পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা (প্রাথমিক বিজ্ঞান)

প্রকাশ | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২০, ০০:০০

রোমানা হাবীব চৌধুরী, সহকারী শিক্ষক, ব্রাইট ফোর টিউটোরিয়াল হোম, চট্টগ্রাম য়
বৈদু্যতিক লাইন
আজ তোমাদের জন্য প্রশ্নোত্তর নিয়ে আলোচনা করা হলো প্রশ্ন: শক্তির অপচয় ঘটে- এমন ঘটনার কয়েকটি উদাহরণ দাও। উত্তর: অকারণে শক্তি ব্যয় করাকে শক্তির অপচয় বলে। শক্তির অপচয় ঘটে এমন কয়েকটি ঘটনার উদাহরণ নিচে দেয়া হলো- ১. বৈদু্যতিক যন্ত্রপাতি যেমন- বাতি, পাখা, রেডিও, টেলিভিশন ইত্যাদি অপ্রয়োজনে ছেড়ে রাখা। ২. ম্যাচের কাঠি বাঁচানোর জন্য গ্যাসের চুলা সব সময় জ্বালিয়ে রাখা। ৩. ত্রম্নটিপূর্ণ যানবাহন চালানো। ৪. ট্রাফিক সিগন্যালে থাকা অবস্থায় গাড়ির ইঞ্জিন বন্ধ না রাখা। ৫. অপ্রয়োজনে বাড়িঘরে আলোকসজ্জা করা। প্রশ্ন: শক্তির উৎস বলতে কী বোঝ? শক্তির কয়েকটি উৎসের নাম লেখ। উত্তর: প্রকৃতিতে শক্তি বিভিন্নরূপে অবস্থান করে। শক্তির এক একটি রূপ যে মাধ্যমে অবস্থান করে তাকেই শক্তির উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হয়। সাধারণ অর্থে, শক্তির উৎসগুলো হলো কয়লা, তেল, গ্যাস, খাদ্য, পানিপ্রবাহ, বায়ুপ্রবাহ, বৈদু্যতিক ব্যাটারি, জেনারেটর ইত্যাদি। এসব থেকেই আমরা তাপ, আলো, বিদু্যৎ, শব্দ ইত্যাদি পেয়ে থাকি। কিন্তু এসব শক্তির মূল উৎস হলো সূর্য। প্রশ: শক্তি কী? দৈনন্দিন জীবনে শক্তির ৪টি ব্যবহার লেখ। উত্তর: কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। দৈনন্দিন জীবনে শক্তির ৪টি ব্যবহার নিচে উলেস্নখ করা হলো- ১. বিদু্যৎশক্তি ও আলোকশক্তি ব্যবহার করে বাতি জ্বালানো। ২. তাপশক্তি ব্যবহার করে চুলায় রান্না করা। ৩. শব্দশক্তির ব্যবহার করে গান শোনা। ৪. বিদু্যৎশক্তি ব্যবহার করে বৈদু্যতিক পাখা চালানো। প্রশ্ন. পদার্থ কাকে বলে? পদার্থের গঠন ও বৈশিষ্ট্য ৫টি বাক্যে ব্যাখ্যা কর। উত্তর: যার ওজন আছে, জায়গা দখল করে এবং বল প্রয়োগ করলে বাধা প্রদান করে তাকে পদার্থ বলে। পদার্থ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র কণিকা দ্বারা গঠিত, যার নাম পরমাণু বা অ্যাটম। অ্যাটম অর্থ অবিভাজ্য, অর্থাৎ পরমাণুসমূহ আর ভাঙা যায় না। সব পদার্থ পরমাণু দ্বারা গঠিত। পদার্থের ভিন্নতা নিম্নলিখিত বৈশিষ্ট্যের ওপর নির্ভর করে- ১. প্রতিটি পদার্থ ভিন্ন রকম পরমাণু দ্বারা গঠিত। ২. পরমাণুসমূহের পারস্পরিক বন্ধন ভিন্ন রকমের। প্রশ্ন: শক্তি কাকে বলে? শক্তি সংরক্ষণের উপায় সম্পর্কে ৪টি বাক্যে লেখ। উত্তর: কাজ করার সামর্থ্যকে শক্তি বলে। শক্তি সংরক্ষণের জন্য আমরা নিম্ন লিখিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে পারি- ১. রেডিও, টিভি, বাতি প্রভৃতি বৈদু্যতিক যন্ত্রপাতি প্রয়োজনে ব্যবহার করে অন্য সময় বন্ধ রাখব। ২. ত্রম্নটিপূর্ণ যানবাহন বা যন্ত্রপাতি মেরামত করতে হবে। ৩. অপ্রয়োজনে যানবাহনের ইঞ্জিন বন্ধ রাখতে হবে। ৪. শক্তির অপচয় না করার জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে। প্রশ্ন: খাদ্য সংরক্ষণ কী? তোমাদের বাসার প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল ও মাছকে পরে ব্যবহারের জন্য কীভাবে সরক্ষণ করা যেতে পারে ৪টি বাক্যে ব্যাখ্যা কর। উত্তর: খাদ্যদ্রব্যকে পচন থেকে রক্ষা করে টাটকা ও সতেজ অবস্থায় দীর্ঘদিন রেখে দেয়াকেই খাদ্য সংরক্ষণ বলে। বাসার প্রয়োজনের অতিরিক্ত চাল ও মাছকে সংরক্ষণের ক্ষেত্রে কোন পদ্ধতি উপযোগী প্রথমে তা নির্ধারণ করতে হবে। আমরা জানি, শুকনো অবস্থায় চাল ভালো থাকে, তাই চালকে রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করতে হবে। অন্যদিকে মাছ সংরক্ষণের বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। যেমন- মাছকে বাসার ফ্রিজে রেখে সংরক্ষণ করা যায় অথবা উচ্চ তাপে জীবাণু ধ্বংস করে বদ্ধ পাত্রেও সংরক্ষণ করা যেতে পারে। প্রশ্ন: খাদ্য সংরক্ষণ কী? বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্য সম্পর্কে ৪টি বাক্যে লেখ। উত্তর: খাদ্য সংরক্ষণ : খাদ্যদ্রব্যকে পচন থেকে রক্ষা করে টাটকা ও সতেজ অবস্থায় দীর্ঘদিন রেখে দেয়াকেই খাদ্য সংরক্ষণ বলে। বাড়িতে খাদ্যদ্রব্য সংরক্ষণের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে- ১. খাদ্যদ্রব্যকে পচন থেকে রক্ষা করে টাটকা ও তাজা রাখা। ২. পরিবারের ভবিষ্যৎ খাদ্য নিশ্চয়তার ব্যবস্থা করা। ৩. বছরের সব সময় যাতে সব রকমের খাদ্যদ্রব্য পাওয়া যায়, তার ব্যবস্থা করা। ৪. খাদ্যের অপচয় রোধ করা। প্রশ্ন: রাস্তার ধারে অথবা হোটেলের ভাজাপোড়া ও উজ্জ্বল রঙের খাবারকে স্বাস্থ্যকর বলা যায় কি না তা ৫টি বাক্যে লেখ। উত্তর: রাস্তার ধারে অথবা হোটেলের ভাজাপোড়া ও উজ্জ্বল প্রকৃতির খাবারগুলোতে বিভিন্ন ধরনের রং ও রাসায়নিক দ্রব্য মেশানো থাকে। যেমন- ক্যালসিয়াম কার্বাইড, বিষাক্ত পাউডার, ফরমালিন, স্যাকারিন প্রভৃতি। এসব দ্রব্য স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এসব খাবার গ্রহণে লিভার ও কিডনির সমস্যা, অ্যাজমা, ক্যান্সার প্রভৃতি মারাত্মক রোগ হতে পারে। তাই এসব খাবারকে স্বাস্থ্যকর খাবার বলা যায় না।