চামড়ার মূল্য নিয়ে কারসাজি

সরকারকে এ ব্যাপারে আরও উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে দরিদ্রদের স্বাথের্। কারণ চামড়া ব্যবসায়ীরা যদি দিনের পর দিন অবৈধ সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে চামড়ার মূল্যকে স্থবির করে রাখে তাহলে প্রয়োজনে তা অধিক মূল্যের জন্য বিদেশে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে হবে। যাতে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড়- সব ধরনের চামড়া ব্যবসায়ী তাদের চামড়া বিদেশে রপ্তানি করতে পারে। তাতে মনোপলি কেটে গিয়ে প্রতিযোগিতা তৈরি হলে দেশেই চামড়ার দাম বাড়তে বাধ্য।

প্রকাশ | ২৭ আগস্ট ২০১৮, ০০:০০

ড. মো. হুমায়ুন কবীর
কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্যের ওপর শতভাগ হক হলো গরিবের। কারণ ইসলামের বিধানমতে চামড়ার মূল্যের পুরো অংশটুকুই গরিবদের ভাগ করে দিয়ে দেয়া হয়। কাজেই ইদানীং এ বিশেষ গুরুত্বপূণর্ রপ্তানি পণ্যটির ওপর প্রতিবছরই একটি অবৈধ সিন্ডিকেট কাজ করে বলে অভিযোগ উঠছে। অন্যথায় দেশের রপ্তানির জন্য অন্যতম গুরুত্বপূণর্ একটি পণ্যের মূল্য দিনে দিনে না বেড়ে বরং কমে যাওয়া সত্যিই রহস্যজনক। অথচ পাকা চামড়া কিংবা চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা ও মূল্য শুধু বেড়েই চলেছে। তারপরও আমাদের দেশের একটি বিশেষ মুহূতের্ যখন চামড়ার জোগান সবচেয়ে বেশি তখনই এর দাম কমে যাচ্ছে বার বার। অথচ একটু পিছনে ফিরে গেলে আমরা দেখতে পাই আজ থেকে ১৫-২০ বছর আগেও চামড়ার দাম এখনকার চেয়ে দ্বিগুণ পরিমাণ ছিল। গ্রামাঞ্চলে একটি কথা প্রচলিত রয়েছে, ‘শকুনের দোয়ায় গরু মরে না’। এ কথাটির অন্তনিির্হত অথির্ট একটু গভীরে চিন্তা করলেই হয়তো যে কেউ বুঝতে পারবেন। কারণ শকুন গরু মরলে সেই মরা গরুর মাংস ছিড়ে ছিড়ে খায়। আমরা ছোটবেলায় গ্রামে দেখেছি কোনো কারণে কোনো একটি গরু মারা গেলে সেখানে শতশত শকুন উড়ে এসে সে মরা গরুর মাংস ছিড়ে ছিড়ে খাচ্ছে। দেখা যেত একটি মরা গরু কিছুক্ষণের মধ্যেই শকুন খেয়ে শেষ করে দিত। কিন্তু গরুটি মরার খবর পাওয়ার সাথে সাথে এক বা একাধিক মুচি এসে সেই গরুর চামড়া ছিলে নিয়ে যেত। কথা প্রচলিত আছে গরুর চামড়া ছিলে নেয়ার জন্য নাকি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে গোপনে কোনো মুচি বা তার কোনো প্রতিনিধি রাতের অঁাধারে গরুকে বিষ খাইয়ে আসত, যাতে গরুটি মরে গেলে তারা তার চামড়া ছিলে নিতে পারে। প্রথমে যে কথাটি দিয়ে শুরু করেছিলাম আসলে শকুনের দোয়ায় গরু না মরলেও চামড়ার লোভে মুচিদের দোয়ায় ঠিকই গরু মারা যেতে দেখা যেত প্রায়শই। উপরের উদাহরণটি থেকে সহজেই বোঝা যায় তখন চামড়ার কি মূল্য ছিল। আমি যে সময়ের কথা বলছি তখন দেশে মানুষ ছিল এখনকার ঠিক অধের্ক অথার্ৎ ৮-৯ কোটি। কিন্তু মাথাপিছু আয় ছিল মাত্র ২৮৩ মাকির্ন ডলার। কাজে বোঝাই যাচ্ছে যে, কেমন দারিদ্র্যের মধ্যে কেটেছে তখন মানুষের জীবনযাত্রা। সঙ্গত কারণেই তখন কোরবানির সংখ্যা কম ছিল সেই সাথে চামড়াও। কিন্তু তখন চামড়ার বেশ মূল্য ছিল। কোরবানির সময় আমাদের মনে পড়ে কোরবানি শেষ হওয়ার আগেই গ্রামের অপেশাদার মৌসুমি ও পেশাদার চামড়া ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করার জন্য দাম করে করে টানাহেচড়া করেছে। কিন্তু মুরব্বিদের কাছে তখন শুনতাম, চামড়া হলো গরিবের হক। যতক্ষণ পযর্ন্ত এর ন্যায্য ও যুক্তিসঙ্গত মূল্য না পাব ততক্ষণ যতই টানাহেচড়া করুক না কেন তা বিক্রি করব না। অথার্ৎ চামড়ার পুরো মূল্যটা যেহেতু দরিদ্রদের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যাবে তাতে যেন তারা না ঠকে। চামড়া এমন একটি শিল্প পণ্য, যা দিয়ে তৈরি করা যায় না এমন কোন জিনিস নেই। যে কোনো ধরনের সৌখিন জিনিসই চামড়া দিয়ে বানানো যায়। পায়ের জুতা, কোমরের বেল্ট, গায়ের জ্যাকেট, হাতের ব্যাগ, পাটর্স, যন্ত্রপাতির কভার, মানি ব্যাগ ইত্যাদি আরো কত কি। চামড়ার জিনিসের কদরই আলাদা। সে জন্য দামেও বেশি। পৃথিবীর এমন কোনো দেশ নেই যেখানে চামড়ার তৈরি জিনিসের কদর ও মূল্য নেই। আর এ কদর দিনে দিনে বেড়েই চলেছে। কিন্তু আমাদের দেশে দেখছি কিছুদিন যাবৎ তা উল্টোপথে হঁাটছে। এটি অথর্নীতির কোনো সূত্রই ফলো করছে না। অথর্নীতির সাধারণ সূত্রানুসারে পণ্যের চাহিদা বাড়লে তার দাম বাড়বে। ঠিক সেরকমভাবে দেশের অভ্যন্তরে তো বটেই বিদেশেও এখন চামড়ার চাহিদা বাড়ছে, সেই সঙ্গে বাড়ছে দামও। কিন্তু বাংলাদেশে কঁাচা চামড়ার মূল্য দিন দিন কমেই চলেছে। পশুর দাম বাড়ছে, সেইসাথে বাড়ছে মাংসের দাম। এখন বাজারে প্রতিকেজি গরুর মাংসের দাম ৫০০ টাকা, খাসির মাংসের প্রতিকেজির দাম ৭৫০ টাকা। অথচ চার-পঁাচ বছর আগেও অথার্ৎ ২০১২-১৩ সালের দিকে সমপরিমাণ মাংসের দাম প্রায় অধের্ক ছিল। অথচ তখন প্রতি বগর্ফুট চামড়ার দামও বতর্মানের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। প্রতিবগর্ফুট গরু-মহিষের চামড়ার মূল্য ছিল ৭০-৭৫ টাকা, আর খাসি-ভেড়ার প্রতিবগর্ফুট চামড়ার মূল্য ছিল ৩০-৩৫ টাকা। কিন্তু আশ্চযের্র ব্যাপার হলো তার পরের বছর থেকে গরু ও মাংসের দাম বাড়তে থাকলেও কোন নিয়ম না মেনেই চামড়ার মূল্য কমতে শুরু করে। কমতে কমতে গতবছর অথার্ৎ ২০১৭ সালে প্রতিবগর্ফুট গরু মহিষের চামড়ার মূল্য দঁাড়ায় ৫০-৫৫ টাকায় এবং খাসি-ভেড়ার চামড়ার প্রতিবগর্ফুটের মূল্য দাঁড়ায় ২০-২২ টাকায় যা ঢাকার বাইরে আরো ৫ টাকা করে কম। এখন এর দাম আরো ৫ থেকে ১০ টাকা কমেছে। এখানেই হলো যত কারসাজি। অথচ দেশে চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের চাহিদা ক্রমেই বেড়ে চলেছে। বাড়ছে রপ্তানি এবং আন্তজাির্তক বাজারেও চামড়ার মূল্য বাড়ছে, বাড়ছে চাহিদা। কিন্তু অদ্ভুতভাবে কমছে বাংলাদেশের চামড়ার দাম। আমাদের পাশ্ববতীর্ দেশ ভারতেও চামড়ার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। কারণ সেখানে দৈনন্দিন যে পরিমাণ চামড়ার প্রয়োজন হয় তা এখন জোগান দিতে পারছে না দেশটি। সেখানে ধমীর্য় কারণে গরু জবাই করা এবং গো-মাংস বিলি ও ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় সেখানে পশু জবাই করতে পারছে না বলে সেদেশের চামড়া শিল্পের কারখানাগুলো চালু রাখার জন্য প্রয়োজনীয় পরিমাণ কঁাচা চামড়া তারা পাচ্ছে না। সে জন্য প্রয়োজন চামড়া আমদানী করা। আর সেখানে বাংলাদেশের এসব চামড়ার অনেক চাহিদা রয়েছে এবং রয়েছে উচ্চমূল্য। সেজন্য বাংলাদেশের চামড়া