পুনরাবৃত্তি রোধে পদক্ষেপ নিতে হবে

কলেজছাত্র খুন

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে। অথচ এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে, খুন, ধর্ষণ, চাঁদাবাজিসহ যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা সামগ্রিক উন্নয়ন ও মানুষের স্বাভাবিক জীবনের জন্য পরিপন্থি। সঙ্গত কারণেই কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে হলেও এই ধরনের অপকর্মকে প্রতিহত করার বিকল্প নেই। কেননা, তা না হলে এর প্রভাব অত্যন্ত আতঙ্কজনক বাস্তবতাকেই স্পষ্ট করবে- যা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। বর্তমান সময়ের দিকে দৃষ্টি দিলে যে চিত্র পরিলক্ষিত হয় তা অত্যন্ত উদ্বেগজনক বলেই প্রতীয়মান হয়। কেননা, পত্রপত্রিকার পাতা উল্টালেই দেখা যায়, একের পর এক খুন, ধর্ষণ, রাহাজানি, ছিনতাইসহ নিত্যনতুন উপায়ে অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছেই। প্রসঙ্গত বলা দরকার, সম্প্রতি আবারো কলেজছাত্র খুনের ঘটনা ঘটল। পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরের তথ্য মতে, যশোরের মণিরামপুরে এক কলেজছাত্র খুন হয়েছেন। মঙ্গলবার ভোরে উপজেলার পলাশী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মসজিদের পেছন থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। আমরা বলতে চাই, এভাবে যদি একের পর এক খুনের মতো ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটতে থাকে, তবে পরিস্থিতি কতটা আশঙ্কা এবং ভীতিপ্রদ বাস্তবতাকে নির্দেশ করে তা অনুধাবন করা এবং এর পরিপ্রেক্ষিতে কার্যকর উদ্যোগ নিশ্চিত করা জরুরি। আমরা মনে করি, এই খুনের ঘটনাটি আমলে নিতে হবে। সুষ্ঠুতদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। কেননা, এটা মনে রাখা দরকার, এভাবে মানুষ খুন হবে, চলে যাবে না ফেরার দেশে- এমনটি গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। আর শুধু এই ঘটনাই নয়, এর আগেও বিভিন্ন সময়েই খুনের ঘটনা ঘটেছে। ফিল্মি স্টাইলেও খুনের ঘটনা ঘটেছে। দিনেদুপুরে কুপিয়ে হত্যার মতো ঘটনাও ঘটেছে। এ ছাড়া পরিবারিক কলহ, অনৈতিক সম্পর্ক, আধিপত্য বিস্তারসহ নানা কারণে একের পর এক হত্যাকান্ডের ঘটনা পত্রপত্রিকায় উঠে এসেছে বিভিন্ন সময়েই। এমন নৃশংসতা সামনে আসে বারবার- যা মানুষের সমাজে ঘটার কথা নয়। সঙ্গত কারণেই এই ধরনের ঘটনাগুলো আমলে নিতে হবে এবং পুনরাবৃত্তি রোধে করণীয় নির্ধারণপূর্বক তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নও নিশ্চিত করতে হবে। বলার অপেক্ষা রাখে না যে, কলেজ শিক্ষার্থী খুনের ঘটনা এর আগেও নানা সময়ে ঘটেছে। অথচ এমন মৃতু্যর বিভীষিকা কোনোভাবেই কাম্য হতে পারে না। আমরা মনে করি, সামগ্রিকভাবে এই ভীতিপ্রদ বাস্তবতা আমলে নিতে হবে এবং সামগ্রিকভাবে একের পর এক যেভাবে হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে তা আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্টদের উদ্যোগী হতে হবে। মনে রাখা দরকার- একের পর এক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাগুলো আমলে নিলে যে চিত্র পরিলক্ষিত হয় তা অত্যন্ত ভীতিপ্রদ বাস্তবতাকে সামনে আনে, তাই এই ধরনের আশঙ্কাজনক পরিস্থিতি নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের বিকল্প নেই। সংশ্লিষ্টদের এটাও মনে রাখা দরকার, এর আগে বিভিন্ন সময়ে যেসব হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটেছে, তা আমলে নিলে এমন ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি হতো না। অথচ এসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মানুষের বসবাসের স্বাভাবিকতার জন্যই হুমকিস্বরূপ, যার পুনরাবৃত্তি রোধে সর্বাত্মক উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। সর্বোপরি বলতে চাই, এই ধরনের ঘটনা কেন ঘটছে, কেন মানুষের মধ্যে হিংস্র প্রবণতা তৈরি হচ্ছে এই বিষয়গুলোকে সামনে রেখে কারণ অনুসন্ধান করা এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। এবারের ঘটনা ছাড়াও প্রতিনিয়ত যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটছে সেগুলো আমলে নিতে হ্েব এবং মনে রাখা দরকার, একের পর এক অপরাধমূলক ঘটনায় জনজীবনের স্বাভাবিকতা হয়ে উঠছে ঝুঁকিপূর্ণ। এমন ভয়াবহ ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্টরা সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাক এমনটি কাম্য।