হ্যালো লিডার হ্যালো মিনিস্টার

করোনার পাশাপাশি সামাজিক ভাইরাস নিধনও জরুরি

আজ দেশে করোনার বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু হয়েছে, সে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বাঙালি জিতবে এটা আমার বিশ্বাস। এ লড়াইয়ের পাশাপাশি সময় এসেছে দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, মজুতদার, লুটপাটকারী, অন্যের সম্পদ দখলকারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশায় থাকা অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নতুন লড়াই শুরু করার। এরা সমাজের ভাইরাস। করোনার চেয়ে এরা কম মরণঘাতী নয়। করোনাভাইরাস মানুষকে আতঙ্কিত করার পাশাপাশি কারও কারও প্রাণ হরণ করছে ঠিকই, কিন্তু এ ধরনের প্রশাসনিক ও সামাজিক ব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত মানুষকে মৃতু্যর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। করোনাভাইরাস ঠেকাতে আমরা যে সতর্কতা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, সমাজের এ ধরনের ভাইরাস ঠেকাতে আরও কঠোর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সে প্রতিরোধ ব্যবস্থার শুরুটা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেই কঠোরভাবে করতে হবে। বাংলাদেশ তার দিকে তাকিয়ে থাকে। তিনিই এখন বাংলাদেশের বাতিঘর।

প্রকাশ | ৩১ মার্চ ২০২০, ০০:০০

সোহেল হায়দার চৌধুরী
পুরো বিশ্বের মানবতা, ভাবাবেগকে দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছে করোনাভাইরাস। মানুষে মানুষে তুলে দিয়েছে সন্দেহের দেয়াল। সমাজে সৃষ্টি করছে দূরত্ব। অব্যাহত আতঙ্ক আর অসহায়ত্ব প্রতিদিনই মানুষকে যেন ভিনগ্রহের প্রাণীতে পরিণত করছে। মূলত করোনা সম্পর্কে সাধারণে প্রকৃত ধারণার অভাব, বিশ্বব্যাপী প্রতিদিন মৃতু্যসংখ্যা বৃদ্ধি, ভাইরাসটির কোনো প্রতিষেধক না থাকা, দেশের হাসপাতালগুলোতে প্রস্তুতির অভাব, চিকিৎসক ও সংশ্লিষ্ট স্বাস্থ্যকর্মীদের কারও কারও দায়িত্বহীনতা এবং সামাজিক গুজব পুরো পরিস্থিতিকে ভীতিজনক করে তুলেছে। পরিস্থিতি পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে করোনাভাইরাস নিয়ে দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বা স্বাস্থ্য বিভাগের পূর্ব প্রস্তুতির অভাব ছিল। এ ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বা সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিরা সময়মতো দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে পারেননি। যখন এ ভাইরাস বিশ্বব্যাপী ছড়াতে শুরু করেছে তখনই আমাদের স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেয়া উচিত ছিল। কিন্তু স্বাস্থ্যমন্ত্রী সে জায়গাটিতে তার দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। এর পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কোনো কোনো ব্যক্তির অতি উৎসাহী আচরণ এবং প্রতিহিংসাপরায়ণ কর্মকান্ড দেশবাসীকে আরও আতঙ্কগ্রস্ত করে তুলেছে। ১০ দিনের সাধারণ ছুটি ঘোষণা এবং দেশবাসীকে ঘরে থাকার অব্যাহত পরামর্শ বা আহ্বান না মানার কারণে যশোরের মনিরামপুরে সম্প্রতি যে ঘটনা ঘটালেন স্থানীয় নির্বাহী