হ্যালো লিডার হ্যালো মিনিস্টার

শুধু কথায় নয়, কাজেও হোক বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ

আজকের এই দিনে আমাদের ইতিহাসের শেকড় খুঁজতে হবে। ইতিহাসের বাঁক পরিক্রমার চিত্রাবলি অনুধাবণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের পিতা-মাতার কাছে যেমন জন্মঋণ রয়েছে, তেমনি নিজের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর কাছে অপরিমেয় ঋণাবদ্ধ আমরা। সেই ঋণ চাইলেও পুরোটা শোধ করা সম্ভব নয়। তবে বঙ্গবন্ধুর মতো মহাত্মাকে বিনম্রচিত্তে স্মরণ করে আমরা অন্তত কিছুটা দায়মুক্ত হতে পারি।

প্রকাশ | ১৭ মার্চ ২০২০, ০০:০০

সোহেল হায়দার চৌধুরী
আজ বাংলাদেশের এক সোনাঝরা দিন। আলো ঝলমলে আনন্দের অনন্য এক দিন। ক্যালেন্ডারের ধারা পরিক্রমায় দিনটি এসেছে ঠিকই কিন্তু ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় বিশেষ এই দিনটি নতুন দিনের বারতা ছড়িয়ে গেছে। চিরবঞ্চিত চিরশোষিত বাঙালিদের ভাগ্যবদল ও অধিকার আদায়ের লড়াইয়ে চিরসংগ্রামী এক মহাত্মার জন্ম আজকের এই দিনে। এই দিনে তিনি জন্ম নিয়ে শুধু যে তার বাবা-মা বা আত্মীয়-স্বজনদের আনন্দের জোয়ের ভাসিয়েছেন তা নয়, বরং সময়মতো পুরো বাঙালি জাতিকে মুক্তির আনন্দে অবগাহন করিয়েছেন। পরাধীনতার নাগপাশ ছিন্ন করে হাজার বছরের বাঙালিকে এনে দিয়েছেন স্বাধীনতা, বিশ্বের বুকে এঁকে দিয়েছেন বাংলার মানচিত্র। উড়িয়ে দিয়েছেন বাংলার লাল-সবুজের পতাকা। ১৯২০ সালের আজকের দিনে অর্থাৎ ১৭ মার্চ জন্ম হয়েছিল বাঙালির শোষণ-বঞ্চনার চিরকালীন বৃত্ত ভঙ্গের মহানায়ক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের। সে কারণেই ১৭ মার্চ বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যরকম একটি দিন। ফরিদপুর জেলার গোপালগঞ্জ মহকুমার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মেছিলেন যে খোকা তিনিই হয়ে উঠেছিলেন বাঙালি জাতির কান্ডারি, আলোর দিশারী। সাহসের ঝান্ডা উড়িয়ে মুক্তির জয়গান গাইতে গাইতে মা-বাবার প্রিয় খোকা শেখ মুজিব থেকে বঙ্গবন্ধু হয়ে জাতির পিতায় পরিণত হয়েছেন। বাঙালিদের আবেগ-বিশ্বাস, অনুভবে যিনি নিজের যোগ্যতা-সক্ষমতা ও সততা-একনিষ্ঠতায় ঠাঁই করে নিয়েছিলেন। ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে দেশ বিভাগের পর ১৯৪৮ থেকে বাঙালি জাতির ভাগ্যবদলের লড়াই শুরু করেছিলেন বঙ্গবন্ধু। ধারাবাহিক সে লড়াইয়ের চূড়ান্ত রূপ দেখা যায় ১৯৭১ সালে। এই দীর্ঘ পথপরিক্রমায় বঙ্গবন্ধুর মতো এত ত্যাগ আর কোনো নেতা করতে পেরেছেন। তার মতো হয়রানি-নির্যাতনের শিকারই বা হয়েছেন কজন। বঙ্গবন্ধু তার জীবনীশক্তির পুরোটাই ব্যয় করেছিলেন বাঙালিদের জন্য। