বেড়েই চলছে যৌন হয়রানি

প্রকাশ | ২৯ মার্চ ২০২০, ০০:০০

সবুজ আহমেদ শিক্ষার্থী, কুমিলস্না বিশ্ববিদ্যালয়
শিশু ও কোমলমতি শিক্ষার্থীদের ফাঁদে ফেলে এক এক করে বেড়েই চলছে যৌন হয়রানির মতো নিকৃষ্ট লীলা-খেলা। প্রাইমারি স্কুলের গন্ডি না পেরুতেই শিশুদের হতে হচ্ছে ধর্ষণের শিকার। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, কর্মস্থান, পরিবহণসহ রাস্তা-ঘাটে প্রতিদিন ঘটে চলছে এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা। তাহলে শিশু, শিক্ষার্থীসহ নারীরা আজ কতটুকু নিরাপদ! ভেবে দেখেছি কি আমরা! ছাত্রীরা আজ রক্ষা পাচ্ছে না মানুষ রূপের কিছু নরপিশাচদের কুরুচিপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি এবং যৌন লীলাময় আবেদন থেকে। অথচ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান হয়ে বের হওয়ার মতো শিক্ষা পাওয়ার কথা। এমন বিকৃত মনুষ্যত্বের অধিকারী মানুষের থেকে কি শিক্ষা নেয়ার আশা করবে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা? শিক্ষক পেশা হচ্ছে নিঃসন্দেহে পৃথিবীর অন্যতম মহৎ পেশা, মা-বাবার পরেই একজন শিক্ষার্থীর সবচেয়ে বেশি ভরসাস্থল তাদের শিক্ষক এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অথচ সমাজে আজ আমরা কি দেখছি! কিছুসংখ্যক প্রতারক, ধান্ধাবাজ শিক্ষা দেয়ার মতো মহান পেশাকে কলুষিত করার লক্ষ্যে পৈশাচিক কাজ করতেও দ্বিধাবোধ করছে না ফলে প্রকৃত শিক্ষকদের মর্যাদা নষ্ট হচ্ছে। মানুষরূপী কিছু অমানুষ,পশুদের কারণে সমাজে ভালো শিক্ষকদের মর্যাদা ক্ষুণ্ন হচ্ছে ফলে শিক্ষকদের পদে পদে হেনস্তা, লাঞ্ছনা, বঞ্চনাসহ বিভিন্নভাবে অপদস্থ হতে হচ্ছে। এ দেশে আর কত বাবাকে বলতে দেখব 'যাদের মেয়ে আছে তাদের রক্ষা করুন'। ধর্ষণের মতো এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা অহরহ মারাত্মক হারে বৃদ্ধি পাওয়ার ফলে শিক্ষা ক্ষেত্র নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা। এমন পরিস্থিতি চলতে থাকলে সমাজকে রক্ষা করবে কারা? এখনই সময় এদের প্রতিহত করতে হবে, না হলে একদিকে শিক্ষক পেশাটাকে অসম্মান করা হবে অন্যদিকে প্রকৃত দেশপ্রেমিক শিক্ষকদের মর্যাদাও নষ্ট হবে। একটা দেশে যেমন ভালো শিক্ষক রয়েছে ঠিক তেমনি কিছু সংখ্যক কীট-পতঙ্গও পাওয়া যাবে খুঁজে যারা মন্দের পালস্নায়, তাদের কাজ হচ্ছে সুন্দর একটা পৃথিবীকে ধ্বংস করা! এরাই যদি রাঘব-বোয়ালে পরিণত হয় এবং ভক্ষণ করে ধ্বংস করতে চায় সমাজের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের, তাহলে তাদের কাছ থেকে কি শিক্ষা অর্জন করবে এ জাতি? প্রতিটা মা-বাবাকে বিশেষ সতর্ক হতে হবে যে তাদের সন্তান কোথায় পড়াশোনা করছে এবং কোন কোন শিক্ষক পড়াচ্ছেন তাদের সম্পর্কে যথার্থ খোঁজ-খবর রাখতে হবে। আগামীর এমন এক বাংলাদেশ দেখতে চাই যেখানে ধর্ষণের মতো কলঙ্কময় ঘটনা মানুষ চিন্তাই করতে পারবে না।