ম্যজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাইয়েমা হাসান তা বিস্মিত ও ক্ষুব্ধ করেছে দেশবাসীকে। মাস্ক না পরায় গত ২৭ মার্চ বিকালে তিন বৃদ্ধকে কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখেন এই প্রশাসনিক কর্তা। শুধু তাই নয়, তিনি ওই বৃদ্ধদের কান ধরিয়ে দাঁড় করিয়ে রাখার ছবি মোবাইলেও ধারণ করেন। ঘটনাটি প্রকাশিত হওয়ার পরে চারদিকে নিন্দার ঝড় বয়ে যায়। বইপুস্তক পড়া একজন ব্যক্তি পিতার বয়সি তিনজন মানুষের সঙ্গে কী করে এমন নিন্দনীয় আচরণ করলেন সে প্রশ্ন জনগণের মধ্যে। এর আগে কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সুলতানা পারভীন ও রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর নাজিমউদ্দিনসহ অপকর্মের সঙ্গীরা স্থানীয় সাংবাদিকের সঙ্গে যে অমানবিক আচরণ করেছিলেন তার রেশ কাটতে না কাটতে সাইয়েমা হাসানের এ ঘটনা জনগণকে আরও আতঙ্কিত করে তুলেছে। এই হলো অবস্থা। প্রশাসনে থাকা কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের অধিকাংশই দেশের জনগণকে সবসময় নিম্ন প্রজাতির প্রাণী মনে করে থাকেন। দিনে দিনে এ পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। প্রশাসনিক ব্যক্তিরা হলেন সরকারের পক্ষ থেকে জনগণের সেবক। কিন্তু তাদের কর্মকান্ডে মনে হয় তারা হলেন দেশের মালিক, আর জনগণ তাদের অধীন মাত্র। তারা যা বলবেন বা করবেন তাতে হঁ্যা হঁ্যা বলে সায় দেয়া হলো জনগণের কাজ। অথচ বাংলাদেশের স্থপতি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বফুালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চ জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, 'সরকারি কর্মচারীদের বলি, মনে রেখো, এটা স্বাধীন দেশ। এটা ব্রিটিশের কলোনি নয়। পাকিস্তানের কলোনি নয়। যে লোককে দেখবে, তার চেহারাটা তোমার বাবার মতো, তোমার ভাইয়ের মতো। ওদের পরিশ্রমের পয়সায় তুমি মাইনে পাও। ওরাই সম্মান বেশি পাবে। কারণ ওরা নিজেরা কামাই করে খায়।...' '...আপনি চাকরি করেন, আপনার মাইনে দেয় ওই গরিব কৃষক। আপনার মাইনে দেয় ঐ গরিব শ্রমিক। আপনার সংসার চলে ওই টাকায়। আমরা গাড়ি চড়ি ঐ টাকায়। ওদের সম্মান করে কথা বলুন, ইজ্জত করে কথা বলুন। ওরাই মালিক। ওদের দ্বারাই আপনার সংসার চলে।' বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে তার জন্মশতবর্ষে যখন প্রশাসনিক ব্যক্তিরা জনসেবার কথা বলেন, তখন এ ধরনের কর্মকান্ড ভিন্ন কিছু জানান দেয়। শুধু কি বঙ্গবন্ধু? তার কন্যা বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জনগণের কল্যাণে যেভাবে দিনরাত পরিশ্রম করছেন এর কোনো তুলনা চলে না। আমি দেখেছি দেশের সঙ্কটকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সার্বক্ষণিক জনগণের কল্যাণ কামনায় কী ধরনের অস্থিরতায় ভোগেন। নিয়মিত পূর্ণ পরিস্থিতি সম্পর্কে খোঁজ-খবর নেয়ার পাশাপাশি এসময় তিনি বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগিও করে থাকেন জনগণ ও দেশের কল্যাণ-কামনায়। সেখানে এ ধরনের প্রশাসনিক ব্যক্তিরা প্রধানমন্ত্রীর নিবেদনকেও প্রশ্নবিদ্ধ করে দিচ্ছে। এই সাইয়েমা হাসানরা প্রশাসন তথা সমাজের ভাইরাস। এরা করোনাভাইরাসের চেয়ে কম ভয়ঙ্কর নয়। এরা লেখাপড়া শিখেছে