বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে

পেঁয়াজের দামে স্বস্তি

নতুনধারা
  ১৫ মার্চ ২০২০, ০০:০০

বহুদিন পরে পেঁয়াজের দামে স্বস্তি এসেছে। দাম কমেছে পেঁয়াজ ও রসুনের। বাজারে এখন কেজিপ্রতি ১০-৩০ টাকা পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম কমেছে। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা দরে। এক সপ্তাহ আগে এসব পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৭০-৮০ টাকা কেজি দরে। এ ছাড়া দাম কমে প্রতি কেজি চায়না মোটা পেঁয়াজ ৬০, রসুন দেশি ৯০ থেকে ১০০ টাকা, চায়না ১৪০-১৫০ টাকা। তবে পেঁয়াজের দাম কমলেও স্বস্তি দিচ্ছে না সবজিতে। বাজারে কেজিপ্রতি পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়ে বরবটি ১২০ টাকা, চিচিঙ্গা ১০০ টাকা, শিম ৫০-৬০ টাকা, টমেটো ৪০-৫০ টাকা, কাঁচামরিচ ১০০ টাকা, করলা ৮০-১০০ টাকা, উচ্ছে ১২০ টাকা, বেগুন ৬০-১০০ টাকা, গাজর বিক্রি ৪০-৫০ টাকা, পেঁপে ২৫-৩০ টাকা, কচুর লতি ৬০-৮০ টাকা, বড় কচু ৫০ টাকা, বিট ৩০-৪০ টাকা, শসা ৪০ টাকা, শিমের বিচি ১০০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়।

আমাদের প্রশ্ন হচ্ছে, বাজারে প্রচুর সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও কেন দাম আবার বাড়ছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। আমরা বারবার বলে আসছি, এটা দেশের অতি মুনাফাখোর অসাধু ব্যবসায়ীদের কারসাজি। যে কারসাজি এখনো বন্ধ হয়নি। এরা বারবার জনগণকে জিম্মি করে মুনাফা লুটছে। অতীতে চিনি ও পেঁয়াজের দাম বাড়িয়ে এরা মুনাফা লুটেছিল। সবজির মাধ্যমেও এরা মুনাফা লুটতে চাচ্ছে। সঙ্গত কারণেই বাজার দ্রম্নত নিয়ন্ত্রণ করতে হবে।

এ কথা সত্য, রসনাবিলাসের জন্য পেঁয়াজের গুরুত্ব অপরিসীম। রন্ধনশিল্পে পেঁয়াজ একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রতিদিনের রান্নায় পেঁয়াজের জোগান জরুরি। ৪০ টাকার পেঁয়াজ কী করে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছিল তা ভাবতে অবাক লাগে। সামনে পবিত্র রমজান। এখনই যদি নিত্যপণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণে আনা না যায় তা হলে আবারও বড় ধরনের জিম্মিদশায় পড়বে দেশের সাধারণ জনগণ।

বাংলাদেশের মাটি ও আবহাওয়া পেঁয়াজ চাষের জন্য বেশ উপযোগী। ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করা গেলে প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ দেশেই উৎপাদন করা সম্ভব। সরকারের পক্ষ থেকে পেঁয়াজ চাষের জন্য চাষিদের বিশেষ প্রণোদনা দেয়া হয়েছে। এখন আর বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না। তবে আমদানিনির্ভরতা এখনো কমেনি।

আমরা দীর্ঘদিন থেকেই লক্ষ্য করে আসছি, আমদানিকৃত পেঁয়াজের আগ্রাসনের কারণে বাংলাদেশের কৃষক পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য পান না। অন্যদিকে প্রয়োজনীয় সংরক্ষণের ব্যবস্থা না থাকায় দেশে উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় শতকরা ৩০ ভাগ পচে নষ্ট হয়ে যায়। পেঁয়াজ সংরক্ষণের যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে সরকারকেই এবং এর কোনো বিকল্প নেই।

আমরা মনে করি, আসন্ন রমজানের অজুহাত তুলে অসাধু অতিলোভী ব্যবসায়ীরা যাতে পেঁয়াজের দাম আবার বাড়িয়ে দিতে না পারে সেদিকে সরকার ও সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নিয়মিত বাজার মনিটরিং করতে হবে। বাজার মনিটরিং করা না হলে যে কোনো সময় দাম বেড়ে যেতে পারে। অতীতের বাজারকেন্দ্রিক সংস্কৃতি আমাদের তা-ই স্মরণ করিয়ে দেয়। কার্যকর ও পরিকল্পিত উদ্যোগই কেবল পারে অন্যান্য নিত্যপণ্যসহ পেঁয়াজের বাজার নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<92589 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1