বাঙালির নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণের অগ্রদূত আনিসুজ্জামান

বাঙালি মুসলমানদের মানসিকতার বিবর্তনের রূপরেখা তার গবেষণায় চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। তার আলোচিত গ্রন্থ মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যের গবেষণা জগতে এটি আজ অবধি এক অপরিহার্য সহায়কসূত্র। বাঙালি চেতনার জাগরণ ঘটাতে তিনি ছিলেন আন্তরিক ও মনোযোগী। বিশেষ করে নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ। বিভেদ ও বিদ্বেষমূলক রাজনীতি থেকে জাতিকে মুক্ত করতে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। উদার ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা করেছেন তিনি।

প্রকাশ | ১৮ মে ২০২০, ০০:০০

সালাম সালেহ উদদীন
জাতীয় অধ্যাপক আনিসুজ্জামান আমাদের ছেড়ে পরপারে চলে গেছেন। তিনি ছিলেন সত্য, জ্ঞান, নীতি ও প্রজ্ঞার সাধক। জাতির অন্যতম অভিভাবক ছিলেন তিনি। নতুন প্রজন্মের মধ্যে নবজাগরণের চেতনাকে তিনি ছড়িয়ে দিয়েছেন শিল্প, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিকাশের মাধ্যমে দায়িত্ব পালন করে। তিনি নতুন প্রজন্মের চেতনাকে উজ্জ্বল করেছেন তার বিভিন্ন কর্ম ও সাধনার মাধ্যমে। তিনি আলোকিত করেছেন চারপাশের মানুষকে, সমাজকে। তার সমাজহিতৈষী মানবিকতা, গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল চেতনা, সুশীল বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা ও ব্যক্তিগত মনীষা দিয়ে নিজেকে পরিণত করেছিলেন দেশের অগ্রগণ্য পুরুষে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, বাবা তাকে শিখিয়েছেন সময়ানুবর্তিতা এবং মা তাকে শিখিয়েছেন সত্যপ্রিয়তা। কোনো ভুল করলে তার দোষ স্বীকার করা। পারিবারিক আদর্শ লালন করেই তিনি বেড়ে উঠেছেন। পরে এই আদর্শ ছড়িয়ে দিয়েছেন ছাত্র, বন্ধু, স্বজন তথা সমাজের সর্বত্র, মানুষের মধ্যে। শিল্প-সাহিত্য-সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যসমৃদ্ধ ছিল তার পরিবার। তিনি সেখান থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছেন, দীক্ষা নিয়েছেন। পারিবারিক শিক্ষাই ব্যক্তিত্ব বিকাশ ও চরিত্র গঠনের মূল ভিত্তি, এ কথা তিনি বিশ্বাস করতেন, মেনে চলতেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হয়ে যে কজন আলোকিত শিক্ষক পাই, তার মধ্যে তিনি ছিলেন স্বমহিমায় স্বকর্মসাধনায় উজ্জ্বল। তিনি আমাকে খুব পছন্দ করতেন। দেখা হলেই বলতেন, সালাম কী খবর? স্যারের সামনে দাঁড়ালে কেমন যেন আবিষ্ট হয়ে পড়তাম। ২০০০ সালে আমার বস্তির জীবননির্ভর উপন্যাস জন্মদৌড় প্রকাশিত হওয়ার পর তাকে বইটি উপহার দিতে গিয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় কোয়ার্টারে, সঙ্গে প্রকাশকও ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাস করার পর স্যারের সঙ্গে তেমন একটা দেখা হতো না। আমার ৫০তম জন্মদিনে স্যার এসেছিলেন ফুলের তোড়া নিয়ে। ওই দিন আমার জন্য স্মরণীয় এই কারণে যে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের আমার আরও ৫ জন শিক্ষক এসেছিলেন উপহার নিয়ে। জাতীয় অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম. অধ্যাপক