বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১
কার্যকর পদক্ষেপ নিন

বাড়ছে ডেঙ্গু রোগী

নতুনধারা
  ২১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

ডেঙ্গুসংক্রান্ত পরিস্থিতি কতটা উদ্বেগের তা এর আগেও আলোচনায় এসেছে। বলার অপেক্ষা রাখে না, ডেঙ্গুসংক্রান্ত এক ধরনের আতঙ্কও ছড়িয়েছে দেশে। যদিও চিকিৎসকরা বারবার বলেছিলেন, ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই, বরং সতর্কতা এবং সচেতনতা প্রয়োজন। আমরা মনে করি, ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথাযথ উদ্যোগ অব্যাহত রাখা জরুরি। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভর্তির খবর সামনে এসেছে। এ ছাড়া জানা গেছে এবার জানুয়ারি মাসে হাসপাতালে সর্বোচ্চ ১৯৯ জন ডেঙ্গু রোগী ভর্তি হয়েছেন। আর চলতি বছরের ফেব্রম্নয়ারিতে ৪৫ জন, মার্চে ১৯ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি থেকে আজ পর্যন্ত রাজধানীসহ সারা দেশে বিভিন্ন হাসপাতালে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত ও সন্দেহজনক ডেঙ্গু রোগ নিয়ে ২৬৫ জন ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ছাড়পত্র নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন ২৬২ জন।

প্রসঙ্গত বলতে চাই, এর আগে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন মিলিয়ে অন্তত ১০ শতাংশ এলাকায় ঝুঁকিপূর্ণ মাত্রায় ডেঙ্গুজ্বরের বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়ার বিষয়টি সামনে এসেছিল। আর এখন যখন ডেঙ্গু রোগীর ভর্তির তথ্য জানা যাচ্ছে তখন আমরা মনে করি, সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে হবে সংশ্লিষ্টদেরই। আমরা মনে করি, এটাও আমলে নেওয়া দরকার, মশা নিয়ন্ত্রণে মশার প্রজনন উৎসে নজর দেওয়ার পরামর্শর বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে- ফলে সেটিকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। কেননা মশার যদি উৎস ধ্বংস না করা হয়, তাহলে শুধু লার্ভিসাইডিং করে মশা কমানো যাবে না। এ ছাড়া নাগরিকদেরও এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। সামগ্রিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হওয়া দরকার, সচেতনতার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা।

বলার অপেক্ষা রাখে না, বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রান্ত উদ্বেগ উৎকণ্ঠা ছড়িয়ে পড়েছে সারা বিশ্বেই। পৃথিবীর নানা দেশে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বাংলাদেশেও করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ফলে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার পাশাপাশি ডেঙ্গুজ্বরের বিষয়টিও এড়ানো যাবে না। ডেঙ্গুসংক্রান্ত ঝুঁকির বিষয় যেমন আমলে নিতে হবে, তেমনিভাবে ডেঙ্গুসংক্রান্ত বিগত দিনের পরিস্থিতিও ভুলে যাওয়া যাবে না। সেই বিষয়গুলো পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে সংশ্লিষ্টদের ডেঙ্গুর বিস্তার রোধে কার্যকর উদ্যোগ অব্যাহত রাখা জরুরি বলেই প্রতীয়মান হয়। মশা নিধন কার্যক্রম বৃদ্ধি, সচেতনতা সৃষ্টিতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণাসহ পরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ ও তার সুষ্ঠু বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। মনে রাখতে হবে যে- আগামীতে যেন ডেঙ্গুর বিস্তার না হয় সে জন্য এখন থেকেই সর্বাত্মক প্রচেষ্টা জারি রাখা অপরিহার্য বিষয়।

সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, এমনটিও জানা গিয়েছিল, বিভিন্ন নির্মাণ এলাকায় মশার উপস্থিতি তুলনামূলক বেশি পাওয়া গেছে- ফলে এ দিকটি সামনে রেখে অধিকতর নজর দিতে হবে। এ ছাড়া এটাও মনে রাখা দরকার, সংশ্লিষ্টদের তৎপরতা এবং সার্বিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি সচেতনতা বৃদ্ধি জরুরি। মশার বিস্তার রোধে পরিবেশ ঠিক রাখতে হবে। এ ছাড়া ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্কের পরিবর্তে মানুষ যেন সচেতন হয় সেটি নিশ্চিত করতে হবে। এডিস মশা বৃদ্ধির স্থান ধ্বংস করতে জনসাধারণের সচেতনতা যেমন জরুরি, তেমনি সংশ্লিষ্টদেরও সামগ্রিক পদক্ষেপ জারি রাখতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি আমলে নিয়ে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে এমনটি কাম্য।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<93424 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1