ঠিকই, কিন্তু শিক্ষা লাভ করেনি। সুশিক্ষিত তো দূরের কথা। দেশে যেখানে সিনিয়র সিটিজেনদের সুরক্ষা দেয়ার জন্য শেখ হাসিনার সরকার নানা পদক্ষেপ নিয়েছে, তখন সাইয়েমা হাসানের মতো ব্যাধি সরকারের সে পদক্ষেপকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। এ ধরনের ঘটনার জন্য সাইয়েমা হাসানের বা তার মতো ব্যক্তিদের এমন শাস্তি হওয়া উচিত যা, যুগ যুগ ধরে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। এই দৃষ্টান্ত স্থাপনের সংশ্লিস্নষ্ট অপরাধীদের শাস্তি দেয়ার পাশাপাশি আমলাতান্ত্রিক ঘেরাটোপ থেকে বের হয়ে আসা আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ দেশে যেভাবে আমলাতান্ত্রিক জাল তৈরি হচ্ছে তা শেষ পর্যন্ত রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যায় সেটা বোধ হয়, সরকার ও রাজনীতিবিদদের পর্যালোচনা করার সময় এসেছে। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ নামের এই রাষ্ট্রটির পবিত্র সংবিধান জনগণকে অনেক স্বাধীনতা দিলেও একশ্রেণির আমলারা তা দিতে নারাজ। সংশ্লিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিরাও এ নিয়ে কোনো উচ্চবাচ্য করেন না। একশ্রেণির আমলা বা প্রশাসনিক ক্ষমতাধর ব্যক্তির মাত্রাতিরিক্ত বাড়াবাড়ি নিয়ে গত কয়েকমাস আলোচনা-সমালোচনা হয়েছে বিস্তর। ইদানীং আবার তা বেড়ে চলেছে। মধ্যরাতে কুড়িগ্রামে ডাকাতের মতো করে মানুষকে তুলে নিয়ে যাওয়া বা দেশের মালিক বাবার বয়সি মানুষকে রাস্তায় কান ধরিয়ে মোবাইলে তার ছবি ধারণের মতো বিকৃত রুচির কাজ যারা করেন তাদের দিয়ে আর যাই হোক জনগণ বা দেশের কোনো কল্যাণ হবে না সেটা নিশ্চিত। বিষয়টি রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানকে গভীরভাবে ভাবা প্রয়োজন। এ বিষয়ে এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকেই যাবে। শুধু কি তাই- সরকার দেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করার পরে বিভিন্নস্থানে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তুচ্ছ কারণে যেভাবে মানুষকে লাঠিপেটা করেছে বা শাস্তি দিয়েছে তাও গ্রহণযোগ্য নয়। করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে রাষ্ট্রযন্ত্রের চেয়ে মানুষ অনেক বেশি এগিয়ে রয়েছে। এই এগিয়ে থাকার কৃতিত্বও শেখ হাসিনাকে দিতে হয়। তার কল্যাণে বা উদ্যোগে বাংলাদেশ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করায় মানুষ তাৎক্ষণিকভাবে সব কিছু জানতে পারছে শুধু হাতে থাকা সেলফোন বা ল্যাপটপের মাধ্যমে। এর পাশাপাশি গণমাধ্যমের যে বিস্তৃতিও ঘটেছে বঙ্গবন্ধু কন্যার কল্যাণে তাও মানুষের সমস্যা-সঙ্কটে আশাবাদ জাগায়। সর্বোপরি সাধারণ মানুষের নিরন্তর লড়াইয়ের মতো মানসিকতা যে কোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাঙালিদের এগিয়ে রেখেছে। নতুবা করোনাভাইরাসের ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির বিপরীতে বাংলাদেশের যে অপর্যাপ্ত প্রস্তুতি ছিল, তা দিয়ে এই সঙ্কট মোকাবিলা সম্ভব ছিল না। যদি মানুষ স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা না করত। এরপরও মানুষকে শাস্তি দেয়া কতটা যুক্তিসঙ্গত সেটা ভাবা দরকার। একই সঙ্গে