রাজনীতি: সেকাল একাল মোহাম্মদ মাসুদ খান

নব্বই দশকেও অনেক রাজনৈতিক নেতানেত্রী, এমপি, মন্ত্রীদের জীবনযাপন, চালচলন বর্তমান সময়ের মতো এত বিলাসী ও চাকচিক্যময় ছিল না। এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন, অর্থ ও ক্ষমতার দাপটই তাদের বদলে দিয়েছে।

প্রকাশ | ১২ মার্চ ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ছাত্রজীবনে সংগঠন এবং টুকটাক সাংবাদিকতার সুবাদে অনেক জাতীয় নেতাকে খুব কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়েছে। তাদের মধ্যে সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রী পর্যায়ের নেতারাও ছিলেন। ১৯৮৭ এবং ১৯৮৮ সালে পরপর দু'বছর দেশে ব্যাপক বন্যায় রাজধানীসহ দেশের অসংখ্য জেলা ও উপজেলা পস্নাবিত হয়। ১৯৮৭ সালের আগস্ট কিংবা সেপ্টেম্বর মাস। মিতা ভাই ফজল-এ-খোদা প্রতিষ্ঠিত শাপলা শালুকের আসরের পক্ষ থেকে ত্রাণ বিতরণ করতে আমরা (হামিদ মন্ডল ভাই এবং বন্ধু ফয়েজসহ) টাঙ্গাইল জেলার কালিহাতী যাই। সেখানে নৌকায় ত্রাণ বিতরণ করি- এলেঙ্গা, চেঁচুয়া, বাঁশি ইত্যাদি এলাকায়। ত্রাণ বিতরণকালে আমাদের সঙ্গে সেই সময়কার জাসদ সভাপতি শাহজাহান সিরাজ তার স্ত্রী রাবেয়া সিরাজ এবং বঙ্গবীর কাদের সিদ্দীকির ছোট ভাই বাবুল সিদ্দীকি ছিলেন। ত্রাণ বিতরণ করতে অনেক রাত হয়ে যায় তাই শাহজাহান সিরাজ আমাদের টাঙ্গাইল জেলার জাসদ সভাপতির বাড়িতে রাত্রিযাপনের ব্যবস্থা করেন। স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক বঙ্গবন্ধুর চার খলিফার এক খলিফা শাহজাহান সিরাজ আমাদের খোঁজ খবর নিতে রাতে আমাদের কাছে এসেছিলেন। তিনি আমাদের সঙ্গে কিছু সময় অতিবাহিত করেন। সারাদিন ত্রাণ বিতরণ করে তিনি ও পরিশ্রান্ত ছিলেন। বললেন, মাথাটা ধরেছে। তোমাদের কাছে কি প্যারাসিটামল হবে? ফয়েজের কাছে ছিল। তাকে আমরা প্যারাসিটামল দেই এবং তৎক্ষণাৎ তিনি সেটি সেবন করেন। তিনি আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন অত্যন্ত আন্তরিকভাবে। \হস্বৈরাচার এরশাদকে গণঅভু্যত্থানের মাধ্যমে বিদায় দিয়ে দেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনে গঠিত হয় ৫ম সংসদ। সেই সংসদের এমপি খুলনার শেখ হারুনুর রশীদ, দিনাজপুরের এম এ রহিম, সিলেটের নবাব আলী আব্বাস খান ও মুকিত খান, কুষ্টিয়ার পচা মোলস্না, নেত্রকোনার এম এ করিম আব্বাসী (তৎকালীন হুইপ), নোয়াখালীর বরকতউলাহ বুলু, চাঁদপুরের আলম খান ও আলমগীর হায়দার খান, নরসিংদীর শামসুদ্দিন এসহাক, কক্সবাজারের শাজাহান চৌধুরী, ভোলার মোশারফ হোসেন শাহজাহান (তৎকালীন সেচ প্রতিমন্ত্রী), চাঁপাইনবাবগঞ্জের মনজুর হোসেন, নোয়াখালীর হাতিয়ার অধ্যাপক ওয়ালীউলাহ, সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীসহ (তৎকালীন সংসদ উপনেতা) অর্ধ শতাধিক সংসদ সদস্য, মন্ত্রী এবং জাতীয় পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতাদের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তাদের