ভারতে পাচার হয়ে যাওয়ার একটি আশঙ্কা সবসময়ই বিরাজ করে। কাজেই ঈদের সময় একদিকে বাংলাদেশের খুচরা ব্যবসায়ীরা চামড়া বিক্রি করতে পারে না। অপরদিকে ভারতে রপ্তানিও করতে পারে না। কিন্তু চামড়ার দাম এতো কম থাকে যে খুচরা ব্যবসায়ীরা তা বিক্রি করতে না পেরে চামড়া পঁচে যায় এবং অনেক সময় সেটি মাটির নিচে চাপা দিয়ে পুতে রাখতে দেখা যায়। কথিত আছে অতি মুনাফা করার জন্য চামড়া ব্যবসায়ীরা গরিবের হক চামড়ার মূল্য নিয়ে মনোপলি ব্যবসা করার মানসে একটি অবৈধ সিন্ডিকেশন সৃষ্টি করে নিয়েছে যাতে দেশের দরিদ্র মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বারংবার। আমাদের দেশে সারাবছর যতগুলো চামড়া পাওয়া যায় এক কোরবানি ঈদেই তার থেকে বেশি চামড়া পাওয়া যায়। দেশে প্রতি কোরবানি ঈদে প্রায় দেড়কোটি পশু কোরবানি করা হয়ে থাকে। যেখানে অধের্ক গরু-মহিষ এবং বাকি অধের্ক খাসি-ভেড়া। ইসলামী বিধিবিধান মতে হিসাব করলে কোরবানী মানেই গরিব এবং প্রতিবেশীদের একটি বিরাট হক রয়েছে। কোরবানি করা পশুর সমান তিনভাগের দুইভাগই প্রতিবেশি এবং দরিদ্রদের হক। অপরদিকে কোরবানি পশুর চামড়ার পুরো মূল্যই দরিদ্রদের হক। কাজেই চামড়ার মূল্য মানেই গরিবের সচ্চলতার একটি বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। ঈদুল ফিতরের সময় জাকাত, ফিতরা ইত্যাদি হলো গরিবের হক। যদি ইসলামী সঠিক বিধান পালন করে বিত্তবান সবাই তাদের জাকাত প্রদান করতো তাহলে সেই জাকাতের অথের্ দারিদ্র্য বিমোচন অনেকাংশে সম্ভব হতো। কিন্তু প্রকৃত অথের্ সেভাবে বণ্টন হয়না বলে সমস্যা থেকে যায়। কোরবানি ঈদেও তাই একই অবস্থা বিরাজিত। কারণ সেখানে খাওয়ার জন্য তার ভাগের কোরবানির মাংস বিভিন্ন ঘর থেকে পেলেও দেখা যায় চামড়ার মূল্য কম থাকার কারণে নগদ অথর্ কম পাচ্ছে দরিদ্ররা। সমাজে দরিদ্র বলতে যারা কারো বাড়িতে সাহায্য চাইতে আসে শুধু তারাই নয় এখানে আরও অনেকে আছেন যারা চামড়ার মূল্য পাওয়ার অধিকারী। যেমন ধরা যাক, কোনো একটি মাদ্রাসা, হেফজখানা, এতিমখানা ইত্যাদি পারিপাশ্বির্ক প্রতিষ্ঠান সরকারি সাহায্য ছাড়া সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতায় চলছে। সেখানেও কোরবানি ঈদের আগে বাড়িতে বাড়িতে নোটিশ পাঠিয়ে কিংবা দেয়ালে দেয়ালে পোস্টার লাগিয়ে কোরবানির পশুর চামড়া বা উহার মূল্য পুরো বা আংশিক দান করার আবেদন জানানো হয়ে থাকে। তারাও আসলে এসব চামড়ার মূল্যের দাবিদার হতে পারে। গত বছর অবশ্য চামড়া ব্যবসায়ীরা লবণের দাম বৃদ্ধির কথা বলে চামড়ার দাম কমিয়ে রেখেছিল। কিন্তু এবার লবণের দাম কিছুটা কমেছে তার পরও চামড়ার মূল্য না বাড়ানোর বিষয়টি রহস্যজনক। এখানে যে একটি বড় ধরনের সিন্ডিকেশন কাজ করছে তাতে কোনো সন্দেহ নেই। আরেকটি কথা থেকে যায় ট্যানারি শিল্পের সমস্যা নিয়ে। এখানেও ট্যানারি মালিকরা সরকারের নিদের্শনা না মেনে এখনো পুরনো ঢাকাতেই থেকে যেতে যাচ্ছেন। অথচ ১৯৫৪ সালে মোট ৭০টি ট্যানারি নিয়ে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে ট্যানারি শিল্পাঞ্চল স্থাপন করেছিলেন। বতর্মানে সেখানে প্রায় ২২০টির মতো ট্যানারি শিল্প রয়েছে। বহুদিনের নাগরিক দাবি ছিল নগরের পরিবেশ রক্ষাথের্ পুরাতন