বেকারত্ব রোধে চাই পেশাগত শিক্ষাব্যবস্থা

প্রকাশ | ০৮ মার্চ ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শিক্ষাজীবন হলো জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়। এই সময় একজন শিক্ষার্থী পড়ালেখার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিকল্পনা করে। অনেক স্বপ্ন থাকে তার চোখে। কিন্তু যখন তার শিক্ষাজীবন শেষ হয় তাকে সম্মুখীন হতে হয় বেকারত্ব নামক এক অভিশাপের সামনে। আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করলে দেখা যাবে, নানাবিধ চাকরির সুযোগ থাকলেও অনেকে সেখানে সুযোগ পাচ্ছে না তাদের পেশাগত শিক্ষার জন্য। চাকরির বাজারে গেলে দেখা যাবে নামিদামি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বিভিন্ন বিষয়ে অনার্স, মাস্টার্স, বিবিএ, এমবিএ করে সবাই একই ধরনের চাকরির পেছনে ছুটছে। এত প্রতিযোগীর থেকে যারা সুযোগ পাচ্ছে তারা কতটা যোগ্য সেটাও ভাবার বিষয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়- ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ে অনেকে প্রশাসনের কাজে চাকরি করছে। তাই সরকারের উচিত বেকারত্ব রোধ, চাকরিতে যোগ্য ও কর্মজ্ঞান সম্পন্ন শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে দরকার শিক্ষা নীতিমালায় পেশাভিত্তিক শিক্ষাব্যবস্থা চালু করা। এর মধ্যেই সরকার বেকার-ভাতা দেয়ার কাজ হাতে নিয়েছে যা প্রশংসনীয়। তাছাড়া উদ্যোক্তাদের বিনা জামানতে ঋণ প্রদান করছে, তবে এই ঋণ প্রদান প্রক্রিয়া আরও সহজ করা দরকার। চাকরির নানাবিধ ক্ষেত্রে শিক্ষিত তরুণদের সুযোগ প্রদানে দেশ এগিয়ে যাবে দুর্বার গতিতে। দেশকে উন্নত দেশে রূপান্তর করতে হলে বেকারত্ব দূর করতে হবে এবং শিক্ষাব্যবস্থা করতে হবে চাকরিবান্ধব। প্রশান্ত চৌহান শিক্ষার্থী, হিসাববিজ্ঞান বিভাগ ঢাকা কলেজ, ঢাকা