ওয়াকিল আহমদ, অধ্যাপক আবুল কালাম মনজুর মোরশেদ, অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু জাফর, অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক। ওই দিন আনিস স্যার তার বক্তৃতায় বলেছিলেন, 'সালাম আমার ছাত্র। ভালো লাগে এটা ভেবে সাংবাদিকতার পাশাপাশি ও নিয়মিত লিখছে।' এ দেশের জাতীয়তাবাদী ও প্রগতিশীল আন্দোলন এবং ইতিহাসের বাঁক বদলের ক্ষেত্রে তার ভূমিকা ও অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণে রাখবে। বাংলাভাষা ও সাহিত্যের উত্থান ও বিকাশেও তার অবদান কম নয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরে সংবিধান প্রণয়নেও তিনি যুক্ত ছিলেন। সেই সংবিধানের চার মূলনীতি জাতীয়তাবাদ, সমাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এবং ধর্মনিরপেক্ষতা- এ থেকে যখন বহু পরিবর্তন হয়েছে দেশে, তা পুনঃস্থাপনার কাজেও অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ব্রতী ছিলেন। তার নানা কর্মকান্ড উদারনৈতিক মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির কারণে ব্যক্তিকে ছাপিয়ে তিনি পরিণত হয়েছিলেন প্রতিষ্ঠানে। কারণ ব্যক্তিকে অবলম্বন করে ব্যক্তিসত্তার বাইরে তিনি আলাদা জগৎ তৈরি করেছিলেন। ধর্মীয় ও সামাজিক প্রতিক্রিয়াশীলতার বিরুদ্ধে তিনি সবসময় সোচ্চার ছিলেন। তিনি ছিলেন আদর্শ শিক্ষক, নিষ্ঠাবান গবেষক, বড় মাপের জ্ঞান-সাধক। তিনি ইতিহাস ও সময়কে দেখেছেন বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিতে। সময়ের সমান্তরালে তিনি সবসময় চলার চেষ্টা করেছেন। তিনি বক্তৃতা দিতেন স্বল্প সময়, একক বক্তৃতা ছাড়া। অল্প কথায় তিনি যা বলতেন তা অত্যন্ত গোছানো উপদেশমূলক ও তথ্যসমৃদ্ধ। দর্শক-শ্রোতারা আবিষ্ট হয়ে যেত তার কথা শুনে। উলেস্নখ্য, ১৯৩৭ সালের ১৮ ফেব্রম্নয়ারি পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগনা জেলার বসিরহাটে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। ৪৭ সালের দেশভাগের পর তিনি সপরিবারে বাংলাদেশে চলে আসেন। মারা যান ১৪ মে ২০২০। ষাটের দশকের সাংস্কৃতিক আন্দোলনে তার সম্পৃক্ততা বেশ উজ্জ্বল। রবীন্দ্র জন্মশতবর্ষ উদযাপনে বাধা প্রদান ও রবীন্দ্রনাথের গান নিষিদ্ধের তৎকালীন সরকারের অন্যায় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তিনি রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। ভাষা আন্দোলন, বুদ্ধিবৃত্তিক আন্দোলন, সাহিত্য আন্দোলন ইত্যাদি ভাবাদর্শিক আন্দোলনের পাশাপাশি স্বাধিকার চেতনায় পুষ্ট হয়ে তিনি জাতীয় জাগরণমূলক আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিলেন। যে আন্দোলন ছিল বাঙালির আত্মপরিচয় প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। তিনি জীবনের পথ-পরিক্রমায় সবসময় বহন করেছেন দেশ ও মানুষের জন্য ভালোবাসা। সম্পৃক্ত হয়েছেন বহুবিদ জাগরণী কর্মকান্ডে। ঐতিহ্যের মূল ভিত্তিতে থেকে তিনি সাহিত্য ও সংস্কৃতি সাধনায় ব্যাপৃত ছিলেন। তিনি চিন্তা-নায়ক, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের ধারক, পরামর্শদাতা ও পথপ্রদর্শক। তার সান্নিধ্যে উদ্দীপিত উজ্জীবিত হয়েছেন অনেকেই। বাংলা আইন পরিভাষার সমৃদ্ধিকরণে এই মহান