ঢাকার এসব ট্যানারি শিল্পগুলোকে ঢাকার বাইরে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়ার জন্য। সেই কাজের অংশ হিসেবে ঢাকার অদূরে সাভারের হেমায়েতপুরে নতুন করে পরিবেশসম্মতভাবে ট্যানারি শিল্পাঞ্চল গড়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো সেখানে সকল ধরনের সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করে দেয়ার পরও নানা অজুহাতে ট্যানারি মালিকরা ২২০টির মধ্যে মাত্র অধের্ক ট্যানারি স্থানান্তর করতে সমথর্ হয়েছেন। বাকীগুলো স্থানান্তরের জন্য নানা টালবাহানা করে চলেছেন তারা। কিন্তু সাভারে চামড়া শিল্প স্থানান্তর এখন সময়ের দাবী। তা যদি না হয় তাহলে এ শিল্পের জন্য এটি আরেকটি সমস্যা হয়ে থাকবে যার অজুহাত ট্যানারি মালিকরা দীঘির্দন দেখানোর সুযোগ পাবে। অথচ এটা শুধু একটা মাইন্ডসেটের বিষয় মাত্র। কারণ হাজারীবাগের ট্যানারিতে চামড়া এবং চামড়াজাত বজের্্যর জন্য সেখানকার পরিবেশতো বিনষ্ট হচ্ছেই সেই সাথে বিনষ্ট হচ্ছে আশপাশের খাল, নালা, ড্রেন এমনকি বুড়িগঙ্গা নদী। তবে যাই হোক না কেন একটি জায়গায় আমাদেরকে একমত হওয়া প্রয়োজন। আর সেটি হলো গরিব দুঃখীদের স্বাথর্ রক্ষায়। কারণ কোরবানির পশুর চামড়ার পুরোটাই গরিবের হক। কাজেই গরিবের এ হককে তাদের কাছ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। আমরা অনেকেই অনেক ধরনের ব্যবসা-বাণিজ্য করি। সব ব্যবসাতেই সমান লাভ হয় না। কোনটিতে কম আবার কোনটিতে বেশি। এই চামড়া ব্যবসাকে সেই বেশি লাভের একটি ব্যবসা হিসেবে বিবেচনা করলে তা হবে নীতিবিরুদ্ধ কাজ। সেজন্য অন্তত কোরবানির পশুর চামড়া গরিব-দুঃখী মানুষের প্রতি দায় মোচনের একটি ব্যবসা হিসেবে বিচেনা করলে তা হবে অন্যতম একটি মহৎ কাজ। কোরবানি ঈদ আসছে যদি চামড়া ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে এটাকে একটু স্মরণ করতে পারি তাহলে মনে হয় চামড়া শিল্প সমস্ত রাহুর কবল থেকে মুক্তি পেতে পারে। সরকারকে এ ব্যাপারে আরও উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে দরিদ্রদের স্বাথের্। কারণ চামড়া ব্যবসায়ীরা যদি দিনের পর দিন অবৈধ সিন্ডিকেশনের মাধ্যমে চামড়ার মূল্যকে স্থবির করে রাখে তাহলে প্রয়োজনে তা অধিক মূল্যের জন্য বিদেশে রপ্তানির দ্বার উন্মুক্ত করে দিতে হবে। যাতে ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বড়- সব ধরনের চামড়া ব্যবসায়ী তাদের চামড়া বিদেশে রপ্তানি করতে পারে। তাতে মনোপলি কেটে গিয়ে প্রতিযোগিতা তৈরি হলে দেশেই চামড়ার দাম বাড়তে বাধ্য। প্রয়োজনে আমাদের সেদিকেই দৃষ্টি দিতে হবে। তা না হলে বাংলার হতদরিদ্র মানুষ তাদের আরও একটি ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত হবে। তাছাড়া মৌসুমি এ চামড়া ব্যবসার সঙ্গে অনেক গ্রামীণ মধ্যস্বত্বভোগী খুচরা ব্যবসায়ীরা জড়িত থেকে সেসব কারসাজিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আসলে তারাও তো গরিব। এ ব্যবসাকে পুঁজি করে তারা কিছু লাভের আশা থেকে বঞ্চিত হয়ে সবর্স্বান্ত হচ্ছে, যা মোটেও কাম্য হতে পারে না। ড. মো. হুমায়ুন কবীর: কৃষিবিদ ও ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় শনফযঁসধুঁহ০৮@মসধরষ.পড়স