এইচএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি (বাংলা দ্বিতীয় পত্র)

প্রকাশ | ৩১ জুলাই ২০২০, ০০:০০

শাদমান শাহিদ, প্রভাষক, আওলিয়ানগর এমএ ইন্টারমিডিয়েট কলেজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া য়
তাজমহল
আজ তোমাদের জন্য বাংলা দ্বিতীয় পত্র নিয়ে আলোচনা করা হলো অব্যয় : যে পদের আকৃতি কোনো অবস্থায় পরিবর্তন হয় না, তাকে অব্যয় বলে। যেমন : এবং, কিন্তু, তথা ইত্যাদি। ক্রিয়া : যে পদ দ্বারা কোনো বিশেষ কালে সম্পন্ন ক্রিয়া বোঝায় তাকে ক্রিয়া বলে। যেমন : করব, করেছি, করে ইত্যাদি। ২। বিশেষ্য কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কী কী? লেখ। উত্তর : যে পদ দ্বারা ব্যক্তি, স্থান, জাতি, দ্রব্য, গুণ, সমষ্টি ও ক্রিয়ার নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য বলে। বিশেষ্য ছয় প্রকার। যথা : ক. নামবাচক বিশেষ্য খ. জাতিবাচক বিশেষ্য গ. বস্তুবাচক বিশেষ্য ঘ. গুণবাচক বিশেষ্য ঙ. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য চ. ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য ক. নামবাচক বিশেষ্য : যে পদ দ্বারা কোনো ব্যক্তি, স্থান বা সংজ্ঞা অথবা গ্রন্থ বিশেষের নাম বোঝায়, তাকে বিশেষ্য বলে। যেমন : করিম, ঢাকা, তাজমহল, শাহনামা ইত্যাদি। খ. জাতিবাচক বিশেষ্য : যে পদ দ্বারা কোনো এক জাতীয় প্রাণী বা পদার্থের নাম বোঝায়, তাকে জাতিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন : মানুষ, নদী, গাছ ইত্যাদি। গ. বস্তুবাচক বিশেষ্য : যে পদ দ্বারা কোনো বস্তুর নাম বোঝায়, তাকে বস্তুবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন : পানি, মাটি, লবণ ইত্যাদি। ঘ. গুণবাচক বিশেষ্য : যে পদ দ্বারা কোনো বস্তুর বৈশিষ্ট্যবাচক দোষ বা গুণের নাম বোঝায়, তাকে গুণবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন : তারুণ্য, লজ্জা, মধুরতা ইত্যাদি। ঙ. সমষ্টিবাচক বিশেষ্য : যে পদ দ্বারা ব্যক্তি, বস্তু বা প্রাণীর সমষ্টি বোঝায়, তাকে সমষ্টিবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন : সমিতি, ঝাঁক, বহর ইত্যাদি। চ. ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য : যে পদ দ্বারা কোনো ক্রিয়ার ভাব প্রকাশ পায়, তাকে ক্রিয়াবাচক বিশেষ্য বলে। যেমন : গমন, শয়ন, শোনা ইত্যাদি। ৩। বিশেষণ কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কী কী? লেখ। উত্তর : যে পদ দ্বারা বিশেষ্যের দোষ, গুণ, অবস্থা বা সংখ্যা বিশেষরূপে বোঝায় তাকে বিশেষণ বলে। বিশেষণ পাঁচ প্রকার। যথা : ক. বিশেষ্যের বিশেষণ খ. বিশেষণের বিশেষণ গ. ক্রিয়া-বিশেষণ ঘ. ক্রিয়া-বিশেষণের বিশেষণ ঙ. বিধেয় বিশেষণ ক. বিশেষ্যের বিশেষণ : যে পদ দ্বারা বিশেষ্যের দোষ, গুণ, অবস্থা বা সংখ্যা ইত্যাদি বোঝায়, তাকে বিশেষ্যের বিশেষণ বলে। যেমন : ভালো, মন্দ, দশ ইত্যাদি। খ. বিশেষণের বিশেষণ : যে পদ বিশেষণকে বিশেষরূপে নির্দেশ করে, তাকে বিশেষণের বিশেষণ বলে। যেমন : খুব ভালো, অতি সুন্দর ইত্যাদি। গ. ক্রিয়া-বিশেষণ : যে পদ ক্রিয়াপদকে বিশেষরূপে নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন : আস্তে বলো। দ্রম্নত চলো ইত্যাদি ঘ. ক্রিয়া-বিশেষণের বিশেষণ : যে পদ ক্রিয়া-বিশেষণকে বিশেষরূপে নির্দেশ করে, তাকে ক্রিয়া-বিশেষণের বিশেষণ বলে। যেমন : খুব আস্তে বলো। অতি দ্রম্নত চলো ইত্যাদি ঙ. বিধেয় বিশেষণ : যে পদ বিশেষ্য, বিশেষণ বা সর্বনামের পরে বসে বিধেয়রূপে বাক্যের উদ্দেশ্যস্থানীয় বিশেষ্য বা সর্বনামকে বিশেষরূপে নির্দিষ্ট করে, তাকে বিধেয় বিশেষণ বলে। যেমন : বালিকাটি সুন্দরী। তিনি ধনবান ইত্যাদি। ৪। ক্রিয়াপদ কাকে বলে? উহা কত প্রকার ও কী কী? লেখ। উত্তর : যে পদ দ্বারা কোনো বিশেষ কালে সম্পন্ন ক্রিয়া বোঝায় তাকে ক্রিয়াপদ বলে। ক্রিয়াপদ প্রধানত দুই প্রকার। যথা: ১. সমাপিকা ক্রিয়া ২. অসমাপিকা ক্রিয়া। ১. সমাপিকা ক্রিয়া : যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের সমাপ্তি ঘটে, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন : আমি ভাত খাই, রফিক স্কুলে যায় ইত্যাদি। ২. অসমাপিকা ক্রিয়া : যে ক্রিয়া দ্বারা বাক্যের সমাপ্তি ঘটে না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন : আমি ভাত খেয়ে..., রফিক স্কুলে যেয়ে... ইত্যাদি