শিক্ষাবিদ যুগান্তকারী ভূমিকা পালন করেছেন। আইন কমিশনের উদ্যোগে তার যৌথ সম্পাদনায় 'আইন শব্দকোষ' গ্রন্থটির দ্বিতীয় সংস্করণ বর্ধিত কলেবরে প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে। তিনি তিন খন্ডে লিখেছেন তার জীবন-স্মৃতি। কাল নিরবধি, আমার একাত্তর ও বিপুলা পৃথিবী। এখানে স্থান পেয়েছে তার পূর্বপুরুষদের ইতিহাস। তার বেড়ে ওঠা, শিক্ষা, শিক্ষকতা এবং জীবনের নানাবিদ কর্মযজ্ঞ। সব কিছু ছাপিয়ে যে বিষয়টি উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে তা হলো এ দেশে সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলনের ধারাটি। এটা যেন সামাজিক ও রাজনৈতিক ইতিহাসের আকড়, দুর্লভ দলিল। যার সঙ্গে নিবিড়ভাবে সক্রিয় ও সম্পৃক্ত ছিলেন তিনি। তার এ স্মৃতিভাষ্য সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। সব প্রতিভাবান মানুষই অন্যদের থেকে আলাদা। আনিসুজ্জামানও তেমনটাই ছিলেন। তিনি তার কর্মমুখর জীবনে উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করতেন এবং তা ছড়িয়ে দিতেন ব্যক্তি থেকে ব্যক্তিতে, সমাজের প্রতিটি স্তরে। তার উদার মানসিকতা উন্নত রুচি ও সংযত আচরণ বিচিত্র পথ ও মতের মানুষকে আকৃষ্ট আবিষ্ট করত। দেশভাগ থেকে শুরু করে সব ধরনের রাজনৈতিক আন্দোলনে এ দেশের মানুষ যে মুক্তি খুঁজছিলেন, সেসব আন্দোলনে তিনি দ্বিধাহীনচিত্তে সম্পৃক্ত হয়েছিলেন। স্বদেশপ্রেমও স্বদেশী-চেতনা ছিল তার অস্থি-মজ্জায়। এদেশের দুজন মনীষী মুসলমান লেখকদের নিয়ে গবেষণা করেছে, যা বাংলা সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। একজন আহমদ শরীফ অন্যজন আনিসুজ্জামান। অথচ দুজনই চিন্তা-চেতনায় আধুনিক ও প্রগতিশীল। দুজনেই মৌলবাদীদের গুমকির মুখ পড়েছিলেন। আহমদ শরীফ মধ্যযুগের মুসলিম লেখকদের নিয়ে গবেষণা করেছিলেন। আর আনিসুজ্জামান করেছিলেন ইংরেজ আমলের মুসলিম সাহিত্য নিয়ে। \হবাঙালি মুসলমানদের মানসিকতার বিবর্তনের রূপরেখা তার গবেষণায় চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে। তার আলোচিত গ্রন্থ মুসলিম মানস ও বাংলা সাহিত্য। বাংলা সাহিত্যের গবেষণা জগতে এটি আজ অবধি এক অপরিহার্য সহায়কসূত্র। বাঙালি চেতনার জাগরণ ঘটাতে তিনি ছিলেন আন্তরিক ও মনোযোগী। বিশেষ করে নৈতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণ। বিভেদ ও বিদ্বেষমূলক রাজনীতি থেকে জাতিকে মুক্ত করতে তিনি আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। উদার ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার নিরন্তর চেষ্টা করেছেন তিনি। মৌলবাদ-সাম্প্র্রদায়িকতা ও কূপমন্ডূকতার বিপরীতে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক-প্রগতিশীল সমাজ প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে দীর্ঘ দিন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। তিনি আফ্রো-এশিয়ার নিপীড়িত মানুষের অকৃত্রিম বন্ধু ছিলেন। আফ্রিকা, এশিয়া ও ল্যাটিন আমেরিকায় সাম্রাজ্যবাদী, ঔপনিবেশিক ও নয়া ঔপনিবেশিক শাসনের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সোচ্চার কণ্ঠ। তিনি সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আজীবন লড়াই করে গেছেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হলেও, ছিলেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ১৯৮৫ সালে তিনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে আসেন। সেখান থেকে অবসর নেন ২০০৩ সালে। ১৯৫৮ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি করার জন্য যোগদান করেন। তার বিষয় ছিল 'ইংরেজ আমলের বাংলা সাহিত্যে বাঙালি মুসলমানের চিন্তাধারা ১৭৫৭-১৯১৮'। ১৯৬৫ সালে শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পোস্ট ডক্টরাল ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। গবেষণার বিষয় ছিল 'উনিশ শতকের বাংলার সাংস্কৃতিক ইতিহাস: ইয়ং বেঙ্গল ও সমকাল'। তার রচিত ও সম্পাদিত বিভিন্ন গ্রন্থ আমাদের শিল্প-সংস্কৃতি ও ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি নানাভাবে সম্মানিত হয়েছেন। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে সরকার তাকে জাতীয় অধ্যাপক পদে সম্মানিত করে। এছাড়া শিক্ষা ক্ষেত্রে, শিল্প-সাহিত্য ক্ষেত্রে, সাংগঠনিক ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তিনি পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার, অলক্ত পুরস্কার, একুশে পদক, আলাওল সাহিত্য পুরস্কার, বেগম জেবুন্নেসা ও কাজী মাহবুবউলস্নাহ ট্রাস্ট পুরস্কার, দেওয়ান গোলাম মোর্তজা স্মৃতিপদক, অশোককুমার স্মৃতি আনন্দ পুরস্কার। এছাড়া তিনি ভারতীয় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা 'পদ্মভূষণ' ও রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মানসূচক ডি. লিট সম্মাননা পেয়েছেন। জীবনের অসাধারণ সব অর্জন ছিল তার। অবশ্য এ নিয়ে তার কোনো অহঙ্কার ছিল না। বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের শিক্ষক হিসেবে তিনি বাঙালি সংস্কৃতির প্রতি ছিলেন নিবেদিত প্রাণ। পাকিস্তানি আমলে শাসকগোষ্ঠীর বাংলা, বাঙালি সংস্কৃতি ও সাহিত্যবিরোধী যে কোনো অপতৎপরতার বিরুদ্ধে তিনি সোচ্চার কণ্ঠ ছিলেন। বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ছয় দফা আন্দোলন থেকে শুরু করে ঊনসত্তরের গণঅভু্যত্থান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ ও পরে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের অগ্রভাগে ছিলেন তিনি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সম্পর্কে তিনি লিখেছিলেন, '১৯৭১ সালে তার নেতৃত্বাধীন অসহযোগ আন্দোলন অভূতপূর্ব ও তুলনারহিত। সেদিন এ দেশের প্রায় প্রতিটি মানুষ বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে নিজেকে যুক্ত করেছিলেন অবিচ্ছেদ্যভাবে। সারা পৃথিবী অবাক হয়ে দেখছিল, এক অনগ্রসর জনপদের পঞ্চাশ, একান্ন বছর বয়সের এক নেতা জাতিকে কী শৃঙ্খলার সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ সংগ্রামে সামিল করেছে, স্থির লক্ষ্যের দিকে অগ্রসর হয়েছে।' তিনি আজ দূর আকাশে মিলিয়ে গেছেন। তিনি তার জীবন ও কর্মের মধ্যদিয়ে যে অবদান রেখে গেছেন তা স্মরণীয় ও অক্ষয় হয়ে থাকবে। এই গুণী ও আলোকিত মানুষটির বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারকে জানাই গভীর সমবেদনা। সালাম সালেহ উদদীন : কবি কথাসাহিত্যিক সাংবাদিক ও কলাম লেখক