৩। নিচে কয়েকটি শব্দ এবং শব্দার্থ দেয়া হলো। উপযুক্ত শব্দ দিয়ে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ কর।
শব্দ শব্দার্থ
জঙ্গল গভীর বন
ফাঁদ পশুপাখি ধরার যন্ত্রবিশেষ
দরকারি প্রয়োজনীয়
কুৎসিত কদাকার
লেজ পুচ্ছ
ক. এক শিয়াল হাঁটছিল - ভেতর দিয়ে।
খ. শিয়ালটি পড়ল এক - মধ্যে।
গ. আমাদের লেজগুলো আমাদের জন্য মোটেও - নয়।
ঘ. লেজগুলো দেখতে - এবং সবসময় নোংরা থাকে।
ঙ. তোমার - নেই।
উত্তর:
ক. এক শিয়াল হাঁটছিল জঙ্গলের ভেতর দিয়ে।
খ. শিয়ালটি পড়ল এক ফাঁদের মধ্যে
গ. আমাদের লেজগুলো আমাদের জন্য মোটেও দরকারি নয়।
ঘ. লেজগুলো দেখতে কুৎসিত এবং সব সময় নোংরা থাকে।
ঙ. তোমার লেজ নেই।
৪। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ক. চালাক শিয়াল কী ফন্দি এঁটেছিল তা?
খ. লেজবিহীন শিয়ালের বক্তব্যটি উলেস্নখ কর।
গ. কে ধূর্ত শিয়ালের পরিকল্পনা বুঝতে পারল এবং সে কী বলল?
উত্তর:
(ক) শিয়াল ফাঁদে পড়ে লেজ হারাল। এর ফলে তাকে অদ্ভুত দেখাচ্ছিল। মনে মনে সে খুব দুঃখিত হলো। শিয়ালটি ছিল খুব চালাক। সে মনে মনে একটি ফন্দি আঁটল। সে শিয়ালদের এক সভা আহ্বান করল এবং বলল, সব শিয়াল যেন লেজ কেটে তার মতো হয়ে যায়।
(খ) বক্তব্যে শিয়াল বলেছিল যে সে একটি নতুন জিনিস আবিষ্কার করেছে। তাদের লেজের কোনো দরকার নেই। কেননা, ওটা দেখতে কদাকার এবং নোংরা থাকে। তাই লেজগুলো কেটে ফেলাই ভালো। এতে করে শিয়ালদের সৌন্দর্য আরও বৃদ্ধি পাবে।
(গ) লেজ কাটা শিয়াল ছিল খুবই চালাক ও ধূর্ত। এক বৃদ্ধ ও বিজ্ঞ শিয়াল ধূর্ত শিয়ালের মন্দ পরিকল্পনাটি সহজেই বুঝতে পারল। সে লেজবিহীন শিয়ালকে বন্ধু বলে সম্বোধন করে বলল যে তার পরিকল্পনাটি মজার তবে বোকামিপূর্ণ। কারণ সে ফাঁদে পড়ে তার লেজ হারিয়েছে। তাই সে চাইছে অন্য সব শিয়ালও লেজ কাটা শিয়াল হয়ে যাক।
নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নাম্বার প্রশ্নের উত্তর দাও:
বাংলাদেশ একটি স্বাধীন দেশ। এক সময় এই দেশ পাকিস্তানের একটি অংশ ছিল। তখন পাকিস্তানিরা আমাদের শাসন করেছে। তারা নানাভাবে আমাদের শোষণও করেছে। পাকিস্তানিদের শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে অনেক আন্দোলন, সংগ্রাম হয়েছে। অবশেষে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিলেন। শুরু হলো যুদ্ধ। দেশকে পরাধীনতা থেকে মুক্ত করার জন্য শুরু হলো যুদ্ধ। তাই একে বলে মুক্তিযুদ্ধ। সেই যুদ্ধে যোগ দিলেন কৃষক, শ্রমিক, ছাত্র, শিক্ষক, পুলিশ, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য, জনতা এবং আরও কত নাম না জানা অগণিত মানুষ। জীবনবাজি রেখে তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে স্বাধীনতার সংগ্রামে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে যেভাবেই হোক পরাজিত করতে হবে। শত্রম্নমুক্ত করতে হবে বাংলাদেশকে। বাংলাদেশ অর্জন করবে স্বাধীনতা। দীর্ঘ ৯ মাস যুদ্ধের পর ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শত্রম্নমুক্ত হলো। এলো আমাদের চূড়ান্ত বিজয়।
\হদেশকে মুক্ত করার জন্য মুক্তিযোদ্ধারা যে সাহস ও বীরত্ব দেখিয়েছেন তার তুলনা নেই। যুদ্ধ শেষে সেরা মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে। 'বীরশ্রেষ্ঠ' হলো দেশের বীরত্বের সবচেয়ে বড় উপাধি। মাত্র ৭ জন বীর এই সম্মান লাভ করেছেন। মুক্তিযোদ্ধারা আমাদের গর্ব, আমাদের অহংকার। মুক্তিযোদ্ধাদের কথা আমরা ভুলি নাই, ভুলব না। তাদেরকে ভালোবাসি, শ্রদ্ধা করি।
৩। নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেয়া হলো। নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থানে উপযুক্ত শব্দটি লেখ।
শব্দ শব্দার্থ
কম্পন - কাঁপন
গৌরব - মর্যাদা
আজন্ম - সারাজীবন
বোধ - জ্ঞান
পরাস্ত - পরাজিত
ক. বাঙালির বিদ্রোহী মনোভাবে- উঠেছিল শোষকের হৃদয়ে
খ. নিজেকে বড় মনে করায় কোনো- নেই।
গ. জীবনে প্রতিষ্ঠিত অবস্থানে পৌঁছানোই মানুষের- সাধনা।
ঘ. কবিরা কাব্য রচনায় সব- একত্রে কাজে লাগান।
ঙ. নেপোলিয়ান দুর্ভাগ্যের কাছে কখনো- হয়নি।
উত্তর: ক. কম্পন খ. গৌরব গ. আজন্ম ঘ. বোধ ঙ. পরাস্ত।
৪। নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো:
ক. বাঙালির মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার পাঁচটি কারণ লেখ।
খ. বাংলাদেশের মানুষ কেন মুক্তিযুদ্ধ করেছিল? পাঁচটি বাক্যে লেখ।
গ. মুক্তিযুদ্ধে ৭ জন বীরশ্রেষ্ঠের নাম লেখ।