কার্যকর পদক্ষেপ জরুরি

আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃতু্য

প্রকাশ | ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
কোনোভাবেই যেন রোধ হচ্ছে না অগ্নিকান্ডের ঘটনা। একের পর এক আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃতু্যর ঘটনাও ঘটছে। সঙ্গত কারণে, এমন পরিস্থিতি সামগ্রিক অর্থে কতটা ভয়ানক বাস্তবতাকে স্পষ্ট করে তা আমলে নেওয়া জরুরি বলেই প্রতীয়মান হয়। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, রাজধানী ঢাকার দিলু রোডের একটি ভবনে অগ্নিকান্ডের ঘটনায় দগ্ধ হয়ে শিশুসহ তিনজন মারা গেছেন। দগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন দুজন। বৃহস্পতিবার ভোর ৪টার দিকে দিলু রোডের পাঁচতলা একটি ভবনে আগুন লাগে। বলা দরকার, ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণকক্ষের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভোর ৪টার দিকে দিলু রোডের বাসাটিতে আগুন লাগার খবর পান তারা। সেখানে ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ শুরু করে। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টার পর ভোর সাড়ে ৫টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ভবনের গ্যারেজ থেকে আগুন ছড়িয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়। এ ছাড়া এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে ভবনটির দারোয়ানও বলেছেন, বাসার নিচে গ্যারেজ থেকে আগুন লাগে। সেখানে পাঁচটি গাড়ি ছিল আর আগুন গাড়িগুলোতেও ছড়িয়ে পড়ে। দারোয়ান এবং এলাকাবাসীর ধারণা, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে। প্রসঙ্গত আমরা বলতে চাই যে, একের পর এক যখন অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে- তখন স্বাভাবিকভাবেই এসব ঘটনার ভয়াবহতা আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প থাকতে পারে না। রান্না ঘরে, ভবনে, বস্তিতে, বিভিন্ন কারখানাসহ নানাভাবেই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। আর বাসাবাড়িতে গ্যাসের চুলা থেকেও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। এ ক্ষেত্রে আমরা বলতে চাই, এমন তথ্যও উঠে এসেছিল যে, গত বছর দেশে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে ২২ হাজার ২৮৩টি। ২০১৮ সালের তুলনায় যা প্রায় তিন হাজার বেশি। গত বছরের অগ্নিকান্ডে প্রাণহানি ঘটেছে ১৮৬ জনের বলেও জানা গিয়েছিল। ফলে সংশ্লিষ্টদের এটাও আমলে নেওয়া দরকার, বিশ্লেষকরা বলছেন যে, অতীতে ঘটে যাওয়া বড় বড় অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ ও সতর্ক না হওয়ায় অগ্নিদুর্ঘটনা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমরা মনে করি, এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। উলেস্নখ্য, কিছুদিন আগেও আগুনে দগ্ধ হয়ে মৃতু্যর ঘটনা ঘটে। শীতের কারণে সারা রাত ঘরের সব দরজা-জানালা বন্ধ থাকায় ধারণা করা হয় রান্নাঘরের গ্যাসের চুলার চাবি ঠিকমতো বন্ধ না করায় সারা রাত গ্যাস লিক করে ঘরে জমে থাকে। ভোরে চুলা ধরাতে কাঠি জ্বালানোর সঙ্গে সঙ্গে চার রুম আগুন ছড়িয়ে পড়ে আটজন দগ্ধ হন। এ ছাড়া শপিংমল, কারখানাসহ বিভিন্নভাবেই একের পর এক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটছে। ফলে সার্বিক এই পরিস্থিতি আমলে নিতে হবে। অসাবধানতা কিংবা বেখেয়ালে কতটা ভয়ানক ঘটনা ঘটতে পারে তা আমলে নেওয়া যেমন জরুরি, তেমনিভাবে শর্টসার্কিট বা যে কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা রোধে সতর্ক হতে হবে। এ কথা ভুলে যাওয়া যাবে না যে, একটু অসাবধানতা কিংবা অসতর্কতার কারণে অনেক বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, এবারের অগ্নিকান্ডের ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত নিশ্চিত সাপেক্ষে করণীয় নির্ধারণ এবং তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করুন। মনে রাখা দরকার, বারবার অগ্নিকান্ডের ভয়াবহতা বা এ ধরনের বীভৎস পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে, যা সন্দেহাতীতভাবেই উদ্বেগজনক। এবারের ঘটনা আমলে নিয়ে, অগ্নিকান্ডের মতো ভয়াবহ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা জারি রাখতে হবে। পাশাপাশি সচেতনতার বিষয়টি আমলে নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিশ্চিত হবে এমনটিও কাম্য।