মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি

শেখ হাসিনার কাছ থেকে শিখতে পারেন নরেন্দ্র মোদি

আমাদের দেশে আজ যেভাবে 'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার' মর্মবাণী জনগণের হৃদয়মূলে ঠাঁই নিয়েছে তাতে পৃথিবীর কাছে প্রকৃত অর্থে সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ হিসেবে আমরা স্থায়ী পরিচিতি পেতে পারি। সে জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অসাম্প্রদায়িক ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের বন্ধু বলে গর্ব করা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্গবন্ধুকন্যার কাছ থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কীভাবে রক্ষা করতে হয় সে শিক্ষা নিতে পারেন। অনুসরণ করতে পারেন তার মডেল। একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ধর্ম বা গোষ্ঠীর বাইরে এসে দেশ শাসন করতে পারলে পুরো দক্ষিণ এশিয়াই তাতে উপকৃত হবে।
সোহেল হায়দার চৌধুরী
  ২৫ মার্চ ২০২০, ০০:০০

যে কোনো রাষ্ট্রের মূল ভিত্তি হলো অসাম্প্রদায়িকতা। সাম্প্রদায়িক ধ্যান-ধারণা আঁকড়ে কোনো গণতান্ত্রিক বা স্বাধীন রাষ্ট্র সামনে এগোতে পারে না। রাষ্ট্রে নানা ধর্মের, নানা মত-পথের, নানা বিশ্বাসের, নানা নৃগোষ্ঠীসহ বহু ধরনের মানুষ বসবাস করে। আর রাষ্ট্রের কাজ হলো ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার অধিকার, মর্যাদা ও বিশ্বাস সংরক্ষণ করা। অথচ বর্তমান বিশ্বে অনেক রাষ্ট্র সেটা পারছে না। বিভিন্ন সময়ে কমবেশি সাম্প্রদায়িক চরিত্র বিশ্বের বহু রাষ্ট্রে লক্ষ্য করা গেছে।

তবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আজ বাংলাদেশে বহুগুণ বেড়েছে। 'ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার' এই মর্মবাণী নিয়ে অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্বাধীন বাংলাদেশ যে যাত্রা শুরু করেছিল, সে ধারাবাহিকতায় আজ এ দেশে 'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার' এ তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা লাভ করেছে। আর এ কৃতিত্বের অন্যতম দাবিদার স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পিতা এবং কন্যা তাদের রাজনৈতিক লড়াইয়ে এবং রাষ্ট্রক্ষমতায় আসীন হয়ে যেভাবে সব ধর্মের মানুষের অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রেখেছেন তা বিশ্ববাসীকে আশাবাদী করেছে। একসময় শুধু নববর্ষ ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে বাঙালির উৎসব থাকলেও রাষ্ট্রবাস্তবতায় এখন মুসলমানদের ঈদ, হিন্দুদের পূজা, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টানদের ধর্মীয় আয়োজন আর শুধু ধর্ম পালনকারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এখন যে কোনো ধর্মীয় আয়োজন হয়ে উঠেছে সার্বজনীন। এর পেছনে মূলত বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং ধর্ম বিশ্বাসীদের অধিকার সুরক্ষার নৈতিক চিন্তা কাজ করেছে।

শুধু দক্ষিণ এশিয়ার দিকে তাকালে দেখা যাবে, এই ভূখন্ডের তিনটি প্রতিবেশী রাষ্ট্রের মধ্যে ভারত ও পাকিস্তানে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প যেভাবে উত্তপ্ত হয়ে আছে, বাংলাদেশ তার তুলনায় অনেক ভালো অবস্থানে রয়েছে। পাকিস্তান ও ভারতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নানা সাম্প্রদায়িক অঘটন ঘটছে। পাকিস্তানের মতো একটি পুরনো রাষ্ট্র শুধু সাম্প্রদায়িকতা, প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সেনাশাসন ও প্রভাবশালীদের দুর্নীতির কারণে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হওয়ার কথা কে-না জানে? শোষণ-বঞ্চনার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক মানসিকতা ও চরিত্রের কারণে পাকিস্তানের সঙ্গে বাঙালিরা কখনোই আপস করতে পারেনি। ১৯৪৭ সালে দ্বি-জাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে (হিন্দু-মুসলিম) দেশবিভাগের পরে পাকিস্তানের সঙ্গে বাঙালিদের না থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে যায়।