সঙ্গে আলাপ চারিতায় অধিকাংশই ছিলেন আন্তরিক। দু-চার জন ব্যতিক্রম বাদ দিলে তাদের চালচলন ও কথাবার্তায় সাধারণ জীবনযাপনের চিত্র ফুটে উঠতো। সময়টা ৯১ সালের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে হবে। জাতীয় সংসদ ভবন সংলগ্ন এমপি হোস্টেলের ৪নং বস্নকের কোনো একটি কক্ষে গিয়েছি নোয়াখালীর হাতিয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের অধ্যাপক ওয়ালীউলাহর সাক্ষাৎকার নিতে। তখন রাত আনুমানিক ৮টা। এমপি ওয়ালীউলাহর কক্ষের দরজা সম্ভবত খোলাই ছিল। তার রুমে প্রবেশ করলাম। এমপি সাহেবের চেহারা আমার জানা ছিল না। দেখলাম একজন সু্যট-টাই পরা ভদ্রলোক ইজিচেয়ারে বসে ল্যান্ড ফোনে কথা বলছেন আর তার চারপাশে তাকে ঘিরে বসে আছেন আরো পাঁচ-ছয়জন। এমপিদের ঘিরে এমন চিত্র স্বাভাবিক। আমি দাঁড়িয়ে থাকায় বসে থাকা কালো-হ্যাংলা লুঙ্গিপড়া গায়ে চাদর জড়ানো একজন আমাকে তার পাশে বসতে বললেন। তিনি আমার কাছ থেকে সাপ্তাহিক পত্রিকার একটি কপি চাইলেন, তাই তার প্রতি খানিক বিরক্তি প্রকাশ করে বললাম পত্রিকাটি আপনার জন্য নয়, এমপি সাহেবের জন্য এনেছি। কিছুক্ষণ পর সু্যট-টাই পরিহিত ভদ্রলোকের ফোনে কথা শেষ হলে আমি তাকে আমার পরিচয় দেই, ফোনে পূর্বে যে কথা হয়েছে তাও তাকে জানাই। আমার কথা শুনে তিনি সামান্য বিব্রত হয়ে বলেন, আমি এমপি নই, এমপি সাহবের এলাকার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। এমপি অধ্যাপক ওয়ালীউলাহর দিকে ইঙ্গিত করে (যিনি লুঙ্গিপরা এবং চাদর গায়ে জড়ানো) বলেন, এমপি সাহেব আপনার পাশে বসে আছেন। চেয়ারম্যান সাহবের কাছে এমপি অধ্যাপক ওয়ালীউলাহর পরিচয় পেয়ে আমি ভীষণ লজ্জিত হই কারণ কিছুক্ষণ আগেই তিনি আমাকে তার পাশে বসিয়ে আমার কাছে তখন সাপ্তাহিক পত্রিকাটি চেয়েছিলেন। এমপি অধ্যাপক ওয়ালীউলাহ আমার অবস্থা বুঝতে পেরে আমাকে বললেন, সমস্যা নেই। সে দিন রাত সাড়ে ১০টা/১১টা পর্যন্ত এমপি সাহেবের সঙ্গে তার এলাকা নিয়ে অনেক কথা হয়। বিদায় বেলায় তিনি আমাকে সিঁড়ি পর্যন্ত এগিয়ে দেন। এমনই ছিলেন তখনকার জন প্রতিনিধি তথা সংসদ সদস্যরা। ওই সময় তার কিছু দিন আগে ১৯৯১ সালের জুন বা জুলাই মাসে তৎকালীন সরকারদলীয় সংসদ সদস্য নোয়াখালী থেকে নির্বাচিত বিএনপির বরকতউলাহ বুলুর সঙ্গে তার এমপি হোস্টেল সু্যটে এমপি কলাম এবং বাজেটে চামড়া শিল্প বিষয়ে দুইবার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করি। এমপি কলামের জন্য ১মবার সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় বরকতউলাহ্‌ বুলু অকপটে স্বীকার করে ছিলেন যে, আমার সঙ্গে 'এসপ্তাহ' পত্রিকার জন্য দেয়া সাক্ষাৎকারটি তার জীবনের প্রথম কোনো পত্রিকাতে সাক্ষাৎকার দেওয়ার অভিজ্ঞতা। সেই সময়কার সংসদ সদস্যরা এমন সরল স্বীকারোক্তি এ সময়ে সত্যি দুর্লভ। \হসেই সময়টাতে আরো অনেক সংসদ সদস্য এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের সরাসরি