বাংলা দ্বিতীয় পত্র

এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি

পড়াশোনা না করলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার

প্রকাশ | ৩০ জুলাই ২০২০, ০০:০০

শাদমান শাহিদ, প্রভাষক আওলিয়ানগর এমএ ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া। য়
বাক্য গ. সরল থেকে যৌগিক বাক্য করার নিয়ম : গরল বাক্য থেকে যৌগিক বাক্য করতে হলে সরল বাক্যে কোনো অংশকে নিরপেক্ষ বাক্যে রূপান্তর করে এবং উভয়ের সংযোগ বিধানে উপযুক্ত অব্যয় যোগ করতে হয়। ঘ. অস্তিবাচককে নেতিবাচক অথবা নেতিবাচককে অস্তিবাচক করতে হলে খেয়াল করতে হবে যাতে কোনো মতেই অর্থের বিকৃতি না ঘটে। ঙ. অস্তিবাচককে প্রশ্নবোধক করার সময় নেতিবাচক দিয়ে প্রশ্ন করতে হবে আবার নেতিবাচককে প্রশ্নবোধক করতে হলে অস্তিবাচক দিয়ে প্রশ্ন করতে হবে। নিচে কয়েকটি নমুনা প্রশ্ন-উত্তর দেয়া হলো : নেতিবাচক থেকে অস্তিবাচক : ১। সে অসুস্থ নয়- সে সুস্থ। ২। সে কিছুতেই সন্তুষ্ট নয়- সে সব কিছুতেই অসন্তুষ্ট। ৩। আমি অন্য ঘরে যাব না- আমি এ ঘরেই থাকব। ৪। একে আমি মরতে দেব না- একে আমি বাঁচিয়ে রাখব। ৫। আদরের দেমাক করিস না- আদরের দেমাক থেকে বিরত থাক। ৬। হৈমতার অর্থ বুঝল না- হৈমতার অর্থ বুঝতে ব্যর্থ হলো। ৭। না মহারাজ, তিনি আশ্রমে নেই- হঁ্যা মহারাজ, তিনি আশ্রমের বাইরে আছেন। ৮। সৌরভের স্বাস্থ্য ভালো নয়- সৌরভের স্বাস্থ্য মন্দ। ৯। মিথ্যাবাদীকে কেউ পছন্দ করে না- মিথ্যাবাদীকে সবাই অপছন্দ করে। ১০। একলা যেতে ভয় করবে না তো?- একলা যেতে ভয় করবে কিনা জানতে চায়। অস্তিবাচক থেকে নেতিবাচক : ১। পঞ্জিকার পাতা উল্টাতেই থাকিল- পঞ্জিকার পাতা উল্টাতে না থাকিয়া পারিল না। ২। এতে দোষ কী?- এতে দোষের কিছু নেই। ৩। শাহানার স্বাস্থ্য ভালো- শাহানার স্বাস্থ্য খারাপ নয়। ৪। আজকাল সব জিনিসই দুর্লভ- আজকাল কোনো জিনিসই সহজলভ্য নয়। ৫। প্রিয়ংবদা যথার্থ কহিয়াছে- প্রিয়ংবদা অযথার্থ কহে নাই। ৬। তাহারা কি পাষাণ- তাহারা পাষাণ নয়। ৭। আপনি আমায় অবিশ্বাস করেছেন- আপনি আমাকে বিশ্বাস করেননি। ৮। ওরা তোমাকে পাঠিয়েছে- ওরা তোমাকে না পাঠিয়ে পারেনি। ৯। সময় মতো এসেছি- অসময়ে আসিনি। ১০। আরো দুবার ফোন করেছি- আরো দুবার ফোন না করে পারিনি। অস্তিবাচক অথবা নেতিবাচক থেকে প্রশ্নবাচক : ১। শৈশবে তার বাবা মারা যায়- শৈশবে কি তার বাবা মারা যান? ২। সরস্বতী বর দেবেন না- সরস্বতী বর দেবেন কী? ৩। এতে দোষ নেই- এতে দোষ কোথায়? ৪। ভুল সকলেই করে- সকলেই কি ভুল করে না? সরল বাক্য থেকে যৌগিক বাক্য : ১। সৎ ব্যক্তি বলে সকলে তাকে শ্রদ্ধা করে- সে সৎ ব্যক্তি, তাই সকলে তাকে শ্রদ্ধা করে। ২। ধনের ধর্মই অসাম্য- ধনের ধর্ম এমন যা অসাম্য ৩। যদিও সে দরিদ্র তথাপি সে চরিত্রবান- সে দরিদ্র কিন্তু চরিত্রবান। ৪। দয়া করে সব কথা খুলে বলুন- দয়া করুন এবং সব কথা খুলে বলুন। ৫। বিদ্বান হলেও তার অহংকার নেই- তিনি বিদ্বান কিন্তু তার অহংকার নেই। ৬। লোকটি অশিক্ষিত হলেও অভদ্র নয়- লোকটি অশিক্ষিত কিন্তু অভদ্র নয়। ৭। যদি পড়াশোনা না করো তাহলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার- পড়াশোনা করো নইলে ভবিষ্যৎ অন্ধকার। সরল বাক্য থেকে জটিল বাক্য : ১। আমি তোমাকে নিতে এসেছি- আমি তোমাকে নেবো বলে এসেছি। ২। ধনীরা কৃপণ হয়- যারা ধনী তারা কৃপণ হয়। ৩। ছাত্রদের অধ্যয়নই তপস্যা- যারা ছাত্র অধ্যয়নই তাদের তপস্যা। ৪। পরিশ্রমী লোকই সাফল্য লাভ করে- যারা পরিশ্রমী তারাই সাফল্য লাভ করে। ৫। লোভ পরিত্যাগ করলে সুখে থাকবে- যদি লোভ পরিত্যাগ করো, তবে সুখে থাকবে। ৬। সে মরবে, তবু একথা বলবে না- যদিও সে মরবে, তবু একথা বলবে না। পদ ১। পদ কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কী কী? লেখ। উত্তর : বিভক্তিযুক্ত শব্দকে পদ বলে। পদ পাঁচ প্রকার। যথা : বিশেষ্য, বিশেষণ, সর্বনাম, অব্যয় ও ক্রিয়া। বিশেষ্য : যে পদ দ্বারা ব্যক্তি, স্থান, জাতি, দ্রব্য, গুণ, সমষ্টি ও ক্রিয়ার নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য বলে। যেমন : করিম, ঢাকা, পানি ইত্যাদি। বিশেষণ : যে পদ দ্বারা বিশেষ্যের দোষ, গুণ, অবস্থা বা সংখ্যা বিশেষরূপে বোঝায় তাকে বিশেষণ বলে। যেমন : ভালো, মন্দ, কালো, দশ ইত্যাদি। সর্বনাম : যে পদ বিশেষ্য বা অন্য কোনো পদের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়, তাকে সর্বনাম বলে। যেমন : তুমি, সে, যা, তা ইত্যাদি। অব্যয় : যে পদের আকৃতি কোনো অবস্থায় পরিবর্তন হয় না, তাকে অব্যয় বলে।