প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষার প্রস্তুতি

বাংলা

প্রকাশ | ০২ জুন ২০২০, ০০:০০

নূরমোহাম্মদ দেওয়ান, প্রধান শিক্ষক, শিক্ষা নিকেতন, চাঁদপুর য়
গাছ আমাদের পরম বন্ধু
প্রশ্ন : হাডুডু খেলার জন্ম কোথায়? কখন বাংলাদেশে সর্বাধিক প্রচলিত ছিল তার ওপর তিনটি বাক্য লেখো। উত্তর : হাডুডু খেলার জন্ম ফরিদপুরে। অনেকে বরিশালকে হাডুডুর জন্মস্থান বলে থাকে। যখন এদেশে ক্রিকেট, ফুটবল বা হকি খেলার প্রচলন ছিল না, তখন হাডুডু ছিল সর্বাধিক প্রচলিত খেলা। হাডুডু বাংলাদেশের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী একটি গ্রামীণ খেলা। বাংলাদেশের সর্বত্র এই খেলার প্রচলন আছে নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো : গাছপালা আমাদের পরম বন্ধু। গাছপালা ছাড়া পৃথিবীতে আমাদের জীবন অচল। বাতাসে শ্বাস নিতে না পারলে আমাদের মৃতু্য অনিবার্য। বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে আমরা বাঁচি। নিঃশ্বাসের সঙ্গে আমরা কার্বন ডাইঅক্সাইড নামে বিষাক্ত গ্যাস বাতাসে ছাড়ি। অন্যদিকে গাছপালা বাতাস থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে ও বাতাসে অক্সিজেন ছাড়ে। গাছপালা না থাকলে একসময় বাতাসের অক্সিজেন শেষ হয়ে যেত। গাছপালা থেকে আমরা আম, জাম, কাঁঠাল ইত্যাদি ফল পাই এবং চাল, ডাল, গম, যব ইত্যাদি খাদ্যশস্য পাই। এছাড়া বিভিন্ন রকম মসলা, তেল, চিনি বা শর্করাজাতীয় খাদ্য এবং প্রয়োজনীয় জ্বালানিও আমরা গাছ থেকে পাই। তাই বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। ৩. নিচে কয়েকটি শব্দ ও শব্দার্থ দেওয়া হলো। উপযুক্ত শব্দটি বাছাই করে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্র লেখো। শব্দ শব্দার্থ অক্সিজেন অম্স্নজান অচল চলে না গ্রহণ নেওয়া বিষাক্ত বিষযুক্ত জ্বালানি যা পুড়িয়ে রান্না করা হয় ক. কার্বন ডাইঅক্সাইড বিষাক্ত গ্যাস। খ. বাতাস থেকে অক্সিজেন নিয়ে আমরা বাঁচি। গ. গাছ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় জ্বালানি পাই। ঘ. গাছপালা বাতাস থেকে কার্বন ডাইঅক্সাইড গ্রহণ করে। ঙ. গাছপালা ছাড়া আমাদের জীবন অচল। ৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো : ক. গাছপালা ছাড়া আমাদের মৃতু্য অনিবার্য কেন? এর কারণ পাঁচটি বাক্য লেখ। উত্তর : গাছপালা থেকে আমরা জীবনধারণের জন্য প্রয়োজনীয় অক্সিজেন পাই। তাছাড়া কার্বন ডাইঅক্সাইড শোষণ করে পরিবেশকে বাসযোগ্য করে এই গাছপালা। গাছপালা আমাদের খাদ্যেরও জোগান দেয়। বাসস্থান, জ্বালানি থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গাছপালার অবদান অপরিসীম। প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় গাছপালা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। এসব কারণে গাছপালা ছাড়া আমাদের মৃতু্য অনিবার্য। খ. গাছ থেকে আমরা কী কী পাই? পাঁচটি বাক্য লেখো। উত্তর : গাছ থেকে আমরা অক্সিজেন পাই। বিভিন্ন ধরনের ফলমূল গাছে জন্মায়। গাছ থেকে আমরা আসবাব তৈরির কাঠ পাই। জ্বালানি পাই। ঘূর্ণিঝড়, নদীভাঙন থেকে গাছ আমাদের রক্ষা করে। গ. কেন বেশি বেশি গাছ লাগানো উচিত? পাঁচটি বাক্য লেখো। উত্তর : গাছ আমাদের পরম বন্ধু। গাছ থেকে আমরা প্রয়োজনীয় অনেক উপাদান পাই। শ্বাস-প্রশ্বাস থেকে শুরু করে জীবনের প্রতিটি ধাপে গাছ আমাদের উপকারী বন্ধু। গাছ ছাড়া একদিনও বেঁচে থাকা সম্ভব নয়। খাদ্যশস্য, মসলা ও বিভিন্ন শর্করাজাতীয় খাদ্যও আমরা গাছ থেকে পেয়ে থাকি। তাই বেশি বেশি গাছ লাগাতে হবে। নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো : আর্সেনিক মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর এক ধরনের পদার্থ। এর কোনো রং, গন্ধ ও স্বাদ নেই। বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতি লিটার পানিতে ০.০৫ মিলি গ্রামের বেশি আর্সেনিক থাকলে তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। আর্সেনিকযুক্ত পানি পান করলে বুকে, পিঠে, পেটে কালো দাগ দেখা দেয় এবং চামড়ার রং কালো হয়ে যায়। হাত-পায়ের তালু খসখসে হয়ে ফেটে যায় এবং ক্ষেত্রবিশেষে ছোট ছোট গুটি দেখা দিতে পারে। বমি বমি ভাব, পাতলা পায়খানা, খাওয়া-দাওয়া অরুচি, রক্ত আমাশয়, মুখে ঘাও হতে পারে। কিডনি, লিভার ও ফুসফুস বড় হয়ে যায়। এমনকি আক্রান্ত স্থানে ক্যান্সারও হতে পারে। তবে এটি কোনো ছোঁয়াচে রোগ নয়। শরীরে আর্সেনিকের উপসর্গ দেখা দিলে ডাক্তার অথবা স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে দেখা করে তাঁদের পরামর্শমতো চলতে হবে এবং পরীক্ষার মাধ্যমে যে নলকূপটির মুখ সবুজ রঙ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়েছে সেই নলকূপটির পানি পান করতে হবে। যদি কোনো এলাকায় নলকূপের পানিতে আর্সেনিক দেখা দেয় তবে নদী, পুকুর, বিলের পানি ছেঁকে ২০ মিনিট ফুটিয়ে পান করতে হবে। আবার বৃষ্টি শুরু হওয়ার ৫ মিনিট পরের পানিও পান করা যেতে পারে। আর্সেনিক আক্রান্ত রোগী সবধরনের খাবার খেতে পারে। তবে রোগীকে শাক-সবজি, ফলমূল ও অন্যান্য পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খেতে হবে।