সাক্ষাৎকার নেওয়ার সৌভাগ্য আমার হয়েছিল। তখন জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্যরা প্রেস এড়িয়ে চলতেন। সহজে কোনো পত্রিকার মুখোমুখি হতে চাইতেন না। কারণ ওই সময়টাতে অধিকাংশ পত্রপত্রিকা ছিল এরশাদের জাতীয় পার্টির কড়া সমালোচক। সদ্য ক্ষমতা হারানো হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ওই সময় ছিলেন কারাগারে। তার অবর্তমানে এরশাদ সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মিজানুর রহমান চৌধুরী পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারমায়ন হিসেবে দলের নেতৃত্বে ছিলেন। \হনেতানেত্রীদের ঈদ নিয়ে একটি প্রতিবেদন লিখতে মিজানুর রহমান চৌধুরীর সঙ্গে আমার কথা হয় ১৯৯১ বা ১৯৯২ সালে কোন এক রমজানের ঈদের আগে। তখন তিনি জানান, রোজার ঈদ সাধারণত ঢাকায় করেন আর কোরবানির ঈদ তার চাঁদপুরের গ্রামের বাড়িতে পালন করেন। মিজান চৌধুরীর সঙ্গে আমার এই সাক্ষাৎকারের কথা পরবর্তী সময়ে জাতীয় পার্টির অন্যান্য সংসদ সদস্যের সঙ্গে সাক্ষাৎকার নেওয়ার আগে রেফারেন্স হিসেবে বলতাম, এতে তারা আমার সঙ্গে সাক্ষাৎকার দিতে সহজেই রাজি হতেন। উলেস্নখ্য, ১৯৯১ সালে পঞ্চম সংসদ নির্বাচনে সদ্যপতিত এরশাদের জাতীয় পার্টির আসন ছিল ৩৫টি যার সিংহভাগ ছিল বৃহত্তর রংপুর জেলায়। ওই সময়টাতে সংসদ সদস্যরা সাধারণ মানুষের সঙ্গে সহজেই মিশে যেতেন, এখনকার মতো এত প্রটোকলের বালাই ছিল না। তারা সাধারণ যানবাহনে চলাচল করতেন; কারণ, তখন সবার ব্যক্তিগত গাড়ি ছিল না। একদিন একজন সংসদ সদস্য স্কুটারে (বেবী ট্যাক্সি) চড়ে তার বস্নকে এসে নামলেন। স্কুটারকে এমপি হোস্টেলের ভেতরে নিয়ে আসায় চালক ওই সংসদ সদস্যের উদ্দ্যেশ উচ্চস্বরে কথা বলছিলেন। ব্যাপারটি এমপি হোস্টেলের একজন কর্মচারীর দৃষ্টিগোচর হয় তখন; সে এমপি সাহেবকে স্কুটার চালকের রোষানল থেকে রক্ষা করে। বর্তমান সময়ে এমন দৃশ্য কি কল্পনা করা যায়? পঞ্চম সংসদের কুষ্টিয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য পচা মোলস্নাকে লুঙ্গিজামা পরিহিত অবস্থায় এমপি হোস্টেলের পূর্ব দিকে অবস্থিত সড়ক সংলগ্ন একটি টং দোকান থেকে কসমেটিক পণ্য হাতে নিয়ে যাচাই করতেও দেখা গেছে- যা কিনা বর্তমান সময়ে চোখে পড়ে না। গত পনেরো-ষোলো বছর ধরে সেই চিত্র পট দ্রুত বদলে গেছে। এখন পাতি নেতাদের দাপটেও জনগণ দিশেহারা, তাদের ছবি যুক্ত ব্যানার পোস্টারে অলিগলি ভরপুর। অন্য দিকে অনেক সরকারি কর্মচারী-কর্মকর্তারা চালচলনের দাপট জনগণ মুখ বুঝে সহ্য করেন। তাদের বাহনে সাঁটা থাকে বিশেষ পরিচয়। জ্যাম এড়িয়ে উল্টা সড়কে চলতে তাদের দ্বিধা নেই। সরকারি বহু অফিসে গেলে তাদের দৌরাত্ম জনগণ টেরপান। এ সময়ে একজন স্কুল, বাজার/মার্কেট সমিতির সভাপতি/সম্পাদকের ক্ষমতার দম্ভও সাধারণ ব্যাপার। ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কিংবা ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের কথা বলাই বাহুল্য। একজন ওয়ার্ড কাউন্সিলরও দোর্দন্ড প্রতাপে নিজস্ব সৃষ্ট প্রটোকল নিয়ে চলাফেরা করেন- যা কিনা ভারতের দিলিস্নর তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের ক্ষেত্রেও ঘটে না। আমাদের দেশের জাতীয় নেতারা ষাট/সত্তর দশকে ও অতিসাধারণ জীবনযাপন করতেন। শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক, মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কিংবা মরহুম রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তারা সবাই অনাড়ম্বর সাদামাটা জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন। আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা, সুখ্যাতি, রাষ্ট্রক্ষমতা, আন্তর্জাতিক পরিচিতি থাকা সত্ত্ব্বেও ভোগবিলাস তাদের আক্রান্ত করেনি। মজলুম জননেতা মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী সারাজীবন আসবাবপত্রহীন ছোট্ট কুঁড়ে ঘরে জীবন কাটিয়েছেন। শরীরে সাদাপাঞ্জাবি, লুঙ্গি, মাথায় তালের আঁশের তৈরি টুপি এবং পায়ে চটি বা খড়ম পরে নিরহংকার পরিচ্ছন জীবন কাটিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশাল মাপের নেতা হওয়া সত্ত্বেও অতি সাধারণ জীবনযাপন করতেন। ষাটের দশকে তিনি ডিঙ্গি নৌকায় নদী পারাপার হতেন। রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার পরও তিনি জনসাধারণের সঙ্গে ঈদের নামাজ আদায় করতেন। যদিও জাতীয় ঈদ্গাহে তার নামাজ আদায় করার কথা। দেশ স্বাধীন হওয়ার পর ১৯৭২ সালে তিনি কলাবাগানের পাশে ধানমন্ডি ৮নং সড়কের কাছে ধানমন্ডি মাঠে ঈদের জামাতে শরিক হয়েছেন এবং নামাজের পর জনসাধারণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন। রাষ্ট্রে সর্বোচ্চ পদে অধিষ্ঠিত থাকা সত্ত্বেও তখন তার তেমন কোনো প্রটোকল ছিল না। বাংলাদেশের আরেকজন রাষ্ট্রপ্রধান জিয়াউর রহমানের সাধারণ ও বিলাসবিহীন জীবনযাপন সর্বজন স্বীকৃত। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে আমাদের অনেকেরই অত্যন্ত কাছ থেকে দেখার সুযোগ হয়ে ছিল- যখন তারা সত্যিকার অর্থে জনগণের নেতা ছিলেন। আশির দশকে তাদের আমরা দেখেছি, জনতার কাতারে পথেপ্রান্তরে। নব্বই দশকেও অনেক রাজনৈতিক নেতানেত্রী, এমপি, মন্ত্রীদের জীবনযাপন, চালচলন বর্তমান সময়ের মতো এত বিলাসী ও চাকচিক্যময় ছিল না। এখন প্রেক্ষাপট ভিন্ন, অর্থ ও ক্ষমতার দাপটই তাদের বদলে দিয়েছে। কোনো কোনো নেতানেত্রী প্রকাশ্যে জনগণের কথা বললেও অপ্রকাশ্যে তারা আমজনতার আশা-আকাঙ্ক্ষার ধার ধারেন না, সেই সময় তাদের নেই। বড়জোর ফটো সেশনের মাধ্যমে লোক দেখানো পর্যন্তই তাদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ। দেশের রাজনীতিকে মূলধারায় ফিরিয়ে নিতে হলে বর্তমান নেতানেত্রীদের আচরণ ও মানসিকতা বদলাতে হবে এবং এর কোনো বিকল্প নেই। মোহাম্মদ মাসুদ খান : সংগঠক এবং রপ্তানি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সধংড়ড়ফংঁঢ়ঃর@মসধরষ.পড়স