বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা প্রাথমিক বিজ্ঞান

রোমানা হাবীব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম
  ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০
সূর্য হতে তাপ আসে

আজ তোমাদের জন্য প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো

প্রশ্ন : পরিচলন কী? পরিচলন পদ্ধতিতে কীভাবে তাপের সঞ্চালন ঘটে তা ৪টি বাক্যে বর্ণনা কর।

উত্তর : যে পদ্ধতিতে তাপ কোনো পদার্থের অণুগুলোর চলাচল দ্বারা উত্তপ্ত অংশ থেকে শীতলতর অংশে স্থানান্তরিত হয় তাকে পরিচলন বলে।

একটি কাচের পাত্রে পানি নিয়ে এর সঙ্গে কিছু রং মিশিয়ে পাত্রের নিচে তাপ প্রয়োগ করলে দেখা যায়, পাত্রের তলা থেকে একটি রঙিন পানির স্রোত ওপরের দিকে ওঠে এবং পাত্রের দেয়াল বেয়ে আরেকটি স্রোত নিচে নেমে যাচ্ছে। পাত্রের তলার পানি প্রথম তাপ গ্রহণ করার ফলে উত্তপ্ত হয়ে হালকা হয় এবং উপরে ওঠে যায় অন্যদিকে উপরের ঠান্ডা পানি নিচে নেমে আসে। এভাবে ক্রমাগত গরম পানির উপরে ওঠা এবং শীতল পানির নিচে আসার ফলে পাত্রের সব পানি উত্তপ্ত হয়। সুতরাং এ পদ্ধতিতে পানির অণুগুলো স্থান পরিবর্তন করে তাপ সঞ্চালন করে।

প্রশ্ন : পদার্থের তিন দশা রয়েছে। যথা- কঠিন, তরল ও বায়বীয়। নিচে এদের বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হলো-

কঠিন: কঠিন দশায় পদার্থের পরমাণুগুলো নির্দিষ্ট অবস্থানে সাজানো থাকে। পরমাণুগুলোর বন্ধন শক্তিশালী থাকে। তাই এদের আকার সহজে বদলানো যায় না। এদের আয়তন নির্দিষ্ট।

তরল : তরল দশায় পদার্থের পরমাণুগুলোর মধ্যে বন্ধন শিথিল থাকে। ফলে পরমাণুগুলো চলাচল করতে পারে। কিন্তু এদের গড় দূরত্ব ঠিক থাকে। তবে আকার ঠিক থাকে না। কিন্তু আয়তন ঠিক থাকে।

বায়ুবীয় : গ্যাসীয় দশায় পদার্থের অণুগুলোর মধ্যে কোনো বন্ধন থাকে না। ফলে এরা জায়গা দখল করে কিন্তু তা নির্দিষ্ট থাকে না।

প্রশ্ন : শক্তির পরিমাপ কীভাবে করা যায় তা দৃষ্টান্ত দিয়ে বোঝাও।

উত্তর: কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। শক্তির পরিমাপ করা যায় এই সংক্রান্ত দুটি দৃষ্টান্ত নিচে উলেস্নখ করা হলো-

একটি স্প্রিংকে টেনে লম্বা করতে বল প্রয়োগ করতে হয়। যতটুকু বল প্রয়োগ করে একটি স্প্রিংকে যতটুকু লম্বা করা যায়, এ দুটো রাশির গুণফল হলো শক্তির পরিমাণ। আবার, একটি ভারী বস্তুকে উপরে তোলার সময় কতটা ওজনের বস্তুকে কতটা উপরে তোলা হয়- এ দুটো রাশির গুণফলই হলো শক্তির পরিমাণ।

প্রশ্ন : তাপ কীভাবে সঞ্চালিত হয়?

উত্তর : তাপ সঞ্চালিত হয় তিন পদ্ধতিতে। যথা- পরিবহন, পরিচলন ও বিকিরণ। নিচে এ তিনটি পদ্ধতিতে তাপের সঞ্চালন ব্যাখ্যা করা হলো-

পরিবহন : এ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনে পদার্থের অণুগুলো তাদের নিজস্ব স্থান পরিবর্তন করে না। শুধু কম্পনের মাধ্যমে এক অণু থেকে পাশের অণুতে তাপ সঞ্চালিত হয়। কঠিন পদার্থে এ পদ্ধতিতে তাপ বেশি সঞ্চালিত হয়।

পরিচলন : এ পদ্ধতিতে তাপ সঞ্চালনে পদার্থের অণুগুলোর স্থান পরিবর্তন করতে হয়। পদার্থের অণুগুলো স্থান পরিবর্তনের মাধ্যমে উষ্ণতর অংশ হতে শীতলতর অংশে তাপ নিয়ে যায়। এ পদ্ধতিতে তাপ তরল ও বায়বীয় পদার্থে সঞ্চালিত হয়।

বিকিরণ : এ পদ্ধতিতে তাপ কোনো মাধ্যমের সাহায্য ছাড়াই সঞ্চালিত হয়। এ পদ্ধতিতে আমরা সূর্য থেকে তাপ পেয়ে থাকি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
Error!: SQLSTATE[42000]: Syntax error or access violation: 1064 You have an error in your SQL syntax; check the manual that corresponds to your MariaDB server version for the right syntax to use near 'and id<112183 and publish = 1 order by id desc limit 3' at line 1