অন্যদিকে বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক স্থিতাবস্থা নিয়ে আমরা গর্ববোধ করতে পারি। অসাম্প্রদায়িক চেতনাকে ধারণ করে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছিল। ইসলাম ধর্মের প্রতি নিবেদিত হওয়ার পরও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমৃতু্য অসাম্প্রদায়িক চেতনা লালন করে গেছেন। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার নাগরিক অধিকারের কথা ভেবেছেন। বাংলাদেশের সংবিধানেও অসাম্প্রদায়িকতা ধারণ করা হয়েছে বঙ্গবন্ধুর পরিকল্পনায়। বঙ্গবন্ধুর আমলে বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ তাদের নাগরিক অধিকার ভোগ করার বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাস জন্মেছিল। পরে সামরিক বাহিনী থেকে রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা দুই প্রেসিডেন্ট প্রয়াত জিয়াউর রহমান ও প্রয়াত হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ দেশে সাম্প্রদায়িকতার যে বীজ বোনেন তা ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের বিশ্বাসে চিড় ধরায়। এর ধারাবাহিকতা লক্ষ্য করা যায় পরবর্তী বিএনপি-জামায়াত আমলেও। সে সময় জঙ্গিবাদের চরম উত্থান বাংলাদেশসহ বিশ্বকে হতবাক করে দিয়েছিল।

কিন্তু বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পরে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় রকমের কোনো সাম্প্রদায়িক অঘটন দেশে ঘটেনি। এ সময়কালে বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি দেখে বিশ্ববাসী বিস্মিত হয়েছে। ধর্মীয় উন্মাদনা ঠেকাতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার 'জিরো টলারেন্স' গত প্রায় একযুগ বাংলাদেশকে বিশ্বসভায় সম্মানের আসনে বসিয়েছে। এটা সত্যি যে, কখনো কখনো বাংলাদেশে তুচ্ছ ঘটনার সূত্র ধরে সংখ্যালঘুরা নানা ধরনের হয়রানি-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। রামু বা ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঘটনা আমাদের বিবেক ও হৃদয়কে আহত করেছে। কিন্তু এ ঘটনার পরে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় রাষ্ট্রের 'কঠোর অবস্থান' ধর্মীয় সংখ্যালুঘুদের পাশাপাশি সর্বস্তরের অসাম্প্রদায়িক মানুষের মনে আশা জাগিয়েছে। তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে আস্থার শক্ত দেয়াল। জঙ্গিগোষ্ঠী কর্তৃক 'হলি আর্টিজান হত্যাকান্ডের' পরে সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর যে কঠোর তৎপরতা তা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।

পাল্টা যদি পার্শ্ববর্তী ভারতের দিকে তাকাই দেখা যাবে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে অহরহ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হচ্ছে। উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বিশ্বস্বীকৃত ভারতের দায়িত্বশীল কেউ কেউ সে দাঙ্গা বা সাম্প্রদায়িক ঘটনাবলিকে উসকে দিচ্ছে। সম্প্রতি ভারতের দিলিস্নতে সাম্প্রদায়িক বোধ থেকে যে অঘটন ঘটে গেল তা পুরো পৃথিবীকে হতবাক করে দিয়েছে। মুসলিম এলাকাগুলোতে ছড়িয়ে দেয়া এ সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় ভারতে থাকা মুসলমানরা নিজেদের যেভাবে অসহায় মনে করেছেন তা ভারতের 'উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র' কাঠামোকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। মুসলিম এলাকা ও বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, মুসলিমদের ওপর এসিড নিক্ষেপ নিশ্চয়ই কোনো উদার রাষ্ট্রের কাজ হতে পারে না। ফেব্রম্নয়ারির এ সাম্প্রদায়িক হামলায় অর্ধশতাধিক ব্যক্তি প্রাণ হারিয়েছে। আহত হয়েছেন কয়েকশ'। ভারতের মতো একটি উদার গণতান্ত্রিক দেশে এ ধরনের ঘটনা বিতর্কের জন্ম দেয়। প্রশ্ন উঠেছে, ভারতের মুসলমানদের রক্ষায় মোদি সরকারের কতটা আন্তরিকতা রয়েছে।

এক পরিসংখ্যানে জানা যায়, ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে গেল বছর ৮২২টি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে। এতে নিহত হন ১১১ জন। আর আহত হয়েছেন ২ হাজার ৩৮৪ জন। ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হংসরাজ আহির সম্প্রতি লোকসভায় সাংসদ জি হরি এবং টিজি ভেঙ্কটেশের প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানিয়েছেন। এসময় হংসরাজ আহির জানান, এই সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ক্ষেত্রে শীর্ষে রয়েছে ভারতের উত্তরপ্রদেশ। সেখানে গত বছর সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয়েছে ১৯৫টি। এসব ঘটনায় নিহতের সংখ্যা ৪৪, আহত হয়েছেন ৫৪২ জন।

