বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

করোনাকালে সরকারের প্রণোদনা ও অর্থনৈতিক সক্ষমতা

তৈরি পোশাক খাত ও রেমিট্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও আমদানি ব্যয় কমে আসার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দেশের কৃষিখাত একটি উজ্জ্বল দিক, যা আমাদের আশাবাদী করে তোলে। বাংলাদেশকে বলা হয় উন্নয়নের রোল মডেল, এশিয়ার বাঘ। করোনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি কেন মুখ থুবড়ে পড়বে। করোনাকে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, বাড়াতে হবে অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং এর কোনো বিকল্প নেই।
সালাম সালেহ উদদীন
  ০৬ মে ২০২০, ০০:০০

শেখ হাসিনা সরকারের নানা উদ্যোগ ও তৎপরতায় বাংলাদেশে দারিদ্র্যের হার কমেছে এটা নিশ্চিত সত্য। এখন মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছে। কিন্তু করোনাকালে দেশের অনেক অর্থনীতিবিদ শঙ্কা প্রকাশ করেছেন, দীর্ঘ সময় দেশ লকডাউনে থাকার কারণে দেশের মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় দারিদ্র্যের এই হার বেড়ে যেতে পারে, দেখা দিতে পারে খাদ্যসংকটও। এ ব্যাপারে শঙ্কিত দেশের সচেতন মানুষও। সরকারের এ ব্যাপারে যথেষ্ট মনোযোগ রয়েছে। দেশে দারিদ্র্যের হার যাতে বেড়ে না যায়, মানুষ যাতে অনাহারে না থাকে এবং ৭৪-এর দুর্ভিক্ষের মতো সরকারের বিরুদ্ধবাদীরা যাতে অপপ্রচার চালাতে না পারে সে ব্যাপারে সরকার বেশ সজাগ। এই লক্ষ্যে সরকার নানা ধরনের প্রণোদনা ঘোষণা করেছে, যা অত্যন্ত ইতিবাচক।

করোনাভাইরাসের মতো দুর্যোগে সারাদেশের সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে ত্রাণসহায়তা অব্যাহত রেখেছে সরকার। মানবিক সহায়তা হিসেবে এ পর্যন্ত সারাদেশে সাড়ে তিন কোটিরও বেশি মানুষকে সরকারের পক্ষ থেকে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। ৬৪ জেলা প্রশাসন থেকে পাওয়া তথ্যানুযায়ী ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত চাল বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭ মেট্রিক টন। আর বিতরণ করা হয়েছে ৮৮ হাজার ৫৮৩ মেট্রিক টন। বিতরণ করা চালে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ৭৮ লাখ ৩৭ হাজার ৭৩৫টি। আর উপকারভোগী লোকসংখ্যা ৩ কোটি ৫০ লাখ ১৯ হাজার ৭২ জন।

দেশের ৬৪ জেলায় এ পর্যন্ত নগদ ৫৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে নগদ সাহায্য হিসেবে বিতরণ করা হয়েছে ৪৮ কোটি ৮৩ লাখ ৭২ হাজার টাকা। এতে উপকারভোগী পরিবার সংখ্যা ৪৪ লাখ ৭৮ হাজার এবং উপকারভোগী লোকসংখ্যা ২ কোটি ২৮ লাখ ৮০ হাজার জন।

শিশু খাদ্যসহায়ক হিসেবে বরাদ্দ ১০ কোটি ৭১ লাখ ৬৫ হাজার টাকা এবং এ পর্যন্ত বিতরণ করা হয়েছে সাত কোটি ৭১ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। এতে উপকারভোগী পরিবারের সংখ্যা ২ লাখ ৫০ হাজার এবং লোকসংখ্যা ৫ লাখ ৫ হাজার ২২৮ জন। করোনাভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলায় সারাদেশে কার্যত লকডাউন চলছে। ফলে বিপাকে পড়েছে দেশের প্রান্তিক মানুষ। তাদের আয়ের পথ প্রায় বন্ধ। এ অবস্থায় এসব প্রান্তিক মানুষকে সরাসরি সহায়তার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এজন্য অর্থ মন্ত্রণালয় ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ছাড় করেছে। প্রণোদনার অর্থ সরাসরি চলে যাবে তাদের মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টে অথবা নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে।

