মাদকের বিস্তার যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে

প্রকাশ | ০৩ এপ্রিল ২০২০, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিভিন্ন সময়েই পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে মাদক ছড়িয়ে পড়ছে, এমন বিষয় সামনে এসেছে। এ ছাড়া মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বাড়ছে আশঙ্কাজনক হারে এমনটিও আলোচিত বিষয়। নানাভাবে ছড়িয়ে পড়ছে মাদক। আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, মাদকদ্রব্যের ব্যবহার বাড়লে তা সন্দেহাতীতভাবেই ভয়ানক পরিস্থিতিকে স্পষ্ট করে। শুধু শহর নয়, গ্রাম পর্যায়ে ইয়াবা, হেরোইন, ফেনসিডিল, প্যাথেডিনসহ নানা নেশাজাতীয় দ্রব্য ছড়িয়ে পড়েছে এমন বিষয়ও বারবার সামনে এসেছে। সম্প্রতি পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত খবরে জানা গেল, রাজধানীর মুগদা, যাত্রাবাড়ী ও মিরপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াবা ও হেরোইনসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ ছাড়া রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে আরও ১৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আমরা বলতে চাই, এটা মনে রাখা দরকার, মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসনে নানা ধরনের ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে এবং এর নেতিবাচক দিকগুলোও এড়ানোর সুযোগ নেই। মাদকের জন্য সমাজ ও পরিবারে বিপর্যয় নেমে আসা, খুন, ধর্ষণ, ছিনতাইসহ নানা ধরনের অপরাধের ঘটনাও ঘটছে। সঙ্গত কারণেই সামগ্রিক এই পরিস্থিতি কতটা আশঙ্কাজনক তা বলাই বাহুল্য। ফলে এবারে গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে এবং যারাই মাদকের সঙ্গে জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে। একের পর এক যখন মাদকের ভয়াবহতা সামনে আসছে তখন বিষয়টি আমলে নেওয়ার বিকল্প নেই। প্রসঙ্গত এটাও বলা দরকার, এর আগে এমন বিষয় সামনে এসেছে যে, নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অবলীলায় জড়িয়ে পড়ছে মাদকের সঙ্গে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। মাদকের বিস্তার রোধে সব ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার বিকল্প নেই বলেই আমরা মনে করি। প্রসঙ্গত, সংশ্লিষ্টদের এটা বিচেনায় নেওয়া দরকার, মাদকের বিস্তার হওয়ার অর্থই হলো পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়ানক হয়ে ওঠা। দেশের তরুণ প্রজন্ম থেকে শুরু করে নানান শ্রেণি-পেশার মানুষ মাদকে আসক্ত হয়ে পড়ছে এই বিষয়টি কতটা আশঙ্কাজনক তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ধনী-দরিদ্র উভয় পরিবারের কিশোর-কিশোরী, বিশেষ করে তরুণসমাজ বিপথগামী হচ্ছে- এই বিষয়গুলো খবরে উঠে এসেছে বিভিন্ন সময়ে- যা সহজ করে দেখার সুযোগ নেই। মনে রাখতে হবে, মাদক নিয়ন্ত্রণে আশানুরূপ পারিবারিক ও সামাজিক উদ্যোগের অভাব পরিলক্ষিত হলে এতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সবাই- যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এ ছাড়া বলা দরকার, 'মাদকের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী বা কর্তৃপক্ষ যত কঠোর অবস্থানেই থাকুক না কেন, জনগণ নিজে থেকে মাদক নিরাময়ে পদক্ষেপ না নিলে এ সমস্যা পুরোপুরি কখনোই সমাধান করা সম্ভব নয়।' এমন বিষয়ও এর আগে আলোচনায় এসেছিল। ফলে সংশ্লিষ্টদের কর্তব্য হওয়া দরকার, মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনাসহ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের পাশাপাশি জনসচেতনতা বৃদ্ধিতেও ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালানো। মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত করে যেমন আইনের আওতায় আনতে হবে তেমনিভাবে মাদকের বিস্তার রোধে সব ধরনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। সর্বোপরি আমরা বলতে চাই, মাদকের বিস্তার রোধে প্রয়োজনীয় সব ধরনের উদ্যোগ নিশ্চিত হোক। একইসঙ্গে কেউ যেন মাদক পাচার করতে না পারে, বিস্তার ঘটাতে না পারে সেই দিকটি আমলে নিয়ে প্রয়োজনে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। মাদকের কারণে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, নষ্ট হয়ে যায় ভবিষ্যৎ, খুন থেকে শুরু করে নানারকম অপরাধপ্রবণতা তৈরি হয়- এই বিষয়গুলো এড়ানো যাবে না। সামগ্রিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ সাপেক্ষে মাদকের বিস্তার রোধে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা জারি থাকুক এমনটি কাম্য।