্রিকায় উঠে এসেছে বিভিন্ন সময়েই যা কোনোভাবেই সহজ করে দেখার সুযোগ নেই। আমরা মনে করি, সামগ্রিকভাবে এই ভীতিপ্রদ বাস্তবতা আমলে নিতে হবে এবং হত্যাকান্ডের ঘটনাগুলো পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হতে হবে। মনে রাখা দরকার- একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো আমলে নিলে যে চিত্র পরিলক্ষিত হয় তা ভীতিপ্রদ বাস্তবতাকেই সামনে আনে, তাই এই ধরনের আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি নিরসনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের বিকল্প নেই। সংশ্লিষ্টদের এটাও মনে রাখা দরকার, এর আগেও নানা ধরনের হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনাগুলো আমলে নিলে এমন ভয়াবহতা সামনে আসে যে, তা যেন আদিম বর্বরতাকেও হার মানায়। অথচ এ সব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মানুষের বসবাসের স্বাভাবিকতার জন্যই হুমকি স্বরূপ, যার পুনরাবৃত্তি রোধে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। সর্বোপরি বলতে চাই, এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে, কেন মানুষের মধ্যে হিংস্র প্রবণতা তৈরি হচ্ছে এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে কারণ অনুসন্ধান করা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এবারের ঘটনা ছাড়াও প্রতিনিয়ত যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে সেগুলো আমলে নিতে হ্েব এবং মনে রাখা দরকার, একের পর এক অপরাধমূলক ঘটনায় জনজীবনের স্বাভাবিকতা হয়ে উঠছে ঝুঁকিপূর্ণ। এমন ভয়াবহ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্টরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা জারি রাখুক এমনটি কাম্য।