নগদ সহায়তার অর্থ পুরোপুরি ছাড় হলে সব মিলিয়ে সাড়ে পাঁচ কোটি মানুষ প্রণোদনার আওতায় আসবে।

অবশ্য, ত্রাণ বিতরণে সারাদেশে চরম অনিয়ম চলছে অভিযোগ করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, কয়েক কোটি মানুষ কর্মহীন হয়ে দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছেন। ভয়াবহ মহামারি করোনাভাইরাসের নগ্ন থাবার দমবন্ধ পরিস্থিতির মধ্যেও মুখ চিনে চিনে সরকারি দলের লোকজনদের ত্রাণ সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। অধিকাংশ জায়গায় প্রকৃত অসহায় দুস্থরা বঞ্চিত হচ্ছেন। তার অভিযোগ কতটা সত্য তা তলিয়ে দেখতে হবে। এটা সত্য, দেশের বিভিন্ন জেলায় ত্রাণের দাবিতে বিক্ষোভ করেছে অসহায় কর্মহীন দিনমজুর নারী-পুরুষ। রাজধানী ঢাকার রাস্তায়ও ত্রাণের জন্য হতদরিদ্রদের বসে থাকতে দেখা যায়। এর মধ্যে দেশের একাধিক জায়গায় ত্রাণের ট্রাক লুট করেছে অনাহারি বিক্ষুব্ধ মানুষ। এই চিত্র কোনোভাবেই সুখকর নয়। বরং সমাজের জন্য সরকারের জন্য নেতিবাচক বার্তা।

এক প্রতিবেদনে প্রকাশ, ৪০ জনপ্রতিনিধিকে ত্রাণ আত্মসাতের অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম ত্রাণ বিতরণে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানগুলোর জনপ্রতিনিধি ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে অফিসাদেশও জারি করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের বরখাস্ত করার মধ্য দিয়ে একটি বিষয় স্পষ্ট হলো ত্রাণের সুষ্ঠু বণ্টন হয়নি। ত্রাণের চাল আত্মসাৎ করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধি ও তৎসংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে হাজার হাজার বস্তা চাল এবং শত শত বোতল ভোজ্য তেল উদ্ধার করা হয়েছে।

ত্রাণের সুষ্ঠু বণ্টন হওয়া জরুরি। এটা নিশ্চিত করতে হবে সরকারকেই। ত্রাণ বিতরণের বিষয়টি সেনাবাহিনীর হাতে ছেড়ে দেয়ার যে দাবি উঠেছে, সে বিষয়টিও সরকারকে ভেবে দেখতে হবে। ত্রাণ বিতরণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা সম্ভব না হলে নিকট ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। এই কথাটা সরকার ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে স্মরণে রাখতে হবে। দুর্যোগকালে কর্মহীন গরিব অসহায় মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা একটি গণতান্ত্রিক সরকারের অবশ্য কর্তব্য।

আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা বা আইএলও বলছে, করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে অব্যাহতভাবে কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ায় প্রায় ১৬০ কোটি মানুষ জীবিকা হারানোর ঝুঁকিতে আছে, যা মোট কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর প্রায় অর্ধেক।

সম্প্রতি কোভিড-১৯ নিয়ে আইএলওর তাদের পর্যবেক্ষণ নিয়ে তৃতীয় সংস্করণ প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে ২০২০ সালের প্রথম প্রান্তিকে যে পরিমাণ কর্মঘণ্টা কমেছে, তা আগে যা ধারণা করা হচ্ছিল তার চেয়েও অনেক বেশি। গত বছরের শেষ প্রান্তিকের (প্রাক-সংক্রমণের সময়) চেয়ে সাড়ে ১০ শতাংশ অবনতি আশঙ্কা করা হচ্ছে, যা প্রায় সাড়ে ৩০ কোটি পূর্ণকালীন কর্মসংস্থানের (সপ্তাহে ৪৮ ঘণ্টা কাজ ধরে) সমান। পূর্ববর্তী অনুমান ছিল ৭ দশমিক ৭ শতাংশ কমার অর্থাৎ সাড়ে ১৯ কোটি পূর্ণকালীন কর্মীর সমতুল্য।

