প্রশ্ন . পরিবেশ দূষণ কী? বায়ু ও পানি দূষণ রোধে করণীয় সম্পর্কে তোমার পরামর্শ ৪টি বাক্যে উপস্থাপন কর।
উত্তর: আমাদের চারপাশের পরিবেশকে আমরা নানাভাবে ব্যবহার করি, যার ফলে পরিবেশে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। এসব পরিবর্তন যখন আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয় তখন তাকে পরিবেশ দূষণ বলে।
১. সুপরিকল্পিতভাবে বাসগৃহ নির্মাণ, শিল্পকারখানা স্থাপন ও যানবাহন চালনা করলে বায়ু ও পানি দূষণ রোধ করা সম্ভব।
২. এ ছাড়াও বেশি করে গাছ লাগালে বায়ুদূষণ রোধ হয়।
৩. জমিতে জৈবসার ব্যবহার করে, পুকুর বা জলাশয়ের ওপর কাঁচা পায়খানা তৈরি না করে বাড়ির এক কোণায় পাকা পায়খানা তৈরি করে, কলকারখানা ও বাড়ির বর্জ্য পরিশোধনের ব্যবস্থা করলে পানি দূষণ রোধ হবে।
৪. নদী ভরাট রোধ, নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকায় কলকারখানা স্থাপন বন্ধ করা গেলে পানি দূষণ রোধ করা যায়।
প্রশ্ন: শব্দদূষণ রোধে তুমি কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পার সংক্ষেপে লেখ।
উত্তর: শব্দদূষণ রোধে আমি যেসব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি তা হলো-
১. কোনো অনুষ্ঠানে উচ্চস্বরে গান বাজাব না।
২. আতশবাজি বা পটকা ফুটাব না।
৩. উচ্চস্বরে আওয়াজ বা গোলমাল করব না।
৪. মাইক বাজানো থেকে বিরত থাকব।
৫. যারা শব্দদূষণ করে তাদের এর ক্ষতিকর দিক বোঝানোর চেষ্টা করব।
প্রশ্ন: পরিবেশে পানি দূষণের প্রভাবে কী কী ঘটতে পারে লেখ।
উত্তর: পানি দূষণের প্রভাবে পরিবেশে যেসব ঘটনা ঘটতে পারে তা হলো-
১. দূষিত পানি ব্যবহারের ফলে মানুষ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হবে। যেমন- ডায়রিয়া, আমাশয়, জন্ডিস ইত্যাদি।
২. জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর মৃতু্য ঘটবে।
৩. পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হবে।
প্রশ্ন: পরিবেশ সংরক্ষণের পাঁচটি উপায় লেখ।
উত্তর: পরিবেশ সংরক্ষণের পাঁচটি উপায় হলো-
১. অপরিকল্পিতভাবে বাড়িঘর ও কলকারখানা তৈরি না করা।
২. বনজঙ্গল কাটাসহ নদীনালা ভরাট বন্ধ করা।
৩. কলকারখানার বর্জ্য পরিশোধনের ব্যবস্থা নেওয়া।
৪. পস্নাস্টিক ও পলিথিন যেখানে সেখানে না ফেলা।
৫. মৃত জীবজন্তু ও জৈব আবর্জনা মাটিতে গর্ত করে মাটিচাপা দিয়ে রাখা।
প্রশ্ন: পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ৫টি বাক্যে বর্ণনা কর।
উত্তর: পরিবেশ দূষণের ক্ষতিকর প্রভাব ৫টি বাক্যে নিচে বর্ণনা করা হলো-
১. পরিবেশ দূষণের ফলে বায়ু, পানি ও মাটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে ব্যবহার অনুপযোগী হয়।
২. শ্বাসকষ্ট, হাঁপানি, ডায়রিয়া, আমাশয়, কলেরাসহ নানা রোগের প্রাদুর্ভাব ঘটে।
৩. অনেক উদ্ভিদ ও প্রাণীর বিলুপ্তি ঘটে।
৪. মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যায়।
৫. পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায়।
প্রশ্ন: শব্দদূষণ কী? শব্দদূষণের ৪টি কারণ লেখ।
উত্তর: হঠাৎ উচ্চস্বরে আওয়াজ, গোলমাল বা বিভিন্ন উচ্চমাত্রায় শব্দের কারণে মানুষের মানসিক ও শারীরিক সমস্যা সৃষ্টি হয়। শব্দের এ আধিক্যই শব্দদূষণ নামে পরিচিত।
শব্দদূষণের ৪টি কারণ নিচে দেয়া হলো-
১. উচ্চস্বরে মাইক বাজানো।
২. বিনা প্রয়োজনে গাড়ির হর্ন বাজানো।
৩. যানবাহন, পেস্নন বা লঞ্চের শব্দ।
৪. শিল্পকারখানার শব্দ।
প্রশ্ন: পরিবেশ দূষণ কী? কীভাবে বায়ুদূষণ ঘটে তা ৩টি বাক্যে বর্ণনা কর।
উত্তর: আমাদের চারপাশের পরিবেশকে আমরা নানাভাবে ব্যবহার করি, যার ফলে পরিবেশে বিভিন্ন পরিবর্তন ঘটে। এসব পরিবর্তন যখন আমাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয় তখন তাকে পরিবেশ দূষণ বলে। নিম্নলিখিত উপায়ে বায়ুদূষণ ঘটে থাকে-
১. অপরিকল্পিতভাবে ঘরবাড়ি নির্মাণ, শিল্পকারখানা স্থাপন, যানবাহন চালানো, ইটের ভাটায় ইট পোড়ানো ইত্যাদি কারণে বায়ু দূষিত হয়।
২. ঘনবসতি এলাকায় আবর্জনা ও মলমূত্র নিষ্কাশনের তেমন কোনো ব্যবস্থাপনা না থাকায় যত্রতত্র ময়লা-আবর্জনা ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে দুর্গন্ধ সৃষ্টি হয়ে বায়ুতে মিশে বায়ুদূষণ ঘটায়।
৩. জমিতে অতিরিক্ত পরিমাণে রাসায়নিক সার ও কীটনাশক ছিটানোর সময় রাসায়নিক উপাদান বায়ুর সঙ্গে মিশে বায়ু দূষিত করে।