এ ছাড়া ভারতের কর্নাটক রাজ্যে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার ঘটনা ঘটেছে ১০০টি। এতে ৯ জন নিহত ও ২২৯ জন আহত হন। রাজস্থানে ৯১টি দাঙ্গায় নিহতের সংখ্যা ১২, আহতের সংখ্যা ১৭৫ জন। বিহারে ৮৫টি দাঙ্গায় নিহত ৩, আহত ৩২১ জন। মধ্য প্রদেশে দাঙ্গার সংখ্যা ৬০। নিহত ৯, আহত ১৯১ জন। পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা হয় ৫৮টি। তাতে নিহত হন ৯ জন, আহত হন ২৩০ জন। আর গুজরাটে হয়েছে ৫০টি সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা। যাতে নিহতের সংখ্যা ৮ ও আহতের সংখ্যা ১২৫ জন।

ভারতের মতো একটি রাষ্ট্রে এ ধরনের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সে দেশের ধর্মবিশ্বাসী প্রগতিশীল জনগণকে গভীরভাবে বেদনাহত করেছে। মহাত্মা গান্ধী, নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসু, পন্ডিত জওহরলাল নেহরু, মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইন্ধিরা গান্ধী, এ পি জে আবদুল কালাম, মনমোহন সিং, জ্যোতি বসু, প্রতিভা পাতিলের ভারতে এসব ঘটনা কেন বারবার ঘটছে সে প্রশ্ন আজ বিশ্ব মানবতার। শুধু এখন নয়, এর আগেও ভারতে বাবরী মসজিদ নিয়ে যে কান্ড ঘটেছিল, অথবা রাম মন্দির স্থাপন নিয়ে যে ঘটনা ঘটল তা কি কোনো উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে ঘটতে পারে এমন প্রশ্ন বিভিন্ন সময়ে উঠেছে।

এবারের সাম্প্রদায়িক হানাহানিতে অনেকে আবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দিকে আঙ্গুল তুলেছেন। তাদের মতে, কেন্দ্রীয় সরকার সময়মতো কঠোর পদক্ষেপ নিলে পরিস্থিতির ভয়াবহতা এড়ানো যেত। সে ক্ষেত্রে প্রাণহানি ঘটনা কিছুটা হয়তো কমত। কেউ কেউ একটু পেছনে ফিরে ২০০২ সালের কথা বলছেন। সে সময় গুজরাটের মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন আজকের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাজ্য সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে ছিলেন এই অমিত শাহ।

দিলিস্নতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে শুরু হওয়া এই সংঘর্ষ কেন হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় রূপ নিল এখন সে পর্যালোচনা চলছে।

সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় সৃষ্ট সহিংসতার জন্য কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে দায়ী করেছেন। তিনি এ সময় তার পদত্যাগ দাবি করেছেন। দিলিস্নর মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সমালোচনা করেন। তিনি অভিযোগ করেন, কেন্দ্রীয় সরকার ও দিলিস্ন পুলিশ উভয়ই পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ হয়েছে। তবে দিলিস্নর বিধানসভায় দেয়া এক বক্তৃতায় মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল বলেন, 'সহিংসতায় হিন্দু বা মুসলিম, কারও লাভ হবে না। দিলিস্নর সামনে এখন দুটি পথ খোলা আছে; লোকজন মিলেমিশে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে পারে অথবা তারা একে অন্যকে আঘাত করে হত্যা করতে পারে।' কেজরিওয়াল এই সহিংসতার জন্য বহিরাগত ও রাজনৈতিক উসকানিকে দায়ী করে দাঙ্গা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সেনাবাহিনী নামানোর দাবি জানালেও ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সে দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে বলে খবরে জানা গেছে।

ভারতের মতো একটি বড় রাষ্ট্রে যেভাবে প্রতিবছরই কোনো কোনো সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা এবং হতাহতের ঘটনা ঘটে তখন বাংলাদেশের মতো একটি রাষ্ট্র বলতেই পারে তাদের তুলনায় আমরা অনেক ভালো আছি।

আমাদের দেশে আজ যেভাবে 'ধর্ম যার যার, উৎসব সবার' মর্মবাণী জনগণের হৃদয়মূলে ঠাঁই নিয়েছে তাতে পৃথিবীর কাছে প্রকৃত অর্থে সার্বজনীন অসাম্প্রদায়িক চেতনার দেশ হিসেবে আমরা স্থায়ী পরিচিতি পেতে পারি। সে জন্য বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার অসাম্প্রদায়িক ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাপক ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশের বন্ধু বলে গর্ব করা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বঙ্গবন্ধুকন্যার কাছ থেকে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কীভাবে রক্ষা করতে হয় সে শিক্ষা নিতে পারেন। অনুসরণ করতে পারেন তার মডেল। একজন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নরেন্দ্র মোদি ধর্ম বা গোষ্ঠীর বাইরে এসে দেশ শাসন করতে পারলে পুরো দক্ষিণ এশিয়াই তাতে উপকৃত হবে।

\হ

সোহেল হায়দার চৌধুরী: সাংবাদিক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<93986 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1