বর্তমানে পরিস্থিতি সব বড় আঞ্চলিক গোষ্ঠীর জন্য আরও খারাপ হয়েছে। আশঙ্কা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এই বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে ১২ দশমিক ৪ শতাংশ কর্মঘণ্টা হারাবে। ইউরোপ ও মধ্য এশিয়া হারাবে ১১ দশমিক ৮ শতাংশ কর্মঘণ্টা।

মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকটের ফলে অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতির প্রায় ১৬০ কোটি শ্রমিকের জীবিকা নির্বাহ ঝুঁকিতে পড়বে। মূলত করোনার প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে দেশে দেশে নেওয়া লকডাউন পদক্ষেপের কারণে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হচ্ছে। এই সংকটের প্রথম মাসে বিশ্বব্যাপী অনানুষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকের আয় কমেছে ৬০ শতাংশ, যা আফ্রিকার দেশের ক্ষেত্রে ৮১ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে ২১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং ইউরোপ ও মধ্য এশিয়ায় ৭০ শতাংশ।

জনসংখ্যার বিভিন্ন অংশ যেমন- নারী, যুবক, বয়স্কশ্রমিক, অভিবাসী ও চাকরিজীবী ব্যক্তিরা কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আলাদাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। তরুণ জনগোষ্ঠী এমনিতে উচ্চ বেকারত্বের হারে রয়েছে, তারা জীবিকা হারাতে বসেছেন। বয়স্ক কর্মীরা কর্মঘণ্টা কমে যাওয়ায় বেকারত্বের ঝুঁকিতে আছেন। নারীরা সামাজিক সুরক্ষার অভাবে রয়েছেন। স্ব-কর্মসংস্থানের কর্মীরা প্রচলিত সামাজিক সুরক্ষা প্রক্রিয়া দ্বারা সুরক্ষিত নন।

বিকল্প আয়ের উৎস ছাড়া এই শ্রমিক এবং তাদের পরিবারগুলোর টেকার কোনো উপায় থাকবে না বলে মনে করে আইএলও। এ অবস্থায় কর্মীকে সহায়তা দেওয়ার জন্য জরুরি, সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য অনুযায়ী এবং নমনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আইএলও। এই প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের অবস্থা ততটা নাজুক নয়।