সমাজের বিভিন্ন স্তরে জন্ম নেয়া ও প্রতিপালন হওয়া ভাইরাসদের বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেয়া দরকার। বাংলাদেশে প্রাকৃতিক ভাইরাসের পাশাপাশি সামাজিক ভাইরাসও কম নয়। এসব ভাইরাস দেশ ও দেশের মানুষকে ক্ষত-বিক্ষত করছে। নিয়মিত নানাভাবে পর্যুদস্ত করছে। ছারপোকার মতো, মানুষের রক্ত পান করছে। এ ভাইরাসগুলো হলো- দুর্র্নীতিবাজ, লুটপাটকারী, মজুতদার, ঘুষখোর, অন্যের সম্পদ দখলকারী, মানুষের স্বপ্ন হত্যাকারী, দায়িত্ব পালনের শপথ গ্রহণ করেও দায়িত্বহীন আচরণকারী। এ ভাইরাস থেকে দেশকে মুক্ত করা আজ সময়ের দাবি। প্রাকৃতিক ভাইরাস নির্মূল বা নিয়ন্ত্রণে মানুষের চেষ্টার পাশাপাশি সর্বশক্তিমানের রহমত গুরুত্বপূর্ণ। আর সামাজিক এসব ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষকেই প্রথমে সংঘবদ্ধভাবে দাঁড়াতে হবে। যে আমলারা বা প্রশাসনিক ব্যক্তিরা সাধারণ মানুষকে তুচ্ছাতিতুচ্ছ করে নিজেদের প্রভাব-প্রতিপত্তি জানান দেন, তারা এসব সামাজিক ভাইরাসের বিরুদ্ধে ক'বার লড়াই করেছেন বা এসব নির্মূলের চেষ্টা করেছেন, সেটিই আজ প্রশ্ন। করোনা ঠেকাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বাধ্য করার জন্য যারা বৃদ্ধকে অপমান করেন বা যারা লাঠিপেটা করেন তারা মজুতদার বা প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধির মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া ভাইরাসগুলো দমনে কি করেছেন সেটি একবার প্রকাশ করুন। আজ দেশে করোনার বিরুদ্ধে যে লড়াই শুরু হয়েছে, সে লড়াইয়ে শেষ পর্যন্ত বাঙালি জিতবে এটা আমার বিশ্বাস। এ লড়াইয়ের পাশাপাশি সময় এসেছে দুর্নীতিবাজ, ঘুষখোর, মজুতদার, লুটপাটকারী, অন্যের সম্পদ দখলকারীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশায় থাকা অসাধু ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নতুন লড়াই শুরু করার। এরা সমাজের ভাইরাস। করোনার চেয়ে এরা কম মরণঘাতী নয়। করোনাভাইরাস মানুষকে আতঙ্কিত করার পাশাপাশি কারও কারও প্রাণ হরণ করছে ঠিকই, কিন্তু এ ধরনের প্রশাসনিক ও সামাজিক ব্যক্তিরা প্রতিনিয়ত মানুষকে মৃতু্যর মুখে ঠেলে দিচ্ছে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তাদের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। করোনাভাইরাস ঠেকাতে আমরা যে সতর্কতা ও প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলেছি, সমাজের এ ধরনের ভাইরাস ঠেকাতে আরও কঠোর প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সে প্রতিরোধ ব্যবস্থার শুরুটা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকেই কঠোরভাবে করতে হবে। বাংলাদেশ তার দিকে তাকিয়ে থাকে। তিনিই এখন বাংলাদেশের বাতিঘর। তার আলোতে এগিয়ে চলেছে বাংলাদেশ। সুতরাং সমাজকে ক্ষতবিক্ষত করা মানুষরূপী ভাইরাসগুলো নির্মূলে তিনি জোরালো পদক্ষেপ নিলে জনগণ তাতে পরিপূর্ণ সায় দেবে। প্রধানমন্ত্রী নির্দেশিত শুদ্ধি অভিযানকে মানুষ যেমন সাধুবাদ জানিয়েছিল, তেমনি সামাজিক ভাইরাস নির্মূলের অভিযানকেও স্বাগত জানাবে। অতএব, আর দেরি না করে ভাইরাসমুক্ত শুদ্ধ বাংলাদেশ তৈরির লড়াইটা শুরু হোক এখুনি। সোহেল হায়দার চৌধুরী: বিশেষ সংবাদদাতা, দৈনিক যায়যায়দিন