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন ও পাকিস্তানবিরোধী আন্দোলনে তার ভূমিকা সমসাময়িক অনেক নেতাকে হার মানিয়ে দিয়েছে। বাঙালি জাতির ভাগ্যবদলের জন্য জাতি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন নেতাকে লড়াই করতে দেখেছে। কিন্তু লক্ষ্য স্থির করে বঙ্গবন্ধুর মতো ধারাবাহিক লড়াই-সংগ্রাম আর কেউ করতে পারেননি। বাঙালির আবেগ-উত্তাপ ধরতে পারেননি আর কোনো সমসাময়িক নেতা। ১৯২০ থেকে ১৯৭৫-মাত্র ৫৫ বছর। এই সময়ে বঙ্গবন্ধু ভাষার জন্য লড়াই করেছেন। দেশের মানুষের অধিকার আদায় ও মর্যাদা রক্ষার জন্য একাধিক নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। শিক্ষা আন্দোলন করেছেন। আওয়ামী লীগের মতো প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলকে অসাম্প্রদায়িক চেতনাবাহী দলে পরিণত করেছেন। দলের জন্য মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেছেন। ৬ দফা ঘোষণা করে পাকিস্তানি শাসকচক্রের ভিত কাঁপিয়ে দিয়েছেন। হামলা-মামলা-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন পদে পদে। কিন্তু কোনো আপস করেননি। নিজের অবস্থান থেকে একচুলও নড়েননি। সমসাময়িক অনেক নেতা তাকে নানা পরামর্শ দিয়ে লক্ষ্যচু্যত করার চেষ্টা করলেও বঙ্গবন্ধু জনগণের ওপর বিশ্বাস রেখে জনতার মুক্তির লড়াইয়ে অবিচল ছিলেন। আজ যথাযথ মর্যাদায় সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ পালন করা হবে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এবারের জন্মদিন শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বজুড়ে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে উদযাপিত হবে। গত বছরের শেষে ইউনেস্কোর ৪০তম সাধারণ অধিবেশনে বঙ্গবন্ধু জন্মশতবর্ষ আন্তর্জাতিকভাবে পালনের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত পাস হয়। ফলে মহামানবের জন্মশতবর্ষের আয়োজন দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে তথা বিশ্বের ১৯৫টি দেশে ছড়িয়ে পড়বে। অসীম ত্যাগী এই মহামানব তার জীবদ্দশায় নিজের জন্মদিন উদযাপন করতেন না। ১৯৬৭ সালের ১৭ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান কারাগারের রোজনামচায় লিখেছিলেন, 'আজ আমার ৪৭তম জন্মবার্ষিকী। এই দিনে ১৯২০ সালে পূর্ব বাংলার এক ছোট্ট পলিস্নতে জন্মগ্রহণ করি। আমার জন্মবার্ষিকী আমি কোনোদিন নিজে পালন করি নাই। বেশি হলে আমার স্ত্রী এই দিনটাতে আমাকে ছোট্ট একটা উপহার দিত। এই দিনটিতে আমি চেষ্টা করতাম বাড়িতে থাকতে। খবরের কাগজে দেখলাম ঢাকা সিটি আওয়ামী লীগ আমার জন্মবার্ষিকী পালন করছে। বোধ হয়, আমি জেলে বন্দি আছি বলেই। আমি একজন মানুষ, আর আমার আবার জন্মদিবস! দেখে হাসলাম।' বাঙালির অধিকার আদায়ের প্রশ্নে, শোষণ-বঞ্চনা থেকে মুক্তির লক্ষ্যে বারবার নিজের জীবনকে বিপন্ন করে তুলেছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। মৃতু্যর মুখোমুখি হয়েও আপস করেননি। আগরতলা মামলায় ফাঁসির রজ্জুর সামনে মুখোমুখি হয়েও বিন্দুমাত্র লক্ষ্যচু্যত হননি। একাত্তর সালে পাকিস্তানের কারাগারে সেলের পাশে তার জন্য কবর খোঁড়া হয়েছিল। মৃতু্যচিন্তা উপেক্ষা করে তিনি তখন বলেছিলেন, 'ফাঁসির মঞ্চে গিয়েও বলব, আমি বাঙালি, বাংলা আমার ভাষা, বাংলাদেশ আমার দেশ।' ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি মুক্ত স্বদেশে ফিরে তিনি বলেছিলেন, 'আজ আমার জীবনের সাধ পূর্ণ হয়েছে, আমার বাংলাদেশ আজ স্বাধীন।' বঙ্গবন্ধুর জীবনের লক্ষ্য ছিল একটাই। সাধ বা স্বপ্নও ছিল একটা। আর তা হলো স্বাধীন বাংলাদেশ। সে লক্ষ্যে তিনি প্রায় ২৪ বছর লড়াই-সংগ্রাম করেছেন। দেশের মানুষের উপর আস্থা রেখে, দেশের মানুষকে ভালোবেসে তিনি বারবার দেশের মানুষের মুক্তির লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। সেই দেশের মানুষ আজ দলমতের ঊর্ধ্বে উঠে অন্তত এটুকু উপলব্ধি করা দরকার, বঙ্গবন্ধু না হলে আজ বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। যে যে অবস্থানে রয়েছেন দেশ স্বাধীন না হলে সেটুকু প্রাপ্তি অনেকের জীবনে ঘটতো না। আর স্বাধীনতা শুধু একদিনের ঘোষণা বা লড়াইয়ের মাধ্যমে আসেনি। বঙ্গবন্ধু ধাপে ধাপে ধারাবাহিক আন্দোলন-সংগ্রামের মাধ্যমে স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন। স্বাধীনতার লড়াইয়ের জন্য দেশের মানুষকে প্রস্তুত করেছেন। আন্তর্জাতিক মহলকে মুক্তিযুদ্ধের সমর্থন প্রদানের প্রেক্ষাপট তৈরি করেছেন। দেশের রাজনৈতিক বিভাজনের কারণে নানাজন নানাভাবে বঙ্গবন্ধুকে চিত্রায়ন করার চেষ্টা করেন। এরা কখনোই ভাবেন না যে, এই মানুষটি না হলে আজ স্বাধীন দেশে মাথা তুলে মর্যাদা নিয়ে বাঁচার অধিকার আমরা পেতাম না। দেশে সঙ্কট আছে, সমস্যা আছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুকে খাটো করে যারা দেখেন তারা সমস্যা-সঙ্কট সমাধানের বঙ্গবন্ধুর অবদানকে বিতর্কিত করার যে চেষ্টা করেন তা থেকে বেরিয়ে আসা দরকার। ইতিহাস সাক্ষ্য দেয়, বঙ্গবন্ধুর সময়কালে তার গুরুসম নেতারাও তাকে নেতা মেনে সামনে এগিয়েছেন। সেই নেতা বা সেই আদর্শকে আমরা কতটা সম্মান জানিয়ে দেশ গড়ার কাজ করতে পারছি বা রাজনীতির কথা বলছি তা ভাবতে হবে এখনই। বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষের এই শুভলগ্নে আমাদের উচিত হবে তার জীবন ও কর্ম নিয়ে আরও বেশি গবেষণা ও পর্যালোচনা করা। একটি মানুষ নিজের জীবনকে বারবার তুচ্ছ করে দেশের মানুষের কল্যাণে কি করে নিজেকে নিবেদিত করেছেন সে সূত্রটি আজ আমাদের জানা প্রয়োজন। বাঙালি জাতির আরাধ্য পুরুষের জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষ নানা স্বপ্ন দেখছে। এই মাহেন্দ্রক্ষণটি বাঙালি ও বাংলাদেশিদের জন্য অবশ্যই নতুন আশা ও স্বপ্নের বীজ বুনে দিয়ে যাবে। মুজিববর্ষ আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি আয়োজন। এর মাধ্যমে বফুালি জাতি শুধু যে বঙ্গবন্ধুকে জানবে তা নয়, একইসঙ্গে বাঙালির ইতিহাস-ঐতিহ্য ও অর্জনের ধারাক্রম সম্পর্কেও সুস্পষ্ট ধারণা পাবে। জীবনের পুরোটাই জাতির জন্য ব্যয় করে বঙ্গবন্ধু মিশে গেছেন বাংলাদেশের অস্তিত্বের সঙ্গে। দেশের হৃদস্পন্দনের সঙ্গে। তাই তো ইতিহাস বলে, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন। কভিড করোনাভাইরাস