এটা সত্য, করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে গোটা বিশ্ব প্রায় স্তব্ধ। বন্ধ সব কল-কারখানা। আয়-উপার্জন নেই। এমনকি আভাস মিলছে বিশ্ব অর্থনীতি পঙ্গু হয়ে যেতে বসেছে। সেই পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের অর্থনীতি তুলনামূলক নিরাপদ অবস্থানে আছে, গবেষণায় উলেস্নখ করেছে নির্ভরযোগ্য সংবাদমাধ্যম দ্য ইকোনমিস্ট। করোনাভাইরাসের সংকটময় পরিস্থিতি বিবেচনায় বিশ্বের কোন দেশ কতটুকুু অর্থনৈতিক নিরাপত্তায় অবস্থান করছে, তা নিয়ে একটি গবেষণা তালিকা প্রকাশ করেছে আন্তর্জাতিক সাপ্তাহিক নিউজপেপার দ্য ইকোনমিস্ট। এতে এ কথা বলা হয়েছে। শুধু তা-ই নয়- প্রতিবেশী দেশ ভারতের চেয়েও বাংলাদেশের অর্থনীতি নিরাপদ আছে বলছে এ জরিপ। এমনকি পাকিস্তান, চীন ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতির চেয়েও কম ঝুঁকিতে বাংলাদেশ। করোনাভাইরাসের মহামারি পরিস্থিতিতেও উদীয়মান সবল অর্থনীতি ৬৬টি দেশের। এরমধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান নবম। অর্থাৎ নবম শক্তিশালী অর্থনীতির দেশ। চারটি সম্ভাব্য সংস্থার নির্বাচিত অর্থনীতির দুর্বলতা পরীক্ষা করে এই জরিপ করা হয়েছে। এরমধ্যে রয়েছে জনগণের ঋণ হিসেবে জিডিপির শতাংশ, বৈদেশিক ঋণ, ঋণের সুদ ও রিজার্ভ কভার। খ্যাতিমান অর্থনীতিবিদদের গবেষণায় উঠে আসা এই তালিকায় ভারতের অবস্থান ১৮। পাকিস্তানের ৪৩। এ ব্যাপারে আমরা আশাবাদী হতে পারি। এ কথা নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, দেশের কৃষি অর্থনীতি অত্যন্ত শক্তিশালী। এবারও ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সুতরাং খাদ্যঘাটতির কোনো সম্ভাবনা নেই। তবে দেশের দুটো শক্তিশালী অর্থনৈতিক খাত নাজুক অবস্থায় পড়েছে। যা কাটিয়ে ওঠা কঠিন হয়ে পড়বে। একটি হচ্ছে তৈরি পোশাক খাত, অন্যটি রেমিট্যান্স প্রবাহ। পোশাক কারখানা যদিও খুলে দেয়া হয়েছে। কিন্তু বেশিরভাগ অর্ডার বাতিল হয়েছে। নতুন করে অর্ডার পাওয়ার সম্ভাবনাও তৈরি হচ্ছে। তবে রেমিট্যান্স খাতের অবস্থা ভালো নয়। করোনাভাইরাস সারা পৃথিবীর মানুষকে ঘরের মধ্যে আটকিয়ে ফেলেছে। ফলে প্রবাসীদের হাতে কাজ নেই। অনেকে চলেও এসেছেন। তবে যারা এখনো বিভিন্ন দেশে রয়ে গেছেন তারাও ঘরবন্দি। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে এই অর্থবছরের ১০ মাসে (জুলাই থেকে এপ্রিল পর্যন্ত) প্রবাসীরা ১৪ কোটি ৮৫৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। তবে গত মার্চ মাস থেকেই প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক। যদিও গত ডিসেম্বর মাসে আগের বছরের একই সময়ে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি ছিল ৩৯ দশমিক ৭৯ শতাংশ। অথচ বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার কারণে গত দুই মাস ধরে প্রবাসী আয়ের প্রবৃদ্ধি নেতিবাচক হয়েছে। প্রবাসী আয়ে ২ শতাংশ প্রণোদনা, ডিজিটাল হুন্ডি বন্ধের উদ্যোগ ও ডলারের বিপরীতে টাকার মূল্যমান কমায় বৈধ পথে আয় আসা বাড়লেও করোনার কারণে হঠাৎ ছন্দপতন দেখা দিয়েছে। করোনার বৈশ্বিক মহামারি রূপ নেওয়ার পর অনেক প্রবাসী দেশে ফিরে এসেছেন। জানুয়ারি থেকে মার্চের মাঝামাঝি পর্যন্ত ফিরে এসেছেন ৬ লাখ ৬৬ হাজার ৫৩০ জন প্রবাসী। বিশ্বব্যাংকের পূর্বাভাস দিয়েছে করোনা মহামারির কারণে এ বছর বাংলাদেশে রেমিট্যান্স কমবে ২২ শতাংশ। বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ২০১৯ সালের এপ্রিলে প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন ১৪৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। এই হিসাবে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় সদ্য বিদায়ী এপ্রিলে প্রায় ৪০ কোটি ডলার কম এসেছে। আর গত মার্চ মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স কমেছে ২৪ কোটি ডলার। গত মার্চ মাসে প্রবাসীরা ১২৮ কোটি ৬০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন।

তৈরি পোশাক খাত ও রেমিট্যান্সে নেতিবাচক প্রভাব পড়লেও আমদানি ব্যয় কমে আসার কারণে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। দেশের কৃষিখাত একটি উজ্জ্বল দিক, যা আমাদের আশাবাদী করে তোলে। বাংলাদেশকে বলা হয় উন্নয়নের রোল মডেল, এশিয়ার বাঘ। করোনায় বাংলাদেশের অর্থনীতি কেন মুখ থুবড়ে পড়বে। করোনাকে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করতে হবে, বাড়াতে হবে অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং এর কোনো বিকল্প নেই।

সালাম সালেহ উদদীন : কবি কথাসাহিত্যিক সাংবাদিক ও কলাম লেখক

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<98460 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1