বা নবেল করোনাভাইরাসের জন্য মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান সীমিত করা হলেও বাঙালিরা বিনম্র চিত্তে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করবে। প্রণতি জানাবে মহাত্মা বঙ্গবন্ধুর প্রতি যিনি নিজের জীবন তুচ্ছ করে বাঙালির অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করে গেছেন। বাঙালির জাতীয় জীবনে ও হৃদয়মানসে বঙ্গবন্ধু একক এবং অকৃত্রিম নেতা হয়ে বসবাস করছেন। একসময় বঙ্গবন্ধুকে আড়াল করার জন্য, তার মাহাত্ম্য গোপন করার জন্য বা নামটি ইতিহাস থেকে ছেঁটে ফেলার জন্য সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া প্রত্যক্ষ-পরোক্ষভাবে কম চেষ্টা করেননি। কিন্তু সময় সেসব চেষ্টাকে আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করেছে। বঙ্গবন্ধুকে খাটো করার চেষ্টামত্তরা আজ নিজেরাই বিভ্রান্ত। রাজনৈতিক লক্ষ্য নিয়ে যারা বঙ্গবন্ধুকে বিতর্কিত করার অপপ্রয়াসে ব্যস্ত ছিলেন, তাদের অনেকেই এখন প্রকাশ্যে বঙ্গবন্ধুর প্রতি নিজেদের আনুগত্য প্রকাশ করেছেন। বাঙালিরা এখন অন্তত উপলব্ধি করতে পারে বঙ্গবন্ধুর জন্ম না হলে তারা মাথা তুলে বুক চিতিয়ে দাঁড়াতে পারত না। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব পেত না হাজার বছর নির্যাতিত বাঙালি সমাজ। একথা সবাই উপলব্ধি করতে পারে, সততা, দেশপ্রেম, মানবপ্রেম ও ধারাবাহিক ত্যাগের কারণে বঙ্গবন্ধু দিনে দিনে চিরভাস্বর হয়েছেন। আজকের এই দিনে আমাদের ইতিহাসের শেকড় খুঁজতে হবে। ইতিহাসের বাঁক পরিক্রমার চিত্রাবলি অনুধাবণ করতে হবে। মনে রাখতে হবে, আমাদের পিতা-মাতার কাছে যেমন জন্মঋণ রয়েছে, তেমনি নিজের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বঙ্গবন্ধুর কাছে অপরিমেয় ঋণাবদ্ধ আমরা। সেই ঋণ চাইলেও পুরোটা শোধ করা সম্ভব নয়। তবে বঙ্গবন্ধুর মতো মহাত্মাকে বিনম্রচিত্তে স্মরণ করে আমরা অন্তত কিছুটা দায়মুক্ত হতে পারি। একই সঙ্গে যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বিশ্বাসী বলে নিজেদের পরিচিত করতে সদা ব্যস্ত, তাদের উচিত হবে বাক্যে ও কথনে বঙ্গবন্ধুকে ব্যবহার না করে তার প্রকুত আদর্শ ধারণ করে এগিয়ে যাওয়া। বঙ্গবন্ধু আজ আর শুধু আওয়ামী লীগের নন; তিনি আজ পুরো জাতির, পুরো পৃথিবীর। আজ আর শুধু কথা দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করলে চলবে না। তার গুণাবলিকে ধারণ করে কাজের মাধ্যমে প্রকাশ ঘটাতে হবে। হাদিসে বলা হয়েছে- 'যে ব্যক্তি বাক্যে-কর্মে ও চিন্তায় সৎ নয়, তিনি প্রকৃত প্রস্তাবে সত্যনিষ্ঠ নন।' বঙ্গবন্ধু তেমন একজন মানুষ ছিলেন বলেই শত প্রতিকূলতার মধ্যেও লড়াই করেছেন। লক্ষ্য স্থির করে বিজয় ছিনিয়ে এনেছেন। জন্মশতবর্ষের এই শুভক্ষণে বঙ্গবন্ধুর অনুসারীদেরই সবচেয়ে বেশি আদর্শবান হতে হবে। কারণ বঙ্গবন্ধু কখনো আদর্শহীন হননি। সোহেল হায়দার চৌধুরী: বিশেষ সংবাদদাতা, দৈনিক যায়যায়দিন, সদ্য বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)